-->

বদলে যাওয়া বাংলাদেশ

এস এম মুকুল
এস এম মুকুল
বদলে যাওয়া বাংলাদেশ
তলাবিহীন ঝুড়ির কালিমা কাটিয়ে আশার আলোয় আলোকিত বাংলাদেশ সারাবিশ্বকে প্রায় সব ক্ষেত্রেই দেখিয়ে দিচ্ছে ‘আমরা বাঙালি-আমরাই পারি’

বাংলাদেশ পারে, বাংলাদেশ পারবে। তলাবিহীন ঝুড়ির কালিমা কাটিয়ে আশার আলোয় আলোকিত বাংলাদেশ সারাবিশ্বকে প্রায় সব ক্ষেত্রেই দেখিয়ে দিচ্ছে ‘আমরা বাঙালি-আমরাই পারি’। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির স্বাধীনতার রূপকার মহান নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে সোনার বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন- তারই সুযোগ্য কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অদম্য উৎসাহ আর বহুমাত্রিক উদ্যোগ বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে অচিরেই সে স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে। কৃষি ও শিল্প বিপ্লবের সূত্রপাত করার মধ্য দিয়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, যোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি, ডিজিটালাইজেশন, উৎপাদন, রপ্তানি, দক্ষতা, নারীর ক্ষমতায়ন সর্বোপরি দেশের তরুণ সমাজের মাঝে সম্ভাবনার বাংলাদেশ নিয়ে আশার জাগরণ সৃষ্টি করতে পেরেছেন। একই সাথে তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে এবং সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে আপামর জনসাধারণ ও বিশ্ব নেতৃবৃন্দের আস্থা অর্জন করতে সমর্থ হয়েছেন। বলতে দ্বিধা নেই, যে ধরনের ব্যতিক্রমধর্মী সংকট বাংলাদেশকে প্রতিনিয়ত মোকাবিলা করতে হয় তার তুলনায় চলতি দশ বছরে বাংলাদেশের উন্নতি ঈর্ষণীয়। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা জীবনের মায়াকে তুচ্ছ করে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছেন। চলতি দশ বছরে বাংলাদেশের মানুষের আর্থিক ও মানসিক উন্নতি দেশের অর্থনৈতিক অর্জনের চেয়েও অনেক বেশি শক্তিশালী হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছে। এর কারণ- ধীরে ধীরে বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতির ধরন। কৃষি থেকে শিল্পের পথে ঘুরছে অর্থনীতির চাকা। বাংলাদেশ ধীরগতিতে দৃঢ় ও স্থিতিশীল কৃষিপ্রধান অর্থনীতি থেকে একটি শিল্পভিত্তিক অর্থনীতির দেশে রূপান্তর হচ্ছে। এ অবস্থাকে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অগ্রগতির সিঁড়িতে উঠেছে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংকসহ বিশ্বনেতারা।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিক্সনের নিরাপত্তা উপদেষ্টা হেনরি কিসিঞ্জার ভুল বলেছিলেন। তার কথা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। বাংলাদেশ ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ নয় বরং উন্নয়নের রোল মডেল। ’৭২ সালে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হলেও সারাবিশ্বে এখন বাংলাদেশের অর্থনীতিকে বিস্ময়কর বলে মনে করা হয়। কারণ অবিশ্বাস্যভাবে দেশের অর্থনীতি ইতিবাচক সূচকের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের রপ্তানি আয় বেড়েছে। রিজার্ভ বেড়েছে এবং ক্রমাগত বাড়ছে। নিশ্চিত হয়েছে খাদ্য নিরাপত্তা। পোশাক রপ্তানি খাতে বিশ্বে বাংলাদেশ এখন দ্বিতীয়। গোল্ডম্যান স্যাঙ্কস সংস্থার জরিপে বলা হয়েছে, জনসংখ্যার বেশিরভাগই তরুণ, আর এ তরুণ সমাজকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বদলে দেওয়া সম্ভব। লন্ডনের জাতীয় দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান প্রকাশ করে, ২০৫০ সালে বাংলাদেশ প্রবৃদ্ধির বিচারে পশ্চিমা দেশগুলোও ছাড়িয়ে যাবে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান উইন ও গ্যালাপ ইন্টারন্যাশনালের সূচকে বিশ্বের শীর্ষ ১০ আশাবাদী দেশের তালিকায় প্রথম স্থানটি বাংলাদেশ। সূচক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের ৬০ শতাংশ মানুষ অর্থনৈতিকভাবে উন্নত ভবিষ্যতের ব্যাপারে আশাবাদী তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। বলতে দ্বিধা নেই, বাংলার জনগণ আশাবাদী বলেই বন্যা, খরা, প্লাবনসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও উৎকণ্ঠার পরিবেশ পেরিয়ে কৃষক ফলায় সোনালি ধান, শ্রমিক ঘুড়ায় কল-কারখানার চাকা, শ্রমিক ঘুরায় কারখানার চাকা, জেলে নামে মাছ ধরতে, প্রবাসীরা মেধা ও শ্রম বেঁচে টাকা পাঠায় ভালোবাসার বাংলাদেশে, মেহনতি মানুষ নিরলস শ্রম বিলিয়ে দেয় উন্নতির সোপানে, প্রতিটি পেশাজীবী আপন ভালোবাসায় নিজেদের দক্ষতার সবটুকু দিয়ে অর্থনৈতিকভাবে নতুন আশাবাদে সামনের দিকে এগিয়ে নিচ্ছে উন্নত আগামীর স্বপ্নের বাংলাদেশকে।

