বিশ্ব শান্তিকল্পে ও কলিযুগে সর্বজীবের মুক্তি কামনায় পাঁচ দিনব্যাপী, দিনাজপুর সুইহারী ওঁ দয়ানন্দ শ্রীশ্রী গৌরী গৌরাঙ্গ আশ্রমে শ্রীশ্রী তারকব্রহ্ম মহানাম যজ্ঞানুষ্ঠান ও পদাবলি কির্তন শুরু হচ্ছে। এই মহোৎসব চলবে ১২ মে থেকে ১৬ মে পর্যন্ত।রোববার ১১ মে (২৭ বৈশাখ) রাত্রি ৮টায় শুভ অধিবাসের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হবে। অধিবাসে শ্রীমদ্ভগবদগীতা পাঠ, মঙ্গলঘট স্থাপন ও পূজা-অর্চনাসহ কীর্তন পরিবেশিত হবে। শ্রীমদ্ভগবদগীতা পাঠ করবেন শ্রী কেশব চন্দ্র মহন্ত, সুইহারী আশ্রম, দিনাজপুর।১২ মে (২৮ বৈশাখ) ভোরে শ্রীশ্রীকৃষ্ণের ফুলদোলযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হবে ২৪ প্রহরব্যাপী মহানাম সংকীর্তন। টানা তিন দিন (১২-১৪) ভোর থেকে রাত পর্যন্ত হরিনাম সংকীর্তনের ধ্বনি ভাসাবে আশ্রম চত্বর। ১৫ মে (৩১ বৈশাখ) অনুষ্ঠিত হবে কুঞ্জভঙ্গ, শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য মহাপ্রভুর ভোগ মহোৎসব ও মহাপ্রসাদ বিতরণ। এদিন থেকে শুরু হবে বিশেষ পদাবলী কীর্তন, যা চলবে ১৫ ও ১৬ মে দুই দিনব্যাপী।বিশিষ্ট কীর্তন সম্প্রদায়গুলোর পরিবেশনায় নাম সুধা উপভোগ করবেন ভক্তরা। কীর্তন পরিবেশনায় অংশ নেবে-দেবনারায়ণ সম্প্রদায় (সাতক্ষীরা), নব বিমলকৃষ্ণ সম্প্রদায় (নেত্রকোনা), গোপাল সংঘ (হবিগঞ্জ), দীপুশ্রী সম্প্রদায় (মহিলা) (গোপালগঞ্জ), কৃষ্ণ ভক্ত সম্প্রদায় (কুড়িগ্রাম), শ্রীহরি সম্প্রদায় (ডোমার, নীলফামারী)। বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে পদাবলী কীর্তনে অংশ নেবেন শ্রীমতী শতরূপা হালদার (রাজশাহী)। এই ২৪তম মহানাম যজ্ঞানুষ্ঠান কলিযুগে সকল জীবের মুক্তি ও বিশ্ব শান্তির জন্য উৎসর্গ করা হয়েছে।স্থানীয় বাসিন্দা রমেশ চন্দ্র দাস বলেন, এই যজ্ঞানুষ্ঠান আমাদের এলাকার ঐতিহ্য ও ভক্তিমূলক পরিবেশকে জাগ্রত করে। হরিনামের ধ্বনি মনকে শান্তি দেয় এবং বিশ্বশান্তি ও কল্যাণের বার্তা বহন করে। এমন আয়োজন আমাদের জন্য ভগবানের বিশেষ আশীর্বাদ।ওঁ দয়ানন্দ শ্রী শ্রী গৌরী গৌরাঙ্গ আশ্রম সুইহারী দিনাজপুরের পক্ষে সভাপতি মানব কুমার পাল (মানু) এবং সাধারণ সম্পাদক ফণীভূষণ দাস, আশ্রম কর্তৃপক্ষ এবং আয়োজক কমিটি কৃষ্ণ ভক্তবৃন্দদের এই পবিত্র অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। ভোরের আকাশ/এসআই
৩ দিন আগে
ইসলামে হজে যাওয়ার সামর্থ্য থাকলে জীবনে একবার হজ করা নারী পুরুষ সবার ওপরই ফরজ। আল্লাহ তাআলা বলেন, নিশ্চয় প্রথম ঘর, যা মানুষের জন্য স্থাপন করা হয়েছে, তা মক্কায়। যা বরকতময় ও হিদায়াত বিশ্ববাসীর জন্য। তাতে রয়েছে স্পষ্ট নির্দশনসমূহ, মাকামে ইবরাহিম। আর যে তাতে প্রবেশ করবে, সে নিরাপদ হয়ে যাবে এবং সামর্থ্যবান মানুষের উপর আল্লাহর জন্য বায়তুল্লাহর হজ করা ফরজ। আর যে কুফরি করে, তবে আল্লাহ তো নিশ্চয় সৃষ্টিকুল থেকে অমুখাপেক্ষী। (সুরা আলে ইমরান: ৯৬, ৯৭)মাহরাম নিয়ে সফর করা: হজের সফরে নারীর সঙ্গে মাহরাম পুরুষ (যাদের সঙ্গে বিয়ে বৈধ নয়) থাকা আবশ্যক। মাহরাম না থাকলে বা মাহরামের খরচ বহনের সক্ষমতা না থাকলে নারীর জন্য হজে যাওয়া আবশ্যক নয়।