ফের দাম বাড়লো স্বর্ণের
দেশের বাজারে সোনার দাম আবার বেড়েছে। ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ৩ হাজার ৩৩ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৬৫ হাজার ২০৯ টাকা। যা দেশের ইতিহাসে রেকর্ড।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। যা আজ বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) থেকেই কার্যকর হবে।
এতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) দাম বেড়ে যাওয়ায় দাম সমন্বয় করা হয়েছে। নতুন দাম আগামীকাল বৃহস্পতিবার বার থেকে কার্যকর হবে। সর্বশেষ ১৩ এপ্রিল রাতে সোনার দাম ভরিপ্রতি সর্বোচ্চ ১ হাজার ৩৮ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৬২ হাজার ১৭৬ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এ দামেই বুধবার রাত পর্যন্ত সোনা বিক্রি হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) থেকে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম দাঁড়াবে ১ লাখ ৬৫ হাজার ২০৯ টাকা। ২১ ক্যারেট এক লাখ ৫৭ হাজার ৬৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক লাখ ৩৫ হাজার ১৭৪ টাকা। এ ছাড়া সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম বেড়ে দাঁড়াবে এক লাখ ১১ হাজার ৬৫৯ টাকা।
দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। বাজুসের তথ্য অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতিভরি রুপার দাম ১ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা আছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
দীর্ঘদিন পর ব্যবস্থাপনা পরিচালক পাচ্ছে বেসরকারি খাতে দেশের অন্যতম বৃহত্তম আর্থিক প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ব্যাংক। ব্যাংক এশিয়ার সাবেক কর্মকর্তা আরিফ বিল্লাহ আদিল চৌধুরী আগামী জুলাই মাস থেকে ন্যাশনালের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।এ বিষয়ে বাংলাদেশের ব্যাংকের অনুমোদন মিলেছে। আদিল চৌধুরীর মেয়াদ হবে ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত। তিনি ২০২০ সালের আগস্টে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে ব্যাংক এশিয়ায় যোগ দেন। এরপর তিনি অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি পান। একই ব্যাংকে তিনি এমডি পদে বসেন ২০২২ সালের নভেম্বরে। তবে আট মাসের মাথায় ২০২৩ সালের জুলাইয়ে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন তিনি।এদিকে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ন্যাশনাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদ থেকে সরে দাঁড়ান তৌহিদুল আলম খান। তার সঙ্গে পদত্যাগ করেন ব্যাংকটির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) আব্দুল মতিনও। বর্তমানে ন্যাশনাল ব্যাংকের (এনবিএল) এমডি পদে চলতি দায়িত্ব পালন করছেন ইমরান আহমেদ।ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালক ও কর্মকর্তাসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কাগুজে বিল সৃষ্টি করে ঋণের ৪৫৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয় ওই মামলায়। আসামি করা হয় দীর্ঘদিন ব্যাংকটির নিয়ন্ত্রণে থাকা সিকদার পরিবারের কয়েক সদস্যকে।সিকদার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বিবাদের জেরে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয় সৈয়দ ফারহাত আনোয়ারকে। তার সময়ে ইউনাইটেড কমার্সিয়াল ব্যাংকের সঙ্গে এনবিএলকে একীভূত করার আলোচনা শুরু হয়। কিন্তু ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটলে সেই আলোচনা আর এগোয়নি।এর মধ্যে ঋণ জালিয়াতি ও অনিয়মে ধুঁকতে থাকা ন্যাশনাল ব্যাংক তারল্য সংকটে পড়ে। অগাস্টে ক্ষমতার পালাবদলের পর বাংলাদেশ ব্যাংক যখন ন্যাশনাল ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দেয়, তার আগ পর্যন্ত পর্ষদের নিয়ন্ত্রণ ছিল চট্টগ্রামভিত্তিক ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলমের হাতে। পরে এ ব্যাংকের পুরনো উদ্যোক্তা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু চেয়ারম্যান হিসেবে ফিরে আসেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
