-->
ইউক্রেন সংকট

পশ্চিমা বিশ্বের উস্কানি ও ভূ-রাজনৈতিক খেলার পরিণতি

ড. দেলোয়ার হোসেন
ড. দেলোয়ার হোসেন

পশ্চিমা বিশ্বের উস্কানি ও ভূ-রাজনৈতিক খেলার পরিণতি
ইউক্রেন প্রসঙ্গে রাশিয়া ও পশ্চিমের শক্তির মাঝে চলমান বৈরিতার কেন্দ্রে রয়েছে নিরাপত্তা জোট ন্যাটো

ইউক্রেন সংকট ঘিরে রাশিয়া এবং পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে যে শত্রুতা তৈরি হয়েছে; সেটি বলা যায় পুরোনো সংকটের নতুন রূপ। ইউক্রেন সংকট বোঝার জন্য দেশটির ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান এবং এর আগের ইতিহাস দেখা প্রয়োজন। আমরা জানি, ইউক্রেন কেবল রাশিয়ার প্রতিবেশীই নয়, বরং দেশটি সোভিয়েত ইউনিয়নেরও সদস্য ছিল। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতার পর ইউক্রেন স্বাভাবিকভাবেই সিআইএস (কমনওয়েলথ অব ইনডিপেনডেন্ট স্টেটস)-এর সদস্য। তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি রাশিয়ার প্রতিবেশী হওয়ায় ইউক্রেনের অবস্থান ও নিরাপত্তার সঙ্গে রাশিয়ার কৌশলগত স্বার্থ জড়িত। বস্তুত আমরা দেখছি, রাশিয়াকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলার অংশ হিসেবেই ইউক্রেন নিয়ে পশ্চিমা বিশ্ব এক ধরনের খেলা শুরু করেছে।

বলাবাহুল্য, ইউক্রেন প্রসঙ্গে রাশিয়া ও পশ্চিমের শক্তির মাঝে চলমান বৈরিতার কেন্দ্রে রয়েছে নিরাপত্তা জোট ন্যাটো। রাশিয়া স্বাভাবিকভাবেই চাইছে, তাদের প্রতিবেশী ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্যতম শরিক ইউক্রেন যেন কখনোই ন্যাটোতে যোগ দিতে না পারে। ন্যাটোতে ইউক্রেনের যোগদানের ওপর চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে রাশিয়া সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে, নিচ্ছে। রাশিয়া ন্যাটোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছে পূর্ব ইউরোপের সব ধরনের সামরিক সম্প্রসারণ কার্যক্রম বন্ধ রাখতে। রাশিয়ার দাবি, ন্যাটো পুরো অঞ্চলকে নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে ফেলেছে। অন্যদিকে পশ্চিমা বিশ্বের যুক্তি, ইউক্রেনের পররাষ্ট্রনীতিতে রাশিয়া নাক গলাতে পারে না। তারা যদিও ন্যাটোর ‘খোলা দরজা নীতি’র কথা বলছে; অর্থাৎ যেকোনো ইউরোপীয় রাষ্ট্র ন্যাটোর সদস্যপদ চাইতে পারে কিন্তু তার পেছনের উদ্দেশ্য আসলে রাশিয়াকে বেকায়দায় ফেলা। স্নায়ুযুদ্ধের সময় ইউরোপজুড়ে সোভিয়েত আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ১৯৪৯ সালে যে ন্যাটো গঠিত হয়; সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙার পরও সংস্থাটি তার কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। এ সময়ে ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন উভয়ই শক্তিশালী হয়। আমরা দেখেছি, ন্যাটো পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোতে মনোযোগ দেয়। যেগুলোর অনেকেই সোভিয়েত ইউনিয়নের সদস্য ছিল।

সোভিয়েত ইউনিয়ন-পরবর্তী রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিনের নেতৃত্বের দুর্বলতায় ন্যাটো শক্তিশালী হয়। পরবর্তীকালে যখন ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়ার ক্ষমতায় আসেন তখন তিনি বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে নেননি। রাশিয়ার ‘নিয়ার অ্যাবরোড’ নীতি তথা প্রতিবেশী রাষ্ট্রের নিরাপত্তার অংশ হিসেবে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীন হওয়া রাষ্ট্রগুলোর সুরক্ষা নীতির কারণে ইউক্রেনে অন্যদের হস্তক্ষেপ কিংবা তাদের ন্যাটোর সদস্য হওয়ার বিষয়টি রাশিয়া ভালোভাবে নিচ্ছে না। বলাবাহুল্য, সেটি রাশিয়ার নিরাপত্তার দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবেশী হিসেবে ইউক্রেনে পশ্চিমাদের আধিপত্য রাশিয়ার জন্য হুমকি তৈরি করতে পারে। তাছাড়া ইউক্রেনের জনসংখ্যার বড় একটি অংশ ভাষার দিক থেকে রাশিয়ান।

