কয়েক যুগ ধরে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচলে অস্বস্তিকর ও বিশৃঙ্খল অবস্থায় বিরাজমান। জনগণের মধ্যেও ভয়-ভীতি, ক্ষোভ, চিকিৎসক ও চিকিৎসাব্যবস্থার প্রতি অনাস্থার কমতি নেই। অন্যদিকে আমাদের খাদ্যাভ্যাস, শহরের পরিবেশ, বাতাসের দূষণ এসব কারণে অসংক্রামক রোগ বেড়ে চলেছে। দেশে হাঁপানি ও ক্যানসারের রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে।
ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রেসারে আক্রান্তের সংখ্যা বহুগুণ বেড়ে গেছে। আগে মহামারি ছিল কলেরা, ম্যালেরিয়া ইত্যাদি। সেগুলো সম্পূর্ণ চলে গেছে, তা নয়। তবে এখন প্রেক্ষাপটটি বদলে গেছে। নতুন নতুন রোগ মহামারির আকার নিচ্ছে। এখন মহামারি হচ্ছে ক্যানসার, হার্ট অ্যাটাক, ডায়াবেটিস ইত্যাদি।
বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার ভিত্তি স্থাপন করেন। তিনি স্বাস্থ্য এবং চিকিৎসাবিজ্ঞানের সব ক্ষেত্রে একটি শক্ত নীতিমালা, পরিকল্পনা ও অবকাঠামো রেখে গেছেন যার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে আজকের স্বাস্থ্যব্যবস্থা। তার পরিকল্পনা শুধু রাজধানী বা শহরকেন্দ্রিক ছিল না; বরং জেলা, থানা, ইউনিয়ন, গ্রামসহ তৃণমূল পর্যায়ে সেগুলো নিশ্চিত করাই ছিল মূল উদ্দেশ্য।
আর তা বাস্তবায়নের জন্য তিনি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, প্রতিটি জেলায় হাসপাতাল, থানা হেলথ কমপ্লেক্স, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সুবিন্যস্ত স্বাস্থ্যব্যবস্থা প্রণয়নের পথ দেখিয়েছিলেন।
স্বাস্থ্যকে সংবিধানের মূল অধিকার, প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় গুরুত্ব ও চিকিৎসকদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদাদানের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার অগ্রযাত্রা শুরু। কমিউনিটি ক্লিনিক জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃত ‘শেখ হাসিনা মডেল’ যার প্রতিটি দেশের বেলায় প্রযোজ্য।
বঙ্গবন্ধু দেশেই স্নাতকোত্তর পর্যায়ে চিকিৎসকদের উচ্চতর প্রশিক্ষণ ও আন্তর্জাতিক মানের বিশেষজ্ঞ তৈরির জন্য তৎকালীন শাহবাগ হোটেলকে ‘আইপিজিএমঅ্যান্ডআর’ এবং ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ কলেজ ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জনস বা বিসিপিএস প্রতিষ্ঠা করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইপিজিএমঅ্যান্ডআরকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করেন।
যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষের সুচিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু প্রতিষ্ঠা করেন পঙ্গু হাসপাতাল ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট। ফিজিওথেরাপি নিশ্চিত করতে তিনি ১৯৭২ সালে এ বিষয়ে উচ্চতর কোর্স ও চিকিৎসাসেবা চালু করেন।
এ ছাড়া তিনি জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট, সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল এবং তৎকালীন কলেরা হাসপাতালকে আইসিডিডিআরবি হিসেবে রূপান্তরিত করেন। মেডিকেল ছাত্রদের পাশাপাশি প্যারামেডিকেল ও নার্সিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করে তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা বঙ্গবন্ধুর সময়ই শুরু হয়েছিল।
যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে জাতির পিতা চিকিৎসাসেবাকে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার জন্য জেলা, থানা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণের যুগান্তকারী উদ্যোগ গ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের হাতেই বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন ও চিকিৎসাবিজ্ঞানের গবেষণায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন শুরু হয়।
