-->
শিরোনাম

প্রশাসনিক সংস্কার ও উন্নয়ন

ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আব্দুল্লাহ
ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আব্দুল্লাহ
প্রশাসনিক সংস্কার ও উন্নয়ন

প্রশাসনকে আমরা একটি প্রক্রিয়া এবং রাজনৈতিক বিষয় বলে উল্লেখ করতে পারি। পরিবর্তন ও ক্রমোন্নতি সব সামাজিক প্রতিষ্ঠানের নীতি বা ধর্ম। প্রশাসন সমাজ এবং সমাজের মানুষের সাথে সম্পৃক্ত, মানুষের সৃষ্ট আইনের অধীনে কাজ করে যা মানুষের প্রয়োজন মেটায় এবং এ জন্যই অন্যান্য সামাজিক প্রতিষ্ঠান থেকে এটি কোনো ধরনের ব্যতিক্রম নয়। মূলত: লোকপ্রশাসন হচ্ছে সরকার পরিচালিত সব কর্মকাণ্ড যেটা জনকল্যাণমুখী।

একটি রাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের কার্যক্রম ও কর্মপদ্ধতির ব্যাপকতাসহ আন্তর্জাতিক বিশ্বে সাথে যোগাযোগ রক্ষা ও রাষ্ট্রীয় সমস্যা এবং উন্নয়ন কার্যক্রম ইত্যাদি কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর বর্তায়। দেশের সামগ্রিক উন্নয়নসহ আইন-শৃঙ্খলা, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সব সমস্যার সমাধান সরকারের প্রশাসন যন্ত্রই করে আসছে। পাকিস্তান শাসনামলে রাজনৈতিক জটিলতা ছিল প্রকট এবং সামরিক শাসনের বেড়াজালে দেশের জনসাধারণ শোষণের দাবানলে প্রজ¦লিত হচ্ছিল। সাথে সাথে বেসামরিক প্রশাসনের তৎপরতা ছিল কঠোর। ক্ষমতার ভাগাভাগি এবং রাজনীতির নামে প্রহসনের ফলে পূর্ব পাকিস্তান আমলে সঠিকভাবে প্রশাসনিক বিকাশ ঘটেনি। ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করাই ছিল শাসক এবং প্রশাসন যন্ত্রের একমাত্র উদ্দেশ্য। ব্রিটিশ শাসনামলের চেয়েও পাকিস্তান আমলের প্রশাসন যন্ত্র ছিল হতাশাব্যঞ্জক।

রাজনৈতিক জটিলতা, অর্থনৈতিক মন্দা, প্রশাসনিক কঠোরতা, শ্রেণিবৈষম্য সৃষ্টি এবং দুই অঞ্চলের (পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান) অর্থনৈতিক বৈষম্যসহ ক্ষমতার কুক্ষিগত করনের অপচেষ্টাই পাকিস্তানকে দ্বিধাবিভক্ত করে। নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতা এ দেশের শাসক ও শাসিতের মৌলিক সম্পর্কের পরিবর্তনের কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। আমরা দেখতে পাই যে, ব্রিটিশ যুগের সাহেবদের স্থলে ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ‘সাহেবগণ’ স্থলাভিষিত্ত হন। প্রকৃতপক্ষে, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান স্বাধীনতার পর যে এলিট শ্রেণির উদ্ভব হয়েছিল, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পূর্ব পর্যন্ত তারা এ দেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে প্রভাবশালী ও কর্তৃত্বের অধিকারী ছিলেন। ক্রমবিকাশের পথযাত্রায় বাংলাদেশে উত্তরাধিকার সূত্রে অনেক কিছুর সাথে পাকিস্তানি তথা ব্রিটিশ প্রশাসনিক কাঠামো ও আমলাতন্ত্র লাভ করেছে। এ আমলাতন্ত্র দ্বারাই স্বাধীন বাংলাদেশের প্রশাসনের যাত্রা শুরু হয়।