নিয়ত বিশুদ্ধ করা: নারী ও পুরুষ সবার জন্য নিয়ত বিশুদ্ধ করা আবশ্যক। কেননা নিয়তের ওপর আমলের গ্রহণযোগ্যতা ও প্রতিদান নির্ভর করে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই নিয়তের ওপর আমলের ফলাফল নির্ভরশীল।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১)প্রয়োজনীয় বিধি-বিধান জানা: হজে যাওয়ার আগে নারীরা হজের সাধারণ এবং নারীদের জন্য বিশেষ বিধানগুলো জেনে নেবে। এ ক্ষেত্রে অন্যের ওপর নির্ভর না করাই উত্তম। কেননা হজের সফরে ভুলত্রুটি হলে কাফফারা (প্রতিবিধান) দিতে হয়।সাজসজ্জা পরিহার করা: সাজসজ্জার প্রতি আকর্ষণ নারীর স্বভাবজাত। কিন্তু হজের সফরে সাজসজ্জা নিষিদ্ধ এবং তা হজের দাবি ও বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সংগতিপূর্ণও নয়।মাহরাম নিয়ে সফর করা: হজের সফরে নারীর সঙ্গে মাহরাম পুরুষ (যাদের সঙ্গে বিয়ে বৈধ নয়) থাকা আবশ্যক। মাহরাম না থাকলে বা মাহরামের খরচ বহনের সক্ষমতা না থাকলে নারীর জন্য হজে যাওয়া আবশ্যক নয়।ইহরামের পোশাক পরিহার: নারী হাজির জন্য ইহরামের পোশাক পরিধান করা আবশ্যক নয়। সে মুখ খোলা সাধারণ পোশাক পরিধান করবে, এমনকি মাথাও ঢাকতে পারবে। বিজ্ঞ আলেমরা নারীদের সেলাইহীন ইহরামের পোশাক পরতে নিষেধ করেন। কেননা এতে আব্রু প্রকাশ পেয়ে যাওয়ার ভয় থাকে।ঋতুচক্র বন্ধে ওষুধ সেবন: হজের সময় ঋতুচক্র বন্ধ রাখতে ওষুধ খাওয়া বৈধ। আধুনিক যুগের আলেমরা চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে এমন ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন। কেননা বর্তমান যুগে হজ অত্যন্ত ব্যয়বহুল।নিজেকে আড়ালে রাখা: হজের সময় বিপুলসংখ্যক নারী ও পুরুষের সমাবেশ ঘটে। তাই নারী হাজিরা যথাসম্ভব পুরুষ থেকে দূরে থাকবে এবং নিজেকে আড়ালে রাখবে। এমন পোশাক পরবে না, যাতে শরীরের আকার-অবয়ব প্রকাশ পায়।ভিড় এড়িয়ে চলা: হজের মূল কার্যক্রমের সময় যথেষ্ট ভিড় তৈরি হয়। নারী হাজিরা সাধ্যমতো ভিড় এড়িয়ে চলবে। ভিড়ের সময় চেষ্টা করবে নারীদের সঙ্গে দলবদ্ধ হয়ে থাকতে।তালবিয়া নিচু স্বরে পড়া: তালবিয়া পাঠ হজের অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ। শরিয়তের বিধান হলো পুরুষ উচ্চৈঃস্বরে তালবিয়া পাঠ করবে এবং নারী নিঃশব্দে তালবিয়া পাঠ করবে।ইবাদতমুখর সময় কাটানো: হজের সময় নারী ও পুরুষ উভয়ে গল্প-আড্ডা পরিহার করবে। সময়গুলো আল্লাহর ইবাদত ও জিকিরে লিপ্ত থাকবে। বেশি বেশি তাওয়াফ ও তিলাওয়াত করবে।নারীদের সঙ্গে দলবদ্ধ থাকা: হোটেলকক্ষ ও তাঁবুতে অবস্থানের সময় নারীদের সঙ্গে দলবদ্ধ থাকাই উত্তম, বিশেষত যখন নিজের মাহরামের সঙ্গে অন্য পুরুষ একই কক্ষে বা তাঁবুতে অবস্থান করে। এ ছাড়া তাওয়াফ ও সায়ির সময়ও নারীদের সঙ্গে চলাচল করা উত্তম।