সংশ্লিষ্ট
সারা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে ভারতের রাজধানী শহর দিল্লি, স্কোর ৩৭৬ যা ‘দুর্যোগপূর্ণ’। আর এ তালিকায় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা রয়েছে পঞ্চম অবস্থানে, যার স্কোর ১০১, যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে বিবেচিত।মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ৮টায় সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক বায়ুমান বিষয় ওয়েবসাইট আইকিউএয়ার-এ এসব তথ্য পাওয়া গেছে। বায়ুদূষণে বিশ্বের শহরগুলোর তালিকায় আজ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর, স্কোর ২৮২, (২৮১), তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের কলকাতা, স্কোর ১৯৯, চতুর্থ স্থানে পাকিস্তানের করাচি, স্কোর ১৩৭।একটি শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, তার লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক জানিয়ে থাকে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। প্রতিষ্ঠানটির মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়।আর ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বলে বিবেচনা করা হয়। এ ছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘দুর্যোগপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় না দিয়ে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। সোমবার (১৭ নভেম্বর) রাজধানীর মগবাজারে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এ আহ্বান জানান দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।রায়ের প্রতিক্রিয়ায় গোলাম পরওয়ার বলেন, আমরা মনে করি এই বিচারের ব্যাপারে কোনো প্রশ্ন তোলার সুযোগ কারোর নেই। কারণ বিচার স্বচ্ছ হয়েছে, নিরপেক্ষ হয়েছে, আন্তর্জাতিক মানের হয়েছে। তিনি বলেন, পলাতক মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিকে যারা আশ্রয় দিয়েছে, আমরা মনে করি এই ঘৃণ্য অপরাধীদের পক্ষে তারা অবস্থান নিয়েছে। তাদের অবশ্যই বাংলাদেশে ফেরত দিতে হবে এবং আইনের কাছে সোপর্দ করতে হবে। সৎ প্রতিবেশীসুলভ আচরণ দাবি করলে, সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের দাবিদার প্রতিবেশী হলে, এটি হচ্ছে তার প্রথম দায়িত্ব।জামায়াত নেতা আরও বলেন, সরকার বা রাষ্ট্রের কোনো ক্ষমতাবান ব্যক্তিই যে আইনের ঊর্ধ্বে নয়, তা এই রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হলো।জামায়াত নেতাদের বিচার প্রসঙ্গে গোলাম পরওয়ার বলেন, আমাদের শীর্ষ নেতাদের মিথ্যা ও সাজানো মামলা এবং দলীয় লোকদের মাধ্যমে সাজানো সাক্ষীর ভিত্তিতে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। সেই বিচার দেশ-বিদেশে সব জায়গায় প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম, ড. হামিদুর রহমান আযাদ (সাবেক এমপি) ও মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন এবং ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ফিলিস্তিনের গাজা ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনাকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্রের খসড়া প্রস্তাব পাস করেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। নিরাপত্তা পরিষদের ১৩টি সদস্য দেশ এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। তবে গাজার শাসকদল হামাস এই প্রস্তাবকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গাজা সংকট সমাধানে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনা অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের খসড়া প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দিয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। এই পরিকল্পনায় গাজার জন্য একটি আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (আইএসএফ) গঠনের কথা রয়েছে।যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, একাধিক দেশ এই বাহিনীতে সদস্য পাঠাতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে, তবে দেশগুলোর নাম প্রকাশ করা হয়নি। নিরাপত্তা পরিষদের ভোটাভুটিতে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও সোমালিয়াসহ ১৩টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। কোনও দেশ বিরোধিতা করেনি। তবে রাশিয়া ও চীন ভোটদানে বিরত থাকে। অবশ্য হামাস এই প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের দাবি, এটি ফিলিস্তিনিদের অধিকারের দাবি পূরণ করে না।টেলিগ্রামে দেওয়া বিবৃতিতে হামাস বলেছে, পরিকল্পনাটি গাজায় আন্তর্জাতিক অভিভাবকত্ব চাপিয়ে দিচ্ছে, যা ফিলিস্তিনি জনগণ ও তাদের বিভিন্ন গোষ্ঠী মানতে রাজি নয়।বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গাজার ভেতরে আন্তর্জাতিক বাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়া- যেমন প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোকে নিরস্ত্র করা — এই বাহিনীকে নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে সরিয়ে দেবে। খসড়া অনুযায়ী, আইএসএফ-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হবে হামাসসহ অ-রাষ্ট্রীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর অস্ত্র স্থায়ীভাবে নিষ্ক্রিয় করা। পাশাপাশি বেসামরিক মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং মানবিক সহায়তার রুটগুলো নিরাপদ রাখা। আর এজন্য ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনা অনুযায়ী হামাসকে অস্ত্র জমা দিতে হবে। এছাড়া আইএসএফ ইসরায়েল ও মিসরের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। একই সঙ্গে গাজায় নতুন করে প্রশিক্ষিত একটি ফিলিস্তিনি পুলিশ গঠনের কথাও বলা হয়েছে। যদিও এতদিন পুলিশ বাহিনী হামাসের আওতাধীন ছিল।জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মাইক ওয়াল্টজ বলেন, আইএসএফ-এর কাজ হবে এলাকা সুরক্ষিত রাখা, গাজাকে সামরিকীকরণমুক্ত করা, সন্ত্রাসী অবকাঠামো ভেঙে ফেলা, অস্ত্র অপসারণ এবং ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।ভোরের আকাশ/এসএইচ
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) চূড়ান্ত নিবন্ধন পেল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ (মার্ক্সবাদী)।সোমবার (১৭ নভেম্বর) রাতে দল দুটির বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ জমা না হওয়ায় এ সংক্রান্ত গেজেট জারি করেছে ইসি। এর ফলে আসন্ন নির্বাচনে দল দুটি নিজ প্রতীকেই অংশ নিতে পারবে।এ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব কেএম আলী নেওয়াজ বলেন, কোনো দাবি-আপত্তি না থানায় এনসিপি ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক (মার্ক্সবাদী) এই দুইটি দলকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। আর বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টির বিরুদ্ধে অভিযোগ আসায় দলটির নিবন্ধনের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি কমিশন।এদিকে বুধবার (১৯ নভেম্বর) ইসির সংলাপে এ দুটি দলকে আমন্ত্রণও জানিয়েছে ইসি।ইসি সূত্র জানায়, গত ৪ নভেম্বর কমিশন তিন দলকে নিবন্ধন দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত দাবি-আপত্তি জানানোর সময়সীমা নির্ধারণ করে। ওই সময়ের মধ্যে কোনো দাবি বা আপত্তি জমা হয়নি। এ তিন দলের মধ্যে শুধু বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টির বিরুদ্ধেই ১০ থেকে ১৫টি দাবি-আপত্তি কমিশনে জমা পড়ে। এসব আবেদন কমিশনের পর্যালোচনায় রয়েছে।এ ছাড়া অনশনে করা তারেক রহমানের দল আমজনতার দলসহ কয়েকটি দলের আবেদন পুনর্বিবেচনার জন্য কমিশনে নথি উপস্থাপন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসি সূত্র।