-->
শিরোনাম

ত্রিদেশীয় সফর: হন্তারকদের কূটকচালের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার সফল কূটনীতি

এস এম রাকিব সিরাজী
ত্রিদেশীয় সফর: হন্তারকদের কূটকচালের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার সফল কূটনীতি

এস এম রাকিব সিরাজী: Conspiracy theory বা 'ষড়যন্ত্র তত্ত্বে'র ব্যাখ্যায় বিখ্যাত রাষ্ট্র বিজ্ঞানী মাইকেল বার্কুন যে তিনটি মূলনীতির কথা বলেছেন এর মধ্যে একটি হচ্ছে পৃথিবীর কোন কিছুই দৈবভাবে ঘটে না, এর পিছনে কারণ থাকে। তাই পৃথিবীতে যখন যাই ঘটছে তার পিছনে কোনো না কোনো কারণ থাকে, কারো না কারো হাত থাকে। অতি প্রাকৃতিকভাবে যা ঘটে, আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানে তারও যৌক্তিক ব্যাখ্যা থাকে।

 

সুতরাং ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার জন্য কিংবা চাপে ফেলার জন্য গত কয়েক বছরের কার্যকলাপও তার ব্যতিক্রম নয়; যেমন বিডিআর বিদ্রোহ সংঘটন, পদ্মা সেতুর জন্য বিশ্বব্যাংকের ঋণ বাতিল, আল জাজিরা কর্তৃক র‍্যাব নিয়ে নেতিবাচক রিপোর্ট, ড. ইউনসুকে নিয়ে হিলারি ক্লিনটনের উদ্বেগ, বিদেশী দূতাবাসগুলোতে বিএনপি-জামায়াত ও সরকার বিরোধী নেতাদের ঘন ঘন যাতায়াত ও পরিকল্পিত মিথ্যা নালিশ, র‍্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞার পর যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপির লবিস্ট নিয়োগ, লন্ডনে তারেক জিয়ার দেশবিরোধী প্রচারণা ইত্যাদি এসবের কোন কিছুই দৈবভাবে ঘটেনি ।

 

এইসবের পেছনে ছিল সার্বভৌম বাংলাদেশকে অবিরত উন্নয়নের ধারা থেকে সরিয়ে এনে বিদেশি পরাশক্তিদের শক্তি প্রদর্শনের ক্ষেত্র পরিণত করার প্রয়াস; সর্বোপরি যার পেছনে মূলত ছিল নির্দিষ্ট স্বার্থান্বেষী মহলের রাষ্ট্র ক্ষমতায় পৌঁছানোর চেষ্টা। চেষ্টা এখনো চলমান, ষড়যন্ত্র এখনো বহমান। এটা অস্বীকার করার উপায় যে করোনা পরবর্তী নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে চলমান বৈশ্বিক সংকটের ধাক্কা বাংলাদেশও জোরেশোরে লেগেছে।

 

কিন্তু বিশ্বের মহা প্রতাপশালী দেশগুলো যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের মত দেশগুলোর আর্থিক অবস্থার সাথে তুলনামূলক আলোচনা করলে বাংলাদেশ এক্ষেত্রে যথেষ্ট গতিশীল আছে ধরে নেয়া যায় । এই সাময়িক সংকটকে ইস্যু করে সরকার বিরোধীদের আন্দোলনের নামে প্রপাগাণ্ডা আর ষড়যন্ত্রের মাত্রা গত বছরের (২০২২) শেষ দিকে বেশ ভালোই গতিশীল হয়েছিল।

 

এত ভালো গতিশীল যে বিএনপি ও তাদের মিত্ররা ডিসেম্বরের ১০ তারিখকে সরকারের শেষদিন বলে জনসভা আর টকশোতে বেশ আত্মতুষ্টিতে ভুগতে শুরু করেছিলো । ডিসেম্বর গেলো, জানুয়ারি গেলো, ফেব্রুয়ারী, মার্চ, এপ্রিল যেতে থাকলো, তবু ওদের আশা 'নাহি ফুরাইলো'! ওরা মে মাস পর্যন্তও দিবাস্বপ্নে বিভোর ছিলো যে ওদের কোনো না কোনো বিদেশি প্রভু হঠাৎ করে আলাদিনের চেরাগ দিয়ে এই দেশের ক্ষমতায় ওদেরকে বসিয়ে দিবে।