দখলদার ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান সংঘাতের প্রভাবে বিশ্ববাজারে ক্রমেই বাড়ছে জ্বালানি তেলের দাম। ইরানের পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনায় হামলার পর শুক্রবার এক লাফে জ্বালানি তেলের দাম ১৩ শতাংশ বেড়েছিল। এরপর থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ৬ সেন্ট বা দশমিক ০৮ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৭৪ দশমিক ২৯ ডলারে দাঁড়ায়। সেই সঙ্গে মার্কিন ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুডের দাম ২১ সেন্ট বা দশমিক ২৯ শতাংশ বেড়ে ৭৩ দশমিক ১৯ ডলারে দাঁড়িয়েছে।এর আগে দিনের শুরুতে ব্যারেল প্রতি ৪ ডলার পর্যন্ত দাম বেড়েছিল জ্বালানি তেলের। তারও আগে শুক্রবার ব্রেন্ট ক্রুড ও ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম ৭ শতাংশ বেড়ে যায়, যা গত জানুয়ারির পর থেকে সর্বোচ্চ দর।গত শুক্রবার ইরানে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। জবাবে সেদিন থেকেই ইসরায়েলের একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। সোমবারও ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তেল আবিব ও হাইফা পোর্ট সিটিতে অন্তত দু’টি ভবনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।বিশ্লেষকরা বলছেন, পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে হরমুজ প্রণালীতে জাহাজ চলাচল বাধাগ্রস্ত হতে পারে। বিশ্বের মোট তেল ব্যবহার্যের এক-পঞ্চমাংশ প্রায় ১৮-১৯ মিলিয়ন ব্যারেল প্রতিদিন এই প্রণালী দিয়ে যাতায়াত করে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
নতুন করে আরও চারটি তৈরি পোশাক ও বস্ত্র কারখানা পরিবেশবান্ধব সনদ পেয়েছে। এতে দেশে পরিবেশবান্ধব কারখানার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৪৮টি। পরিবেশবান্ধব সনদ পাওয়া নতুন কারখানাগুলো হচ্ছে মানিকগঞ্জের অ্যাডভান্স অ্যাটায়ার, নরসিংদীর আমানত শাহ ফেব্রিকস (ওভেন কম্পোজিট), গাজীপুরের কটন ফিলড বিডি (প্রোডাকশন বিল্ডিং), ঢাকার উত্তরখানের কেএম অ্যাপারেল নিট।যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) থেকে এই পরিবেশবান্ধব সনদ পেয়েছে চারটি কারখানা। এ সনদ পাওয়ার জন্য কিছু শর্ত পরিপালন করতে হয়। মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে কোনো কারখানা ৮০-এর বেশি পেলে ‘লিড প্লাটিনাম’, ৬০-৭৯ পেলে ‘লিড গোল্ড’, ৫০-৫৯ নম্বর পেলে ‘লিড সিলভার’ ও ৪০-৪৯ নম্বর পেলে ‘লিড সার্টিফায়েড’ সনদ দেওয়া হয়।নতুন সনদ পাওয়া চারটির কারখানার মধ্যে তিনটি লিড প্লাটিনাম পেয়েছে। সেগুলো হচ্ছে অ্যাডভান্স অ্যাটায়ার, আমানত শাহ ফেব্রিকস ও কটন ফিলড বিডি। অন্যদিকে কেএম অ্যাপারেল নিট লিড গোল্ড সনদ পেয়েছে। বাংলাদেশের যে ২৪৮টি কারখানা এখন পর্যন্ত পরিবেশবান্ধব কারখানার স্বীকৃতি পেয়েছে, তার মধ্যে ১০৫টি কারখানা প্লাটিনাম সনদ, ১২৯টি গোল্ড সনদ পেয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের কারখানাগুলো সর্বোচ্চ মানের পরিবেশবান্ধব কারখানার শর্ত পূরণ করতে পারছে। বাকি ১৪টি কারখানার মধ্যে সিলভার সনদপ্রাপ্ত কারখানা ১০টি এবং সার্টিফায়েড সনদপ্রাপ্ত কারখানা ৪টি।তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল ভোরের আকাশকে বলেন, বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি পরিবেশবান্ধব কারখানার মধ্যে ৬৮টি কারখানাই এখন বাংলাদেশের।ভোরের আকাশ/এসএইচ
অনুমিতভাবেই বড় হচ্ছে দেশের মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ। বেড়িয়ে আসছে দেশের আর্থিক খাতের প্রকৃত চিত্র। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। এটি বিতরণ করা মোট ঋণের ২৪ শতাংশের বেশি।বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আর্থিক খাতে বেপরোয়া লুটপাটের ক্ষতচিহ্ন হচ্ছে এই বিপুল খেলাপি ঋণ। বিগত দিনে নানা কৌশলে এগুলো লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে এগুলো প্রকাশ পাচ্ছে। আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ মোট বিতরণকৃত ঋণের এক তৃতীয়াংশে পৌঁছাতে পারে বলে আশঙ্কা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের।