সংগৃহীত ছবি
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাত দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতীয় সমাবেশ। রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই সমাবেশ দুপুর ২টা থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও গতকাল শুক্রবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যা থেকেই নেতাকর্মীরা উদ্যানে জড়ো হতে শুরু করেছেন।
এদিকে, আজ সকালেও খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসছেন তারা। নেতাকর্মীদের মিছিল নারায়ে তাকভীর ধ্বনিতে মুখরিত ঢাকার রাজপথ। সমাবেশস্থলে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বাইরেও অবস্থান করছেন হাজার হাজার নেতাকর্মী।
দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বাস, ট্রেন ও লঞ্চে করে আসা নেতাকর্মীরা রাজধানীতে এসে মিছিল সহকারে সমাবেশস্থলে প্রবেশ করছেন। নেতাকর্মীদের অনেকের হাতে তাদের দলীয় প্রতীক দাাঁড়িপাল্লা শোভা পাচ্ছে। দাঁড়িপাল্লা ও দলীয় মনোগ্রাম সম্বলিত টি-শার্ট, পাঞ্জাবি পরে এসেছে অধিকাংশ নেতাকর্মী।
জামায়াতের এই সমাবেশ সফল করতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় দায়িত্ব পালন করছে ২০ হাজারের মতো স্বেচ্ছাসেবক। ভোর থেকে থেকে সমাবেশ স্থলের আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিভিন্ন স্থানে স্বেচ্ছাসেবকরা দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন।
শনিবার ভোর থেকেই যাত্রাবাড়ি, সায়দাবাদ, টিকাটুলি, বঙ্গভবন, পল্টন থেকে হাইকোর্ট হয়ে শাহবাগ এলাকার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে, স্বেচ্ছাসেবকরা সবাই একই ধরনের পোশাক পরে বিভিন্ন স্পটে অবস্থান নিয়েছেন। তারা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতাকর্মীদের সহযোগিতা করছেন। কোন অঞ্চলের মানুষ কোন গেট দিয়ে প্রবেশ করবেন তা বুঝিয়ে দিচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবকরা।
রাজধানী ঘুরে দেখা গেছে, নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যাবার পথে পথিমধ্যে বিভিন্ন পাবলিক পরিবহন- বাস, সিএনজিসহ প্রাইভেট গাড়িকে সাইড দিচ্ছে এবং সারিবদ্ধভাবে মিছিল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
জামায়াত যে সাত দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে জাতীয় সমাবেশের আয়োজন করেছে সেগুলো হলো- অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ, সব গণহত্যার বিচার, প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার, ‘জুলাই সনদ’ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন ও এক কোটিরও বেশি প্রবাসী ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণ।
জানা গেছে, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এককভাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ করছে জামায়াতে ইসলামী। এর আগে কখানোই দলটি এভাবে সমাবেশ করার সুযোগ পায়নি।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
সাত দফা দাবিতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশ। এতে সভাপতিত্ব করছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুর ২টায় কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সমাবেশের মূল পর্ব শুরু হয়।এর আগে সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে জাতীয় সমাবেশের প্রথম পর্ব শুরু হয়েছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন সাইফুল্লাহ মানসুর। সাইমুম শিল্পী গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেছে।সাত দফা দাবিতে আয়োজিত জামায়াতের জাতীয় সমাবেশে মানুষের ঢল নেমেছে। সমাবেশ শুরুর অনেক আগেই দলটির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উপস্থিতিতে প্রায় কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। উদ্যানের বাইরেও অবস্থান করছেন হাজার হাজার নেতাকর্মী। নেতাকর্মীদের অনেকের হাতে তাদের দলীয় প্রতীক দাাঁড়িপাল্লা শোভা পাচ্ছে। দাঁড়িপাল্লা ও দলীয় মনোগ্রাম সম্বলিত টি-শার্ট ও পাঞ্জাবি পরে এসেছেন হাজারো নেতাকর্মী।সাত দফা দাবিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জামায়াতের জাতীয় সমাবেশ। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ, সব গণহত্যার বিচার, প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার, ‘জুলাই সনদ’ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন ও এক কোটির বেশি প্রবাসী ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণ।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যতদিন যাচ্ছে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে। যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় বিশ্বাস করে না- তারা আবার সক্রিয় হচ্ছে। শনিবার (১৯ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাব অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।মির্জা ফখরুল বলেন, অযথা বিলম্ব না করে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। অনতিবিলম্বে নির্বাচন দিয়ে পরিস্থিতি ঠিক করার আহ্বান জানাচ্ছি। এই দায়িত্ব এখন অন্তর্বর্তী সরকারের।তিনি বলেন, সংস্কার বিএনপিই করেছে, প্রস্তাবও বিএনপিই দিয়েছে, তাই অযথা বিলম্ব না করে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। অনতিবিলম্বে নির্বাচন দিয়ে পরিস্থিতি ঠিক করার আহ্বান জানাই। এই দায়িত্ব এখন অন্তর্বর্তী সরকারের, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের।তিনি আরও বলেন, সরকারের প্রতিটি পর্যায়ের যারা আছেন, তারা সব দলের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি বন্দোবস্ত দেবেন। সবাই যেন একটি বিষয়ে একমত হই, যেন কেউ ফ্যাসিবাদের কাছে দেশকে ছেড়ে না দেই।বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিপ্লব করে ক্ষমতায় যাওয়ার সামর্থ্য নেই, ইচ্ছেও নেই। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের সমর্থনে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা গঠন করতে চায় বিএনপি। কোনো বাধাই থামাতে পারবে না। একাত্তরের স্বাধীনতা মূল কথা, সেখানে কোনো ছাড় নেই। গণতন্ত্রের দিকে যেতে হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে অংশ নেওয়া লাখো মানুষের জন্য স্থাপন করা হয়েছে ৩৩টি এলইডি স্ক্রিন। দূর-দূরান্ত থেকে আসা অংশগ্রহণকারীদের যেন বক্তব্য ও সাংগঠনিক বার্তা স্পষ্টভাবে দেখতে ও শুনতে কোনো অসুবিধা না হয়, সেজন্যই এ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে দলটি।জানা গেছে, মূল মঞ্চের সামনের পাশাপাশি উদ্যানের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে এসব বড় স্ক্রিন বসানো হয়েছে। এর মাধ্যমে সমাবেশের প্রতিটি মুহূর্ত সরাসরি প্রচার করা হচ্ছে। ফলে মঞ্চ থেকে অনেক দূরে অবস্থান করা অংশগ্রহণকারীরাও সমাবেশ উপভোগ করতে পারছেন স্পষ্টভাবে।জামায়াত নেতারা জানান, এবারের জাতীয় সমাবেশে লাখো মানুষের অংশগ্রহণকে কেন্দ্র করে পরিকল্পনার শুরু থেকেই প্রযুক্তির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রথমবারের মতো জাতীয় সমাবেশ করছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। শনিবার (১৯ জুলাই) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে জাতীয় সমাবেশের প্রথম পর্ব শুরু হয়েছে।সাইফুল্লাহ মানসুরের উপস্থাপনায় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা পরিচালনা করছে সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠী। এছাড়া নহদনগর ও বিভাগীয় পর্যায়ের শিল্পীরাও সাংস্কৃতিক আয়োজনে অংশ নিচ্ছেন। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের একক জাতীয় সমাবেশ। সমাবেশ শুরুর অনেক আগেই উদ্যান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ভিড়ে। সমাবেশস্থলের বাইরেও অবস্থান নিয়েছেন হাজারো নেতাকর্মী।দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বাস, ট্রেন ও লঞ্চে করে নেতাকর্মীরা ঢাকায় পৌঁছে মিছিল সহকারে সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন। তাদের অনেকের হাতে রয়েছে দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা। অনেকেই দাঁড়িপাল্লা ও দলীয় মনোগ্রাম সংবলিত টি-শার্ট ও পাঞ্জাবি পরে এসেছেন। নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থেকে আসা কর্মী সোহেল হাসান জানান, তাদের উপজেলা থেকেই প্রায় ৪০টি বাসে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ এসেছেন।সিরাজগঞ্জ থেকে আসা কর্মী এরশাদ আলী বলেন, বাসে, ট্রেনে মিলিয়ে ৩০-৪০ হাজার নেতাকর্মী সিরাজগঞ্জ থেকে এসেছি। অনেকে রাত থেকেই সমাবেশস্থলে অবস্থান করছেন।সমাবেশ সফল করতে প্রায় ২০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করছেন। ভোর থেকেই তারা হাইকোর্ট, মৎস্যভবন, শাহবাগসহ আশপাশের এলাকায় বিভিন্ন স্পটে অবস্থান নেন। সবার পরনে রয়েছে একই ধরনের পোশাক। আগতদের গেট নির্দেশনা দেওয়া, পথনির্দেশ ও নিরাপত্তায় সহযোগিতা করছেন তারা।ভোরের আকাশ/এসএইচ