 

কিন্তু ওদেরকে সম্পূর্ণরূপে হতাশ করে দিলো বঙ্গবন্ধু কন্যার সর্বশেষ ত্রিদেশীয় সফর। সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার মতোই দেশি-বিদেশী অপশক্তির সকল কূটচালের বিরুদ্ধে কিস্তি মাত হয়ে আসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর গত ২৫ এপ্রিল থেকে ৮ মে পর্যন্ত জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে সম্পন্ন ত্রিদেশীয় এই সফরটিতে ।

 

অসংখ্য আন্তর্জাতিক সম্মাননা পাওয়া গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে দেশ-বিরোধী শক্তি ও তাদের আন্তর্জাতিক দোসররা যতই বূহ্যজাল তৈরি করুক, প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তির প্রকৃত-রূপ পুনরায় পরিষ্কার হয়ে ওঠে প্রথম গন্তব্য জাপান সফরের মধ্য দিয়েই। বেশি দিন হয়নি মূলত, দেশের বিরোধী দলগুলোর উপর্যুপরি প্রোপাগাণ্ডা আর উস্কানিমূলক তৎপরতায় দেশের গণতন্ত্র পরিস্থিতি নিয়ে অবিবেচনা প্রসূত ও বিভ্রান্তি মূলক এক মন্তব্য করে বসেন তৎকালীন জাপানি রাষ্ট্রদূত।

 

আর এই মন্তব্যেই সক্রিয় হয়ে উঠে দেশবিরোধী সকল প্রোপাগান্ডা মেশিন। তাদের এই সময়ের উচ্ছ্বাস যেন হার মানায় একাত্তর সালে মার্কিনীদের সপ্তম নৌবহর পাঠিয়ে সাহায্য করার আশ্বাসে দেশে অবস্থিত পাকিস্তানের দোসরদের খুশিকেও! প্রকৃত অর্থে রাষ্ট্রদূত বলেছিলেন , বিএনপির দাবীকৃত ঘটনার মত কিছু ' যদি ঘটে থাকে ’ সেটা অসমীচীন । সুতরাং, রাষ্ট্রদূত ঘটনা সম্পর্কে ন্যূতম জ্ঞাত অব্ধি ছিলেন না।

 

কিন্তু ‘চিল নিয়ে গেছে কান’ শুনে পিছনে দৌড়ানো আমজনতাকে ভুল বোঝানোর জন্য এটাই ছিল যথেষ্ট। এরপর সকল অপশক্তির অপতৎপরতার জবাব চলে আসে জাপান সফর থেকেই। সফরের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী পান রাজকীয় লাল গালিচা সংবর্ধনা। সাথে ছিল দেশের অপ্রতিরোধ্য উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা।

 

স্বাক্ষরিত হয় একাধিক দ্বিপাক্ষিক উন্নয়নমুখী প্রকল্পের পরিকল্পনা। এর আওতায় স্বাক্ষরিত হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ৮টি চুক্তি ও স্মারক। চুক্তি গুলো মূলত কৃষি, প্রতিরক্ষা, সাইবার নিরাপত্তা, উদ্ভাবনী প্রযুক্তি যোজন, বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি, জাহাজ ভাঙা শিল্পের উন্নয়ন এবং মেট্রোরেলের মত খাতগুলোকে কেন্দ্র করে।

 

সেই সাথে প্রকাশিত হয় ভারতকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশকে কেন্দ্রে রেখে জাপানের বঙ্গোপসাগর কেন্দ্রিক অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্লোবাল সাউথ। উক্ত পরিকল্পনা প্রকাশের মাধ্যমে প্রকাশিত হয় জাপানের ইন্দোপ্যাসিফিক পরিকল্পনায় বাংলাদেশ কৌশলগত অবস্থানের গুরুত্ব । এই সফর ছিল মূলত বাংলাদেশের সাথে জাপানে দীর্ঘ পঞ্চাশ বছরের সম্পর্কের পুনঃনিশ্চায়নমাত্র।