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ জানিয়েছে জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি (এনসিএসএ)। সোমবার (১৭ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি (এনসিএসএ) অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে যে, দেশে কিছু প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক সংবাদমাধ্যম এবং অনলাইন নিউজ পোর্টাল দণ্ডপ্রাপ্ত এবং পলাতক আসামি শেখ হাসিনার বক্তব্য ও বিবৃতি প্রচার করছে। প্রচারিত এসব বক্তব্যে সামাজিক স্থিতিশীলতা (সোশ্যাল হারমনি) বিঘ্নিত করার পাশাপাশি সরাসরি সহিংসতা, বিশৃঙ্খলা ও অপরাধমূলক কার্যকলাপ সৃষ্টির আহ্বান বা নির্দেশনা রয়েছে।দণ্ডপ্রাপ্ত এবং পলাতক আসামিদের বক্তব্য প্রচার সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর নিয়মাবলীর পরিপন্থী। বিশেষত, অধ্যাদেশের ধারা ৮(২) অনুযায়ী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন তথ্য, যেগুলি দেশের অখণ্ডতা, নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে, জাতিগত/ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ায় কিংবা সহিংসতার আহ্বান জানায়, সেসব তথ্য অপসারণ বা ব্লক করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।আরো স্পষ্টভাবে, অধ্যাদেশের ধারা ২৬ (১) অনুযায়ী, “ছদ্ম পরিচয়” বা অবৈধ প্রবেশের মাধ্যমে যদি কেউ ঘৃণা, জাতিগত বিদ্বেষ বা সহিংসতা প্ররোচনাকারী বক্তব্য প্রকাশ বা প্রচার করেন, তা অপরাধ এবং দণ্ডনীয়। ধারা ২৬ (২) অনুযায়ী, অপরাধীদের সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড এবং/অথবা সর্বোচ্চ দশ লাখ টাকা জরিমানা আরোপ করা যেতে পারে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এনসিএসএ সাংবাদিকতা ও অভিব্যক্তির স্বাধীনতাকে সম্মান করে। তাই দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির সহিংসতা, বিশৃঙ্খলা, অপরাধমূলক, উসকানিমূলক বা আহ্বানমূলক যেকোনো বিবৃতি প্রচার করা থেকে বিরত থাকতে এবং আইনি দায়বদ্ধতা বিবেচনায় রাখতে গণমাধ্যমকে অনুরোধ করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ক্ষমতাচ্যুত পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আদালতের রায়ের কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এই দণ্ডাদেশ প্রমাণ করেছে যে ক্ষমতার অবস্থান যাই হোক, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। সোমবার (১৭ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টা একথা বলেছেন।প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এ বিবৃতিতে তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশের আদালত এমন স্পষ্ট ভাষায় কথা বলেছে যা দেশের ভেতর থেকে বৈশ্বিক পরিসর পর্যন্ত প্রতিধ্বনিত হয়েছে। এ রায় জুলাই-আগস্ট ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে নিহত ও ক্ষতিগ্রস্ত হাজারো মানুষের প্রতি পর্যাপ্ত না হলেও ন্যায়বিচারের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিফলন।প্রফেসর ইউনূস বলেন, দেশ এখন দীর্ঘ বছরের দমন-পীড়নে বিধ্বস্ত গণতান্ত্রিক ভিত্তি পুনর্গঠনের এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে রয়েছে। যেসব অপরাধের বিচার হয়েছে, নিরস্ত্র তরুণ-তরুণী ও শিশুদের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগের নির্দেশ শুধু আইনের লঙ্ঘনই নয়; রাষ্ট্র ও নাগরিকের মধ্যকার মৌলিক আস্থার বন্ধনও ভেঙে দিয়েছিল।তিনি বলেন, এ ঘটনা বাংলাদেশের মৌলিক মূল্যবোধ-মর্যাদা, প্রতিরোধ-ক্ষমতা এবং ন্যায়বিচারের প্রতি অঙ্গীকারে তীব্রভাবে আঘাত করেছিল। প্রায় ১,৪০০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। তারা কেবল কোনো সংখ্যা ছিলেন না; ছিলেন ছাত্র-ছাত্রী, বাবা-মা ও অধিকারসম্পন্ন নাগরিক, যোগ করেন তিনি।প্রফেসর ইউনূস জানান, আদালতে মাসের পর মাসের সাক্ষ্যপ্রমাণে উঠে এসেছে নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের ওপর কীভাবে হেলিকপ্টার থেকেও গুলি চালানো হয়েছিল। এ রায় তাদের দুর্ভোগকে স্বীকৃতি দেয় এবং নিশ্চিত করে যে ন্যায়বিচারের প্রতি দায়বদ্ধতার প্রশ্নে ছাড় নেই।তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন বৈশ্বিক জবাবদিহির মূল স্রোতে পুনরায় যুক্ত হচ্ছে। পরিবর্তনের দাবিতে যারা দাঁড়িয়েছিল, তাদের অনেকে নিজের জীবন বিসর্জন দিয়েছে; তাদের আজকের ত্যাগ আমাদের আগামীর পথ তৈরি করছে।