-->

‘শেখ হাসিনা যেন নেপোলিয়নের সেই শিক্ষিত মা’

সুব্রত মন্ডল
‘শেখ হাসিনা যেন নেপোলিয়নের সেই শিক্ষিত মা’

ফরাসি বিপ্লবের নায়ক নেপোলিয়ন বোনাপার্ট বলেছেন “তুমি আমাকে শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাকে শিক্ষিত জাতি দিবো।" বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হলেন সেই শিক্ষিত মা। আধুনিক শিক্ষিত বাংলাদেশ বিনির্মাণের যিনি অগ্রগামী ভ‚মিকা পালন করছেন তিনি হলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

পারিবারিক ও আধুনিক শিক্ষিত একজন বিদ্যানন্দিনী আমাদের এই প্রধানমন্ত্রী। তাঁর জ্ঞান ও প্রজ্ঞায় বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টর উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে। তিনি রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবার পর থেকেই মানুষের সকল মৌলিক চাহিদার মিটানোর লক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। মানুষের মৌলিক চাহিদা মিটানোর পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর এ কন্যা বাংলাদেশকে সত্যিকার উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষে প্রথমে দেশকে প্রথমবার খাদ্যে স্বয়ং সম্পন্ন করে শিক্ষার মানোন্নয়নে মনোযোগী হন।

 

শেখ হাসিনা উচ্চ শিক্ষিত হবার কারণে বাংলাদেশের উন্নয়নের মূল চাবি কাঠি যে শিক্ষা সেটি তিনি ছাড়া বাংলাদেশের অন্য কোন শাসক অনুভব করতেই পারেননি। বিষয়টি স্পষ্টকরণে বাংলাদেশ রাষ্ট্রক্ষমতায় আহরণকারী আরেকজন সরকার প্রধানের পারিবারিক শিক্ষার বিষয়টি আলোচনায় আনলেই হবে।

 

কার কথা বলছি? পাঠক সমাজ বুঝতে পেরেছেন। বাংলাদেশের দুইবারের প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার কথা বলছি । সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী কতটুকু শিক্ষিত তা নিয়ে চলে আসছে নানান বিতর্ক। সমালোচকদের এক পক্ষ বলেন খালেদা জিয়া মাধ্যমিক পাস আবার অন্যপক্ষ বলেন মাধ্যমিক ফেল আবার আরেকটি পক্ষ জোড় দাবি করে বলে ফেলেন খালেদা জিয়া অষ্টম শ্রেণি পাস।

 

এই তিন শ্রেণির সমালোচকদের ইতিবাচক পক্ষের ধারণাটি যদি সত্য বলে ধরে নিই তবে খালেদা জিয়া মাধ্যমিক পাস। আলোচনা সমালোচনায় দরকার হয় প্রমাণ। খালেদা জিয়া উচ্চ শিক্ষিত না হওয়ায় তার শিক্ষা নিয়ে কোন উন্নয়ন ভাবনা নেই । তার সন্তানদেরও উচ্চ শিক্ষিত করতে পারেননি। পাশাপাশি আরেকটি বিষয় হলো; যে পরিবার থেকে দেশের প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়, এমনকি যে ব্যক্তি প্রতিনিধিত্ব করেন- স্বভাবতই তার শিক্ষাগত যোগ্যতা বহুলাংশে দেশের প্রতি সুচিন্তা ও উন্নয়ন চিন্তাধারার উপর প্রভাব ফেলে।

 

কেননা, শিক্ষাই মানুষকে দূরদর্শী হতে শেখায় এবং এগিয়ে আসতে শেখায় দেশ ও দশের কল্যাণে।

 

পচ্চাত্তর পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দল আওয়ামী লীগের হাল ধরেন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান পরবর্তী তার সৃষ্ট দল‘ বিএনপি’র হাল ধরে তার স্ত্রী খালেদা জিয়া।

 

শেখ হাসিনা ১৯৫৬ সালে টিকাটুলির নারীশিক্ষা মন্দির বালিকা বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৬৫ সালে তিনি আজিমপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাশ করেন। শেখ হাসিনা ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। অপরদিকে খালেদা জিয়ার স্কুলজীবন শুরু হয় পাঁচ বছর বয়সে দিনাজপুরের মিশন স্কুলে।

 

এরপর দিনাজপুর গার্লস স্কুলে ভর্তি হন। কথিত আছে তিনি এই স্কুল থেকেই অষ্টম শ্রেণি পাস করেন। এখানেই বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী মধ্যে একটা বড় পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। অবশ্য দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে তা বিশেষভাবে লক্ষণীয়।

 

দুই রাজনৈতিক পরিবারের তৃতীয় প্রজন্ম অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়ার সন্তানদের দিকে আলোকপাত করলে লক্ষ্য করা যায়, শিক্ষার দিক থেকে খালেদা জিয়া’র দুই পুত্রের চেয়ে শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় ও কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বহুগুণে এগিয়ে আছেন। ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকান্ড পরবর্তী সময়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় মায়ের সাথে জার্মানি-লন্ডন হয়ে ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন।

