সংশ্লিষ্ট
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৪২৯ জন। এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ১৭ হাজার ২১৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।রোববার (২০ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।এতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৩৩ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১৮ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৫৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৭৮ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ২৪ জন, খুলনা বিভাগে ৫৫ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১১ জন, রাজশাহী বিভাগে ৪৮ জন এবং রংপুর বিভাগে ৬ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।এদিকে, গত এক দিনে সারাদেশে ৪১১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৫ হাজার ৮৯৪ জন। এ বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ১৭ হাজার ২১৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৬২ জনের।উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং মারা গেছেন ৫৭৫ জন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, নির্বাচন ঠেকানোর যতই চেষ্টা করা হোক না কেন। ফেব্রুয়ারির মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। ভারত বা অন্য কোনো কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্র করে এই নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না।রোববার (২০ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রজন্ম দলের উদ্যোগে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ক্রমাগত ষড়যন্ত্র, মিথ্যাচার, অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আয়োজিত এক নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। প্রজন্ম দলের সভাপতি জনি হোসেন সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আ ক ম মোজাম্মেল, কৃষকদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক এস কে সাদী, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, চালক দলের সভাপতি জসিম উদ্দিন কবির, মৎস্যজীদলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ।বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, দেশে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। স্বৈরতন্ত্রের পতনের পর গণতন্ত্রেও যে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, গণতন্ত্রকে উত্তরণের জন্য যেটি প্রয়োজন সেটি হচ্ছে নির্বাচন। সেই নির্বাচন বিলম্বিত করার অর্থ হচ্ছে সময়কে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়া। নির্বাচন বিলম্বিত হলে পার্শ্ববর্তী দেশ যাদের আশ্রয় দিয়েছে, সেই কুচক্রী মহল, ষড়যন্ত্রকারী, গণহত্যাকারী এবং লুটপাটকারীদের সময় দেওয়া। যাতে তারা বাংলাদেশে অস্থিতিশীল করতে পারে।তিনি বলেন, বড় একটি দেশ গতবছর থেকে গণঅভ্যুত্থানের পর তাদের আশীর্বাদপুষ্ট শেখ হাসিনা তাদের দেশে পালিয়ে যাওয়ার পর এই গোষ্ঠী অনবরতভাবে মিথ্যা কথা সারা দেশে প্রচার করছে। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নেতারা আপত্তিকর কথাবার্তা বলেছেন।তিনি আরও বলেন, ড. ইউনূসকে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল সমর্থন দিয়েছে। গণতন্ত্র উত্তরণের জন্য আমাদেও নেতা তারেক রহমান তার (ড. ইউনূস) সঙ্গে যখন বৈঠক করেছে তখনই বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা ফিরে আসা শুরু হয়েছে। এই স্থিতিশীলতাকে কোনো কোনো মহল-রাজনৈতিক দল, কোনো কোনো ব্যক্তি হীনমন্যতার পরিচয় দিচ্ছে। যার উদাহরণ আমরা কয়েকদিন আগে চট্টগ্রামে দেখেছি।বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান দুদু বলেন, সালাহউদ্দিন সাহেব এখন একটি পার্টিও মুখপাত্র। তার সমালোচনা করা যাবে না, সেটি নয়। কিন্তু কোনো আপত্তিকর বক্তব্য কোনো স্বাধীনতার পর্যায়ে পড়ে না। সেটি একটি উস্কানিমূলক বক্তব্য। উস্কানি দিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করে স্বৈরতন্ত্রকে আমন্ত্রণ জানাবেন, এটা গ্রহণযোগ্য নয়।তিনি আরও বলেন, ৭১ সালে এ জাতি সরাসরি রণাঙ্গনে থেকে যুদ্ধ করেছে। ৭১ নিয়ে কোনো আপস নেই। বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান এবং স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের ব্যাপারেও কোনো আপস নেই। এগুলোর ব্যাপারে যতই উস্কানি দেন না কেন আমরা সেটির প্রতিশোধ নেব আগামী নির্বাচনে। আমরা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করব বাংলাদেশের জনগণ বিএনপির সঙ্গে আছে।