মিরপুরে ঝুট গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে
রাজধানীর মিরপুর ১১ নম্বর এলাকার সি ব্লকে অবস্থিত একটি ঝুটের গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ৭টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমের তথ্যমতে, ৭টার দিকে আগুনের খবর আসে। ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট কাজ করে ৭টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পুরোপুরি নির্বাপণ করতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস।
মিরপুর ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র অফিসার শাহজাহান সিরাজ বলেন, আগুন পুরোপুরি নির্বাপণে কাজ চলছে। তবে আগুনের সঠিক কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে তদন্ত চলছে।
সংশ্লিষ্ট
বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশন পরিচালিত রাজধানীর আদ-দ্বীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন এমবিবিএস শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকাল ৯টায় দিকে নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় আদ-দ্বীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ।স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের আয়োজনে জুম প্লাটফর্মে দেশের সকল সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন এমবিবিএস শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম উপলক্ষে রঙ-বেরঙের বেলুন, ফুল ও ফেস্টুনে নতুন রূপে সেজে ওঠে আদ্-দ্বীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজ। আর নবীন শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত ছিল কলেজ ক্যাম্পাস। মানব সেবার মহান ব্রত নিয়ে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসা শিক্ষার্থীদের চোখে-মুখে ছিল নতুন স্বপ্ন আর নব উদ্যমে এগিয়ে চলার প্রত্যয়।প্রধান অতিথি ডা. শেখ মহিউদ্দিন বলেন, ডাক্তারি একটি মহৎ পেশা। এর মাধ্যমে মানবসেবার সুযোগ পাওয়া যায়। তোমাদের মেধা দিয়ে দেশ ও জাতির প্রত্যাশা পূরণে তোমরা অনেক মানবিক হবে। তাই কোনোভাবেই তোমরা সময় অপচয় করবে না। তোমরা হৃদয় দিয়ে ডাক্তারি পড়ালেখা করবে। ভালো ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করবে। মানব সেবার মধ্যেই সৃষ্টিকর্তার সেবা নিহিত। যারা মানুষের প্রিয় তারা আল্লাহ কাছেও প্রিয়।আদ্-দ্বীন মেডিকেল কলেজের ব্যারিস্টার রফিক-উল হক অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডা. শেখ মহিউদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. আনোয়ার হোসেন মুন্সী। অনুষ্ঠানে নবীন শিক্ষার্থী উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন আদ্-দ্বীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মাহমুদা হাসান।এছাড়া কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মাজহারুল ইসলামসহ আদ্-দ্বীন মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য, আদ্-দ্বীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে মোট ১০০ জন ছাত্রী ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭৪ জন দেশি ও ২৬ জন বিদেশি শিক্ষার্থী।ভোরের আকাশ/এসএইচ
পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল নিয়ে সচিবালয়ে প্রবেশের চেষ্টা করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) নিয়োগপ্রত্যাশীরা। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ পাঁচটির বেশি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে, করা হয় লাঠিচার্জও। তবে আন্দোলনকারীরা ব্যারিকেডের সামনে অবস্থান ধরে রেখেছেন।রোববার (১৫ জুন) বেলা দেড়টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাব এলাকায় এ ঘটনার সূত্রপাত হয়।প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সচিবালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় যেকোনো প্রকার সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা ইত্যাদি নিষিদ্ধ করে গত ৮ জুন গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এতদ্বারা সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, জনশৃঙ্খলা এবং প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং-III/৭৬) এর ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে আগামী ৯ জুন ২০২৫ খ্রি., সোমবার হতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ সচিবালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় (হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়, কাকরাইল মসজিদ মোড়, অফিসার্স ক্লাব মোড়, মিন্টু রোড) যেকোনো প্রকার সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হলো।’ভোরের আকাশ/আজাসা
