ক্লাব বিশ্বকাপে ফের মেসি ম্যাজিকের অপেক্ষা, রোববারই মাঠে নামছে ইন্টার মায়ামি
ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে সম্ভাব্য সব শিরোপা জয়ের পর এবার নতুন মঞ্চে নিজের জাদু দেখাতে প্রস্তুত আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি। যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামির হয়ে এবার ক্লাব বিশ্বকাপে মাঠে নামছেন এই ফুটবল গ্রেট। এর আগে বার্সেলোনার জার্সিতে তিনবার এই শিরোপা জেতার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। তবে এবার ভিন্ন দলে হলেও টুর্নামেন্টটি নিয়ে আগ্রহে এতটুকু ঘাটতি নেই ৩৭ বছর বয়সী ফরোয়ার্ডের।
ফিফাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্লাব বিশ্বকাপ নিয়ে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন মেসি। বলেন, “এটা একটি দারুণ প্রতিযোগিতা। এতে অংশ নেওয়াটা রোমাঞ্চকর। আমি যখন অন্য দলে খেলতাম, তখন আমার প্রত্যাশা ছিল ভিন্ন। তবে আমি উচ্ছ্বসিত এবং বিশ্বের সেরা দলগুলোর বিরুদ্ধে খেলার অপেক্ষায় আছি।”
বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের শীর্ষ ক্লাবগুলোকে এক মঞ্চে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেখা—এটি খেলোয়াড় ও দর্শক সবার জন্যই অসাধারণ এক অভিজ্ঞতা বলে মনে করেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। মেসির ভাষায়, “তাদের বিপক্ষে খেলাটা দারুণ সুযোগ ও দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা। খেলোয়াড়দের জন্য মাঠে আর দর্শকদের জন্য গ্যালারিতে; সবার জন্যই এটা চমৎকার একটা অভিজ্ঞতা।”
বাংলাদেশ সময় রোববার (১৫ জুন) সকালে পর্দা উঠবে ক্লাব বিশ্বকাপের ২১তম আসরের। এবার ৩২টি ক্লাব অংশ নিচ্ছে এই প্রতিযোগিতায়। উদ্বোধনী ম্যাচেই মাঠে নামবে মেসির ইন্টার মায়ামি। নিজেদের ঘরের মাঠ হার্ড রক স্টেডিয়ামে সকাল ৬টায় তাদের প্রতিপক্ষ আফ্রিকান চ্যাম্পিয়ন মিসরের আল আহলি।
ভোরের আকাশ।। হ, র
সংশ্লিষ্ট
শ্রীলংকা সফর শেষে কিছুদিন আগেই দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল। নতুন সিরিজের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে না তাদের। ঘরের মাঠে শুরু হচ্ছে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজ।রোববার (২০ জুলাই) মিরপুরের শুরু তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ। আজ সন্ধ্যা ৬টায় প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি দুই দল।বাংলাদেশে এই ম্যাচ দেখা যাবে দুটি টিভি চ্যানেলে। বাংলাদেশ-পাকিস্তান টি-২০ সিরিজের সবগুলো ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার করবে টি স্পোর্টস ও নাগরিক টিভি। টি স্পোর্টসের অ্যাপেও উপভোগ করা যাবে এই সিরিজের ম্যাচ। পাকিস্তানে বসে সিরিজটি উপভোগ করা যাবে ট্যাপম্যাড অ্যাপে। ভারতের খেলা দেখাবে ফ্যানকোড অ্যাপ। এছাড়াও ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র ও পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ দেখা যাবে বিসিবির অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে।আগামী ২২ ও ২৪ জুলাই মিরপুরেই হবে সিরিজের পরের দুই ম্যাচ।ভোরের আকাশ/এসএইচ
আগামী অক্টোবর মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাটিতে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের মধ্যে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। যদিও এখনও সিরিজের চূড়ান্ত তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। মূলত এটি গত বছরের পিছিয়ে যাওয়া সিরিজের অংশ হিসেবে মাঠে গড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।ক্রিকেট সংবাদ সংস্থা ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানিয়েছে, এশিয়া কাপের (সেপ্টেম্বর) পর এবং বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের (অক্টোবর) আগে এই সিরিজটি হতে পারে। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে দুই দলের মধ্যে দুটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজের পরিকল্পনা থাকলেও, পরে কেবল ওয়ানডে সিরিজ আয়োজন হয়, যেখানে আফগানিস্তান ২-১ ব্যবধানে জয় লাভ করে।ইএসপিএন ক্রিকইনফো অনুসারে, আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি) ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আগামী বছরে দুটি টেস্ট ম্যাচ আয়োজন নিয়ে আলোচনা করছে। যদি টি-টোয়েন্টি সিরিজ অনুষ্ঠিত হয়, তবে এটি ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চে ভারত ও শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ হবে।