ডাকসু নির্বাচনে ছয় হলের ফল প্রকাশ, শীর্ষ তিন পদে এগিয়ে শিবির
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ছয়টি হলের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাত ২টার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা এসব ফল ঘোষণা করেন।
এখন পর্যন্ত ঘোষিত ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, ভিপি, জিএস ও এজিএস—শীর্ষ তিনটি পদেই এগিয়ে আছে শিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থীরা।
ভিপি পদে জোটের প্রার্থী সাদিক কায়েম পেয়েছেন সর্বমোট ৫৭১৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত আবিদুল ইসলাম খান পেয়েছেন ১৫১৯ ভোট। জিএস পদে এগিয়ে আছেন এস এম ফরহাদ এবং এজিএস পদে শীর্ষে রয়েছেন মহিউদ্দিন খান।
কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফল (সংক্ষেপে):
এবারের নির্বাচনে ডাকসুর ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৪৭১ জন প্রার্থী, যার মধ্যে নারী প্রার্থী ছিলেন ৬২ জন। ভিপি পদে ৪৫ জন, জিএস পদে ১৯ জন এবং এজিএস পদে ২৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
ভোরের আকাশ//হ.র
সংশ্লিষ্ট
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে “Workshop on Professional Development of Officers” শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ সেমিনার কক্ষে আয়োজিত এই কর্মশালা পরিচালনা করে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স সেল (IQAC), পবিপ্রবি। দিনব্যাপী এ কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। সকাল সাড়ে ৯টায় রেজিস্ট্রেশন শেষে ৯টা ৩০ মিনিটে শুরু হয় উদ্বোধনী সেশন। উদ্বোধনী সেশনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইকিউএসি-এর অতিরিক্ত পরিচালক (ইটিএল) অধ্যাপক ড. মো : আব্দুল মাসুদ।কর্মশালার প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম।বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এস. এম. হেমায়েত জাহান এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো: আব্দুল লতিফ এবং সভাপতিত্ব করেন আইকিউএসি পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহবুব রব্বানী।অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়ন নির্ভর করে দক্ষ, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার ওপর। পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের শুধু নিয়মকানুন জানা যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন আধুনিক প্রশাসনিক দক্ষতা, প্রযুক্তিগত সক্ষমতা, নথীর গোপনীয়তা, দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গি এবং কম্পিউটারের দক্ষতা বাড়ানো দরকার। আজকের এই কর্মশালা সেই পরিবর্তনেরই অংশ। এ ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তাদের কর্মদক্ষতা বাড়াবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।তিনি আরও বলেন,“পবিপ্রবিকে একটি বিশ্বমানের গবেষণা ও জ্ঞানচর্চার প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা একসঙ্গে কাজ করছি। আমাদের প্রত্যেক কর্মকর্তা যদি তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে পালন করেন তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়ন আরো বেগবান হবে।” উপাচার্য কর্মশালার সফলতা কামনা করেন এবং আইকিউএসি-কে এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।অতিথিদের বক্তব্য শেষে ১০টা ১৫ মিনিটে কর্মশালার মূল পর্ব শুরু হয়। সেশন মডারেটর ছিলেন আইকিউএসি-এর অতিরিক্ত পরিচালক (কিউএ) অধ্যাপক ড. নূর নবী। ১০টা ১৫ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসি-এর ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো: নুরুল ইসলাম সিদ্দিক। তিনি “Meaningful Career at University” এবং “Working Effectively with Faculties” বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত “Office Management” বিষয়ক আলোচনা করেন পবিপ্রবির শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক ড. মো:আমিনুল ইসলাম টিটো। বিকাল ২টা ৩০ মিনিট থেকে “Professional Ethics” বিষয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন আই-কিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক ও সিএসই অনুষদের অধ্যাপক ড. মো: আব্দুল মাসুদ।বিকাল ৩টা ৪৫ মিনিটে পুনরায় বক্তব্য রাখেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো: নুরুল ইসলাম সিদ্দিক। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রমকে আধুনিক, সময়োপযোগী ও দক্ষতাভিত্তিক করার লক্ষ্যে আয়োজিত এই কর্মশালাকে সফল বলে অভিহিত করেছেন অংশগ্রহণকারীরা। তারা মনে করেন, কর্মশালার আলোচনাগুলো পেশাগত দায়িত্ব পালনে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও কর্মপরিকল্পনা তৈরিতে সহায়ক হবে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