মানুষের চুল না খোলা: হজ ও ওমরাহ শেষ করার পর পুরুষের জন্য হলক করা এবং নারীদের জন্য সামান্য চুল ছাঁটার বিধান আছে। চুল ছাঁটার প্রয়োজন হলে নারীরা মাহরামের সহযোগিতা নেবে। অন্য পুরুষের সহযোগিতায় বা তাদের সামনে তা করবে না।রাস্তার পাশে বিশ্রাম গ্রহণে সতর্কতা : হজের সফরে বহু নারীকে রাস্তার পাশে চাদর বিছিয়ে বিশ্রাম নিতে দেখা যায়। কখনো কখনো এর প্রয়োজনও হয়। তবে বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন। একান্ত অপারগ না হলে জনসমাগমের স্থানে নারীরা শুয়ে বিশ্রাম করবে না। আর যদি করতে বাধ্য হয়, তবে নিজেকে ভালোভাবে ঢেকে নেবে।কেনাকাটায় সময় নষ্ট না করা: নারী ও পুরুষ কারো উচিত নয় হজের সফরে কেনাকাটা ও অনর্থক ঘোরাফেরায় সময় নষ্ট করা। কেননা হজের সফরের প্রতিটি মুহূর্ত অত্যন্ত মূল্যবান। হয়তো জীবনে দ্বিতীয়বার তা আর পাওয়া যাবে না।নেক সঙ্গী বেছে নেওয়া: সফরে নেককার সঙ্গী-সাথির গুরুত্ব অনেক বেশি। কেননা সঙ্গী ভালো হলে সফর শুধু আনন্দময় হয় না, বরং তা ফলপ্রসূও হয়। যেমন সফরে যদি একজন ইবাদতে মনোযোগী হয়, তবে তাকে দেখে অন্যরাও অনুপ্রাণিত হয়। এ জন্য সঙ্গী হিসেবে নেককার মানুষদের বেছে নেওয়া উত্তম।বেশি বেশি দোয়া করা: দোয়া হজের সফরের গুরুত্বপূর্ণ আমল। হজের সফরে হাজিরা এমন অনেক স্থানে যান যেখানে দোয়া কবুল হয় বলে হাদিসে এসেছে। সুতরাং পুরো হজের সফরে এবং বিশেষ বিশেষ স্থানগুলোতে বেশি বেশি দোয়া করা আবশ্যক।তাওবা করা: রাসুলুল্লাহ (সা.) হজকে গুনাহ মাফের মাধ্যম বলেছেন। হাদিসের ভাষ্যমতে, হজ কবুল হলে ব্যক্তি নিষ্পাপ হয়ে যায়। সুতরাং হজের সফরে বেশি বেশি তাওবা করা এবং গুনাহ মুক্তির দোয়া করা আবশ্যক।বেশি বেশি দরুদ পড়া: হজ মূলত নবী-রাসুলদের স্মৃতিচারণা করা। হজের সময় হাজিরা সেসব স্থানে যান এর প্রায় সবই মহানবী (সা.)-এর স্মৃতিধন্য। তাই হজের সফরে নবীজি (সা.)-কে স্মরণ করে তাঁর প্রতি বেশি বেশি দরুদ পড়া আবশ্যক।ছবি ও সামাজিক মাধ্যম থেকে দূরে থাকা: হজের সফরে ছবি তোলা ও সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করার মন্দ প্রবণতা দেখা যায় বহু মানুষের ভেতর। এই প্রবণতা যদিও পুরুষের ভেতরই বেশি। তবু নারীদের উচিত তা পরিহার করা। কেননা ইবাদতের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত আল্লাহর স্মরণ ও সন্তুষ্টি লাভ। তা প্রচার করে সুনাম কামাই করা মুমিনের উদ্দেশ্য হতে পারে না।দ্রুত ফিরে আসা: নারী-পুরুষ সব হাজি হজের পর যথাসম্ভব দ্রুত দেশে ফিরে আসবে। কেননা রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন তোমাদের কারো প্রয়োজন শেষ হয়, তখন সে যেন দ্রুত পরিবারে কাছে ফিরে যায়।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫৪২৯)। -সংগৃহীত ভোরের আকাশ/এসআই
৬ দিন আগে
