রাকসু নির্বাচনে ব্যালট নম্বর নির্ধারণে লটারি ব্যবস্থা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি ও হল সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর লটারির মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে রাকসু কোষাধ্যক্ষ কার্যালয়ে প্রার্থীদের সঙ্গে প্রায় তিন ঘণ্টার বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আগামীকাল রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সিনেট ভবনে লটারি অনুষ্ঠিত হবে এবং সেখানেই প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর প্রদান করা হবে।
এছাড়া ৯টি একাডেমিক ভবনে ভোটগ্রহণ এবং একটি একাডেমিক ভবনে দুটি আবাসিক হলের ভোট অনুষ্ঠিত হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড অথবা বিকল্প প্রত্যয়নপত্র দেখিয়ে ভোট দিতে পারবেন।
শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ব্যবহার ও ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গণনার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আগামীকাল জানাবে নির্বাচন কমিশন।
তাছাড়া নির্বাচনের অন্যান্য বিষয় নিয়ে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর নজরুল ইসলাম অডিটোরিয়ামে একটি সেমিনারের আয়োজন করবে কমিশন।
ভোরের আকাশ//হ.র
সংশ্লিষ্ট
বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার বৃদ্ধি, শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ধরে রাখা এবং পুষ্টি উন্নয়নে সারা দেশের নির্বাচিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘স্কুল ফিডিং’ কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে।আজ শনিবার (১৫ নভেম্বর) নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে এ কর্মসূচি শুরু হবে।এর উদ্বোধন করবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।নাটোরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত থাকবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান এবং ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফিডিং কর্মসূচি’র প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফিডিং কর্মসূচি’ শীর্ষক প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ২০২৭ সাল পর্যন্ত প্রকল্প মেয়াদকালে দেশের নির্বাচিত ১৫০টি উপজেলার ১৯ হাজার ৪১৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩১ লাখ ১৩ হাজার শিক্ষার্থীকে সপ্তাহে পাঁচ স্কুল কর্ম দিবসে ফর্টিফাইড বিস্কুট, কলা বা মৌসুমী ফল, বনরুটি, ডিম এবং ইউএইচটি দুধ তথা পুষ্টিকর খাবার প্রদান করা হবে। এরমধ্যে রোববারে ১২০ গ্রাম ওজনের বনরুটি এবং সিদ্ধ ডিম, সোমবারে বনরুটি এবং ২০০ গ্রাম ইউএইচটি দুধ, মঙ্গলবারে ৭৫ গ্রাম ওজনের ফর্টিফাইড বিস্কুট এবং কলা বা স্থানীয় মৌসুমী ফল, বুধবার এবং বৃহস্পতিবারে বনরুটি এবং সিদ্ধ ডিম প্রদান করা হবে। প্রস্তাবিত খাদ্য তালিকায় মোট এনার্জির ২৫ দশমিক ৯ শতাংশ, মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের ৩২ দশমিক ২ শতাংশ, প্রোটিনের ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ এবং ফ্যাটের ২১ দশমিক ৭ শতাংশ সরবরাহ নিশ্চিত করার পরিকল্পনা রয়েছে।‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফিডিং কর্মসূচি’র প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, এ প্রকল্পের লক্ষ্য হচ্ছে, বাংলাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের জন্য অর্ন্তভুক্তিমূলক, সমতাভিত্তিক ও গুণগত শিক্ষা অর্জনে সহায়তা এবং পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহের মাধ্যমে তাদের পুষ্টিগত অবস্থার উন্নয়ন সাধন করা।এর ফলে, বিদ্যালয়ে শিশুদের উপস্থিতির হার শতকরা ৮০ ভাগের বেশি হবে এবং ঝরে পড়া কমবে, প্রত্যেক বছর শতকরা ১০ ভাগের বেশি হিসেবে বিদ্যালয়ে প্রকৃত ভর্তির হার বৃদ্ধি পাবে, বিদ্যালয়ে শিশুদের ধরে রাখার হার অন্তত ৯৯ শতাংশে উন্নীত হবে, বিদ্যালয়ে শিশুদের পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার গ্রহনের হার ৯০ শতাংশের বেশী বৃদ্ধি পাবে এবং তাদের ক্ষুধা নিবারণ হবে।প্রকল্প পরিচালক আরো জানান, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশে এই কর্মসূচি সম্প্রসারণ করার বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (শাকসু) নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১৭ ডিসেম্বর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী। তবে এই তারিখ প্রত্যাখ্যান করে তাৎক্ষণিকভাবে বিক্ষোভ শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। শাকসু নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার অভিযোগ তুলে ঘোষিত এ তারিখকে প্রত্যাখ্যান করে রেজিস্ট্রার ভবনে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, নির্বাচন কমিশনকে রেজিস্ট্রার ভবনে অবরুদ্ধ করে স্লোগান দেয় শিক্ষার্থীরা। এদিকে, ১৭ ডিসেম্বর শাকসু নির্বাচন প্রত্যাখান করে বিক্ষোভ শুরু করছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, আগামী ৮ ডিসেম্বর নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। অন্যথায় শাকসু নির্বাচন বয়কট করবেন তারা।