 

ফলে তার শৈশব এবং কৈশোর কেটেছে ভারতে। নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজ হতে স্নাতক করার পর যুক্তরাষ্ট্রের ‘দ্য ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস এ্যট আর্লিংটন’ থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক শেষ করেন। পরবর্তীতে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক-প্রশাসন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিও অর্জন করেন।

 

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ‘ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয়’ থেকে ১৯৯৭ সালে মনোবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি, ২০০২ সালে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজির উপর মাস্টার্স ডিগ্রি এবং ২০০৪ সালে স্কুল সাইকোলজির উপর বিশেষজ্ঞ ডিগ্রি লাভ করেন। ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সময় তিনি বাংলাদেশের নারীদের উন্নয়নের উপর গবেষণা করেন। এ বিষয়ে তার গবেষণাকর্ম ‘ফ্লোরিডার একাডেমী অব সায়েন্স’ কর্তৃক শ্রেষ্ঠ সায়েন্টিফিক উপস্থাপনা হিসেবে স্বীকৃত দেয়া হয়।

 

অপরদিকে, খালেদা জিয়ার দুই ছেলে সন্তান তারেক রহমান এবং আরাফাত রহমান কোকো। তারেক ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ হতে মাধ্যমিক ও নটরডেম কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হন, তিনি স্নাতক শ্রেণির পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি। পরবর্তীতে তিনি পেশা হিসেবে ব্যবসাকে বেছে নিয়ে বস্ত্রশিল্প ও নৌ-যোগাযোগ খাতে বিনিয়োগ করেন। আর আরাফাত রহমান কোকো শিক্ষাজীবনের শুরুতে কিছুদিন ঢাকার বিএফ শাহিন কলেজে পড়াশোনা করলেও পরবর্তীতে তিনি লেখাপড়া ছেড়ে দেন।

 

‘শিক্ষাই জাতির মেরুদÐ’। একজন মানুষের মন ও মনন গড়ে উঠে শিক্ষার আলোকে কেন্দ্র করে। ফলে একজন নেতার শিক্ষাগত যোগ্যতাই প্রমাণ করে তার নেতৃত্ব দেবার যোগ্যতা কতটুকু এবং কতটা বলিষ্ঠ হবে তার নৈতিক জ্ঞান। ফলে দেশ ও মানুষের উন্নয়নে জনগণ একজন শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন প্রতিনিধিকেই গ্রহণ করবে এটিই সত্য।

 

এই সত্যকে আরেকবার প্রমাণ করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। বিষয়টি একটু অন্যভাবেই বলি। প্রতিবছর ১লা জানুয়ারি সারাবিশ্বে নতুন বর্ষবরণ করতে ব্যস্ত। ধনী বিশ্বে বর্ষবরণে ভাসে আনন্দের জোয়ারে । বাংলাদেশও সেই বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ২০১০ সাল থেকে ভিন্নভাবে পালন করা শুরু করে। ওদিন বাংলাদেশ পালন করে ‘পাঠ্যপুস্তক বিতরণ উৎসব’ বা ‘বই উৎসব’।

 

এ উৎসবে ধনী গরীবের কোন বিভেদ থাকে না। নতুন বছরের প্রথম দিন নতুন বই হাতে পাওয়া একজন শিক্ষার্থীর জন্য কী যে আনন্দের বিষয় তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়! নতুন বই হাতে নিয়ে শিক্ষার্থীদের এই আনন্দ-উল্লাসের চিত্র বিশ্বের বুকে একমাত্র জননেত্রী শেখ হাসিনাই এঁকেছেন।

 

আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাধ্যমিক পর্যন্ত বিনামূল্যে এত সংখ্যক পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রম শুরু করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ তনয়া শেখ হাসিনার দূরদর্শী বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক প্রকল্প সারাবিশ্বে বাহবা পেয়েছে, কুড়িয়েছে ভ‚য়সী প্রশংসা।

 

প্রতি বছর জানুয়ারি মাসের ১ তারিখে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে নতুন পাঠ্যবই হাতে পান তাদের আনন্দ উল্লাসটুকুই সারা বিশ্বে দেখে। অন্যদিকে শেখ হাসিনা বই উৎসবের মধ্যে দিয়ে উন্নত বাংলাদেশের চিত্র দেখেন। এখানে একটি সুস্পষ্ট করে বলে রাখা ভাল সরকারি প্রতিষ্ঠান বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সরকার প্রদত্ত বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক সরকারের পক্ষে বিতরণ করে থাকে।

 

