ছবি: সংগৃহীত
বিভিন্ন পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালনের স্বীকৃতি হিসেবে ‘বেগম রোকেয়া পদক ২০২৫’ পাচ্ছেন ৪ বিশিষ্ট নারী। তারা হলেন- নারী শিক্ষায় (গবেষণা) ড. রুভানা রাকিব, নারী অধিকারে (শ্রম অধিকার) কল্পনা আক্তার, মানবাধিকারে ড. নাবিলা ইদ্রিস ও নারী জাগরণে (ক্রীড়া) রিতু পর্ণা চাকমা।
নারী শিক্ষা (গবেষণা), নারী অধিকার (শ্রম অধিকার), মানবাধিকার ও নারী জাগরণ (ক্রীড়া) ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালনের স্বীকৃতিস্বরূপ এই চারজন বিশিষ্ট নারী ব্যক্তিত্বকে ‘বেগম রোকেয়া পদক ২০২৫’ প্রদানের লক্ষ্যে চূড়ান্তভাবে মনোনয়নের জন্য সর্বসম্মতিক্রমে সুপারিশ করে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ নভেম্বর বিকালে এবং ৭ ডিসেম্বর দুপুরে অনুষ্ঠিত জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বর্ধিত সভার সুপারিশ অনুমোদনের প্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়। প্রধান উপদেষ্টা সেই সারসংক্ষেপ অনুমোদন করেছেন। এখন প্রজ্ঞাপন জারির অপেক্ষায় রয়েছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
কয়েকদিনের মধ্যেই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। তফসিল ঘোষণার পর সব ধরনের বেআইনি ও অনুমোদনহীন জনসমাবেশ এবং আন্দোলন পরিচালনা থেকে বিরত থাকতে সবাইকে আহ্বান জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিতব্য ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও উৎসবমুখর হয়- বর্তমানে এটিই অন্তর্বর্তী সরকারের মূল লক্ষ্য। একটি সুন্দর নির্বাচন আয়োজনের জন্য যা যা করণীয় সরকার সেইদিকেই মনোনিবেশ করছে।নির্বাচনী তপশিল ঘোষণার পর সশস্ত্র বাহিনীসহ দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত সকল বাহিনী নির্বাচনী পরিবেশ যাতে নিশ্চিত হয় সে লক্ষ্যে কাজ করবে। দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীসহ অন্যান্য বাহিনীর প্রায় ৯ লাখ সদস্য নিয়োজিত থাকবে, যা এ যাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ। সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যেই রেকর্ডসংখ্যক দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।তপশিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচন পর্যন্ত যে কোনো ধরনের বেআইনি ও অনুমোদনহীন জনসমাবেশ, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে এমন আন্দোলন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। যারা বেআইনিভাবে সভা-সমাবেশে অংশ নেবেন তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আমরা জানি, অনেকেরই নায্য দাবি-দাওয়া রয়েছে। গত দেড় বছরে দুই হাজারের বেশি আন্দোলন-বিক্ষোভ সংগঠিত করে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আন্দোলনকারীরা দাবি-দাওয়া উপস্থাপন করেছেন। সরকার নায্য দাবিতে সবসময়ই সাড়া দিয়েছে, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানে পৌঁছাতে চেষ্টা করেছে।উপদেষ্টা বলেন, কিন্তু আমরা এখন নির্বাচনমুখী সময়ে আছি। এ কারণে, সকলের যা কিছু দাবি-দাওয়া আছে তা নির্বাচন পরবর্তী সরকারের কাছে উপস্থাপনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হচ্ছে। আমরা আশা করব, এ সময়ের মধ্যে কেউ দাবি-দাওয়া নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি বা স্বাভাবিক পরিবেশ বিঘ্ন করবেন না।ভোরের আকাশ/তা.কা
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের তফসিল চলতি সপ্তাহে হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান। প্রধান বিচারপতির খাসকামরায় প্রায় ঘন্টাব্যাপী তাদের মধ্যে একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।এর আগে, ইসি থেকে তিনি সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে আসেন। সিইসিকে সুপ্রিম কোর্টে স্বাগত জানান রেজিস্ট্রার জেনারেল মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী। দেশের নির্বাচনি তফসিল ঘোষণার আগে রেওয়াজ অনুযায়ী প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করেন সিইসিরা।গত ৭ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানিয়েছেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোট নিয়ে তফসিল আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ঘোষণা হবে। এর আগে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।এ দিন ইসি থেকে সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে আসেন সিইসি। সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে রেওয়াজ অনুযায়ী প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করেন সিইসিরা। তবে আজ সিইসি এবং তার সচিব বৈঠকের উদ্দেশ্যে এসেছেন।ভোরের আকাশ/তা.কা
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ভাষণ চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সিইসি নাসির উদ্দীন ভোটের তফসিল ঘোষণা করবেন।মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আগামীকাল বুধবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সন্ধ্যায় কিংবা ১১ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে কমিশন। তফসিল ঘোষণায় রাজনৈতিক দলসহ সকলের সহযোগিতার বিষয়ে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হবে।তফসিলের বিষয়ে আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, বিটিভি ও বেতারকে চিঠি দিচ্ছে ইসি সচিবালয়। ভাষণের মাধ্যমে তফসিল হবে। ১০ ডিসেম্বর হতে পারে। আর তো সময় নেই। ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে তফসিল দিতে হবে।তফসিলে আগামী বছর ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোটগ্রহণের দিন ধার্য করা হতে পারে বলে জানা গেছে।নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বধীন নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম ভোটের অভিজ্ঞতা নিতে যাচ্ছে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে। প্রথম ধাপেই জাতীয় নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন দিয়ে কঠিন পরীক্ষার মধ্যে পড়তে যাচ্ছে সংস্থাটি।ইতোমধ্যে নির্বাচন আয়োজনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানিয়েছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। সরকারপ্রধান এ ব্যাপারে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সরকারপ্রধান একটি সুষ্ঠু, সুন্দর এবং ঐতিহাসিক নির্বাচন উপহার দিতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশনা দিয়েছেন।ভোরের আকাশ/তা.কা
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন।মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রধান বিচারপতির খাসকামরায় তারা একান্ত বৈঠকে বসেন।দুপুর ২টার আগে ইসি থেকে সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে আসেন সিইসি। সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে রেওয়াজ অনুযায়ী প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করেন সিইসিরা। তবে আজ সিইসি একাই এসেছেন তার সচিবকে নিয়ে।জানা গেছে, সীমানাসংক্রান্ত মামলা ছাড়াও তফসিল ঘোষণার পর কোনো রিট যাতে নির্বাচনী কাজকে বাধাগ্রস্ত না করতে পারে সেসব বিষয়ে বৈঠকে কথা হবে। কথা হবে নির্বাচন পরিচালনার সময় বিচারকদের ম্যাজিস্ট্রেসি দায়িত্ব পালনের বিষয় নিয়েও।ভোরের আকাশ/তা.কা