রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন দৃশ্যমান। এখন সরকারের লক্ষ্য আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ হিসেবে গড়ে তোলা। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ সরকারের একটি দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগ, যার মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে একটি উন্নত এবং টেকসই সমাজ ব্যবস্থায় পরিণত হবে।
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের মাধ্যমে স্মার্ট শহর, স্মার্ট কৃষি, স্মার্ট স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, স্মার্ট শিক্ষা ব্যবস্থা, স্মার্ট জ্বালানি ব্যবস্থা, স্মার্ট প্রশাসন এবং স্মার্ট প্রতিষ্ঠান সাধিত হবে। ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের লক্ষ্য বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে গঠন করা হয়েছে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’ নামের একটি নির্বাহী কমিটি যার কাজ হচ্ছে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা এবং পাশাপাশি এর জন্য অবকাঠামো সৃষ্টি ও দিক নির্দেশনা দেয়া।
তা ছাড়া, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আর্থিক খাতকে আধুনিকায়নের জন্য সময়াবদ্ধ পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন, সামাজিক, অর্থনৈতিক, বৈজ্ঞানিক ও বাণিজ্যিক পরিমÐলে তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিধিমালা ও রপ্তানি লক্ষ্য অর্জনে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ নীতি প্রণয়ন করাও এই কমিটির কাজের আওতায় অন্তর্ভুক্ত। স্মার্ট বাংলাদেশের মূলভিত্তি চারটিÑ স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সমাজ ও স্মার্ট সরকার। সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক খাতে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাংলাদেশকে করেছে সমৃদ্ধ। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের কল্যাণে আর্থিক সেবা পৌঁছে গেছে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগণের দোরগোড়ায়। বিগত এক দশকে এ দেশের অর্থনীতির যে সমৃদ্ধি হয়েছে, তার পেছনেও রয়েছে ব্যাংকিং খাতের অবদান। বাংলাদেশ নিম্ন আয়ের দেশ থেকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে এবং লক্ষ্য রয়েছে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়া যার জন্য প্রয়োজন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ ধারণার যথাযথ বাস্তবায়ন।
স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প-২০৪১ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের একটি রূপরেখা। স্মার্ট বাংলাদেশের মাধ্যমে ফাইভজি ইন্টারনেট, শতভাগ মোবাইল ব্যবহারকারী, শতভাগ উচ্চগতির ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এবং ক্যাশলেস লেনদেনের সূচনা হবে। দেশের সব নাগরিক স্মার্ট বাংলাদেশের সুযোগ-সুবিধার আওতায় আসবে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক অবস্থা নির্বিশেষে দেশের সব নাগরিককে উদ্ভাবনী ধারণা এবং ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের দ্বারা ডিজিটাল বাংলাদেশ স্থাপনের মাধ্যমে একটি সমন্বিত ব্যবস্থায় নিয়ে আসা সম্ভব হবে।
অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল অর্থনীতি বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত করাই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ ও উদ্দেশ্য। স্মার্ট অর্থনীতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি আধুনিক, প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে উন্নত, বৈষম্যহীন, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশে পরিণত হবে।
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে সরকার ১৪ দফা কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি হিসেবে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির অধীনে আত্মকর্মসংস্থান ভিত্তিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাকরণ। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরো গতিশীল করতে এ পর্যন্ত প্রায় ৭০টি কোম্পানি প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ করেছে। আইসিটি পণ্য রপ্তানি থেকে বাংলাদেশের আয় এক বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। যেসব দেশে আইসিটি পণ্য রপ্তানি হচ্ছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপের কয়েকটি দেশসহ প্রায় ১০০টি দেশ।
