-->
শিরোনাম

‘অবহেলিত’ আনসার এবং অতীতের বিদ্রোহ

আব্দুর রহিম
‘অবহেলিত’ আনসার এবং অতীতের বিদ্রোহ

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই একটি শ্রেণি দাবি আদায়ে সোচ্চার হয়েছে। তারা প্রতিদিনই রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে কর্মসূচি পালন করছেন। তাদের আন্দোলনের মূল স্পট এখন প্রশাসনের ‘হার্ট’ সচিবালয়। এর আগেও অনেক রাজনৈতিক দল সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচি দিয়েছে। কিন্তু তারা কখনো সচিবালয়ের ভেতরে প্রবেশ করেনি; কিংবা অবরুদ্ধ করে রাখেনি। তারা সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা করতো। খানিকটা দূরে পুলিশ তাদের আটকে দিত। দাবি-দাওয়া নিয় দু-চারজনের প্রতিনিধি দল ভেতরে যেত। বাকিরা বাইরে অপেক্ষা করতো- এটাই রেওয়াজ ছিল। কিন্তু এবার তার ব্যতিক্রম দেখা গেল। কয়েকদিন আগে পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে একদল শিক্ষার্থী সচিবালয়ের ভেতরে প্রবেশ করলো। তাদের দাবির মুখে স্থগিত হওয়া এইচএসসি পরীক্ষা সরকার বাতিল করলো।

কিন্তু এবার আনসার সদস্যরা চাকরি জাতীয়করণ দাবিতে সচিবালয় অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এটা একটা খারাপ নজির হয়ে থাকলো। কেননা, দাবি আদায়ের নামে কাউকে আটকে রাখা এবং সচিবালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গা অবরোধ করে রাখা মোটেও দেশের জন্য ভালো কিছু না।

পরিস্থিতি বেগতিক দেখে রোববার রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মাইনুল হাসান এক গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন। এতে বলা হয়, সাম্প্রতিক উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় জনশৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি অর্ডিন্যান্সের ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে সোমবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সচিবলায় ও প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবনের (যমুনা) আশপাশ এলাকায় যেকোনো প্রকার সভা-সমাবেশ, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হলো।

গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, গত রোববার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দিনভর সচিবালয় ঘেরাও করে রাখেন কয়েক হাজার আনসার সদস্য। সচিবালয়ে আনসারের এক দল সদস্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহসহ অনেককে আটকে রাখেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। ‘স্বৈরাচারের দালাল’ সেøাগান দিয়ে আনসার সদস্যদের প্রতিহত করতে তারা মিছিল নিয়ে সচিবালয় এলাকায় যান। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টা-পাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রথমে আনসার সদস্যরা ছাত্রদের ওপর হামলা চালান বলে জানা গেছে। রাত ১০টায় সচিবালয়ের সামনের সড়ক দখলে নেন ছাত্ররা। এ সময় আনসার সদস্যরা পিছু হটেন। কিছু আনসার সদস্য জিপিও বক্সের দিকে পালিয়ে যান। আর কিছু সদস্য সচিবালয়ের ভেতরে আশ্রয় নেন। এ সময় তারা সেনাবাহিনীর সহায়তা চান। ভয়ে অনেক আনসার সদস্য তাদের পোশাক খুলে ফেলেন। এ সময় এসব পোশাকে আগুন ধরিয়ে দেন ছাত্ররা। প্রায় ১১ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর রাত সাড়ে ১০টায় সচিবালয়ের ৩ নম্বর গেট খুলে দেওয়া হয়। এরপর বের হতে থাকেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পরে রাতে রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান কর্মসূচিতে সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার তিন দফা দাবি জানান। এক. আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার খরচ সরকারকে বহন করতে হবে। দুই. শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করতে হবে এবং তিন. সরকারের সব পর্যায়ে ক্লিন অভিযান পরিচালনা করে ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিতাড়িত করতে হবে।