প্রশাসনিক কর্মকর্তাগণ অর্থাৎ সরকারি আমলাগণ আজও বাংলার বুকে তাদের আধিপত্য বজায় রেখেছে। এর মূল কারণ হচ্ছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থা অস্থিতিশীল। রাজনৈতিক স্থিতিহীনতার সুযোগে সামরিক ও বেসামরিক আমলাগণ ক্ষমতা বণ্টনে ব্যস্ত। অপরদিকে বাংলাদেশের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ও পাকিস্তানি আমলের মতো একই কায়দায় নিয়োগ, প্রশিক্ষণ এবং একই প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর আওতায় কাজ করতে হচ্ছে। সরকারি কর্মকর্তাদের স্বল্পতার কারণে ১৯৭৩ সালে পরীক্ষা ব্যতীত শুধু মুক্তিযুদ্ধের সনদ ও শিক্ষাগত যোগ্যতা বিবেচনায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রশাসন কাক্সিক্ষত দক্ষতা অর্জনে সক্ষম হয়নি। পরবর্তীকালে পাবলিক সার্ভিস কমিশন গঠনে পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ প্রদান করা হলেও রাজনৈতিক বিবেচনায় কর্মকর্তাগণ নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে আসছে। প্রশাসন যন্ত্রের সব ব্যবস্থাতেই রাজনীতিকরণের প্রবণতা চলে আসছে। যেখানে বিশ্বি বিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে ভর্তির জন্য মেধাবী ছাত্র পাওয়া যায় না, যেমন ইংরেজি বিভাগে ভর্তি পরীক্ষায় নামমাত্র মেধাবী ছাত্র এমনকি একজন না পাওয়ারও ইতিহাস রয়েছে। সেখানে মেধাবী শিক্ষিত কর্মকর্তা পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছে। ফলে দক্ষ প্রশাসন যন্ত্র গড়ে উঠা সম্ভব হয়নি।

স্বাধীনতার প্রথম দিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য তদানীন্তন সরকার স্থানীয় প্রশাসন যন্ত্রকে শক্তিশালী করার চেষ্টা চালায়। যুদ্ধবিধ্বস্ত অবকাঠামো পুনর্গঠন ও ভঙ্গুর অর্থনীতির উন্নয়নসহ দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের প্রচেষ্টা চালানো হয়। রিলিফ বিতরণ, অবকাঠামো পুনর্গঠন ও উন্নয়নে স্থানীয় নেতৃত্বসহ প্রশাসনকে দায়িত্ব প্রদান করা হয় এবং দুর্নীতি ও লুটপাটের অবস্থা বিরাজ করতে থাকে। বঙ্গবন্ধু এমন দুর্নীতি ও লুটপাটের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জনসমাবেশে হুঙ্কার প্রদানসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পদক্ষেপ নেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সাথে সাথে সামরিক ও বেসামরিক আমলাগণ আবার তাদের পূর্বেকার কর্তৃত্ব অনেকটা ফিরে পায়। বাংলাদেশের প্রকৃত সমস্যা অর্থাৎ দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য সর্বস্তরে মৌলিক পরিবর্তন সাধন করে উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রশাসনকে স্বাধীন দেশের উপযোগী করে কাজে লাগানোর জন্য কোনো পদক্ষেপই গৃহীত হয়নি। এটা সবাই স্বীকার করবেন যে, বাংলাদেশের প্রশাসনিক পদ্ধতিতে পরিবর্তন একান্ত অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। ঔপনিবেশিক এবং পাকিস্তানি আমলের প্রশাসন বর্তমান স্বাধীন দেশের উপযোগী নয়, কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তনের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ আজ অবধি গৃহীত হয়নি। শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াই করে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে এবং অর্জিত স্বাধীনতাকে অর্থবহ করে তোলার জন্য জনকল্যাণমুখী এবং উন্নয়নমুখী প্রশাসন গড়ে তোলা বর্তমান প্রেক্ষাপটে অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। প্রশাসনের বিকেন্দ্রীকরণপূর্বক পূর্বতন অবকাঠামো পরিবর্তন করে প্রশাসনকে জনগণের দৌড়গোড়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সৃষ্টি করা হয়েছে ৪৬৮টি উপজেলা ও ৬৫টি জেলা। এসব স্তরে সরকারি সব বিভাগ/অধিদপ্তর এবং সংস্থার পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাও কাজ করেছে। সরকারের সব উন্নয়ন কর্মকাÐ উপজেলা/জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ বাস্তবায়ন করছেন, কিন্তু অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে কাক্সিক্ষত উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমান সরকার সমাজের রন্দ্রে রন্দ্রে অনিয়ম-দুর্নীতি দূর করার জন্য সচেষ্ট আছে। বঙ্গবন্ধু যেমনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রীও দুর্নীতি নির্মূলের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছেন। সরকারি কর্মচারীদের বেতন ভাতাদি আশাতীত বৃদ্ধি করে নানা সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হলেও সরকারি কার্যক্রম বিশেষ করে উন্নয়ন কার্যক্রমে দুর্নীতি রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। প্রশাসনের প্রতিটি স্তরে ও পর্যায়ে অনিয়ম-দুর্নীতি চলমান আছে এবং বর্তমান সরকার এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। প্রশাসনিক পুনর্গঠনের কয়েকটি দিক রয়েছে এবং সেগুলো হলো: ক. রাজনৈতিক মতাদর্শ খ. জনসাধারণের সার্বিক অংশগ্রহণ গ. জনসাধারণের কাছে জবাবদিহির পদ্ধতিগত ব্যবস্থা, ঘ. জনগণের অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্র ঙ. দক্ষ, সৎ, নিরপেক্ষ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নিয়োগ, প্রশিক্ষণ ও কর্তৃত্ব এবং চ. উন্নয়ন তৎপরতা পরিবর্তনের ধারাকে গতিশীল এবং এতদসংক্রান্ত সিদ্ধান্ত ও নীতিকে বাস্তবায়িত করার জন্য জনসাধারণের সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রয়োজন।

