ছবি: সংগৃহীত
ঈদের আনন্দ ও পরিবারের মায়া পিছনে ফেলে রাজধানীতে ফিরছেন কর্মজীবীরা। গাবতলী, সায়েদাবাদ, মহাখালী বাস টার্মিনাল, কমলাপুর রেলস্টেশন এবং সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে দেখা গেছে ফিরতি যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। ক্লান্ত চোখ আর ভারী লাগেজ নিয়ে জীবিকার তাগিদে শহরে ফিরছেন লাখো মানুষ।
বুধবার (১১ জুন) গাবতলী বাস টার্মিনালে গেলে দেখা যায়, ঈদ উদযাপন করতে আজও কেউ কেউ বাড়ি ফিরছেন। তবে সে সংখ্যাটা খুব বেশি নয়। উল্টো জীবিকার তাগিদে ঢাকায় ফিরে আসছেন অনেকেই। পরিবহণ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঢাকা থেকে যে পরিমাণ মানুষ যাচ্ছে, ফিরছে তার বেশি।
গোল্ডেন লাইন পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার হাফিজুর রহমান বলেন, এখন যাত্রী অনেক কম। ৮ থেকে ১০ জন যাত্রী নিয়েই বাস ছাড়তে হচ্ছে। তবে সে তুলনায় ঢাকা ফেরত প্রতিটি বাসই যাত্রীতে ভরপুর থাকে।
একই কথা জানিয়েছেন হানিফ পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, বাড়ি ফেরা যাত্রীর পরিমাণ এখন কম। যারা যাওয়ার তারা ইতোমধ্যেই চলে গেছেন। আমাদেরও অল্প যাত্রী দিয়েই বাস ছাড়তে হচ্ছে। তবে ঢাকায় যে বাসগুলো ফিরছে, সেগুলো কোনোটাই খালি ফিরছে না।
রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, সিলেট ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ট্রেনযোগে ঢাকায় ফিরছেন অনেকে। কমলাপুর রেলস্টেশন ছিল যাত্রীদের পদচারণায় মুখর। স্টেশনের একাধিক প্ল্যাটফর্মে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন মানুষ, যারা পরিবার ছেড়ে ফিরে এসেছেন কর্মজীবনে।
বেসরকারি চাকরিজীবী রাহাত জানান, ঈদের ছুটি কাটিয়ে ফিরছি কাজে। মা-বাবা, ভাইবোনকে ফেলে আসাটা সবসময়ই কষ্টের। কিন্তু জীবনের বাস্তবতা তো মেনে নিতেই হয়।
একই চিত্র সদরঘাটেও। দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, খুলনাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে লঞ্চযোগে ঢাকায় ফিরছেন মানুষ। বাস টার্মিনালগুলোতেও রয়েছে একই চিত্র—ফিরে আসা যাত্রীরা এসেছেন কুড়িগ্রাম, ময়মনসিংহ, গোপালগঞ্জসহ দেশের নানা অঞ্চল থেকে।
রেলওয়ে, বিআইডব্লিউটিএ এবং বাস মালিক সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঈদ ও পরবর্তী সময়ের যাত্রীচাপ সামলাতে অতিরিক্ত ট্রেন, লঞ্চ ও বাসের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে মোতায়েন রয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী।
কমলাপুর স্টেশন মাস্টার মাজহারুল ইসলাম জানান, ফিরতি যাত্রীদের যাত্রা নির্বিঘ্ন রাখতে ট্রেন চলাচল নিয়মিত রয়েছে। গতকাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে অন্তত ২৫টি ট্রেন রাজধানীতে প্রবেশ করেছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত অনেক ভিডিও ফুটেজ এবং লেখালেখি পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ভুয়া প্রমাণিত হয়েছে। এসব কর্মকাণ্ড দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি ভূমিকা রাখছে বলে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি রাজধানীর গুলিস্তান ও আজিমপুরে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের হরতাল সমর্থনে বাস পোড়ানো সংক্রান্তে কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কিছু গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ওই ভিডিও দুটি অনেক পুরোনো। কে বা কারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে রোববারের ভিডিও বলে প্রচার করছে। ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, রাজধানীর গুলিস্তান ও আজিমপুরে এ রকম কোনো ঘটনা সংঘটিত হয়নি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি একেবারেই স্বাভাবিক রয়েছে। মানুষের মনে অহেতুক ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টির অপচেষ্টা হিসেবে একটি কুচক্রী মহল এসব পুরোনো ভিডিও ও ছবি প্রকাশ করে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেওয়ার চেষ্টা করছে।যেকোনো ধরনের সহিংসতা ও আইনশৃঙ্খলা বিনষ্টকারী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) তৎপর রয়েছে। কুচক্রী মহল কর্তৃক এসব অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য নগরবাসীদের অনুরোধ করা হলো।ভোরের আকাশ/এসএইচ