দুুদু বলেন, গণতন্ত্রে মত প্রকাশের সুযোগ আছে, বিএনপি সেটা ধারণ করে। ধারণ করে বলেই অশ্লীল এবং ঘৃণ্য বক্তব্য দেওয়ার পরেও বিএনপি প্রতিবাদ করেছে। কিন্তু, কোনো জায়গায় কোনো বক্তাকে আক্রমণ করেছে এমন কোনো ঘটনা নেই। বিএনপির নেতাকর্মীরা অত্যন্ত ধৈর্যশীল। বিএনপির নেতাকর্মীরা গণতন্ত্রের অনুসারী। স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রকে যারা বিশ্বাস করে তারা ধৈর্যশীল।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অব্যাহত রাখতে নানা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী চলতি বছর তিনটি যৌথ মহড়া চালাবে। আর একটি নতুন দক্ষতা সংযোজনের মাধ্যমে তাদের দীর্ঘদিনের অংশীদারিত্ব বজায় রাখবে, যা দুই দেশের অভিন্ন নিরাপত্তা লক্ষ্যকে আরও দৃঢ় করবে। এই প্রচেষ্টাগুলো যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ এবং এই অঞ্চলকে আরও শক্তিশালী ও নিরাপদ করে তুলবে। রোববার (২০ জুলাই) ঢাকার মার্কিন দূতাবাস এক মিডিয়া নোটে এসব কথা জানিয়েছে। মিডিয়া নোটে কর্মসূচির বিস্তারিত তুলে ধরা হয়-টাইগার লাইটনিং মহড়া : টানা চতুর্থ বছরের মতো বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং যুক্তরাষ্ট্রের আর্মি প্যাসিফিক টাইগার লাইটনিং মহড়া পরিচালনা করবে। বাস্তবধর্মী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সৈনিকরা সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান, শান্তিরক্ষা, জঙ্গলে অভিযান, আহতদের চিকিৎসার জন্য দ্রুত সরিয়ে নেওয়া এবং তাৎক্ষণিক বিস্ফোরক ডিভাইস (আইইডি) প্রতিরোধের জন্য প্রস্তুতি অর্জন করবে।টাইগার শার্ক ২০২৫ মহড়া : টাইগার শার্ক (ফ্ল্যাশ বেঙ্গল সিরিজের অংশ) একটি যৌথ প্রশিক্ষণ মহড়া, যেখানে দুই দেশের বিশেষ বাহিনী যুদ্ধকৌশল অনুশীলন করে। ২০০৯ সাল থেকে চলমান এ মহড়ায় প্যাট্রোল বোট পরিচালনা এবং স্বল্পপাল্লার অস্ত্রের লক্ষ্যভেদে দক্ষতা অর্জনের অনুশীলন অন্তর্ভুক্ত থাকবে, যা বাংলাদেশ স্পেশাল ওয়ারফেয়ার ডাইভিং অ্যান্ড স্যালভেজ এবং প্যারা কমান্ডো ব্রিগেডকে সংকট মোকাবিলায় আরও দক্ষ করে তুলবে। এই যৌথ মহড়ার বিশেষ আকর্ষণ হলো উভয় দেশের ব্যবহৃত যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সরঞ্জাম।প্যাসিফিক অ্যাঞ্জেল মহড়া : বাংলাদেশে চতুর্থবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্যাসিফিক অ্যাঞ্জেল। এই মহড়ায় আমাদের প্রতিরক্ষা সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক, আমাদের সি-১৩০ বহরকে তুলে ধরা হবে, যা দুর্যোগকালে আকাশপথে সরঞ্জাম সরবরাহ ও চলাচল সংক্রান্ত অভিযানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই মহড়া অনুসন্ধান ও উদ্ধার (এসএআর) এবং অ্যারোমেডিকেল কার্যক্রমের ওপরও গুরুত্ব দেয়, যা মানবিক বিপর্যয় মোকাবিলায় বাংলাদেশের সক্ষমতা বাড়াবে।আরকিউ-২১ কর্মসূচি চালু : যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর সঙ্গে একত্রে বাংলাদেশের জন্য একটি মানববিহীন আকাশযান ব্যবস্থা (ইউএএস) সক্ষমতা গড়ে তুলছে। বাংলাদেশ সেনা ও নৌবাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত একটি রেজিমেন্ট নতুন আরকিউ-২১ ব্ল্যাকজ্যাক সিস্টেম পরিচালনা করবে। এই সম্মিলিত উদ্যোগ বাংলাদেশকে সমুদ্রসীমা পর্যবেক্ষণ, সীমান্ত নিরাপত্তা এবং শান্তিরক্ষা মিশন পরিচালনায় সক্ষম করে তুলবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতেই ঘোষণা করা হবে ‘জুলাই সনদ’। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে দলগুলোর মতপার্থক্য দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে। চলছে তীব্র বাকযুদ্ধ। একের অপরের প্রতি আপত্তিজনক মন্তব্য করতেও দ্বিধা করছেন না তারা। তবে ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ বলেছেন, রাষ্ট্র সংস্কারে মৌলিক সংস্কারের ‘বেশিরভাগ বিষয়ে’ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য হয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে আরও কিছু বিষয় ‘নিষ্পত্তি হবে’ বলে আশা করছেন তিনি।রোববার (২০ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ১৫তম দিনে সূচনা বক্তব্যে কথা বলছিলেন আলী রীয়াজ। এদিনের আলোচ্য সূচিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, প্রধানমন্ত্রীর একাধিক পদে থাকার বিধান রাখা হয়েছে।আলী রীয়াজ বলেন, চলতি মাসের মধ্যে কমিশন জাতীয় সনদ চূড়ান্ত করতে চায়। রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এটা আপনারাও নিঃসন্দেহে চান। তাই আমাদের পক্ষে অগ্রসর হওয়া সম্ভব হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে একটি সনদের জায়গায় যাওয়া। যেটা আপনাদের ইচ্ছা, আমাদের ইচ্ছা, সকলের প্রচেষ্টা। দেশের সকলে সেটা প্রত্যাশা করছেন।’