ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ হাফসা খাঁন (১১) ও মো. রাইয়ান (১৪) নামে দুই শিক্ষার্থীকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। ছাড়পত্র পাওয়া হাফসা খান মাইলস্টোন স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ও রাইয়ান অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। এখন পর্যন্ত সুস্থ অবস্থায় ২৫ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, উত্তরায় বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিমান বিধ্বংসের ঘটনায় আজ শিক্ষার্থী হাফসা খান ও রাইয়ানকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তাদের দু’জনের শরীরেরই ২২ শতাংশ ফ্লাইম বার্ন হয়েছিল। বর্তমানে আমাদের এখানে ১১ জন ভর্তি আছে। এ পর্যন্ত সুস্থ অবস্থায় ২৫ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে এবং ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, গত ২১ জুলাই দুপুরে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে অনেক শিক্ষার্থী শিক্ষকসহ হতাহত হয় এবং দগ্ধ হয়।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
ঢাকা ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুস সালাম ব্যাপারীকে তিন বছরের মেয়াদে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আশফিকুন নাহার স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ আইন, ১৯৯৬ এর ২৮(২) ধারা মোতাবেক মো. আব্দুস সালাম ব্যাপারীকে ১১ নভেম্বর অথবা যোগদানের তারিখ থেকে তিন বছরের জন্য ঢাকা ওয়াসারের এমডি হিসেবে নিয়োগ করার জন্য সরকারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনকালে তিনি বিধি মোতাবেক ‘দায়িত্ব ভাতা’ পাবেন এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হয়েছে।এর আগে ৩০ অক্টোবর দায়িত্ব থেকে সরানো হয় ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রশাসক ও ঢাকা ওয়াসার এমডিকে।জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, শাহজাহান মিয়াকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে বদলি করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ মাঠের পাশ থেকে কয়েক খণ্ড করে দুইটি ড্রামে রাখা একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ৬টার দিকে সন্দেহ হলে ড্রাম খুলে খণ্ডিত মরদেহটি দেখা যায়।স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় ঈদগাহ মাঠের পাশে দুইটি নীল ছোট ড্রাম কে বা কারা রেখে যায়। বিকেলে ড্রামগুলো রাখা দেখে সন্দেহ হলে বিষয়টি নিয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে ড্রামগুলো খুলে প্রথমে চাল দেখতে পায়। চালগুলো মাটিতে ঢেলে দেওয়ার পর ভিতরে মানুষের খন্ডিত শরীরের অংশ বের হয়ে আসে।এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর বলেন, আজকে দুপুর আড়াইটায় একটি ভ্যান এসে ড্রামগুলো রেখে গেছে। ড্রামের ভেতর থেকে কয়েকটি খণ্ড করা একটা মরদেহ উদ্ধার করি। কার মরদেহ সেটি এখনো শনাক্ত করা যায়নি। তবে কে বা কারা ড্রামগুলো রেখে গেছে তা আমরা শনাক্তের চেষ্টা করছি।ভোরের আকাশ/এসএইচ
রাজধানীর গুলিস্তানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ জনতা।বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।এর আগে, শেখ হাসিনার বিচারকে কেন্দ্র করে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ‘লকডাউন’ কর্মসূচি প্রতিহত করতে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা।এ সময় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রশিবিরের ব্যানার ঝুলতে দেখা যায়। ব্যানারের নিচে ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে লাঠি হাতে অবস্থান নিয়েছেন।এদিকে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন কর্মসূচি ঘিরে বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে রাজধানীসহ আশপাশের জেলাগুলোয় কড়া প্রহরায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ইতোমধ্যে বুধবার থেকে ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোয় ১৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে র্যাব ও সেনা সদস্যরাও।গত বছরের ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতন হলে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। ভবনটি কিছুদিন পরিত্যক্ত থাকার পর সেখানে 'আন্তর্জাতিক ফ্যাসিজম ও গণহত্যা গবেষণা ইনস্টিটিউট' স্থাপন করে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তিরা।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (টিএসসি) এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায়।বুধবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিক থেকে টিএসসির দিকে এই ককটেল দুটি নিক্ষেপ করা হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কে বা কারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতর থেকে ককটেল দুটি ছোড়ে। টিএসসির সামনে ককটেল দুটি বিস্ফোরিত হয়। ককটেল বিস্ফোরণের পরেই ক্যাম্পাস উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে মিছিল বের করে। এ সময় ‘একটা একটা লীগ ধর, ধরে ধরে জেলে ভর’ স্লোগান দেন তারা।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমেদ বলেন, ধারণা করা হচ্ছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে কেউ একজন ককটেলগুলো ছুড়েছে। আমরা প্রক্টোরিয়াল টিম পাঠিয়েছি। পুলিশ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরে অভিযান চালাচ্ছে। এখন পর্যন্ত কাউকে শনাক্ত করা যায়নি। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ চেক করছি।ভোরের আকাশ/এসএইচ