নিক্সনের ধারণা ভুল প্রমাণ করে সত্তরের দশকে সাহায্যনির্ভর বাংলাদেশ নব্বই দশকে ধীরে ধীরে পাল্টে যেতে শুরু করে। ২০০৮ সাল থেকে বিশ্ব যে বাংলাদেশকে এগিয়ে যেতে দেখছে এই বাংলাদেশ অন্য এক বাংলাদেশ। আশাবাদের বাংলাদেশ। অনেকেরই মনে থাকার কথা- বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডবি¬উ মজিনা বিদায়কালে জানিয়েছিলেন, প্রেসিডেন্ট ওবামার দৃষ্টিতে সফল উন্নয়নশীল দেশের তালিকার শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশের নাম। মজিনা বলেছিলেন, ‘চার দশকে চাল উৎপাদন কয়েক গুণ বাড়িয়ে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে সফলতার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এ দেশকে এখন আর তলাবিহীন ঝুড়ি বলা যাবে না। এটি এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি দেশ।’ নিক্সনের অপবাদ মিথ্যা প্রমাণ করে গেছে তারই দেশের প্রতিনিধিÑ এই সফলতা আমাদেরকে গৌরবান্বিত করে।

দেশের মানুষের কর্মসংস্থান বাড়ছে। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র বাড়ছে। শিক্ষা অর্জন করে এদেশের তরুণরা এখন শুধু চাকরির পেছনে ছুটে বেড়ায় না। টাকা খরচা করে বিদেশে গিয়ে মেধা আর শ্রম ঢেলে দিতে রাজি নয় এদেশের তরুণরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করেও গ্রামে ফিরে গিয়ে কৃষিভিত্তিক প্রকল্প ও খামার গড়ে তোলে সমৃদ্ধির চাকা ঘুরাচ্ছে প্রত্যয়ী তরুণ সমাজ। নিজ উদ্যোগে ছোট-মাঝারি এমনকি বড় প্রকল্প গড়ে তোলে অনেক সাফল্যের নজির সৃষ্টি করেছেন তরুণীরাও। এভাবে সরকারি-বেসরকারি প্রথাগত চাকরির বাইরে নিজ উদ্যোগে স্বাবলম্বী হওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছে দ্রুতগতিতে। এই উন্নতির ধারায় বর্তমান বিশ্বে উন্নয়নে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে যে ১৮টি দেশ এগিয়ে আছে, বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম। ক্ষুধা ও দারিদ্র্য নির্মূলে অভাবনীয় অগ্রগতি সারাবিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে প্রিয় এই বাংলাদেশ।

