সংগৃহীত ছবি
এক দফা দাবিতে অবরোধের পাঁচ ঘণ্টা পর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সচিবালয়ে গিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ। তবে আলোচনার এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে শিক্ষার্থীরা। তারা বলছে, দাবি বাস্তবায়নের কোনো সুস্পষ্ট অগ্রগতি না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম জানান, শিক্ষার্থীরা চাইলে সরাসরি সচিবালয়ে গিয়ে সংশ্লিষ্ট সচিবদের সঙ্গে কথা বলে নিজেদের দাবি-দাওয়ার সর্বশেষ আপডেট নিতে পারে।
শিক্ষার্থীদের তিনি বলেন, সার্বিক বিষয়ে তোমরা সচিবালয়ে নিজেরাই গিয়ে জানতে পারো কী অগ্রগতি হয়েছে। তোমাদের যদি কোনো বক্তব্য থাকে, সেটাও দিয়ে আসতে পারো। এতে সাধারণ জনদুর্ভোগও কমবে। এখানে মোড়ে পাঁচ ঘণ্টার মতো অবস্থান চলছে, এতে জনভোগান্তি বাড়ছে।
বিষয়টি নিয়ে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীরা পুলিশের দেওয়া আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। আমরা কোনো আলোচনায় যাচ্ছি না। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
এর আগে, আজ দুপুর ১টায় রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্রুত অধ্যাদেশ ঘোষণার ১ দফা দাবিতে শিক্ষা ভবন মোড় অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা৷ এতে পুরো এলাকাজুড়ে তৈরি হয়েছে তীব্র যানজটের। আর অবরোধ ঘিরে অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে শিক্ষাভবনের সামনে মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ। রাখা হয়েছে জলকামান এবং রায়টকারও।
উল্লেখ্য, গত ১২ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ জানায় যে সাত কলেজকে একীভূত করে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে নতুন একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে হয়েছে। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের গুজব এড়িয়ে দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান জানানো হয়।
ভোরের আকাশ/তা.কা
সংশ্লিষ্ট
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি বাসা থেকে মা ও মেয়ের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকে ওই বাসার গৃহকর্মী পলাতক রয়েছে। হত্যাকাণ্ডে তার সম্পৃক্ততা থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছে পুলিশ।সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে পুলিশ খবর পেয়ে শাহজাহান রোডের একটি বাসার ৭তলায় গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন।তিনি বলেন, মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডে মা ও মেয়ের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় বাসার গৃহপরিচারিকাকে সন্দেহ করা হচ্ছে। তার নাম-পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আমরা কাজ করছি।তিনি আরও বলেন, নিহতরা ভবনের ৭ তলায় বসবাস করতেন। গৃহকর্তা আজিজুল ইসলাম সকালে কাজের উদ্দেশে বের হয়ে যান। এরপর দুপুর ১২টার দিকে এসে তিনি স্ত্রী ও মেয়েকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। মেয়ে নাফিসাকে জীবিত অবস্থায় পেলেও হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যায়।পুলিশের একটি সূত্র বলছে, ওই গৃহকর্মীর নাম আয়েশা। সে হত্যার উদ্দেশ্যেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদেরকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করছে। এ ছাড়া হত্যায় ব্যবহৃত দুটি ধারালো ছুরি বাথরুমের বালতির ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।ঘটনাস্থলে থানা পুলিশ ও তেজগাঁও বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