উচ্চকক্ষ গঠনের সিদ্ধান্ত দেওয়ার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে কমিশনকে দায়িত্ব দেওয়ার কথা জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, ‘কমিশন বিষয়টি পর্যালোচনা করছে। আশা করেছিলাম শুক্র ও শনিবার একটা আলোচনার মধ্য দিয়ে কমিশনের সিদ্ধান্তটা জানাতে পারব। কমিশন আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এ বিষয়ে আরেকটু সময় নিয়ে বিবেচনা করা দরকার। আপনাদের বিভিন্ন অবস্থান পর্যালোচনা করছি।”উচ্চকক্ষের বিষয়ে সংলাপের আলোচনার নিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, ‘আপনাদের আলোচনা পর্যালোচনার পাশাপাশি উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কি কি ধরনের প্রতিক্রিয়া হতে পারে, অন্যান্য বিষয় সংশ্লিষ্ট সেগুলো বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারব। আশা করছি দুই-তিনদিন পরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে পারব।”তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে আলোচনার বিষয়ে সহ-সভাপতি বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে আলোচনার প্রেক্ষিতে কমিশনের পক্ষ থেকে একাধিক প্রস্তাব বিবেচনার জন্য দেওয়া হয়েছিল। তারই প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বিএনপি, এনসিপি এবং জামায়াতের কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়েছিল। সেটা নিয়ে বিভিন্নভাবে পর্যালোচনার পর সমন্বিত প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে। যা দলগুলো ও গত কয়েকদিনের আলোচনার সারাংশের ভিত্তিতে। আশা করছি আজকে আলোচনার মাধ্যমে পরিণতির দিকে যেতে পারব।গত ১৪ বছরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে আমরা সকলে যুক্ত ছিলাম। সে জায়গায় আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিষয়ে একমত হয়েছি। এখন প্রধান উপদেষ্টার কাঠামো নিয়ে একমতের জায়গায় আসতে পারব। কমিশন শুধু আশা করে না, বিশ্বাস করে।’প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠকে আরও উপস্থিত আছেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, আইয়ুব মিয়া।ভোরের আকাশ/এসএইচ
গোপালগঞ্জে সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনার প্রেক্ষিতে কোন গণগ্রেপ্তার হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি জানান, অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ঠিকই, তবে নিরপরাধ কাউকে হয়রানি না করতে সংশ্লিষ্টদের স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।রোববার (২০ জুলাই) দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন ও তৎসংলগ্ন এলাকার আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ সভা শেষে তিনি এসব কথা বলে।স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঢাকায় পুলিশের সব ডিসি, র্যাবের কর্মকর্তা এবং সেনাবাহিনীতে যারা কর্মরত রয়েছেন তাদের ডাকা হয়েছিল। তাদের থেকে আমরা শুনলাম এখন আইন-শৃঙ্খলার কি পরিস্থিতি এবং আগে কেমন পরিস্থিতি ছিল। তারা জানিয়েছেন, তারা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক উন্নত হয়েছে।আসলেই কী আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত হয়েছে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এটা আপনারাই ভালো বলতে পারবেন। এখন আমি যদি বলি সেটা তো আপনারা বিশ্বাস করবেন না। সুতরাং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত হয়েছে কী হয়নি সেটা আপনার ভালো বলতে পারবেন।জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, গোপালগঞ্জের ঘটনা আমার অস্বীকার করছি না৷ রাজনীতি করতে গেলে অনেক সময় অনেক কিছুই হয়৷ এক সময় আমরাও করেছি। ঢাকা ইউনিভার্সিটিতেও অনেক সময় অনেক কিছু হয়। কিন্তু ঘটনার পর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কিনা সেটাই হল আমাদের কথা। কিন্তু আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একটি হরতাল ডাকা হয়েছে। কিন্তু হরতালটা হয়েছে কিনা সেটা আপনারাই বলেন। দুটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যান্য সময় হরতালে এর চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু তার থেকে ক্ষতির পরিমাণ অনেক কমিয়ে আনতে পেরেছে কিনা সেটা দেখবেন।গোপালগঞ্জের ঘটনায় মামলার প্রসঙ্গে টেনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সেখানে পুলিশ মামলা করবে কী করবে না সেটা নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে৷ গোপালগঞ্জের ঘটনা আপনারা নিজ চোখে দেখেছেন তারা কী পরিস্থিতি করেছে।দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে সামনের নির্বাচন সম্ভব কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করা যাবে না কেন? আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত। সামনে আরও সময়তো রয়ে গেছে। আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। আমরা প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। নির্বাচন করতে কোনো অসুবিধা হবে না।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছেন শিক্ষার্থীরা। ক্ষমত্যাচ্যুত আওয়ামী সরকারের আমলে নির্বাচিত কমিটি গঠিত হলেও তা নানা কারণে পুরোদমে কার্যক্রম চালাতে পারেনি। অবশেষে ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা আগামী ২৯ জুলাই এবং সেপ্টেম্বরের প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।রোববার (২০ জুলাই) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী নির্বাচন-সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরেন।তিনি জানান, ভোটকেন্দ্র প্রথমবারের মতো হলের বাইরে স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬টি নিরপেক্ষ স্থানে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। ডাকসু নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভোটকেন্দ্রগুলো হলো-কার্জন হল কেন্দ্র (পরীক্ষার হল) : এখানে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল, অমর একুশে হল এবং ফজলুল হক হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দিতে পারবেন।শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্র : জগন্নাথ হল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল এবং সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দিতে পারবেন।ছাত্র-শিক্ষককেন্দ্র : রোকেয়া হল, শামসুন নাহার হল এবং কবি সুফিয়া কামাল হলের শিক্ষার্থীরা এখানে ভোট দেবেন।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব কেন্দ্র : বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল এবং শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলের শিক্ষার্থীরা এখানে ভোট দেবেন।সিনেট ভবন কেন্দ্র (এলামনাই ফ্লোর, সেমিনার কক্ষ, ডাইনিং রুম) : স্যার এ এফ রহমান হল, হাজী মুহম্মদ মহসীন হল এবং বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দেবেন।উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজকেন্দ্র : সূর্য সেন হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, শেখ মুজিবুর রহমান হল এবং কবি জসীমউদ্দীন হলের শিক্ষার্থীরা এখানে ভোট দেবেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত অনেক ভিডিও ফুটেজ এবং লেখালেখি পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ভুয়া প্রমাণিত হয়েছে। এসব কর্মকাণ্ড দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি ভূমিকা রাখছে বলে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি রাজধানীর গুলিস্তান ও আজিমপুরে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের হরতাল সমর্থনে বাস পোড়ানো সংক্রান্তে কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কিছু গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ওই ভিডিও দুটি অনেক পুরোনো। কে বা কারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে রোববারের ভিডিও বলে প্রচার করছে। ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, রাজধানীর গুলিস্তান ও আজিমপুরে এ রকম কোনো ঘটনা সংঘটিত হয়নি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি একেবারেই স্বাভাবিক রয়েছে। মানুষের মনে অহেতুক ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টির অপচেষ্টা হিসেবে একটি কুচক্রী মহল এসব পুরোনো ভিডিও ও ছবি প্রকাশ করে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেওয়ার চেষ্টা করছে।যেকোনো ধরনের সহিংসতা ও আইনশৃঙ্খলা বিনষ্টকারী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) তৎপর রয়েছে। কুচক্রী মহল কর্তৃক এসব অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য নগরবাসীদের অনুরোধ করা হলো।ভোরের আকাশ/এসএইচ
হাতিরঝিলে চলাচলকারী চক্রাকার বাসে এখন থেকে ‘র্যাপিড পাস’ কার্ড ব্যবহার করে ভাড়া পরিশোধ করা যাবে।রোববার (২০ জুলাই) দুপুরে হাতিরঝিলে চক্রাকার বাস সার্ভিস এফডিসি কাউন্টার-সংলগ্ন স্থানে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।এর ফলে যাত্রীরা মেট্রোরেলের মতো চক্রাকার বাসেও র্যাপিড পাস ব্যবহার করতে পারবেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, শেখ মইনউদ্দিন।এ সময় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব এহসানুল হক, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী ও কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