হাতিরঝিলে চলাচলকারী চক্রাকার বাসে এখন থেকে ‘র্যাপিড পাস’ কার্ড ব্যবহার করে ভাড়া পরিশোধ করা যাবে।রোববার (২০ জুলাই) দুপুরে হাতিরঝিলে চক্রাকার বাস সার্ভিস এফডিসি কাউন্টার-সংলগ্ন স্থানে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।এর ফলে যাত্রীরা মেট্রোরেলের মতো চক্রাকার বাসেও র্যাপিড পাস ব্যবহার করতে পারবেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, শেখ মইনউদ্দিন।এ সময় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব এহসানুল হক, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী ও কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
রাজধানীর পল্লবীতে বিকল্প পরিবহনের একটি বাসে রহস্যজনকভাবে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে পুরো বাসটি পুড়ে গেছে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।শনিবার (১৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টা ৪২ মিনিটে পল্লবী সেকশন-২ এলাকায় বাসটিতে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার শাহজাহান হোসেন বলেন, “সন্ধ্যায় আমাদের কাছে খবর আসে যে পল্লবীতে বিকল্প পরিবহনের একটি বাসে আগুন লাগানো হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে দুটি ইউনিট পাঠানো হয় এবং তারা সফলভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে বাসটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।”আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি নাশকতামূলক ঘটনা। তবে বিস্তারিত তদন্ত ছাড়া কিছু নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়।”তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত কোনো ব্যক্তি হতাহত হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়নি।পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস যৌথভাবে ঘটনাস্থলে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। স্থানীয়দের মাঝে এই ঘটনার পর থেকে উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।ভোরের আকাশ//হ.র
ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) পুলিশ। অতিরিক্ত চার হাজার পুলিশ সদস্যসহ প্রায় ১২ হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য নিরাপত্তায় যুক্ত রয়েছেন। ইউনিফর্ম পরা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি করছেন ডিবির সদস্যরা। পুলিশ ছাড়াও আরও কয়েক হাজার র্যাব সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছাড়াও জামায়াতের ছয় হাজার স্বেচ্ছাসেবক রয়েছেন ছড়িয়ে ছিটিয়ে।দলটির পক্ষ থেকে আশা করছে, জাতীয় সমাবেশে ১০ লাখেরও বেশি মানুষের সমাগম ঘটবে সোহরাওয়ার্দীতে।ডিএমপি বলছে, সমাবেশকে কেন্দ্র করে নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল যেন কোনো বিশৃঙ্খলা করতে না পারে সেজন্য সজাগ রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে পুলিশ। কন্ট্রোল রুম থেকে নিয়মিত সিসি ক্যামেরায় মনিটরিং চলছে। সব মিলিয়ে নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি রাখা হয়নি।রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, রমনা বিভাগের পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য ইউনিফর্ম ও সিভিল ড্রেসে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কেন্দ্রিক সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। এর বাইরে সারাদেশ থেকে যেসব গাড়ি আসবে সুনির্দিষ্ট করে পার্কিংয়ের জন্য ট্রাফিক পুলিশ কাজ করছে। রমনা এলাকায় যেন কোনো গাড়ি প্রবেশ না করে এজন্য সব জেলার জন্য রুট নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।ঢাকার সবগুলো পয়েন্টে পুলিশ নজর দিচ্ছে দাবি করে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) এস এম নজরুল ইসলাম বলেন, জামায়াতের জাতীয় সমাবেশ ঘিরে ঢাকায় পর্যাপ্ত নিরাপদ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কোথাও যেন কোনো বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি না হয় সেজন্য আমাদের দৃষ্টি রয়েছ। সমাবেশকে কেন্দ্র করে আশপাশের থানা-ফাঁড়িতে আরও আট হাজার পুলিশ দেওয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে ১২ হাজার পুলিশ মোতায়েন রয়েছে নগরবাসীর নিরাপত্তার জন্য। এছাড়া ডিএমপির আটটি ট্রাফিক বিভাগ সড়কে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে। পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সদস্যরাও মোতায়েন রয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