এ বিষয়গুলোর দিকে তাকালে ইউক্রেন সংকটকে সহজভাবে দেখার সুযোগ নেই। পুতিন ইউক্রেন আক্রমণ করেন এবং ইউক্রেন সীমান্তে বিপুল পরিমাণ রাশিয়ান সৈন্য সমাবেশ ঘটান। এসবও কিন্তু যতটা না ছিল যুদ্ধের মহড়া, তার চেয়েও বেশি ছিল রাশিয়ার কৌশল। যেখানে পুতিনের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য পশ্চিমা বিশ্ব প্রচেষ্টা চালিয়েছে; রাশিয়াকে ঘিরে ফেলার চেষ্টা করেছে; সেখানে বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি হিসেবে রাশিয়া চুপ থাকবে- এটা চিন্তা করা বাতুলতা মাত্র। রাশিয়া অবশ্য ইউক্রেনের প্রতিবেশী বেলারুশের ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেয়। এর মাধ্যমে ইউক্রেন আক্রমণের যে কথা চাউর হয়, সেটি সাময়িকভাবে নাকচ হয় বটে। বস্তুত রাশিয়ার সৈন্য সমাবেশের ‘টার্গেট’ যতটা না ইউক্রেন, তার চেয়ে বেশি পশ্চিমাদের দেখানোর একটি মহড়া ছিল মাত্র।

যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে ইউক্রেনে একটি নতুন সংকট তৈরি হয়। সেখানে পূর্ব ইউক্রেনের দুটি অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্রের ঘোষণা দিয়ে সেনা পাঠান রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা পূর্ব ইউক্রেনের দুটি অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে পুতিনের স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার প্রভাবে জ্বালানি তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ওঠে। বৈশ্বিক শেয়ারবাজারেও সূচক পড়ে যায়। স্বাভাবিকভাবেই ইউক্রেন সীমান্তে রুশ প্রেসিডেন্টের আরও সেনা পাঠানোর নির্দেশ ও পূর্ব ইউক্রেনের দুটি অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ায় যুক্তরাজ্য ও তার বেশ কয়েকটি পশ্চিমা মিত্র উদ্বেগ প্রকাশ করে। তারা রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দেয়। বলাবাহুল্য, সে ক্ষেত্রে রাশিয়াও পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে বিশ্ববাজারে তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানিতে রাশ টানতে তোড়জোড় শুরু করে। মনে রাখতে হবে, আন্তর্জাতিক বাজারে দ্বিতীয় বৃহত্তম জ্বালানি তেল রপ্তানিকারক হলো রাশিয়া।

পশ্চিমা শক্তিগুলোর ধারণা, বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত পূর্ব ইউক্রেনের অঞ্চলগুলোকে পুতিনের স্বীকৃতি দেওয়ার ফলে রুশ সৈন্যদের আনুষ্ঠানিকভাবে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে প্রবেশের পথ সুগম হয়। এমনিতেই দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের স্বঘোষিত দুটি প্রজাতন্ত্র রাশিয়া-সমর্থিত বিদ্রোহীদের আবাসস্থল, যারা ২০১৪ সাল থেকে ইউক্রেনীয় বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করে আসছে। বস্তুত এটিও রাশিয়ার এক ধরনের কৌশল। এর মাধ্যমে রাশিয়াকে আগ্র্রাসী মনে হতে পারে; কিন্তু ইউরোপের পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ার সামনে আরো বিকল্প ছিল? আগেই বলেছি, রাশিয়ার নিরাপত্তার স্বার্থেই দেশটি সব ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে। বস্তুত চলমান ইউক্রেন সংকটকে ১৯৬২ সালে ‘কিউবান মিসাইল ক্রাইসিস’- এর সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধের সময়কার ওই ১৩ দিনের উত্তেজনাপূর্ণ ঘটনার সঙ্গে তুলনা করা যায়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চেয়েছে কিংবা করেছে; এটি আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে ভালো কোনো কৌশল নয়। ইউক্রেন নিজেও বিপজ্জনক নীতি গ্রহণ করেছে। দেশটি তার নিজের অবস্থান বিবেচনা না করে যেভাবে পশ্চিমাদের পক্ষ নিয়েছে এবং ন্যাটোর সদস্য হতে চেয়েছে, তার পরিণতি সুখকর নয়। এ অবস্থায় দেশটির কৌশলগত নীতি গ্রহণ করা প্রয়োজন। এদিক থেকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়’ অত্যন্ত বাস্তবসম্মত। অনেকে বাংলাদেশকে নির্দিষ্ট কোনো পরাশক্তির পক্ষে যাওয়ার কথা বলেন। আদতে তা ছোট রাষ্ট্রগুলোর জন্য বিপজ্জনক পরিণতি বয়ে আনে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে এরই মধ্যে সামরিক ও অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি স্ফীত হয়ে উঠছে। সামরিক-বেসামরিক মানুষের লাশের সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে বাস্তুচ্যুত ইউক্রেনীয়র সংখ্যা। বলা বাহুল্য, এ যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে গোটা ইউরোপে এক ধরনের নাড়া ও সাড়া পড়েছে। বিশ্লেষক, রাজনীতিবিদসহ অনেকেই একে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা বলে অভিহিত করেছেন। আমরা দেখেছি, পশ্চিমারা রাশিয়ার ওপর একের পর এক কঠিন অবরোধ আরোপ করেছে। এ যুদ্ধ স্বাভাবিক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি বৈশ্বিক রাজনীতিতে এক নতুন যুগেরও সৃষ্টি করেছে। একদিকে পশ্চিমাদের জোটবদ্ধ হওয়া, অন্যদিকে রাশিয়ার দৃঢ়তার সঙ্গে যুদ্ধে নামার মানে হলো নতুন শীতল যুদ্ধ শুরু হওয়া; যেটা আমরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর দেখেছি।