২০৩০ সালের মধ্যে দেশের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ মধ্যবিত্ত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হচ্ছে। মধ্যবিত্ত সমাজের ব্যাপ্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি মধ্যবিত্ত সমাজ আর্থ-সামাজিকভাবে সমৃদ্ধ হলে সামাজিক-অর্থনৈতিক জাগরণ সৃৃষ্টির সম্ভাবনা বিশ্বকে চমকে দিতে পারে। তাই এ সময়কালে সরকারকে মধ্যবিত্ত শ্রেণির উত্থানে মনোযোগী হতে হবে। সামনে এগিয়ে যেতেই হবে। বিশ্বের সাথে তাল মেলাতে হবে। তবে আপন সংস্কৃতি, সামাজিক ও পারিবারিক ঐতিহ্য, ধর্মীয় এবং মানবিক মূল্যবোধ আর আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যদি সাথে থাকে তাহলে এই বাংলাদেশকে কেউ দমিয়ে রাখতে পারবে না। আজকের বাংলাদেশ স্বাধীনতার চার দশক পর যোগ্য নেতৃত্ব পেয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঁচ কোটি তরুণকে সম্ভাবনার তপস্যায় জাগিয়ে তুলেছেন। আগামী দশকে যে ‘তরুণ সম্ভাবনা’ তৈরি হচ্ছে তাদেরকে সঠিক পথ দেখাতে পারলেই উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।

সাহায্যনির্ভর বাংলাদেশ বাণিজ্যনির্ভর বাংলাদেশের দিকে যাত্রা শুরু করে। আর বর্তমানে দেশটির বৈদেশিক সাহায্য জিডিপির ২ শতাংশেরও কম। সাহায্যনির্ভর থেকে বাণিজ্যনির্ভর হওয়াটাও স্বাধীন বাংলাদেশের ৫০ বছরের অন্যতম অর্জন। পাতাল রেলের যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সব বাধা, হুঙ্কার, অঙ্গুলি নির্দেশ তোয়াক্কা না করে, কোনো অপশক্তির কাছে মাথা নত না করে, সহযোগিতা আর দয়া-দক্ষিণা না পেলে পদ্মা সেতু গড়ে তোলা সম্ভব হবে নাÑ বিশ্বের এমন ধারণাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অসম্ভবকে সম্ভব করছে বাংলাদেশ। আর কোনো বাধা মানবে না বাংলাদেশ। অমিত সম্ভাবনা নিয়ে কেবল সামনের দিকে এগিয়ে যাবে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ এই শুভ প্রত্যাশা। অর্থনৈতিক সব নির্দেশকে ইতিবাচক সম্ভাবনায় এগিয়ে নেওয়ায় আকর্ষণীয় প্রবৃদ্ধির পথেই জোড় কদমে হাঁটছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩২তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন গবেষকদের বিবেচনায় পরবর্তী ১১টি উদীয়মান অর্থনীতির অন্যতম গন্তব্যে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা এবং উৎপানশীলতা বেড়েছে। এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বিশ্ব অর্থনীতিতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ।