শিশুশ্রম সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করতে বিদ্যমান আইন ও নীতিমালা সংশোধন প্রয়োজন বলে মনে করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা। তারা বলেছেন, দেশে এখনো ৩৫ লক্ষ শিশু শ্রমে নিয়োজিত এবং তাদের মধ্যে মারাত্মক লক্ষাধিক শিশু ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করছে। শ্রম আইন সংশোধনের পরেও ওই সকল শিশুদের ৯৯ শতাংশই আইনি বিধি-নিষেধের বাইরে রয়েছে। কারণ তারা অনানুষ্ঠানিক খাতে শ্রম দিচ্ছে। তাই বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে আবারো আইন ও নীতিমালা সংশোধন করতে হবে।রোববার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশে শিশুশ্রম সর্ম্পকিত আইন ও নীতিমালা শক্তিশালীকরণে প্রস্তাবিত নীতি শেয়ারিং অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন তারা। এডুকো বাংলাদেশ ও চাইল্ড লেবার ইলিমিনেশন প্ল্যাটফর্ম (ক্ল্যাপ) আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এডুকো বাংলাদেশের ব্যবস্থাপক আফজাল কবির খান।বাংলাদেশ লেবার ফাউণ্ডেশন (বিএলএফ)’র নির্বাহী পরিচালক এ কে এম আশরাফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন শ্রম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, চাইল্ড লেবার মনিটরিং কাউন্সিলের কো-চেয়ার অ্যাডভোকেট সালমা আলী, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি (বিএনডব্লিউএলএ)’র সভাপতি অ্যাডভোকেট সীমা জহুর, এডুকো বাংলাদেশের প্রোগ্রাম পরিচালক আব্দুর রহিম, ইনসিডিন বাংলাদেশের মুশফিকুর রহমান সাব্বির, এএসডির শাহিনুল ইসলাম, কারিতাস বাংলাদেশের রবিউল ইসলাম প্রমূখ।অনুষ্ঠানে মূল উপাস্থাপনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নাজমুজ্জামান ভুইয়া বাংলাদেশের শিশুশ্রম পরিস্থিতি এবং শিশুশ্রম নিরসনে সরকারের নীতিমালা ও যেসব নীতিমালা হাতে নিলে এই সমস্যা থেকে আমরা উত্তরণ হতে পারবো সে বিষয়গুলো তুলে ধরেন।তিনি বলেন, সংশোধিত শ্রম আইনে অনুষ্ঠানিক খাতে এমন কোন ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়নি, যেখানে ৯৯ শতাংশ শিশু অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করে। অতএব, অনানুষ্ঠানিক খাতে শিশুশ্রমের মজুরি নির্ধারণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক উভয় খাতেই নিযুক্ত শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের জন্য জাতীয় ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করার সুপারিশ করেন তিনি।ড. মো. নাজমুজ্জামান বলেন, জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (এনপিএ) ইতিমধ্যেই ২০১৬ সালে তার মেয়াদ শেষ করলেও লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। সর্বশেষ জাতীয় শিক্ষানীতিতে বাধ্যতামূলক শিক্ষার বয়স পঞ্চম শ্রেণী (বয়স ১০) থেকে অষ্টম শ্রেণী (বয়স ১৪) পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে নতুন বাধ্যতামূলক শিক্ষার বয়স কার্যকর করতে আইন সংশোধন করা প্রয়োজন। সংশোধন না করা পর্যন্ত এই নীতিটি কার্যকর করা যাবে না। অথচ ১১ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুরা সবচেয়ে খারাপ ধরণের শিশুশ্রমের ঝুঁকিতে রয়েছে। এমনকি তারা স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে এমন কার্যকলাপে জড়িত হতে পারে। শিশুশ্রম নির্মূলে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি এবং শিশুশ্রমের প্রতি সকলের মনোভাব ও আচরণগত পরিবর্তন করার আহ্বান জানান তিনি।যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, দেশের একটি অন্যতম সামাজিক সমস্যা হচ্ছে শিশুশ্রম। শিশুশ্রমের মূল কারণ দারিদ্রতা। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে কর্মতৎপরতার পরেও আমাদের দেশে এখনো অনেক শিশু বেঁচে থাকার তাগিদে এ শ্রমে নিযুক্ত হয়। বর্তমান সরকার শিশুশ্রম নিরসনের ব্যাপারে খুবই ইতিবাচক। কিন্তু সরকারের একার পক্ষে এই কাজে সফলতা অর্জন সম্ভব নয়। তাই সম্মিলতি প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। এজন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়নে সব প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।