 

এবার আসা যাক আমেরিকার দিকে । দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি , নির্বাচন, গণতন্ত্র, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, মত প্রকাশের স্বাধীনতার মতো-নানাবিধ বিষয়গুলো নিয়ে অযাচিতভাবে মার্কিন কূটনৈতিকদের মন্তব্য ছিল দেশের সুশাসন বিরোধী স্বার্থান্বেষী শক্তির জন্য বড্ড স্বস্তির।

 

বিএনপি হোক, জামাত হোক কিংবা হোক ব্যাঙের ছাতার মত গজানো কোনো রাজনৈতিক দল – আমেরিকাসহ পশ্চিমা দূতাবাসগুলোতে নিয়মিত যাওয়া-আসার অভ্যাস ছিল অনেকটাই তাদের কাছে তীর্থ-ক্রিয়াতূল্য । যেন এসব জায়গায় নিয়মিত তীর্থ করলেই পশ্চিমারা তাদের হাতে দেশকে তুলে দিবে! পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগ আনা থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উপর নিষেধাজ্ঞা – সব মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপগুলো ছিল বাংলাদেশের সাথে পারস্পরিক সার্বভৌম সম্মানের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা সম্পর্কের উপর অমীমাংসিত একটি বড় প্রশ্ন।

 

উন্নয়ন সহযোগী বিশ্বব্যাংকের সাথে বাংলাদেশের ৫০ বছরের সম্পর্কের বর্ষপূর্তি উদযাপন ছিল প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্র সফরের প্রধান উপলক্ষ । যেই বিশ্বব্যাংক মিথ্যা দুর্নীতির অভিযোগে বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থনৈতিক সহায়তা দেওয়া থেকে বিরত ছিলো ; সেই বিশ্বব্যাংকের শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তাদের সামনে দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনা তুলে ধরেন নিজ অর্থায়নে পদ্মা সেতু প্রতিষ্ঠার সফলতার গল্প।

 

সবশেষে সকল অপশক্তির চক্রান্তে চটাঘাত হিসেবে বিশ্বব্যাংকের চেয়ারম্যানের হাতে পদ্মাসেতুর একটি ছবি তুলে দেন বাংলাদেশের সরকার প্রধান। বাংলাদেশের উন্নয়নের বাস্তব চিত্র দেখে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফসহ উন্নয়ন সহযোগীদের ভূয়সী প্রশংসায় ভাসেন প্রধানমন্ত্রী।

 

সফরকালেই বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্সিটেম্বন প্রধানমন্ত্রীর এই সফর নিয়ে টুইট করেছেন। টুইটে তিনি তুলে ধরেন বাংলাদেশের অগ্রগতির স্বীকৃতি স্বরূপ প্রশংসা। আর সেই ধারাবাহিকতায়ই আসন্ন বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফসহ বিভিন্ন সংস্থার বড় অঙ্কের অর্থায়নের নিশ্চয়তাও আসে এই সফর থেকেই।

 

কতিপয় ভাড়াটে অর্থনীতিবিদ আর রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ‘বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে ’ বলে বলে ফেনা তোলার চেষ্টা ভেস্তে যায় এই এক সফরেই। পরিস্কারভাবে প্রমাণিত হয় যে দক্ষিণ এশিয়ার নেতৃত্ব-স্থানীয় অর্থনীতির একটি দেশ কখনো রাতারাতি দেউলিয়া হতে পারে না। মার্কিন প্রশাসনের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল পরিষ্কার করে বলেন বাংলাদেশের নির্বাচন ও আভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করবে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পুনরায় শক্তিশালী হয় পুরোনো সুন্দর সম্পর্ক।

 