দেশের মধ্যে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে জনসাধারণের কল্যাণকর আদর্শ ও নীতি বিরাজ করলে উন্নয়ন ধারা অবশ্যই অব্যাহত থাকবে। দেশের সব কার্যক্রমে জনসাধারণের অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করতে হবে। প্রশাসনিক ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়। সরকারি সিদ্ধান্ত ও প্রশাসনের প্রতিটি স্তরে জনসাধারণের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ অংশগ্রহণ একান্ত প্রয়োজন। নি¤œ পর্যায়ে জনসাধারণের অংশগ্রহণের লক্ষ্যেই স্থানীয় সরকার পদ্ধতির বিকাশ সাধিত হয়েছে। প্রয়োজন বোধে ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রশাসনের সম্প্রসারণ করা যেতে পারে। স্থানীয় বা জাতীয় পর্যায়ে জনপ্রতিনিধিদের যে সংস্থাই গড়ে তোলা হোক না কেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা বা আমলাদের ওই সংস্থার কাছে দায়িত্বশীল ও জবাবদিহির ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। বর্তমান প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে ঔপনিবেশিক শাসকসুলভ মনোভাব থেকে জনসাধারণের সেবা করার মনোবৃত্তি সম্পন্ন করে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে তাদের উন্নয়ন কার্যক্রমের সঙ্গে অধিকতর সম্পৃক্ত করা উচিত।