প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শুধু আইনি জবাবদিহি নয়, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও নাগরিকের মধ্যে আস্থা পুনর্গঠনও এখন জরুরি। মানুষ কেন প্রকৃত প্রতিনিধিত্বের জন্য সবকিছু ঝুঁকিতে ফেলতে প্রস্তুত হয়েছিল, এখন তা বোঝা এবং সেই আস্থার উপযোগী সিস্টেম তৈরি করা প্রয়োজন।তিনি বলেন, আমি পূর্ণ আস্থা রাখি বাংলাদেশ সাহস ও বিনয়ের সঙ্গে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে। আইনের শাসন, মানবাধিকার এবং প্রতিটি মানুষের সম্ভাবনার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকলে বাংলাদেশে ন্যায়বিচার শুধু টিকেই থাকবে না, বরং বিজয়ী হবে এবং তা স্থায়ী হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
সারাদেশে ২৮ নেতার বিরুদ্ধে বহিষ্কারাদেশ ও পদ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। সোমবার (১৭ নভেম্বর) দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পূর্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যেসব নেতাকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কার বা স্থগিত করা হয়েছিল, তাদের আবেদন বিবেচনায় নিয়ে পুনরায় দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সমস্ত দায়িত্ব ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইতোপূর্বে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থি কার্যকলাপের জন্য গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. তানভীর আহম্মেদ, মহানগর বিএনপির সাবেক অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মো. ছবদের হাসান, মহানগর বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক মাহবুবুর রশিদ খান শিপু, সাবেক সদস্য মো. আবুল হাশেম, খায়রুল আলম, মো. মনির হোসেন (মাটি মুনির); গাজীপুর মহানগরের বাসন মেট্রো থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন মনির, বাসন থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দিন চৌধুরী মুসা, বাসন থানার অন্তর্গত ১৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম রাতা, গাজীপুর মেট্রো থানা বিএনপির সাবেক সদস্য আনোয়ার সরকার, ১১, ১২, ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফিরোজা আক্তার এবং ২৮, ২৯ ও ৩০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসিনা আক্তার বীথি, ৩৪নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মো. মাহাফুজুর রহমান, ১৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহীন আলম, ১১নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাড. আলম; বরিশাল দক্ষিণ জেলাধীন বাকেরগঞ্জ উপজেলার অন্তর্গত নিয়ামতি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুস সালাম মৃধা, দিনাজপুর জেলা বিএনপির উপদেষ্টা মো. রেজওয়ানুল ইসলাম রিজু, কুমিল্লা উত্তর জেলাদীন মেঘনা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. রমিজ উদ্দিন লন্ডনী, যুগ্ম আহ্বায়ক দিলারা শিরিন, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনিপর সাবেক সহ-স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম জুয়েল, নারায়ণগঞ্জ জেলাধীন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সহ-সভাপতি এস এম আসলাম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক টি এইচ তোফা, হবিগঞ্জ জেলাধীন চুনারুঘাট উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সৈয়দ লিয়াকত হাসান, সিরাজগঞ্জ জেলাধীন বেলকুচি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রাজ্জাক মন্ডল, টাঙ্গাইল জেলাধীন মির্জাপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল- মামুন সিদ্দিকী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাধীন ভোলাহাট উপজেলা বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ মো. কামাল উদ্দিন, ছাতক উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মো. ইজাজুল হক রনিকে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। আবেদনের প্রেক্ষিতে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক আজ তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে প্রাথমিক সদস্য পদ ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সৈয়দ লিয়াকত হাসান পূর্বে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছিলেন। তার আবেদন বিবেচনা করে দল তার পদত্যাগপত্র বাতিল করেছে।