নামমাত্র খরচে জটিল রোগের উন্নত চিকিৎসা মিলছে সরকারি হাসপতালে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর চিকিৎসা ব্যয় যেখানে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে সেখানে স্বল্পমূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রাপ্তির সংবাদ আমাদেরকে আশার আলো দেখায়।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা বলছেন, সরকারি হাসপাতালে রয়েছে দক্ষ জনবল ও উন্নত চিকিৎসা উপকরণ। কিন্তু সাধারণ মানুষের অনেকেই জানে না সরকারি হাসপাতালে কীভাবে, কি ধরনের চিকিৎসাসেবা পাওয়া যায়। এ নিয়ে অনেক সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং রোগী ও তাদের অভিভাবকদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝিরও সৃষ্টি হয়, ঘটে যায় অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। কোন কোন ক্ষেত্রে সরকারি চিকিৎসা সুবিধার বিষয়ে ধারণা না থাকায় প্রাপ্য চিকিৎসাসেবা আদায় করে নিতে পারেন না অনেক রোগী। আর এ সুযোগে অনভিজ্ঞ রোগীদের কাছ থেকে বিনা টাকার চিকিৎসার ক্ষেত্রেও অর্থ আদায় করেন হাসপাতালের কিছু সংখ্যক অসাধু চক্র। এতে বিনা টাকার সরকারি চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হয় সাধারণ মানুষ, যাতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়। অথচ দেশের স্বাস্থ্য সেক্টরের ব্যাপক উন্নয়ন আজ জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। সারাদেশে বিস্তার লাভ করেছে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, নামমাত্র খরচে চিকিৎসাসেবা পাওয়া যায় সরকারি হাসপাতালে। বেশ কিছু পরীক্ষা করাতে স্বল্প ফি নেওয়া হয়। এক্ষেত্রেও সরকারি ফি বেসরকারি হাসপাতালের ফির তুলনায় অনেক গুণ কম। তাছাড়া, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সেবা ফ্রি আর কম মূল্যে খোদ সরকারি হাসপাতালেই পাওয়া যায়। সরকারি হাসপাতালগুলোতে ১০ টাকার টিকিট নিয়ে জরুরি এবং বহির্বিভাগের চিকিৎসকের সেবা নিতে পারেন যে কেউ। বহির্বিভাগের ক্ষেত্রে দেওয়া হয় ১০ টাকার টিকিটের সঙ্গে ফ্রি ওষুধ। পরীক্ষা-নিরীক্ষার ক্ষেত্রে হতদরিদ্রদের সেবা দেওয়া হয় বিনামূল্যে।
সরকারি হাসপাতালে রয়েছে দক্ষ জনবল ও উন্নত চিকিৎসা উপকরণ। কিন্তু সাধারণ মানুষের অনেকেই জানে না সরকারি হাসপাতালে কীভাবে, কি ধরনের চিকিৎসাসেবা পাওয়া যায়। এ নিয়ে অনেক সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং রোগী ও তাদের অভিভাবকদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝিরও সৃষ্টি হয়, ঘটে যায় অনেক অনাকাঙিআক্ষত ঘটনা। বেসরকারি চিকিৎসাসেবার ফি আকাশচুম্বী হওয়ায় দেশের সাধারণ মানুষের শেষ ভরসা সরকারি হাসপাতালের নামমাত্র খরচের চিকিৎসাসেবা। আর এসব হাসপাতালে নামমাত্র খরচে উন্নত চিকিৎসা পাওয়ার সংবাদ আমাদেরকে আশাবাদী করে তোলে। এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে
দৈনিক ভোরের আকাশের ১০ মে প্রকাশিত খবর মতে, ব্রেন এং মেরুদণ্ডের অপারেশনের গাইড লাইন, রোগী হাসপাতালের আসার সঙ্গে সঙ্গে স্ট্রোকজনিত রোগ নির্ণয় জন্য কম খরচে এমআর মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে রোগী খরচ পড়ছে তুলনামূক অনেক কম। এই এমআর মেশিন উপমহাদেশে আছে মাত্র দুটি। একটা বাংলাদেশে আর একটা ভারতে। তাছাড়া, অল্প খরচে সিটিস্ক্যানও করা হচ্ছে। এখানেও খরচ পড়ছে নামমাত্র। নার্ভ এবং মাংসের রোগ নির্ণয় জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে এনসিভিইএমজি মেশিন। যা খরচ কমাচ্ছে রোগীর। তাছাড়া ব্রেইন স্ট্রোক, ব্রেইন টিউমার, মৃগীরোগ, মাথাব্যথা, মাংস শুকিয়ে যাওয়া, মাথায় আঘাত প্রভৃতি চিকিৎসা হচ্ছে দেশের সরকারি হাসপাতালে। এভাবে দেশের জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের সব সরকারি হাসপাতালে নামমাত্র খরচে মিলছে বিভিন্ন জটিল রোগের উন্নত চিকিৎসা।
সরকারি হাসপাতালে রয়েছে দক্ষ জনবল ও উন্নত চিকিৎসা উপকরণ। কিন্তু সাধারণ মানুষের অনেকেই জানে না সরকারি হাসপাতালে কীভাবে, কি ধরনের চিকিৎসাসেবা পাওয়া যায়। এ নিয়ে অনেক সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং রোগী ও তাদের অভিভাবকদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝিরও সৃষ্টি হয়, ঘটে যায় অনেক অনাকাঙিআক্ষত ঘটনা। বেসরকারি চিকিৎসাসেবার ফি আকাশচুম্বী হওয়ায় দেশের সাধারণ মানুষের শেষ ভরসা সরকারি হাসপাতালের নামমাত্র খরচের চিকিৎসাসেবা। আর এসব হাসপাতালে নামমাত্র খরচে উন্নত চিকিৎসা পাওয়ার সংবাদ আমাদেরকে আশাবাদী করে তোলে। এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।
মন্তব্য