× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

নির্বাচন প্রশ্নেই দ্বন্দ্বে বিএনপি-জামায়াত

মাজাহারুল ইসলাম

প্রকাশ : ১৯ জুলাই ২০২৫ ০৯:৫৯ এএম

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

নির্বাচন প্রশ্নেই যেন বৈরিতা ও কাদা ছোড়াছুড়ি চলছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে বলে মন্তব্য করেছেন দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকসহ বিশিষ্টজনেরা।  তাদের মতে, দল দু’টির মধ্য সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি নিয়েও রয়েছে বৈরিতা।

অনেকেই মনে করেন, আগামী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণতন্ত্রের পথে যাত্রা ব্যাহত করতেই জামায়াত বিভিন্ন চক্রান্ত করছে। পাশাপাশি গত ১৩ জুন লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকেও অসন্তোষ জামায়াত। দলটি ক্ষোপ প্রকাশ করে বলেছে, তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করে প্রধান উপদেষ্টা নিরপেক্ষতা হারিয়েছেন।  বিদেশের মাটিতে একটি দলের শীর্ষ নেতার সঙ্গে সরকারপ্রধানের এমন বৈঠক পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন।  এতে জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিবৃত।

এদিকে, নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনে ডিসেম্বরের মধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।  বিশিষ্টজনেরা বলেন, প্রধান উপদেষ্টার এ ঘোষণাকে স্বাগত জানায় বিএনপি।  পক্ষান্তরে জামায়াত অসন্তোষ প্রকাশ করে সভা-সমাবেশে আগে বিচার ও সংস্কার তারপর নির্বাচনের কথা বলছে।  জামায়াত বলছে, ‘দেশে নির্বাচনের পরিবেশ নেই।’

পাশাপাশি দেশের জনপ্রিয় দল বিএনপিকে জনবিচ্ছিন্ন করার মিশন নিয়ে রাজনৈতিক মাঠে রয়েছে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা।  নেতিবাচক বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন দলটির নেতারা।  জামায়াত মনে করে, বিএনপি জনপ্রিয় দল জনগণের ভোটে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ক্ষমতায় বসবে।  তাতে জামায়াতের লাভ নেই, তারা মনে করে, ‘যতদিন ইউনূস সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন আমরা বিনা বাধায় কাজ করতে পারছি।  আমাদের সঙ্গে সরকারের সুসম্পর্ক রয়েছে।  কিন্তু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে আমাদের জন্য সেটিও বন্ধ হয়ে যাবে।  তাই সংস্কার ও বিচারের নাম করে সময় যত কালক্ষেপণ করা যায়, ততই জামায়াতের জন্য মঙ্গল।’ বিএনপি ক্ষমতায় আসলে জামায়াত কোণঠাসা হবে মনে করেই বিএনপির নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা।

বিশিষ্টজনদের ধারণা, এ মুহূর্তে বাংলাদেশে নির্বাচন হলে বিএনপির ২৫০টির বেশি আসন পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।  জামায়াত ও এনসিপি এবং অন্যান্য দল মিলে ২৫০ আসন পাবে কিনা সন্দেহ রয়েছে।  জামায়াতের মূল দ্বন্দ্বই হলো ক্ষমতা।  তাই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও দলটি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। 
জনপ্রিয় দল বিএনপিকে জনবিচ্ছিন্ন করতে জামায়াত-শিবিরের অপপ্রচার প্রসঙ্গে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, রাজনৈতিক পরিবেশ নষ্ট ও জাতীয় নির্বাচন বাধাগ্রস্ত ও অনিশ্চিত করতে চান।  বিএনপি বলেছে, গণতন্ত্রে উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করতে এবং আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ব্যাহত করতে একটি মহল পরিকল্পিতভাবে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিণতির অবনতি ঘটাচ্ছে।  মব, হত্যা, ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজির মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বাড়ছে।  আইনশৃঙ্খলা পরিণতি উন্নয়নে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তিনি।