বিদ্যমান আইন ও নীতিমালা সংশোধনে সরকার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিবে বলে আশা প্রকাশ করেন আফজাল কবির খান। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, নিয়োজিত শিশুরা নানাধরনের শোষণ, নিপীড়ন, নির্যাতন এবং সহিংসতার শিকার হচ্ছে। অসংখ্য শিশু দীর্ঘ সময় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ করার ফলে নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে অল্প বয়সে কর্মক্ষমতা হারাচ্ছে। তাই আইন ও নীতিমালা সংশোধনের পাশাপাশি জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে সকলকে কাজ করতে হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
মোহাম্মদপুরের বসিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৮ জন শিক্ষার্থীর মাঝে স্টেশনারি সামগ্রী বিতরণ করেছে যুব শিক্ষা ফাউন্ডেশন।রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম।অনুষ্ঠানে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. কাজল খান উপস্থিত ছিলেন।তিনি বলেন, “যুব শিক্ষা ফাউন্ডেশন ২০০ জন সুবিধাবঞ্চিত ও আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীর মাঝে স্টেশনারি সহায়তা প্রদান করছে। আজ আমাদের ২৮ জন শিক্ষার্থী স্কুলব্যাগ, খাতা, কলমসহ প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ পেয়েছে। এতে শিশুদের মাঝে আনন্দের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। আশা করি এই উপকরণগুলো তারা এক বছরেরও বেশি সময় ব্যবহার করতে পারবে।”সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, স্কুল ঝরে পড়া রোধ করতে এবং অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে যুব শিক্ষা ফাউন্ডেশন নিয়মিত বিভিন্ন শিক্ষাসহায়ক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলে তারা জানিয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
এক দফা দাবিতে অবরোধের পাঁচ ঘণ্টা পর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সচিবালয়ে গিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ। তবে আলোচনার এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে শিক্ষার্থীরা। তারা বলছে, দাবি বাস্তবায়নের কোনো সুস্পষ্ট অগ্রগতি না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।রোববার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম জানান, শিক্ষার্থীরা চাইলে সরাসরি সচিবালয়ে গিয়ে সংশ্লিষ্ট সচিবদের সঙ্গে কথা বলে নিজেদের দাবি-দাওয়ার সর্বশেষ আপডেট নিতে পারে।শিক্ষার্থীদের তিনি বলেন, সার্বিক বিষয়ে তোমরা সচিবালয়ে নিজেরাই গিয়ে জানতে পারো কী অগ্রগতি হয়েছে। তোমাদের যদি কোনো বক্তব্য থাকে, সেটাও দিয়ে আসতে পারো। এতে সাধারণ জনদুর্ভোগও কমবে। এখানে মোড়ে পাঁচ ঘণ্টার মতো অবস্থান চলছে, এতে জনভোগান্তি বাড়ছে।বিষয়টি নিয়ে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীরা পুলিশের দেওয়া আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। আমরা কোনো আলোচনায় যাচ্ছি না। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।এর আগে, আজ দুপুর ১টায় রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্রুত অধ্যাদেশ ঘোষণার ১ দফা দাবিতে শিক্ষা ভবন মোড় অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা৷ এতে পুরো এলাকাজুড়ে তৈরি হয়েছে তীব্র যানজটের। আর অবরোধ ঘিরে অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে শিক্ষাভবনের সামনে মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ। রাখা হয়েছে জলকামান এবং রায়টকারও।উল্লেখ্য, গত ১২ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ জানায় যে সাত কলেজকে একীভূত করে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে নতুন একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে হয়েছে। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের গুজব এড়িয়ে দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান জানানো হয়।ভোরের আকাশ/তা.কা