ব্রুনাইয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্যে দিয়ে তাকে স্মরণ করা হয়েছে।
শনিবার (২১ মে) ব্রুনাইয়ের স্থানীয় সময় বিকেলে বাংলাদেশ হাইকমিশনে কবির স্মরণ সভা ও বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ব্রুনাইয়ে নিযুক্ত ফ্রান্স, ইরান, ও ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্য, ইউনিভার্সিটি টেকনোলোজি ব্রুনাইয়ের অধ্যাপক ও সহকারি ভাইস চ্যান্সেলর (গবেষণা) ডঃ মোহাম্মদ হাসনাইন ইসা, সহকারি অধ্যাপিকা ডঃ মালাই জেইতি বিনতি শেখ আব্দুল হামিদ, সিনিয়র সহকারি অধ্যাপক ডঃ রামা রাও কারি, ব্রুনাই ফুড অ্যাওয়ার্ডস-এর সিইও হাজি নাসির বিন দ্যাতো পাদুকা লতিফ ও ব্রুনাইয়ের বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী পেংগিরান ওয়াহাবসহ অন্যান্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
ব্রুনাইয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার নাহিদা রহমান সুমনা স্বাগত বক্তব্যে বাংলা সাহিত্যের প্রতিটি শাখায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবাধ বিচরণ ও তাঁর অসাধারণ সাহিত্যকর্মের জন্য বিশ্ব দরবারে তার যে সুউচ্চ আসন তা সম্পর্কে আলোকপাত করেন।
ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথম নোবেল বিজয়ী এই অসামান্য প্রতিভাধর কবিকে শ্রদ্ধা জানাতে ব্রুনাইয়ে ভারতের রাষ্ট্রদূত অলোক দিমরির উপস্থিত হবার কথা থাকলেও কোভিড-১৯ সংক্রমন সংক্রান্ত কারণে তিনি সংগনিরোধ পালন করছিলেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘কাবুলিয়ালা’এর ইংরেজি অনুবাদ পাঠ করে শোনান ‘রিডিং এন্ড লিটারারি অ্যাসোসিয়েশন’ (রেলা), ব্রুনাই এর তরুণ-তরুণীরা।
অনুষ্ঠানে সবার দৃষ্টি ও মনোযোগ আকৃষ্ট করেন বাংলাদেশ সরকারের প্রাক্তন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) আসলাম ইকবাল। তিনি রবীন্দ্রনাথের একটি কবিতা আবৃত্তি করেন। এক সময় তিনি নিয়মিতভাবে বাংলাদেশ টেলিভিশনে আবৃত্তি ও উপস্থাপনা করতেন।
অনুষ্ঠানের শেষ অংশে ইউনিভার্সিটি টেকনোলোজি ব্রুনাইয়ের সহকারি অধ্যাপিকা ডঃ মালাই জেইতি বিনতি শেখ আব্দুল হামিদ িএর লিখিত একটি শিশুতোষ বই আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।
মন্তব্য