আসা যাক যুক্তরাজ্য সফরের দিকে। কোনো একটি দেশের বিষয়ে ইউরোপীয় দেশগুলোর অবস্থান অনেকাংশেই নির্ধারিত হয় যুক্তরাজ্যের অবস্থানকে কেন্দ্র করে। যুক্তরাজ্যের সদ্য অভিষিক্ত রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।

 

লন্ডনে শেখ হাসিনা সরাসরি রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে মত বিনিময় করেন । এ ছাড়া সংগঠিত হয় যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক। দুই দেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির বিষয়ে আলোচিত হয়দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় ।

 

এরপর লন্ডনে কমনওয়েলথ লিডারস ইভেন্টে অংশ নেন। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লিভারলি , ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক -এর সাথে বৈঠক এবং মিসর ও রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট এবং সিয়েরা লিওন, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, গাম্বিয়া, নামিবিয়া ও উগান্ডার প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

 

যে বৃটিশরা দুই শত বছর আমাদেরকে শাসন করেছে সেই বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর পুরো পরিবার আজ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ভক্ত! বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর দুই মেয়ের কাছে শেখ হাসিনা একটি অনুপ্রেরণার নাম! একজন বাংলাদেশী নাগরিক হিসেবে এই বিষয়টা ভাবতে কার না ভালো লাগবে?

 

অবাক করার বিষয় হলো ত্রিদেশীয় সফরের সফলতা দেখে হতাশ বিএনপি ও তাদের মিত্ররা যখন ভাবতে শুরু করলো এই সফরের কারণে সরকার তাদের পুরাতন উন্নয়ন সহযোগী চীনের সমর্থন হারাবে, ঠিক তখনই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিক থেকে আরেকটি চীনে পরিণত হবে বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।

 

একটি প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী বছর বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি চীনকে ছাড়িয়ে যাবে এবং বেইজিং ঢাকার এ ধরনের সাফল্যের প্রশংসা করে । বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে আমরা উৎসাহিত। উন্নয়নের দিক থেকে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে বিশ্বের অনেক দেশের কাছে মডেল।আমাদের(বাংলাদেশ ও চীন) চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো অভিন্ন উন্নয়ন।

 

বাংলাদেশ এখন নিঃসন্দেহে দক্ষিণ-এশিয়ায় সফলতার রোল মডেল। আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক মন্দাবস্থার কারণে দেশের স্বাভাবিক দ্রব্যমূল্যর ঊর্ধ্বগতিকে শ্রীলঙ্কার মতো দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার আলামত দেখানোর চেষ্টা করে দেশকে এখন আর শ্রীলঙ্কা বানানো সম্ভব না । তেমনই সম্ভব না দেশের সাধারণ মানুষের ক্ষমতার দায়ভার বিদেশি শক্তির হাতে দরকষাকষি করার মাধ্যমে। বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্ধনশীল। দেশের সকল মানুষ এখন পেটভরে ভাত পায়। দেশের মানুষ খুশি ও সুখী। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে ।

 

তাই এখন বিদেশি কূটনীতির কাঠি নাড়া দিয়ে কখনোই আর এবাংলাদেশের ক্ষমতা পালা বদল সম্ভব না। বাংলাদেশে যতো নির্বাচনই হোক না কেন তা অবশ্যই জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের অধীনেই হবে। আর দেশি বিদেশি সকল কুটচালের বিরুদ্ধেই শেখ হাসিনার দক্ষ, দৃঢ় ও সুগঠিত নেতৃত্বই দেশের মানুষকে, দেশকে সকল বাঁধা পেড়িয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে যথেষ্ট। ত্রিদেশীয় সফর ছিল তারই চাক্ষুষ প্রমাণমাত্র।

 

ত্রিদেশীয় সফরের মাধ্যমে ফুটে উঠেছে শেখ হাসিনার আন্তর্জাতিক গ্রহনযোগ্যতা ও কূটনৈতিক দূরদর্শিতা।

 

তাই এটি বলা যায় যে - ত্রিদেশীয় সফর, হন্তারকদের কূটচালের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার সফল কূটনীতি।

 

লেখক: সাবেক সভাপতি, ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি ও কর্মী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version