চলতি বছর হজে গিয়ে সৌদি আরবে আরও একজন বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। হামিদা বানু (৫৮) নামে একজনের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে মদিনায়। তার গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড় সদরে। তিনি সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে গিয়েছিলেন।বুধবার (৭ মে) সকালে হজ পোর্টালে ‘পবিত্র হজ-২০২৫ প্রতিদিনের বুলেটিন’ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এ নিয়ে হজে গিয়ে এখন পর্যন্ত তিনজন বাংলাদেশি হজযাত্রী মারা গেলো।হজ অফিস সূত্রে জানা যায়, ৭ মে ২০২৫ পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫ হাজার ২০০ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮১,৯০০ জন হজযাত্রীর জন্য কোটা বরাদ্দ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক হজযাত্রী ইতোমধ্যেই সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। তবে হজযাত্রীদের মধ্যে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন তিনজন।মৃতদের মধ্যে রয়েছেন রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার মো. খলিলুর রহমান (৭০), কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের ফরিদুজ্জামান (৫৭) এবং পঞ্চগড় সদরের নারী হজযাত্রী আল হামিদা বানু (৫৪)। তারা সবাই সৌদি আরবে স্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।)চলতি বছর হজ ফ্লাইট কার্যক্রম শুরু হয় ২৯ এপ্রিল, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রথম ডেডিকেটেড ফ্লাইটের মাধ্যমে। ওই ফ্লাইটে ৩৯৮ জন হজযাত্রী সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। হজ ফ্লাইট চলবে আগামী ৩১ মে পর্যন্ত।হজ ফ্লাইট পরিচালনায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এখন পর্যন্ত ৩১টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। সৌদি এয়ারলাইন্স চালিয়েছে ২৩টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ৫টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে।চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে আগামী ৫ জুন ২০২৫ তারিখে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ১০ জুন থেকে, যা ১০ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ হবে বলে জানা গেছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
৬ দিন আগে
স্বামী আগে মারা গেলে স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন সম্পত্তির অংশ থেকে নানাভাবে বঞ্চিত করে। আবার দেখা যায়, স্ত্রী তার স্বামীর মোট সম্পত্তির অংশ থেকে সঠিক পরিমাণ অংশ পান না। স্বামীর মৃত্যুর পর বা অন্যত্র বিয়ে হলে স্ত্রী কি মৃত স্বামীর সম্পদ পাবে?আমাদের দেশে মুসলিম আইনে কোরআন, সুন্নাহ ও ইজমার ওপর ভিত্তি করে মৃত ব্যক্তির রেখে যাওয়া সম্পত্তি তার উত্তরাধিকারীদের মধ্যে বণ্টন করা হয়ে থাকে। এভাবে বণ্টন করাকে ফারায়েজ বলা হয়। এই সম্পর্কে পবিত্র কোরআনের সুরা নিসাতে জোর দিয়ে বলা হয়েছে। তাই এই বিষয়ে জানা উচিত। এতে কোনো মুসলমান পুরুষ বা নারী উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী তার ভাগে কতটুকু সম্পত্তি পাবেন সেই সম্পর্কে জানতে পারবেপবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘মা-বাবা ও নিকটতর আত্মীয়দের পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে পুরুষের অংশ আছে এবং মা-বাবা ও নিকটতর আত্মীয়দের পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে নারীরও অংশ আছে। তা অল্পই হোক বা বেশি, এক নির্ধারিত অংশ। (সুরা নিসা, আয়াত : ৭)ইসলামি আইনে স্বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রী তার সম্পদ থেকে মোহর (যদি অনাদায়ী থাকে) ও মিরাস বা পরিত্যাক্ত সম্পদের নির্ধারিত অংশ পাওয়ার হকদার হয়। বিয়ের সময় ধার্যকৃত মোহর পরিশোধ করা না হয়ে থাকলে স্বামীর মৃত্যুর পর তার রেখে যাওয়া সম্পদ বণ্টনের আগেই তা থেকে স্ত্রীর মোহর পরিশোধ করতে হবে। এ ছাড়া স্বামীর অন্যান্য ঋণ থাকলে সেগুলো আদায় করতে হবে। মোহর ও ঋণ পরিশোধের পর অবশিষ্ট সম্পদ নির্দিষ্ট হারে বণ্টন করতে হবে।মৃত ব্যক্তির সন্তান-সন্ততি থাকলে তার স্ত্রী তার রেখে যাওয়া সম্পদের আট ভাগের এক ভাগ পাবে। আর সন্তানা-সন্ততি না থাকলে স্ত্রী পাবে চার ভাগের এক ভাগ। কোরআনে আল্লাহ বলেন, স্ত্রীদের জন্য তোমরা যা রেখে গিয়েছ তা থেকে চার ভাগের একভাগ, যদি তোমাদের কোন সন্তান না থাকে। আর যদি তোমাদের সন্তান থাকে তাহলে তাদের জন্য আট ভাগের এক ভাগ, তোমরা যা রেখে গিয়েছে তা থেকে। তোমরা যে অসিয়ত করেছ তা পালন অথবা ঋণ পরিশোধের পর। (সুরা নিসা: ১২)আবার যদি এমন দেখা যায় যে, ওই মৃত ব্যক্তির একাধিক স্ত্রী থাকে এবং কোনো সন্তান না থাকে, তাহলে ওই মৃত ব্যক্তির একাধিক স্ত্রী তাদের মৃত স্বামীর মোট সম্পত্তির অংশ থেকে ১/৪ অংশ তাদের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করে নেবেন।অর্থাৎ মৃত ব্যক্তির একাধিক স্ত্রী থাকার মানে যে একাধিক স্ত্রী মৃত স্বামীর সম্পত্তির অংশ বেশি পাবেন বিষয়টি এমন নয়। এই উত্তরাধিকার সম্পত্তির অংশ নিয়ে কোনো মৃত ব্যক্তির স্ত্রীকে বঞ্চিত করা হলে ওই স্ত্রী পারিবারিক আদালতে গিয়ে একজন বিজ্ঞ আইনজীবী মাধ্যমে মামলা করতে পারবে এবং তিনি তার প্রতিকার নিশ্চিত করতে পারবে।কারো কারো ধারণা যে,স্বামীর মিরাস পাওয়ার জন্য তার মৃত্যুর পর অন্য কারো সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ না হওয়া শর্ত। অন্য কারো সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলে স্ত্রী মিরাস পাবে না। এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। স্বামীর মৃত্যুর সময় স্ত্রী জীবিত ও তার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ থাকলেই মিরাসের হকদার হয়ে যায়। পরবর্তীতে কারো সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হোক বা না হোক, মিরাসের সম্পত্তি থেকে কিছুতেই তাকে বঞ্চিত করা যাবে না।স্বামীর মৃত্যুর পর বিয়ে করার কারণে অন্য ওয়ারিসরা যদি স্ত্রীকে তার প্রাপ্য সম্পদ না দেয়, তাহলে এটা অন্যায় আত্মসাৎ, আল্লাহর নির্দেশের লঙ্ঘন ও কবিরা গুনাহ গণ্য হবে। ভোরের আকাশ/এসআই
১ সপ্তাহ আগে