নির্বাচন প্রসঙ্গে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘দেশে এখনো সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ দেখছি না।  এবার যেনতেন নির্বাচন মেনে নেওয়া হবে না।  ১৪, ১৮ ও ২৪ মার্কা নির্বাচনের আলামত লক্ষ্য করা যাচ্ছে।  যারা এ ধরনের অপকর্মের চিন্তা করছেন তাদের জন্য আমাদের স্পষ্ট বার্তা- মানুষ রক্ত দিয়ে পরিবর্তন এনেছে।  আবার প্রয়োজনে রক্তের বিনিময়ে পরিবর্তনকে সফল করব।  এক্ষেত্রে এ জাতি কাউকে কোনো ছাড় দেয়নি, আমরাও দেবো না।’

এ বিষয়ে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেনে, সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নয়।  সংস্কার ছাড়া আগামী জাতীয় নির্বাচন হলে পুনরায় ফ্যাসিবাদের উত্থান হবে।  তাই কোনো ষড়যন্ত্র যাতে সংস্কারকে বিঘ্নিত করতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।  তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, নির্বাচনের আগে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত গণহত্যার বিচার, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মৌলিক সংস্কার নিশ্চিত, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য, জুলাই আহতদের চিকিৎসা, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার পরই আগামী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন।  বিএনপির দিকে ইঙ্গিত করে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের মন্তব্য করেছেন, সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক (পিআর) নির্বাচন ব্যবস্থা বড় একটি দলের বিরোধিতায় আটকে যাওয়াটা অবিচার হবে, বৈষম্য হবে।

প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির দূরত্ব ক্রমেই বাড়ছে।  শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে চলছে কথার লড়াই।  আর রাজপথে কর্মীদের পরস্পরকে আক্রমণ করে দেওয়া স্লোগানও বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে।   এতে করে উত্তাপ ক্রমেই বাড়ছে। বাড়ছে রাজনীতিতে অস্তিরতারও।  দীর্ঘ ১৬ বছরের শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনের কবল থেকে মুক্ত হয়ে দেশ গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু।  নির্বাচনমুখী হচ্ছিল দেশ।  ঠিক তখনই বর্তমান বাস্তবতায় বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এলো।

সম্প্রতি রাজধানীর পুরান ঢাকায় ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে বিএনপি জামায়াতের এমন দ্বন্দ্বে গভীর উদ্বেগ ও শঙ্কা প্রকাশ করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও।  তাদের মতে, বিএনপি-জামায়াতসহ অন্যান্য দলগুলোর এ দ্বৈরথ দেশের রাজনীতিতে নতুন করে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।  এ সংকট সমাধান না হলে দেশকে বড় ধরনের সহিংসতার দিতে ঠেলে দিতে পারে।  নির্বাচন প্রক্রিয়া ঝুলে যেতে পারে।  মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডের ভিডিও শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর রাতেই বুয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের কয়েকটি জায়গায় কোথায় ‘ছাত্র-জনতা’ আবার কোথাও ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’ পরিচয়ে জামায়াত-শিবির মিছিল বের করে।  এসব মিছিল থেকে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে স্লোগান ও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয় বিএনপিতে।  বিএনপির সহযোগী সংগঠনগুলোও এর বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়ে জামায়াত-শিবিরকে ইঙ্গিত করে বলছে, গোপন তৎপরতায় অভ্যস্ত একটি গুপ্ত সংগঠন কর্তৃক মব সৃষ্টির অপচেষ্টা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করে সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে।  এসব প্রচার পাল্টা প্রচারে দলগুলো পরস্পরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি কিংবা অর্থ আদায়ের জন্য নানা কৌশল অবলম্বনের প্রচার-পাল্টা প্রচার করছেন যেখানে, ‘চাঁদাবাজি, ডোনেশন, বাইতুল মাল, হাদিয়া কিংবা বিকাশ’ এমন শব্দগুলো তারা একে অন্যের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করছেন।  