স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে যেখানে একজন গ্রাজুয়েটকে দেখার জন্য দশ গ্রামের মানুষ যেত। সেই বাংলাদেশে এখন ঘরে ঘরে শিক্ষায় আলোকিত মানুষ। প্রায় পাঁচ কোটি তরুণের মেধা, মনন এখন বাংলাদেশের উন্নয়নে বিপ্লব ঘটাতে প্রস্তুত। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিভিন্ন সূচকের ইতিবাচক ধারা আগামী দিনে সারা বিশ্বের জন্য রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ীরা। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, কৃষিজমি কমতে থাকাসহ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বন্যা, খরা, লবণাক্ততা ও বৈরী প্রকৃতিতেও খাদ্যশস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উদাহরণ। বন্যা, খরা, লবণাক্ততা ও দুর্যোগসহিষ্ণু শস্যের জাত উদ্ভাবনেও শীর্ষে বাংলাদেশের নাম। বাংলাদেশই দেখিয়েছে কিভাবে চরম দারিদ্র্যকে দূর করতে হয়, কিভাবে প্রাথমিক শিক্ষাকে নাগালের মধ্যে আনা যায়, নারী ও পুরুষের মধ্যে বিদ্যমান বৈষম্য কমানো এবং শিশুমৃত্যুর হার কমিয়ে মাতৃস্বাস্থ্যের উন্নয়ন থেকে শুরু করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় দক্ষিণ এশিয়াতে তো বটেই সমগ্র পৃথিবীতেই বাংলাদেশ এখন অনুসরণীয়। ‘গ্লোবাল ইকোনমিক রিকভারি: এশিয়ান পারসপেক্টিভ’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রসপারিটি ইনডেক্স বা বৈশ্বিক সমৃদ্ধি সূচকে এগিয়েছে বাংলাদেশ। লন্ডনভিত্তিক থিংকট্যাংক প্রতিষ্ঠান লেগাটাম ইনস্টিটিউটের প্রতিবেদনে পরিমাপ করা আটটি সূচকের মধ্যে অর্থনীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান ৭৭তম। উদ্যোক্তা তৈরি ও সুযোগের ক্ষেত্রে অবস্থান ১০৫তম, সুশাসনের ক্ষেত্রে ৯৮তম, শিক্ষায় ৯৭তম, স্বাস্থ্যে ৯৮তম, সামাজিক নিরাপত্তায় ১০৭তম, ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় ৫২তম ও সামাজিক মূলধন সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৭তম। এইভাবে ধাপে ধাপে অগ্রসর হয়ে বিশ্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত। প্রতিকূলতার মধ্য দিয়েও উন্নয়নে বিশ্বময় এখন ঈর্ষার কারণ বাংলাদেশ।

উন্নয়নের সব সূচকেই দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে। প্রতিবেশী ভারতের চেয়েও কিছু কিছু ক্ষেত্রে এগিয়ে। আর সব সূচকেই পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। বিভিন্ন সূচক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, পাঁচ দশকে অর্থনৈতিকসহ উন্নতির সব সূচকে পৃথিবীর পাঁচটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের নাম ওঠে এসেছে। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ব্যবসায়িক, সামাজিক অগ্রগতি এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বিশ্বের ১২৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৮৬তম এবং উপমহাদেশের দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৪র্থ। দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে শ্রীলঙ্কা, তারপর ভারত ও ভুটান। বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বিশ্ব অর্থনৈতিক সূচকে বলা হয়েছে, বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১৪ ধাপ এগিয়ে ৪৪তম। জাতিসংঘ শান্তি রক্ষার ক্ষেত্রে বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী ১১৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম। খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ। ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনার তালিকায় বাংলাদেশ ১১তম। স্যানিটেশন, মাতৃমৃত্যুহার হ্রাস, নারীর ক্ষমতায়ন, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার ও সেবা, প্রযুক্তির সাথে তরুণ প্রজন্মের মেলবন্ধন, খাদ্য নিরাপত্তা ও কৃষিজ উৎপাদন বৃদ্ধি, প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা, মৎস্য উৎপাদন, ইলিশ উৎপাদনে দৃষ্টান্ত, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পোশাক রপ্তানি প্রভৃতি খাতে বাংলাদেশের সাফল্য এখন বিশ্বের উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলোর কাছে অনুসরণীয়। এভাবেই এগিয়ে যাবে বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের সোনার বাংলা আর তারই যোগ্য উত্তরসূরি প্রিয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের উন্নত বাংলাদেশ। জয়তু স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী।

লেখক: কৃষি ও অর্থনীতি বিশ্লেষক এবং উন্নয়ন গবেষক ও কলামিস্ট

মন্তব্য

Beta version