২০৪১ সালের মধ্যে এই খাত থেকে মোট আয় ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ধরা হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে আইসিটিই হলো অগ্রাধিকার খাত। সেই খাতকে প্রাধান্য দিয়ে দেশে গড়ে তোলা হয়েছে ২৮টি হাইটেক পার্ক, আইটি পার্ক ও ইনকিউবেশন সেন্টার। স্মার্ট অর্থনীতি হলো ডিসেন্ট্রালাইজড এবং ডিজিটাল আর্থিক অবকাঠামো সম্পন্ন একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। স্মার্ট অর্থনীতিতে সব সম্পদ ও ব্যবসা-বাণিজ্য ডিজিটাল মাধ্যমে পরিচালিত হবে। স্মার্ট অর্থনীতির মাধ্যমে সফল ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনার জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
বর্তমানে সেন্ট্রালাইজড ব্যবস্থাপনা সিস্টেমের মাধ্যমে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে। ভবিষ্যতে ডিসেন্ট্রালাইজড সিস্টেমের মাধ্যমে সব পরিচালিত হবে এবং একটি সত্যিকার ডিজিটাল এবং স্মার্ট অর্থনীতির ভিত্তি স্থাপিত হবে। স্মার্ট অর্থনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ডিসেন্ট্রলাইজড ডাটা এবং পদ্ধতির অবকাঠামোগত উন্নয়ন। ব্লক চেইন টেকনোলজি, স্মার্ট যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং ডিজিটাল পরিচয় হলো স্মার্ট অর্থনীতির মূল বিষয়বস্তু। অর্থনীতির এত বিষয়বস্তুকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেক্টরের ভ‚মিকা বিরাট এবং স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ বিনির্মাণে ব্যাংকিং সেক্টরের অবদান অবশ্যই মূল্যায়নের দাবি রাখে।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে এক সময় কৃষিনির্ভর ছিল। বর্তমানে এ দেশের অর্থনীতিতে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখছে তৈরি পোশাকশিল্প ও প্রবাসী আয়। বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে তিনটি সেক্টর যথা- কৃষি, শিল্প ও সেবার অবদান যথাক্রমে ১১.২০০% ৩৭.৫৬ শতাংশ এবং ৫১.৪৬ শতাংশ। অর্থাৎ দেশের অর্থনীতিতে সেবা খাতের অবদান সবচেয়ে বেশি। সেবা খাতের মধ্যে অন্যতম প্রধান একটি সেবা খাত হলো ব্যাংকিং সেক্টর। ব্যাংক সরকারি এবং বেসরকারি সেক্টরে তহবিল বিনিয়োগ করে থাকে। ফলে, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ব্যাংক নতুন কোম্পানি প্রতিষ্ঠা, নতুন শিল্প উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠা এবং উৎপাদনকারীদের দীর্ঘমেয়াদে ঋণ প্রদান করে থাকে।
এভাবে সাধারণ নাগরিক থেকে শুরু করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত আর্থিক সেবা প্রদান করার মাধ্যমে ব্যাংকিং সেক্টর অর্থনৈতিক এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং অর্থনীতির টেকসই প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখছে। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ স্থাপনের ক্ষেত্রে ব্যাংকিং সেক্টরের ভূমিকা অপরিসীম। ডিজিটাল সেবা প্রধান, ডিপোজিট অটোমেশন, ইন্টিগ্রেশন, ক্লাউড ভিত্তিক ক্ষমতা বৃদ্ধি, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তির ব্যবহার ইত্যাদি প্রযুক্তিগত সহায়তায় ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠার দ্বারা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ আরো ত্বরান্বিত হবে।
একটি দেশের ব্যাংক ব্যবস্থা সে দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি। তাই দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে ব্যাংকের তাৎপর্য অপরিসীম। ব্যাংকের প্রধান লক্ষ্য হলো আমানত গ্রহণ, ঋণ প্রদান ও অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে মুনাফা অর্জন করা। ব্যাংক মূলত নিম্ন হারে আমানতকারীদের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ করে এবং উচ্চহারে ঋণগ্রহীতাদের ঋণ প্রদান করে থাকে। ব্যাংকের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো গ্রাহকদের সেবা প্রদান করা।