তারা জানান, প্রশাসন চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ ও হল দখলবাজদের কথা শুনে এই তারিখ ঘোষণা করেছে। ১৯ ডিসেম্বর থেকে শীতকালীন ছুটি। ১৪ ও ১৬ তারিখ জাতীয় দিবসের কারণে ক্যাম্পাস বন্ধ। শিক্ষার্থীরা অনেকেই ১৩ তারিখের পর বাসায় চলে যাবে। এই তারিখ ঘোষণা করে নির্বাচন বানচাল করতে চাচ্ছে একটি পক্ষ।এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শাকসুর তারিখ ঘোষণা করে সংবাদ সম্মেলন করার কথা ছিল উপাচার্যের। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে তা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপর থেকেই শাকসুর তারিখ ঘোষণার দাবিতে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে অবস্থান নেন। পরে সেদিন রাতে শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রার ভবনে তালা দেন। এরপর রাত ১০টার দিকে তারা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন।এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘শাকসু আমার অধিকার, রুখে দেওয়ার সাধ্য কার’, ‘প্রশাসন রিমেম্বার শাকসু ইন নভেম্বর’, ‘শাকসু দিলে প্রশাসন, না দিলে প্রহসন’, ‘উই ওয়ান্ট শাকসু’, ‘নির্বাচন কমিশন গঠন করো-করতে হবে’, ‘সাস্টিয়ান সাস্টিয়ান-এক হও এক হও’ইত্যাদি স্লোগান দেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
সাভার উপজেলার আশুলিয়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে কোচিং ব্যবসা বন্ধসহ মোট ৩টি পৃথক নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, ঢাকা। বোর্ডের তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জারি করা আদেশে বলা হয়েছে, বিদ্যালয়ে কোনো ধরনের অতিরিক্ত ফি, বেতন বাড়ানো যাবে না।একইসঙ্গে সব আর্থিক লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে এবং কোচিং বানিজ্য বন্ধের নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে বোর্ডের কলেজ শাখার পরিচালক মো. রিজাউল করিম এসব নির্দেশনা দিয়েছেন।এতে বলা হয়েছে, ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার আশুলিয়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত করে তিন দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ড প্রণীত ভর্তি নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। কোনোভাবেই অতিরিক্ত ফি, সেশন চার্জ বা অনৈতিকভাবে ছাত্র–ছাত্রীদের বেতন বাড়ানো যাবে না।এছাড়া প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের আর্থিক লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে এবং ম্যানুয়াল রশিদ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না। একই সঙ্গে ‘কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা–২০১২’ কঠোরভাবে মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা বোর্ড।তদন্ত প্রতিবেদনটি গত ২৮ জুলাই তারিখের একটি আদেশের সূত্র ধরে করা হয়। তদন্তে আশুলিয়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিষয় খোলার প্রক্রিয়ায় অসঙ্গতি ও নীতিমালা লঙ্ঘনের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ ছিল।ভোরের আকাশ/এসএইচ
সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া এবারও লটারির মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। আগামী ২১ নভেম্বর ভর্তি আবেদন গ্রহণ শুরু হবে, যা চলবে আগামী ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রাপ্ত আবেদন থেকে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করবে প্রতিষ্ঠান। এই লটারির সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ ডিসেম্বর।সোমবার (১০ নভেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক বি এম আবদুল হান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় অংশ নেওয়া মাউশির একাধিক কর্মকর্তা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আগামী ২১ নভেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদনগ্রহণ শুরু হবে। আবেদন প্রক্রিয়া শেষে আগামী ১৪ ডিসেম্বর ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠিত হতে পারে। আগামী ১৯ নভেম্বরের মধ্যে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। এর আগে, গত বছর ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর থেকে দেশের সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণির ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তির আবেদন অনলাইনে শুরু হয়েছিল। চলে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। ভর্তির আবেদন ফি ছিল ১১০ টাকা।ভোরের আকাশ/এসএইচ