তথ্য বলছে, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের সময় খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২২ হাজার ৪৮১ কোটি টাকা। বিগত সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে প্রায় ১৯ গুণ বেড়েছে খেলাপি ঋণের পরিমাণ। গতকাল রোববার মার্চভিত্তিক খেলাপি ঋণের তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। স্বাভাবিকভাবে এই তথ্য মে মাসে প্রকাশ করার রেওয়াজ থাকলেও বেশ কয়েকটি ব্যাংকের খেলাপির হিসাব পেতে দেরি হওয়ায় প্রতিবেদন প্রকাশে দেরি হয়েছে বলে জানা গেছে।এর আগে ডিসেম্বরভিত্তিক যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছিল তাতে মোট খেলাপির পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা। এই হিসেবে তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৭৪ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা, শতাংশীয় হিসেবে যা ২২ শতাংশের কাছাকাছি। এ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে মোট নতুন খেলাপি হলো প্রায় ২ লাখ ৯ হাজার কোটি টাকা।এদিকে বিগত সরকারের সময় নেওয়া অনেক বড় বড় ঋণই দিন দিন খেলাপি হয়ে পড়ছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়বে বলে ধারণা বাংলাদেশ ব্যাংকের। তখনই মূলত আর্থিক খাতের প্রকৃত চিত্র প্রকাশ পাবে। এরপর থেকেই ধীরে ধীরে খেলাপি ঋণ কমে আসবে বলে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ঋণের নামে ব্যাংক লুট হয়েছে ও লুটের টাকা পাচার হয়েছে। এগুলো এখন খেলাপি হয়ে পড়ছে। এসব ঋণের অনেকগুলোরই জামানত না থাকায় কিংবা অপর্যাপ্ত জামানত থাকায় এগুলো সরাসরি কু-ঋণে পরিণত হচ্ছে। এতেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে খেলাপি ঋণ। আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়তে থাকবে। কারণ, বিগত সরকারের একবারে শেষ সময়েও যে ঋণ নেওয়া হয়েছে সেগুলোর খেলাপি হওয়ার মেয়াদ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই পূর্ণ হয়ে যাবে। ওই সময় আর্থিক খাতের আসল চিত্র পাওয়া যাবে।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মার্চ শেষে মোট বিতরণকৃত ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৪১ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা, যা বিতরণ করা মোট ঋণের ২৪ দশমিক ১৩ শতাংশ।এদিকে ২০২৪ সালের মার্চ শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা, যা তৎকালীন বিতরণকৃত ঋণের ১১ দশমিক ১১ শতাংশ। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৪০ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে।সাবেক সরকারের আমলে ব্যাংক থেকে প্রভাবশালীদের বড় অঙ্কের ঋণ দিতে নানা সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি খেলাপি ঋণ কাগজে-কলমে কম দেখাতে নেওয়া হয়েছিল একের পর এক নীতি। সরকার পরিবর্তনের পর সেই নীতি থেকে সরে এসেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যে কারণে খেলাপি ঋণ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা। বাংলাদেশ ব্যাংক পূর্বের নীতি থেকে সরে আসায় ইসলামী ব্যাংকে খেলাপি ঋণ সবচেয়ে বেশি বেড়েছে।একইভাবে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের খেলাপি ঋণও বেশ বেড়েছে। পাশাপাশি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের মালিকানাধীন বেক্সিমকো গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ, এস আলমসহ আরও কিছু বড় ব্যবসায়ী গোষ্ঠী ঋণখেলাপি হয়ে পড়েছে। এতেও বেড়েছে খেলাপি ঋণ।পাঁচ ব্যাংকের খেলাপি বেড়েছে ৮৫ হাজার কোটি টাকা : সমস্যাগ্রস্ত পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক এতদিন নিয়মিত দেখিয়ে আসছিল এমন প্রায় ৮৫ হাজার কোটি টাকার খেলাপি ঋণের তথ্য উদ্ঘাটিত হয়েছে। সবমিলিয়ে পাঁচটি ব্যাংকের মোট খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ লাখ ৪৭ হাজার কোটি টাকা। মোট ঋণের যা প্রায় ৭৭ শতাংশ। বিপুল অঙ্কের খেলাপি ঋণের কারণে ব্যাংকগুলোর প্রভিশন বা নিরাপত্তা সঞ্চিতির ঘাটতি দেখা দিয়েছে ৭৪ হাজার ৫০১ কোটি টাকা।ভোরের আকাশ/এসএইচ