মেক্সিকোতে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী উৎসব পালন

কূটনৈতিক প্রতিবেদক
মেক্সিকোতে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী উৎসব পালন
বাংলাদেশের গায়িকার রবীন্দ্র সঙ্গীত উপস্থাপনা

মেক্সিকোতে যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়েছে।

মেক্সিকো সিটিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে স্থানীয় ভারতীয় দূতাবাস এবং 'গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র' (জিটিআইসিসি)-এর সাথে প্রথমবারের মতো সম্মিলিতভাবে উৎসব পালন করা হয়।

মঙ্গলবার (৩১ মে) মেক্সিকোস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, আয়োজনটি মোট তিনটি পর্বে বিভক্ত ছিল।১২ মে রবীন্দ্র-নজরুল গবেষক নির্মল কান্তি ভট্টাচার্য কর্তৃক ‘নান্দনিকতায় ভারত-বাংলাদেশ পেরিয়ে রবীন্দ্র-নজরুল’ শীর্ষক মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে এই জন্মবার্ষিকীর প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। যা প্রায় ৭ হাজার দর্শক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপভোগ করেন।মেক্সিকোতে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত ড. পঙ্কজ শর্মা ও মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম ২২শে মে রবীন্দ্র-নজরুল প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বের শুভ সূচনা করেন।

বাংলাদেশ ও ভারতের রাষ্ট্রদূত তাদের বক্তব্যে বাঙালি সংস্কৃতির চিন্তাচেতনা-মনন ও দর্শনে রবীন্দ্র -নজরুলের লেখনির অবদানসহ ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন এবং ১৯৭১-এ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি তাদের লেখনীর প্রভাব তুলে ধরেন ।

সাংস্কৃতিক পর্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশের নবীন গায়িকা সাবিনা ইয়াসমিন সাথীর রবীন্দ্র সঙ্গীত উপস্থাপনা আমন্ত্রিতদের বিমোহিত করে। আর্নেস্ট দেলা তেজা এবং ভেরণিকা- দুইজন মেক্সিকান নৃত্যশিল্পী ‘দূর দ্বীপবাসীনি’ ও ‘রাঙামাটির পথে লো’ দুটি নজরুল সংগীতের সাথে নৃত্য পরিবেশন করেন।

ভারতীয় দূতাবাসের রুপেশ কুমারের বাঁশীর সুর, রবীন্দ্র সংগীত ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে’ -এর সাথে প্রিয়া দে’-এর নৃত্য এবং জিটিআইসিসি র’ শিক্ষার্থীদের মনোমুগ্ধকর তবলা ও সেতার বাদন উপস্থিত দর্শকদের নিকট প্রশংসিত হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইউটিউবে অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয় যা বাংলাদেশ ও ভারতসহ স্থানীয় প্রায় ৭০০০ দর্শক অনুষ্ঠানটি উপভোগ করে।

রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তীর সর্বশেষ পর্বটি গত ২৬ মে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে বাংলাদেশের নজরুল সংগীত শিল্পী খায়রুল আনাম শাকিল-এর নজরুল সঙ্গীত পরিবেশনা দর্শক শ্রোতাদের মুগ্ধ করে। সেইসাথে ভারতের সোমা গিরির নৃত্য, প্রকৃতি দত্ত ও দিশারী চক্রবর্তীর সংগীত মূর্ছনায় অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।

'গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র’ (জিটিআইসিসি)-এর পরিচালক ডঃ শ্রীমতি দাস এবং মেক্সিকো সিটিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর শাহানাজ আখতার রানু রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী উৎসবের পর্ব তিনটি সঞ্চালনা করেন।

 

 

মন্তব্য