অন্যদিকে, জামায়াত গত কয়েকমাস ধরেই দেশজুড়ে চাঁদাবাজির জন্য বিএনপিকে ইঙ্গিত করে বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়ে আসছে।  সেটিই গত কয়েকদিনে আরও জোরালো হতে দেখা গেছে সামাজিক মাধ্যমে।  সম্প্রতি ছাত্রশিবিরকে গুপ্ত সংগঠন বলেও আখ্যা দিয়েছে ছাত্রদল।  তাদের দাবি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নামেও বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা (অপপ্রচার) চালিয়ে যাচ্ছে ছাত্রশিবির।  ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলছেন, অন্য কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডা না থাকায় ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে বিএনপি ও ছাত্রদল রাজনৈতিক অপপ্রচার শুরু করেছে। ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে একটা বয়ান দাঁড় করাতে চায় এবং এটা ওনাদের একটা অ্যাসাইমেন্ট।  বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা নিয়েও বিবাদে জড়িয়ে ছিল ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির।  একে অপরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগও তুলেছে সংগঠন দুটি।  প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে কোথাও কোথাও অনেকটা মুখোমুখি অবস্থানে দেখা গেছে সংগঠনের নেতাকর্মীদের।  তবে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, আমাদের দলের কেউ অন্য কোনো দল বা দলের নেতাকে নিয়ে অশ্লীল কোনো স্লোগান বা বক্তব্য দেয়নি।  আমরা শুধু দেশজুড়ে চাঁদাবাজি, নিষ্ঠুরতাসহ যেসব অপকর্ম হচ্ছে তার প্রতিবাদ করছি রাজনৈতিক বক্তব্যের মাধ্যমে।  মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত্র হয়ে পড়েছে একটি গোষ্ঠীর তৎপরতায়।  মানুষের কথাটাই আমরা বলছি।  

এ প্রসঙ্গ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সম্প্রতি পুরান ঢাকায় ব্যবসায়ী লাল চাঁদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে বিএনপিকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে জড়িয়ে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের শিষ্টাচারবিবর্জিত বক্তব্য ও স্লোগান গোটা জাতিকে স্তম্ভিত করেছে।  বিশেষ করে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান সম্পর্কে রাজনৈতিক শিষ্টাচারবিবর্জিত অশ্লীল বক্তব্য ও স্লোগান গোটা জাতিকে বিক্ষুব্ধ করেছে।  এসব কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানান বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, তাদের ওপর ‘সাইবার অ্যাটাক হয়েছে চতুর্দিক থেকে।  পরিকল্পিতভাবে বিএনপিকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য, বিএনপিকে উড়িয়ে দেওয়ার জন্য।  এরপর বিএনপি-জামায়াতের মধ্যেই প্রচার-পাল্টা প্রচারে বার বার উঠে আসে তারেক রহমানের নাম।  এমন প্রেক্ষাপটে গত সোমবার মির্জা ফখরুল বলেছেন, একটি চিহ্নিত মহল পরিকল্পিতভাবে আমাদের দল এবং শীর্ষ নেতৃত্বের শালীনতা ও চরিত্রহননের দুঃসাহস প্রদর্শন করছে।  দেশে অস্তিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্যই মিটফোর্ডের হত্যাকাণ্ডকে রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি বাস্তবায়নে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।  মির্জা ফখরুল মুখে কোনো দলের নাম উচ্চারণ না করলেও বিএনপির সহযোগী সংগঠনগুলোর কর্মসূচিতে তারেক রহমান বিরোধী প্রচারের জন্য জামায়াত-শিবির দায়ী করেই বক্তব্য দিয়েছেন নেতাকর্মীরা।  বিএনপি মহাসচিব তার দল সরকার পরিচালনার দায়িত্বে না থাকা সত্ত্বেও দলের প্রধান নেতৃত্বকে দায়ী করে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন নিয়ে প্রশ্ন করেছেন।