ঈদুল আজহার ছুটি শেষ রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। তাই রেল, সড়ক ও নৌ পথে ঢাকায় ফেরা মানুষের চাপ বেড়েছে।শুক্রবার (১৩ জুন) সকাল থেকে কমলাপুর রেলস্টেশনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনের যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।রেলস্টেশনে সরেজমিনে দেখা গেছে, কেউ এসেছেন সপরিবারে, কেউ একা। সবার সঙ্গে ছিল ব্যাগ, স্যুটকেস ও শিশুরা।রংপুর থেকে আসা যাত্রী সালমা আক্তার বলেন, ঈদের ছুটিতে গ্রামে গিয়েছিলাম, এখন ফিরতে হচ্ছে চাকরির কারণে। ভিড় একটু বেশি, তবে নিরাপদে এসেছি।নীলফামারী থেকে আসা আরেক যাত্রী হাসান জামিল বলেন, অফিস শুরু রোববার। কিন্তু ফিরতি টিকিট শুক্রবারেরটা পেয়েছিলাম। তাই আগেভাগেই আসতে হয়েছে।কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার সাজেদুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকে ১০টা আন্তঃনগর ট্রেন কমলাপুরে ঢুকেছে। সব ট্রেন সঠিক সময়ে ও নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছেছে।এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার কিছুটা বেড়েছে। এ পরিস্থিতিতে জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় মাস্ক ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। একই অনুরোধ জানিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়ও।তবে সরেজমিনে দেখা গেছে, বেশিরভাগ যাত্রীই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। ট্রেনে বা স্টেশনে অনেককেই মাস্ক ছাড়া চলাফেরা করতে দেখা গেছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ঈদুল আজহার ষষ্ঠদিন আজ। ছুটি প্রায় শেষের পথে। তাই এ ছুটিতে মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানায় ভিড় করেছেন সব বয়সী মানুষ। কেউ এসেছেন পরিবারের সঙ্গে। কেউ বা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে। কেউ এসেছেন ছায়াঘেরা বিনোদনকেন্দ্রটিতে গরমে একটু প্রশান্তির খোঁজে। গাছের ছায়ায় ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী ও পাখি দেখছেন তারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা যায়।সরেজমিন চিড়িয়াখানার বাইরে দেখা যায়, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চিড়িয়াখানায় এসেছে অনেকে। ঢাকার বাইরে থেকেও এসেছেন দর্শনার্থীরা। অনেকে আবার চিড়িয়াখানার বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা হকারদের কাছ থেকে কিনছেন বাঁশি, ময়ূরের পালক ও ফুলসহ নানা রকম খেলনা।ঈদের ছুটিতে যানজটমুক্ত রাজধানীতে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাতে পেরে স্বস্তি নগরবাসীর। শিশু-কিশোরদের আবদার মেটাতে জাতীয় চিড়িয়াখানায় ঘুরতে আসছেন অনেকে। নানা প্রজাতির প্রাণীর দেখা পাওয়ার পাশাপাশি স্বস্তি মিলছে গাছের ছায়ায় প্রাকৃতিক পরিবেশে। সাভার নবীনগর থেকে ৯ বছরের ছেলে তামিমকে নিয়ে এসেছেন হামিদ-রোজিনা দম্পতি।হামিদ হোসেন বলেন, আমার ভাইয়ের বাসা আদাবরে। চিড়িয়াখানায় আসার পরিকল্পনা করেই আজ ঢাকায় এসেছি। আজকে চিড়িয়াখানায় এলাম। বাচ্চাকে পশু-পাখি দেখাতে। রাতে আবার ফিরে যাব।গাজীপুর থেকে আসা দর্শনার্থী সিরাজুল মিয়া বলেন, মেয়েকে চিড়িয়াখানা দেখাতে কাপাসিয়া থেকে এসেছি। অনেক পশুপাখি আছে, মেয়েকে সেগুলোর নামের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া যাবে।প্রচণ্ড রোদে খানিকটা অসুবিধার কথা জানালেন এক দর্শনার্থী। দুই বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে আসা ওই দর্শনার্থী বলেন, ছেলের আবদার মেটাতে তাকে বানর-হাতি-বাঘ দেখতে চিড়িয়াখানায় এসেছি। কিন্তু প্রচণ্ড রোদে খুব একটা ঘুরতে পারিনি। কয়েকটি খাঁচা ঘুরে বের হয়ে এসেছি।দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধার বিষেয়ে নানা পদক্ষেপের কথা জানান জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তালুকদার।তিনি বলেন, দর্শনার্থীদের যাতে সুন্দর ও নিরাপদে চিড়িয়াখানা পরিদর্শন করতে পারেন সেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমাদের নিরাপত্তা কর্মীর পাশাপাশি পুলিশ রয়েছে। দর্শনার্থীরা ১৮টি ছাউনির নিচে আশ্রয় নিতে পারছেন। পর্যাপ্ত সুপেয় পানির ব্যবস্থা রয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