'সৌদি আরবে নিরাপদ অভিবাসন ও উচ্চ শিক্ষায় জাপান গমন’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা শনিবার (১৫ নভেম্বর ) বিকেলে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।খুলনা জেলা প্রশাসন ও খুলনা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম।উপাচার্য বলেন, জনসংখ্যা সমাজের বোঝা নয়; জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তর করতে হবে, তাহলেই দেশ এগিয়ে যাবে। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হলেও বহু রাষ্ট্রের তুলনায় উন্নত অবস্থানে রয়েছে। দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে লো-স্কিলড রেমিট্যান্স যোদ্ধারা দেশের উন্নয়নে সরাসরি ভূমিকা রাখছেন।স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য। বিদেশ যেতে আগ্রহীদের ভাষা শিক্ষা, কারিগরি দক্ষতা অর্জন এবং সঠিক প্রস্তুতির বিষয়ে শিক্ষকরা গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দিতে পারেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।উপাচার্য জানান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি ভাষা শিক্ষার জন্য মডার্ন ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টার রয়েছে, যা ইনস্টিটিউটে রূপান্তরের প্রক্রিয়াধীন। এর মাধ্যমে শুধু খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নয়, বাইরের শিক্ষার্থীরাও বিদেশি ভাষা শেখার সুযোগ পাবে। বিদেশগামীদের ভাষা শিক্ষা ও নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করতে জনশক্তি ব্যুরোর চলমান কার্যক্রমের প্রশংসা করে তিনি ধন্যবাদ জানান।মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর অতিরিক্ত মহাপরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. আশরাফ হোসেন। তিনি বিদেশগমন-প্রত্যাশীদের কারিগরি দক্ষতা, বিদেশি ভাষা শিক্ষা এবং নিরাপদ অভিবাসন বিষয়ে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন খুলনা টিটিসির অধ্যক্ষ মো. জিয়াউর রহমান। তিনি টিটিসির আওতায় পরিচালিত বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্স, সক্ষমতা বৃদ্ধি কার্যক্রম ও প্রতিষ্ঠানটির পথচলার নানা দিক তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন খুলনা টিটিসির ইন্সট্রাক্টর (কম্পিউটার) উম্মে হাবিবা ইসলাম।মতবিনিময় সভায় খুলনা অঞ্চলের মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক, কলেজের অধ্যক্ষ, শিক্ষক প্রতিনিধি, খুলনা টিটিসির কর্মকর্তা ও প্রশিক্ষণার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/মো.আ.
রাজধানীর বুড়িগঙ্গা নদীতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ১৫ শিক্ষার্থীকে নিয়ে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে লালকুঠির ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহাগ রানা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “নৌকাডুবির পর সবাইকে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করা হয়েছে। তারা বর্তমানে নিরাপদে রয়েছেন।”যদিও এক শিক্ষার্থীকে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা যায়, শুক্রবার রাতে বুড়িগঙ্গায় নৌকা নিয়ে ঘুরতে বের হন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ১৮তম ব্যাচের ১৫ জন শিক্ষার্থী। লালকুঠির ঘাট এলাকায় লঞ্চের ধাক্কা লেগে তাদের নৌকাটি ডুবে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে সবাইকে উদ্ধার করা হয়েছে।সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহাগ রানা সাংবাদিকদের বলেন, নৌকায় ১৫ জন জবি শিক্ষার্থী ছিলেন। নৌকায় লঞ্চের ধাক্কা লাগার সঙ্গে সঙ্গে তারা সবাই নদীতে লাফ দেন। পরে তাদের উদ্ধার করা হয় এবং তারা নিরাপদে রয়েছেন।ভোরের আকাশ/মো.আ.