এই সিরিজটি আফগানিস্তানের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ সময়ের ব্যবধান কাজে লাগানোর সুযোগ হতে পারে, কারণ তারা অক্টোবরের শেষ দিকে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলবে। এরপর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে আফগানিস্তান ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটি করে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে।উল্লেখ্য, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে শেষবার বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান মুখোমুখি হয়েছিল ২০২৪ বিশ্বকাপে, যেখানে বৃষ্টির কারণে আইনি নিয়মে বাংলাদেশ ৮ রানে হেরেছিল। সেই ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে আফগানিস্তান প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছিল।এভাবে আগামী সিরিজটি দুই দলের জন্য বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতির এক গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে।ভোরের আকাশ//হ.র
সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্যে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। শনিবার (১৯ জুলাই) নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৫-০ গোলে হারিয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এই জয়ে ফাইনাল নিশ্চিতের পাশাপাশি গোল ব্যবধানও অনেকটাই ঘুচিয়ে নিয়েছে মেয়েরা।ম্যাচের শুরু থেকেই বাংলাদেশ ছিল আক্রমণাত্মক। প্রথমার্ধে যদিও সুযোগ নষ্টের কারণেই গোলসংখ্যা মাত্র ২টি হয়। ২৫তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে কানন রানী বাহাদুর অসাধারণ এক শটে ম্যাচের প্রথম গোলটি করেন। এরপর ৪৩তম মিনিটে পূজা দাস বক্সের ওপর থেকে দ্বিতীয় গোলটি করেন। প্রথমার্ধ শেষ হয় ২-০ ব্যবধানে।দ্বিতীয়ার্ধে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামেন নিয়মিত একাদশের কয়েকজন—আফঈদা, স্বপ্না রানী, উমেহলা ও মুনকি। খেলায় গতি বাড়ে। ৬৮তম মিনিটে পূজা দাস আবারও লক্ষ্যভেদ করে নিজের জোড়া গোল পূর্ণ করেন। এরপর ৮৬ মিনিটে তৃষ্ণা রানীর গোল এবং ইনজুরি টাইমে অধিনায়ক আফঈদা খন্দকারের পেনাল্টি গোলে ৫-০ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।কোচ পিটার বাটলার আজকের ম্যাচে একাদশে আনেন পাঁচটি পরিবর্তন। গোলপোস্টে প্রথমবারের মতো দেখা যায় ফেরদৌসী আক্তারকে। রক্ষণ ও মাঝমাঠেও জায়গা পান রুপা আক্তার, পূজা দাস, নাদিয়া আক্তার এবং কানন রানী। প্রথমার্ধে অধিনায়কত্ব করেন সুরমা জান্নাত।আগামী ২১ জুলাই সোমবার গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নেপাল। সেই ম্যাচে ড্র করলেই শিরোপা নিশ্চিত হবে স্বাগতিকদের। তবে হারলে মুখোমুখি লড়াই ও গোল পার্থক্যের হিসাব আসবে সামনে। এ দিক দিয়ে নেপাল বেশ এগিয়ে—আজ তারা ভুটানকে ৮-০ গোলে হারিয়ে গোলসংখ্যা ৩০-এ নিয়ে গেছে এবং তাদের গোল পার্থক্য দাঁড়িয়েছে +২৬।বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত গোল করেছে ২৬টি, খেয়েছে ৬টি। ফলে তাদের গোল পার্থক্য +২০। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বড় জয়টি এই ব্যবধান কিছুটা কমিয়ে দিয়েছে, তবে শিরোপা জিততে সোমবার নেপালের বিপক্ষে সতর্ক ও দৃঢ় পারফরম্যান্স প্রয়োজন।ভোরের আকাশ//হ.র
ভারতের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) বছরে প্রায় ১০ হাজার কোটি রুপি আয় করছে, যার বড় অংশই আসছে আইপিএল থেকে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বোর্ডের মোট আয়ের ৫৯.১০ শতাংশই এসেছে এই জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ থেকে।এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, বিসিসিআইয়ের এ বছরের মোট আয় ৯,৭৪২ কোটি রুপি, যার মধ্যে শুধু আইপিএল থেকেই এসেছে ৫,৭৬১ কোটি রুপি।এছাড়া, নারী আইপিএল (ডব্লিউপিএল), আন্তর্জাতিক ম্যাচের সম্প্রচার স্বত্ব এবং বিভিন্ন স্পনসরশিপ থেকেও বোর্ডের আয় হয়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। আন্তর্জাতিক ম্যাচ থেকে আয় হয়েছে ৩৬১ কোটি রুপি এবং আইসিসি থেকে এসেছে ১,০৪২ কোটি রুপি—যা মোট আয়ের প্রায় ১০.৭০ শতাংশ।বোর্ডের আর্থিক ভিত্তিও অত্যন্ত শক্তিশালী। বিসিসিআইয়ের স্থায়ী আমানতের পরিমাণ প্রায় ৩০ হাজার কোটি রুপি, যেখান থেকে সুদের মাধ্যমে বছরে প্রায় এক হাজার কোটি রুপি আয় হয়।অর্থনীতিবিদদের ধারণা, আইপিএল থেকে বিসিসিআইয়ের আয় প্রতিবছর গড়ে ১০ থেকে ১২ শতাংশ হারে বাড়তে পারে। ফলে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ এখন কেবল বোর্ডের নয়, বরং গোটা ক্রিকেট অর্থনীতির জন্যই একটি নির্ভরযোগ্য স্তম্ভে পরিণত হয়েছে। আইসিসির অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতাও দিন দিন বাড়ছে ভারতীয় বোর্ডের ওপর। ভোরের আকাশ/হ.র