তিনি স্বাস্থ্যকে সংবিধানের মূল অধিকারের অংশ হিসেবে সংযোজন, গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা ও বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদ গঠনসহ বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। জাতির পিতার পরিকল্পিত স্বাস্থ্য নীতির ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাতে ভালো অর্জন করেছে। শিশুমৃত্যুর হার কমেছে, জন্মনিয়ন্ত্রণ এক ধরনের সন্তোষজনক জায়গায় এসেছে, টিকাদান কর্মসূচি গতি পেয়েছে ইত্যাদি।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে গত ১৪ বছরে স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে। ২০১১ গণমুখী স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করে যুগোপযোগী স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নতুন নতুন হাসপাতাল, নার্সিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠাসহ নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ফলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেক্টরে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।
আমি বলব, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই স্বাস্থ্য খাতে প্রকৃত উন্নয়ন এসেছে। দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া একটি সাংবিধানিক অধিকার। বিষয়টি মনে রেখে দেশের স্বাস্থ্য খাত বর্তমানে নানা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।
মায়েদের মাতৃত্বকালীন সেবার মান বৃদ্ধিতে সরকার বিশেষ নজর দিয়েছে। দেশের প্রায় চার হাজারটি ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের মধ্যে প্রাথমিকভাবে ৫০০টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রসূতিদের জন্য ৮ ঘণ্টার পরিবর্তে ২৪ ঘণ্টা সেবাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। খুব অল্প সময়ে দেশের সব হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা সেবাদান কর্মসূচি চালু হবে।
এক সময় দেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৬০ বছর। আর এখন ৭৩ বছর। দেশে টিকাদানে ৯৮ শতাংশ সফলতা এসেছে। অথচ আগে ছিল মাত্র ২০ শতাংশ। আগে দেশে শিশু মৃত্যুহার ছিল ১৫০ জনের বেশি। এখন সেটি মাত্র ২৩ জন। আগে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ৩ শতাংশ। আর এখন মাত্র শূন্য দশমিক ৯৮ শতাংশ মাত্র। আগে দেশে খর্বকায় মানুষের জন্মহার ছিল ৬০ শতাংশ।
কিন্তু এখন মাত্র ২৫ শতাংশের নিচে খর্বকায় মানুষ জন্ম নেয়। দেশে আগে তেমন কোনো স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ছিল না। এখন ২২টি ইনস্টিটিউট করেছেন মানবতাবাদী দার্শনিক মাতৃসম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগে মাত্র আটটি মেডিকেল কলেজ ছিল। এখন ৩৭টি মেডিকেল কলেজ হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ সিলেট, খুলনা, চট্টগ্রাম, রাজশাহীতে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
গ্রামপর্যায়ে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সারা দেশে প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ফ্রি স্বাস্থ্য, পরিবার কল্যাণ ও পুষ্টিসেবা প্রদান করা হচ্ছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতাল থেকে মোবাইল ফোন ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা চালু করা হয়েছে।
ফলে দেশের আপামর জনগণের প্রয়োজনীয় মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবাপ্রাপ্তি সহজতর হয়েছে। মাতৃসম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টেকসই রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির ফলেই মা ও শিশু স্বাস্থ্যভিত্তিক স্বাস্থ্যকৌশল, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি এবং কম খরচের উদ্ভাবনী প্রযুক্তির বাস্তবায়ন, মাঠকর্মীদের নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ স্থাপন, কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কার্যকর সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ, সরকারের আন্তঃমন্ত্রণালয় এবং সংস্থার মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয় বৃদ্ধি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার দেশের স্বাস্থ্য খাতে আমূল পরিবর্তন এনে দিয়েছে।
অপরিসীম মমত্ববোধ নিয়ে শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের স্বাস্থ্য খাত এখন অনেক অগ্রসর। গ্রামীণ জনপদে এই সেবা বিস্তৃত হয়েছে। ফলে মানুষের সময় ও অর্থের সাশ্রয় হচ্ছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতাল থেকে মোবাইল ফোন এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা চালু করা হয়েছে। ফলে জনগণের প্রয়োজনীয় মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবাপ্রাপ্তি সহজতর হয়েছে।