বাংলাদেশ উন্নয়নীল দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। মেঘাপ্রকল্পসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বর্তমান সরকার বাস্তবায়ন করছে। বিশে^র উন্নয়নশীল দেশের সাথে তাল মিলিয়ে উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখার জন্য প্রশাসনিক ক্ষেত্রে পুরোপুরি পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। এমন একটা কাঠামো গড়ে তোলা উচিত যা জনকল্যাণমুখী হবে এবং তা প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের ব্যবধান দূর করতে সহায়ক হবে। প্রশাসনকে জনসাধারণের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে এবং স্থানীয় প্রশাসনকেও গণমুখী করে তাদেরকে জনসাধারণের সত্যিকার সেবক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশে কেন্দ্রের মাথাভারী প্রশাসনকে কাট-ছাট করে ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রশাসন যন্ত্রকে সম্প্রসারণ করত: সচল করতে হবে। সচিবালয়ে ৬৮টি মন্ত্রণালয় এবং অসংখ্য অধিদপ্তর/পরিদপ্তর/সংস্থায় যে জনবল রয়েছে তা অত্যধিক। গবেষণা ও পরিবীক্ষণ করলে দেখা যাবে যে, বর্তমানে যে জনবল রয়েছে তার মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ জনকল অতিরিক্ত এবং এই অতিরিক্ত জনবল দিয়েই ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত প্রশাসনকে সম্প্রসারিত করতে পারলে প্রশাসনিক বিচারিক অনেক সমস্যার সমাধান হবে। প্রশাসনিক কাঠামোর সংস্কারের পদক্ষেপ হিসাবে সচিবালয় সংগঠন, মন্ত্রণালয়সমূহ, পরিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও উপ বিভাগগুলোকে সুষ্ঠুভাবে পুনর্বিন্যাস করে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস ও সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে হবে। উল্লেখ্য, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিব, যুগ্মসচিব, উপসচিবদের পদ গত এক দশকে দ্বিগুণ, কোনো কোনো ক্ষেত্রে চারগুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। যেমন- সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ে ২০০৮ সালে একজন অতিরিক্ত সচিব, তিনজন যুগ্মসচিব, ৮ জন উপসচিবের স্থলে প্রায় তিনগুণ বৃদ্ধি করে প্রশাসন পরিচালিত হচ্ছে। কাজের ব্যাপকতা বৃদ্ধি না পেলেও পদের ব্যাপকতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই কাজের ওপর ভিত্তি করে পদের সংস্থান রাখা বাঞ্চনীয় এবং এ জন্য কর্মচারী কাঠামো পর্যালোচনার জন্য একটি কমিটি গঠন করা যেতে পারে। উদ্বৃত্ত জনবল জেলা, উপজেলা এবং প্রস্তাবিত ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারি কাঠামোতে আতœীকরণ করা যেতে পারে। তাছাড়া প্রশাসনিক ক্ষমতা কেন্দ্রে কুক্ষিগত না করে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করা প্রয়োজন। প্রশাসনকে জনসাধারণের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে এখনই ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি স্থানীয় সংস্থাগুলোকে আরো শক্তিশালী, কার্যকর ও জনঅংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আরো জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে নচেৎ দুর্নীতির করাল গ্রাসে উন্নয়নের সফলতা ¯øান হয়ে যাবে।

রাজনৈতিক অস্থিরতাসহ নানাবিধ প্রতিক‚লতা সত্তে¡ও বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা এবং মানবসম্পদ উন্নয়নে অগ্রগতি অর্জন করেছে। সামষ্টিক অর্থনীতির বিভিন্ন নির্দেশক অনুযায়ী বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধির ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত রয়েছে। দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রেখে প্রশাসনিক সংস্কার ও স্থানীয় সরকার স্বায়ত্বশাসন প্রদান করে জনসাধারণকে উন্নয়ন কার্যক্রমসহ সব কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করে অর্থবহ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও আর্থিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বাংলাদেশ দ্রæত দারিদ্র্য নিরসন ও মানব উন্নয়ন কাক্সিক্ষত অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হবে। এক্ষেত্রে প্রশাসনিক সংস্কারের মাধ্যমে দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন নিশ্চিত করতে হবে। দক্ষ ও মানসম্মত উন্নয়ন প্রশাসন প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে ব্যর্থ হলে ’সোনার বাংলা’ স্বপ্ন বাস্তবায়নের সুযোগ থেকে দেশ তথা এর জনগণ বঞ্চিত হবে।

লেখক: কলামিস্ট, গবেষক ও পরামর্শক

মন্তব্য

Beta version