এর জবাবে আরিফুল ইসলাম আদীব বলছেন, ‘৫ আগস্টের পর গণমাধ্যম থেকে শুরু করে রাষ্ট্রযন্ত্রের অন্যান্য এস্টাবলিশমেন্টে বিএনপি পরোক্ষভাবে সবকিছুতেই নিয়ন্ত্রণ বা ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছে।  তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ, কর্মসূচিসহ সবকিছুতেই দেখবেন উনি (তারেক রহমান) সবকিছুর ঊর্ধ্বে।  গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে জনগণ ও শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন করা শিখে গিয়েছে।  সুতরাং, তার দলের লোকজনের কর্মকাণ্ডের দায় সেজন্য শিক্ষার্থী বা জনগণ এখন প্রশ্ন তুলছে।

এর আগে শনিবার দলের এক অনুষ্ঠানে ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, রাজধানীতে পাথর ছুড়ে প্রকাশ্যে যুবক হত্যার দায়-দায়িত্ব বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকেই নিতে হবে।  এর প্রতিক্রিয়ায় গত সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে বক্তৃতায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াতে ইসলামী ও চরমোনাই পীরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছেন, আমাদের নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন, কোথায় ছিল জামায়াত-চরমোনাই? মির্জা আব্বাস বলেন, মিটফোর্ডের হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।  তার পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানাচ্ছি। এটা একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।  ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একজন খুব কাছ থেকে ভিডিও করছে।  কোনো নড়াচড়া নেই।  তিনি বলেন, আমি হত্যাকাণ্ডে জড়িত একজনের ছবি দেখাতে পারব।  এনসিপি নেতার সঙ্গে মাহিন নামের একজনের ছবি আছে।  আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, দেখাতে পারব।  বিএনপির ওপর দায় চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।  জামায়াত প্রসঙ্গে মির্জা আব্বাস বলেন, এরশাদের সময়ে তার কাঁধে ভর করে।  আওয়ামী লীগের সময় তাদের কাঁধে ভর করে।  বিএনপির সময় আমাদের কাঁধে ভর করবে।  নিজেদের কোনো মুরোদ নেই।

ভোরের আকাশ/জাআ

  • শেয়ার করুন-
যতদিন যাচ্ছে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে: মির্জা ফখরুল

যতদিন যাচ্ছে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে: মির্জা ফখরুল

‘প্রধান উপদেষ্টা যেদিন বলেছেন, সেদিনই নির্বাচন হবে’

‘প্রধান উপদেষ্টা যেদিন বলেছেন, সেদিনই নির্বাচন হবে’

নির্বাচন ফেব্রুয়ারির মধ্যেই হবে: আশাবাদী মির্জা ফখরুল

নির্বাচন ফেব্রুয়ারির মধ্যেই হবে: আশাবাদী মির্জা ফখরুল

নির্বাচনী তফসিলের আগেও ভোটার হওয়া যাবে

নির্বাচনী তফসিলের আগেও ভোটার হওয়া যাবে

ভোটার তালিকা সংশোধন অধ্যাদেশের খসড়ার অনুমোদন

ভোটার তালিকা সংশোধন অধ্যাদেশের খসড়ার অনুমোদন

 পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সংশ্লিষ্ট

এনসিপির নিবন্ধন আবেদনে ছয় ঘাটতি, সংশোধনের জন্য ইসির চিঠি

এনসিপির নিবন্ধন আবেদনে ছয় ঘাটতি, সংশোধনের জন্য ইসির চিঠি

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের সমাবেশ শুরু

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের সমাবেশ শুরু

যতদিন যাচ্ছে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে: মির্জা ফখরুল

যতদিন যাচ্ছে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে: মির্জা ফখরুল

সোহরাওয়ার্দীর ৩৩ স্ক্রিনে ভাসছে জামায়াতের বার্তা

সোহরাওয়ার্দীর ৩৩ স্ক্রিনে ভাসছে জামায়াতের বার্তা