ব্যাংক এই সেবা প্রদানের বিনিময়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে ন্যূনতম চার্জ আদায় করে, যা ব্যাংকের অন্যতম আয়ের উদ্দেশ্য। বিনিয়োগের মাধ্যম সৃষ্টি করা ব্যাংকের আরেকটি লক্ষ্য। ব্যাংক বিনিময় বিল, চেক, ডিমান্ড ড্রাফট ইত্যাদি প্রচলন করার মাধ্যমে বিনিয়োগের মাধ্যম সৃষ্টি করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রানীতি প্রণয়ন করে থাকে এবং বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধি হিসেবে ঋণ ও মুদ্রা বাজার নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
ব্যাংক জনগণের হাতে পড়ে থাকা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সঞ্চয় সংগ্রহ করে মূলধন পুঞ্জীভূত করে। পরবর্তীতে তার ওপর নির্দিষ্ট হারে সুদ প্রদান করে। বেকার সমস্যা সমাধানে ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে থাকে। ব্যাংক দক্ষ ও শিক্ষিত লোকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে বেকার সমস্যা দূরীভ‚ত করে থাকে। দেশে শিল্পের বিকাশে ব্যাংকের অবদানের কোনো বিকল্প নেই। শিল্প উদ্যোক্তাদের ঋণ প্রদানের মাধ্যমে ব্যাংক মূলধনের চাহিদা পূরণ করে শিল্পের বিকাশে সহযোগিতা করে। বর্তমানে কৃষকরা ন্যূনতম ১০ টাকা দিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে।
বীজ ক্রয়সহ সার, কীটনাশক ও চাষাবাদের সরঞ্জাম ক্রয়ের জন্য ঋণ প্রদান করে দেশের কৃষি উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে। ব্যাংক আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যে বিভিন্ন প্রকার ঋণ সুবিধা যেমন লেটার অব ক্রেডিট, পোস্ট ইম্পোর্ট ফাইন্যান্স ও আমদানি পণের বিপরীতে ঋণ প্রদান করে বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রসারে ভূমিকা রাখে। বৈদেশিক বাণিজ্যের পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরে ব্যবসায়ীদের ঋণ সহায়তা প্রদান করে থাকে ব্যাংক। ব্যাংক অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বাণিজ্যে ঋণ প্রদান করে, লেনদেন সহজীকরণ করে, কৃষি ও শিল্পের প্রসার করে থাকে। ফলে, দেশের জাতীয় উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে দেশকে আরো সমৃদ্ধ করে। এ ছাড়াও ব্যাংক সরকার ও গ্রাহকদের প্রতিনিধি হিসেবে সেবা প্রদান করে থাকে ও স্থিতিশীল অর্থনৈতিক অবস্থা বজায় রাখে। তা ছাড়া, ব্যাংকের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো দ্রব্যমূল্যের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।
ব্যাংকিং সেক্টর বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য একটি উল্লেখযোগ্য গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর। ব্যাংকিং ব্যবস্থা দেশের আর্থিক সেবা খাতের একটি অন্যতম সেক্টর, যার মাধ্যমে সম্পদ ব্যবস্থাপনার একটি বিরাট কাজ হয়ে থাকে। ব্যাংক সাধারণত আমানতকারীদের সম্পদ জমা রাখে এবং ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ঋণ প্রদান করে এবং এই ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে আস্থার সঙ্গে একটি দেশের সম্পদ ব্যবস্থাপনা করে থাকে।
ব্যাংক ঋণ সরবরাহ করে, ব্যাংক বাড়ি তৈরি, গাড়ি কেনা, ব্যবসা পরিচালনার জন্য যন্ত্রপাতি ক্রয়, ব্যবসা বাড়ানোর জন্য ইত্যাদির ক্ষেত্রে ঋণ সরবরাহ করে থাকে। নিরাপত্তার সঙ্গে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সম্পদ জমা রাখে, ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড সরবরাহ করে এবং সব ধরনের পেমেন্ট সিস্টেমের ব্যবস্থা করে থাকে। ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনা প্রতিবছর দেশের একটি উল্লেখযোগ্য বেকার লোকদের চাকরির ব্যবস্থা করে থাকে। এভাবে ব্যাংকিং সেক্টর দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলেছে।
সবশেষে বলা যায়, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হলে স্মার্ট বাংলাদেশের অন্যতম ভিত্তি স্মার্ট অর্থনীতি বাস্তবায়ন করতে হবে। স্মার্ট অর্থনীতি বাস্তবায়ন করতে হলে স্মার্ট ব্যাংকিং সেক্টর প্রয়োজন। একটি সমন্বিত, আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন উন্নত ব্যাংকিং সেক্টর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১’ বাস্তবায়নে অন্যতম মুখ্য ভূমিকা পালন করবে।
লেখক : মহাব্যবস্থাপক, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য