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ব্যালট পেপার নীলক্ষেতে ছাপানোর বিষয়টি স্বীকার করেছেন উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমদ খান। তবে তিনি বলেছেন, এই ব্যালট ছাপানোর তথ্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেনি সহযোগী ভেন্ডর।আর ব্যালট পেপার ছাপানোর স্থান বা সংখ্যা সুষ্ঠু নির্বাচনকে কোনোভাবে প্রভাবিত করে না। কারণ, ব্যালট পেপার ভোটের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত করতে কয়েকটি ধাপ সম্পন্ন করতে হয়।রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। উপাচার্য জানান, নীলক্ষেতে ব্যালট ছাপানো বিষয়ে ভেন্ডরের কাছে জবাবদিহি চেয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। জবাবে এমন তথ্য দিয়েছে কাজপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান।গত ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।এ নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির প্যানেলের অধিকাংশরাই জয় লাভ করেন। কিন্তু নির্বাচনের দিন থেকেই ছাত্রদল, বাগছাস ও বাম সংগঠন সমর্থিত প্যানেলগুলো এবং স্বতন্ত্র কয়েকজন প্রার্থী নির্বাচনে কারচুপি ও পক্ষপাতিত্বসহ বিভিন্ন অভিযোগ করে আসছিলেন। অভিযোগগুলোর মধ্যকার একটি হলো ‘ব্যালট পেপার নীলক্ষেতে অরক্ষিত অবস্থায় ছাপানো হয়েছে’। যা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।তিনি বলেন, ভেন্ডর প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, সহযোগী প্রতিষ্ঠান নীলক্ষেতে ২২ রিম কাগজ দিয়ে ৮৮ হাজার ব্যালট ছাপায়, যা থেকে প্রিন্টিং, কাটিং, প্রি-স্ক্যান পর্ব শেষে নির্দিষ্ট পরিমাণে ব্যালট প্যাকেটে সিলগালা করে ৮৬ হাজার ২৪৩টি ব্যালট সরবরাহযোগ্য করা হয় এবং অতিরিক্ত ব্যালটগুলো প্রচলিত পদ্ধতিতে নষ্ট করে ফেলা হয়।তিনি আরও বলেন, ভেন্ডর আরো জানায় যে, নীলক্ষেতে কাটিং শেষে প্রি-স্ক্যান ও পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য তারা তাদের মূল অফিসে এনে প্রি-স্ক্যান সম্পন্ন করে নির্দিষ্ট পরিমাণে প্যাকেটে ভরে সিলগালা করে বিশ্ববিদ্যালয়কে সরবরাহ করে। তারা ব্যালট প্রস্তুতকরণ প্রক্রিয়ায় ও আনা-নেওয়ায় চুক্তি মোতাবেক সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। ব্যস্ততার কারণে কর্তৃপক্ষকে তারা নীলক্ষেতে ব্যালট প্রিন্টিং ও কাটিংয়ের বিষয়টি জানাতে ভুলে যায় বলে স্বীকার করে।উপাচার্য বলেন, ব্যালট পেপার ছাপানোর স্থান বা সংখ্যা সুষ্ঠু নির্বাচনকে কোনো ভাবে প্রভাবিত করে না।কারণ, ব্যালট পেপার ভোটের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত করতে কয়েকটি ধাপ সম্পন্ন করতে হয়। ব্যালট পেপারটি ছাপানোর পর তা নির্দিষ্ট পরিমাপে কাটিং করতে হয়। তারপর সুরক্ষা কোড আরোপ করে ওএমআর মেশিনে প্রি-স্ক্যান করে তা মেশিনে পাঠযোগ্য হিসেবে প্রস্তুত করতে হয়। এরপর চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তার সীলসহ স্বাক্ষর ও কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার স্বাক্ষরযুক্ত হলেই তা ভোট গ্রহণের জন্য উপযুক্ত হয়। এ সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেই পূর্ণ সর্তকতার সঙ্গে (DUE DILIGENCE) ভোট গ্রহণ করা হয়েছে।ব্যালট পেপারের হিসেব জানিয়ে অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ বলেন, কার্যাদেশ অনুযায়ী, উপরোক্ত প্রক্রিয়ায় চূড়ান্তভাবে ২ লক্ষ ৩৯ হাজার ২৪৪টি ব্যালট ভোট গ্রহণের জন্য প্রস্তুত করা হয়। মোট ভোটার ৩৯ হাজার ৮৭৪* ভোটার প্রতি ৬টি ব্যালট। মোট ভোট দিয়েছেন ২৯ হাজার ৮২১ জন ভোটার। মোট ব্যালট ব্যবহার করা হয়েছে ১ লক্ষ ৭৮ হাজার ৯২৬টি। অবশিষ্ট ব্যালট ৬০ হাজার ৩১৮।শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে ঢাবি উপাচার্য বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষাপটে সিসিটিভি ফুটেজ এবং ভোটারদের স্বাক্ষরিত তালিকার বিষয়টি আবার সামনে এসেছে। এ বিষয়ে ইতোপূর্বে আমরা বিস্তারিত জানিয়েছি যে, কোন প্রার্থী যদি সুনির্দিষ্ট কোন সময়ের/কোন একটি প্রাসঙ্গিক ঘটনা পর্যালোচনা করার জন্য সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে চান তারা যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করলে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মনোনীত বিশেষজ্ঞ বা মনোনীত ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নির্ধারিত কোন স্থানে তা দেখতে বা পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।সবশেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ভোটারদের স্বাক্ষরযুক্ত ভোটার তালিকা দেখানোর বিষয়ে আমরা পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞ আইনজীবীদের সঙ্গে অধিকতর আলোচনা করেছি। এ বিষয়ে তাদের পরামর্শ নিম্নরূপ: কোন প্রার্থী যদি নির্দিষ্ট ও যৌক্তিক কারণে নির্দিষ্ট কারো স্বাক্ষর পর্যবেক্ষণ করতে চায় সেক্ষেত্রে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করলে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মনোনীত বিশেষজ্ঞ বা মনোনীত ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে দেখানো যেতে পারে।ভোরের আকাশ/মো.আ.