এ ছাড়া দিনাজপুরের ফুলবাড়ি উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ খুরশিদ আলমের (মতি) বিরুদ্ধে আরোপিত স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে তাকে স্বপদে বহাল করা হয়েছে। দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পুনর্বহাল হওয়া নেতাদের নতুন করে সংগঠনিক কাজে সম্পৃক্ত করা হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, লালদিয়া টার্মিনালে ডেনমার্কের কোম্পানি এপিএম টার্মিনালসের বিনিয়োগ বাংলাদেশের বাণিজ্য ও প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন যুগের সূচনা করেছে। এটি ডেনমার্ক ও ইউরোপ থেকে বৃহত্তর ও বহুমুখী বিনিয়োগের নতুন দ্বার উন্মোচন করছে।সোমবার (১৭ নভেম্বর) রাজধানীতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মায়ের্স্ক গ্রুপ ও ডেনিশ সরকারের একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।সাক্ষাৎকালে রবার্ট মায়ারস্ক উগলা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের এই টার্মিনালে তাদের বিনিয়োগ হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো ইউরোপীয় কোম্পানির সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ।মায়ারস্ক উগলা বলেন, ২০৩০ সালে লালদিয়া টার্মিনাল চালু হলে চট্টগ্রাম বন্দরে বড় জাহাজ ভিড়তে পারবে, যা দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের গতি আনবে।তিনি বলেন, এটি হবে একটি টেকসই বন্দর, যা নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে এবং ড্যানিশ বিনিয়োগের মাধ্যমে আরও বেশি ইউরোপীয় বিনিয়োগকারী বাংলাদেশে আসতে উৎসাহিত হবে।বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শিপিং লাইনের মালিক এই গ্রুপের চেয়ারম্যান জানান, লজিস্টিকস ও সাপ্লাই চেইন খাতেও তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ খুঁজবে।জানুয়ারিতে দাভোসে হওয়া বৈঠকের প্রতিশ্রুতি পূরণ করে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করায় উগলাকে ধন্যবাদ জানান ড. ইউনূস।‘আমরা আনন্দিত ও উত্তেজিত’ এমন মন্তব্য করে প্রধান উপদেষ্টা এপিএম টার্মিনালসকে দ্রুত লালদিয়া টার্মিনালের নির্মাণকাজ শুরু করতে আহ্বান জানান।তিনি বলেন, বাংলাদেশকে বিপুল সংখ্যক উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি অবকাঠামো উন্নয়ন দ্রুত ত্বরান্বিত করতে হবে। এটি হবে আমাদের অর্থনৈতিক গেটওয়ে—ভবিষ্যতের দুয়ার। চট্টগ্রাম উপকূলরেখার বন্দরগুলোকে বিশ্বমানের করে গড়ে তোলা দেশের প্রবৃদ্ধি ও বাণিজ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।উগলা বলেন, মায়ারস্ক গ্রুপ একটি ফাউন্ডেশন-নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠান এবং অধ্যাপক ইউনূসের কাজ তাদের অনুপ্রাণিত করেছে।তিনি বলেন, এই বিনিয়োগ স্থানীয় সম্প্রদায়ে বড় প্রভাব ফেলবে।প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, এটি আমাদের জন্য একটি মাইলফলক।তিনি জানান, ড্যানিশ বিনিয়োগ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে।ডেনিশ ট্রেড ও ইনভেস্টমেন্ট স্টেট মিনিস্টার নিনা গান্ডলোসে হ্যানসেন নতুন শ্রম আইন অনুমোদনের জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে অভিনন্দন জানান। তার মতে, এটি আরও ইউরোপীয় কোম্পানিকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহ দেবে।সাক্ষাৎকালে আরও উপস্থিত ছিলেন এসডিজি সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিক্স মোলার।ভোরের আকাশ/এসএইচ