বলার অপেক্ষা রাখে না, রাশিয়ার ওপর পশ্চিমাদের ব্যাপক নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্ব-অর্থনীতি ভালো অবস্থানে নেই। রাশিয়ার সুইফট সুবিধা বাতিলকরণ ও বাণিজ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়ার অর্থনীতিতে যে মন্দাবস্থা এবং শেয়ার মার্কেটে যে অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছে, তার প্রভাব বিশ্ব-অর্থনীতিতেও পড়তে শুরু করেছে। তাছাড়া, এ যুদ্ধ পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে চীন ও রাশিয়ার দ্বন্দ্ব আরো প্রকট করে তুলেছে। বস্তুত পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে চীন-রাশিয়ার মেরুকরণ ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প প্রশাসনের ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই বড় আকারে দেখা গেছে। জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় আসার পরও ন্যাটোর মাধ্যমে তারই পুনরাবৃত্তি করেছেন। বৈশ্বিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার জোট কোয়াড এবং অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের জোট এইউকেইউএসও একই উদ্দেশ্য সাধনে কাজ করছে। ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার হামলাকে সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করে পশ্চিমারা পুতিনকে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে খারাপ হিসেবে উপস্থাপন করছে। নতুন মেরুকরণ পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ধরে রাখতে নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

যেকোনো যুদ্ধের পেছনেই ভূ-রাজনৈতিক বিষয় বড় কারণ হয়ে ওঠে। পশ্চিমা বিশ্ব ও ইউক্রেন বরাবরই রাশিয়ার নিরাপত্তার বিষয়টি উপেক্ষা করেছে। পশ্চিমারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে অস্ত্র দেওয়া এবং শক্তিশালী করার কারণেই ক্ষেপেছেন। ১৯৪৯ সালে যে ন্যাটো ১২টি দেশ নিয়ে গঠিত হয়েছে; আজকে তার সদস্য সংখ্যা ৩০। ন্যাটো লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া ও এস্তোনিয়াকেও তার সদস্য হিসেবে গ্রহণ করেছে এবং পূর্ব ইউরোপে সম্প্রসারণ ঘটিয়েছে। ইউক্রেন যখন ন্যাটোর সদস্য হতে চাইছে, পুতিন বিষয়টি রাশিয়ার নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলেই যুদ্ধে নেমেছেন।

যুদ্ধ বরাবরই বিধ্বংসী এবং সভ্যতাবিরোধী। ইউক্রেন তার শক্তিশালী প্রতিবেশী রাশিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে- এ সরল দৃষ্টিভঙ্গি থেকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দেখার সুযোগ সামান্যই। বরং এটি এমন পরিস্থিতি যেখানে পশ্চিমা বিশ্ব, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যকার বছরের পর বছর ধরে চলা ভূ-রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের ফল। বলার অপেক্ষা রাখে না, বিশ্ব সংবাদমাধ্যম পশ্চিমাদের প্রভাবাধীন বলে রাশিয়াকে তারা কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছে। আমরা জানি, ২০০৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরাক আক্রমণ করে সাদ্দাম হোসেনকে ফাঁসি দিয়েছে। মার্কিন সেনারা দুই দশক হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে গত বছর আফগানিস্তান ত্যাগ করেছে। সিরিয়া, লিবিয়া ও কয়েকটি আফ্রিকার দেশ পশ্চিমাদের ভূ-রাজনৈতিক খেলার শিকার। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পশ্চিমাদের তেমনি আরেকটি কৌশলগত খেলা।

লেখক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (বিপিএসসি) সদস্য

মন্তব্য

Beta version