গ্রামীণ দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা এবং সর্বস্তরের জনগণের জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসাসেবা প্রদান, স্বাস্থ্য খাতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শিশু এবং মাতৃমৃত্যু হ্রাস, মাঠপর্যায়ে মা ও শিশু স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পরিবার পরিকল্পনাসেবা প্রদান, এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং সবস্তরের জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ এখন সবদিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে।
জাতীয় স্বাস্থ্যনীতির প্রণয়ন বর্তমান সরকারের এক উল্লেখযোগ্য অর্জন। ২০০০ সালে সর্বশেষ হালনাগাদকৃত জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি এই সরকারের মেয়াদকালে ২০১১ সালে যুগোপযোগী করা হয়েছে। একইভাবে উল্লেখ করা যায় ওষুধ নীতির কথা। বাংলাদেশের ওষুধশিল্পের কথা গর্বের সঙ্গে উল্লেখ করা যায়। নিজ জনগণের চাহিদার সিংহভাগ মেটানোর পর যুক্তরাষ্ট্রসহ ১৪৫টি দেশে বাংলাদেশের ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে।
এ পর্যন্ত ৩২ বিলিয়ন ডলারের ওষুধ রপ্তানি হয়েছে। শুধু ২০১৭ সালে ৩ হাজার ১৯৬ কোটি ১২ লাখ টাকার ওষুধ রপ্তানি হয়েছে। নিজ চোখে প্রতিদিন দেখি কত তরুণ ওষুধশিল্পে কাজ করে সম্মানজনক জীবনযাপন করছেন। বাংলাদেশের ওষুধশিল্পের মালিকদের প্রসার নিজ চোখেই তো দেখছি। রোগীদের কাছে গর্বের সঙ্গে বলি বিদেশি ওষুধ লাগবে না, আমাদের দেশের ওষুধই অনেক ভালো।
একই ধারাবাহিকতায় জনসংখ্যা নীতির উল্লেখ করতে হয়। আরও উল্লেখ করতে হয় জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আমাদের সাফল্যের কথা। বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ। নারীপিছু গড় সন্তান জন্মদানের হার ২ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশে হ্রাস পেয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হয়েছে, বিশ্বদরবারে নানাভাবে সম্মানজনক অবস্থান তৈরি করতে পেরেছে।
সম্প্রতি এক বক্তব্যে সবাইকে স্বাস্থ্যসেবার আওতায় নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরিষেবা সম্প্রসারণ, সম্পদ বৃদ্ধি ও কার্যকারিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে সবাইকে স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আনার প্রচেষ্টা জোরদার করার অঙ্গীকার করেন তিনি।
৫ লাখ অটিস্টিক শিশুকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেয়ার জন্য ১০৩টি সেবাকেন্দ্র চালু রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশকে পোলিও ও ধনুষ্টংকারমুক্ত দেশ ঘোষণা করেছে। প্রতিটি জেলায় একটি করে মেডিকেল কলেজ নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার।
স্বাধীনতার ৫২ বছরে দেশের স্বাস্থ্যসেবা খাত বিশ্বব্যাপী প্রশংসনীয় সফলতা অর্জন করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম খরচে মৌলিক চিকিৎসা চাহিদা পূরণ, সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল, অসংক্রামক রোগগুলোর ব্যবস্থাপনা এবং প্রতিরোধে ব্যাপক উদ্যোগ, পুষ্টি উন্নয়ন, স্বাস্থ্য সূচকগুলোর ব্যাপক অগ্রগতিতে স্বাস্থ্য অবকাঠামো খাতে অভ‚তপূর্ব অর্জন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়েছে বহুদূর।
শিশুদের টিকাদান কর্মসূচি, মাতৃ ও শিশুমৃত্যু হ্রাস, তৃণমূল পর্যায়ে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে চলমান কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রম বিশ্বের অনেক দেশের কাছে মডেল হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। এসব অর্জন, কৃতিত্ব কোটি মানুষের নেত্রী ও আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার। আমরা সৌভাগ্যবান, এমন একজন রাষ্ট্রনায়ক পেয়েছি যিনি আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছেন।
লেখক : চিকিৎসাবিদ ও সংসদ সদস্য
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য