গণভবন থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবছর পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধন করে থাকেন। শেখ হাসিনার সরকার ২০১০ থেকে বছরের ১ম দিনে বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের মাঝে বই পৌঁছে দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সফলতার অনন্য রেকর্ড করেছে। সরকারিভাবে এতো বই ছাপিয়ে বাঁধাই করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষার্থীর হাতে বছরের প্রথম দিনে বিতরণের ইতিহাস বিশ্বের কোথাও নেই।

 

এ কর্মসূচির চালুর আগের চিত্রগুলো আমাদের মর্মপীড়ায় আঘাত করে। বেসরকারি পর্যায়ে যখন বই বিতরণ করা হতো বইয়ের অস্বাভাবিক মূল্য, কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের জিম্মি করে বই গুদামজাত করা হতো। বেসরকারি প্রকাশকরা যাচ্ছেতাইভাবে বইয়ের ব্যবসা করতেন। অর্থাভাবে বই কিনতে না পেরে বাংলাদেশের হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ শিশু, কৈশর শিক্ষার্থীরা ঝড়ে পড়েছে।

 

অপব্যয় হয়েছে বাংলাদেশের মেধার বিরাট অংশ। ২০১০ সালে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের মধ্য দিয়ে স্কুলের ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে গেছে। এর আগে প্রাথমিকে অর্ধেক নতুন ও অর্ধেক পুরানো বই শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করে আসছিল। মাধ্যমিকের বই নিজেদের ব্যক্তিগত অর্থে ক্রয় করে পড়তে হতো।

 

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)সূত্র জানায়, দ২০১০ শিক্ষাবর্ষ থেকে মাধ্যমিক স্তরে বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ করা শুরু হয়। তার পূর্বে কেবল প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পাঠ্যবই প্রদান করা হতো। ২০১০ শিক্ষার্থীদের মাঝে ২২২টি বিষয়ে ১৯ কোটি ৯০ লাখ ৯৬ হাজার ৫৬১টি পাঠ্যবই বিতরণ করা ২০১০ সালের বিনামূল্যে সব পাঠ্যবই দেয়ার পর থেকে এবারই সবচেয়ে বেশি বই মুদ্রিত হয়।

 

এর মধ্যে প্রাথমিকে ১১ কোটি ৪৩ লাখ ১৩ হাজার ৬৬৩টি, মাধ্যমিকে ১৪ কোটি ৮৫ লাখ ৫৫ হাজার ২৬২টি বই। তাছাড়া ইবতেদায়ি, দাখিল ও দাখিল ভোকেশনাল, এসএসসি ভোকেশনাল ও প্রাক-প্রাথমিকের। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও যথাসময়ে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি শিক্ষার্থীর হাতে বিনামূল্যে নতুন বই তুলে দিচ্ছে সরকার। ২০২১ শিক্ষাবর্ষে সর্বমোট ৩৪ কোটি ৩৬ লাখ ৬২ হাজার ৪১২ খানা পাঠ্যপুস্তক বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। চলতি শিক্ষা বর্ষে সারাদেশে মোট ৪ কোটি ৯ লক্ষ ১৫ হাজার ৩ শত ৮১ জন শিক্ষার্থীর হাতে ৩৩ কোটি ৪৮ লক্ষ ৭৮ হাজার ৮ শত ৩৩ টি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হয়।

 

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১০ সালে দেশের সাক্ষরতার হার ছিল ৫৮.৬ শতাংশ এবং বর্তমানে দেশে শিক্ষার হার ৭৪ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্বে শেখ হাসিনার নানামুখী উদ্যোগেই শিক্ষার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৩ সালে ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় একযোগে সরকারীকরণ করে। বর্তমানে ব্যানবেইজের তথ্য-২০১৮এর তথ্য মতে ৯৭.৭% শিশু বিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছে।

 

পাশাপাশি শিক্ষার মানোন্নয়নে ২০১০ সাল থেকে দেশে প্রথমবারের মত সৃজনশীল পদ্ধতি চালু করে। সুবিধা বঞ্চিতদের জন্য ‘ শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট আইন-২০১২’ চালু করে।কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষার মানোন্নয়নে ২০১৫সালে করে।কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ চালু করে। মাদ্রাসা শিক্ষা যুগোপযোগী করার লক্ষে ২০১৫ সালে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর।

 

জনশুমারি ২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশে বর্তমানে স্বাক্ষরতার হার ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। স্বাক্ষরতার হারে বর্তমানে নারীদের চেয়ে এগিয়ে আছে পুরুষরা। ২০১১ সালে দেশে স্বাক্ষরতার হার ছিল ৫১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

 

আলোচনার শেষাংশে বলা যায় শেখ হাসিনার হাত ধরেই বাংলাদেশ একবিংশ শতাব্দীর আধুনিক শিক্ষার দরজা উন্মোচিত হয়েছে।

 

লেখক পরিচিতি: সাবেক সভাপতি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version