এখানে একটা প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সেটা হলো দাবি আদায়ে কি কেউ গুলি চালাতে পারে? এটা তো ‘ক্যু’ (অভ্যুত্থান) করার অপচেষ্টা। কেননা, অতীতে কেউ দাবি আদায়ে গুলি করেছেÑ এমন নজির নেই। সাধারণত ক্ষমতা দখল করতে এ ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়ে থাকে। আনসার সদস্যরা চাকরি জাতীয়করণ চাচ্ছিলেন; না কি ক্ষমতা দখল করতে চাচ্ছিলেন; সেটা ভাবার সময় এসেছে। এরই মধ্যে পল্টন থানায় ৪ হাজার ১১৪ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। ১১৪ জনের নামোল্লেখ করা হয়েছে। বেশ কয়েকজনকে আদালতে তোলা হয়েছে। চাকরি জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে শুধু ঢাকা নয়; চট্টগ্রামেও দিনভর বিক্ষোভ করেন আনসার সদস্যরা। তারা চট্টগ্রাম আদালত ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। এটাও একটা খারাপ নজির। কারণ আদালত দাবি আদায়ের জায়গা হতে পারে না।

৩০ বছর আগে বাংলাদেশে একবার আনসার বিদ্রোহ হয়েছিল। ১৯৯৪ সালের ১ ডিসেম্বর গাজীপুরের শফিপুর আনসার একাডেমিতে ওই ঘটনা ঘটে। প্যারেড শুরু হবার আগেই একটি ঘটনা ঘটে। আনসারের এক সদস্য তার ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তারা সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন। বিতণ্ডার এক পর্যায়ে সে কর্মকর্তা আনসার সদস্যকে আঘাত করে। এ সময় তার চিৎকারে অন্য আনসার সদস্যরা ছুটে আসেন। মুহূর্তেই বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন আনসার সদস্যরা। তাদের বিক্ষোভ পরিণত হয় বিদ্রোহে। দাবি ওঠে সাত দফার। তখন সরকারি প্রেসনোটে বলা হয়েছিল, আনসার সদস্যদের দাবি নিয়ে আলোচনা করার জন্য বাহিনীটির মহাপরিচালক আনসার একাডেমিতে সকল আনসারকে দরবারে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু মহাপরিচালক উপস্থিত হওয়ার আগেই কিছু উশৃঙ্খল আনসার সদস্য লাঠিসোটা নিয়ে উপ-মহাপরিচালকের ওপর হামলা চালায়। তৎকালীন বিভিন্ন খবরের কাগজের তথ্যমতে আনসার সদস্যরা রাস্তায় গাছ ফেলে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। ফলে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া আনসার একাডেমির ভেতরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আনসার সদস্যদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় আনসার সদস্যরা ভেতরে বিভিন্ন ভবনে ভাঙচুর চালায়। শফিপুরে আনসার একাডেমিতে বিদ্রোহের এই খবর আসে ঢাকার খিলগাঁও এলাকায় অবস্থিত আনসার সদরদপ্তরে। তখন সেখানেও বিক্ষোভ শুরু হয়। সদর দপ্তরে প্রায় ৬০০-এর মতো আনসার সদস্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জিম্মি করে। ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত বিদ্রোহী আনসার সদস্যরা সশস্ত্র অবস্থায় খিলগাঁও আনসার সদরদপ্তরে এসে জড়ো হয়। এই ঘটনা শুরু হওয়ার পর থেকে আনসার সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার জন্য বসা হলেও কোনো লাভ হয়নি। শফিপুর আনসার একাডেমিতে তখন সদস্য সংখ্যা ছিল প্রায় চার হাজারের মতো। ঢাকার বাইরে পার্বত্য চট্টগ্রাম, বরিশাল এবং খুলনায় আনসার সদস্যদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। দাবির সমর্থনে তারা মিছিলও বের করে। চট্টগ্রামের মিরসরাইতে আনসার সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে একজন কর্মকর্তা আহত হন।

তিনদিন টানা বিদ্রোহ চলার পর চতুর্থ দিনে সরকার বিদ্রোহ দমনের জন্য সচেষ্ট হয়। সেনাবাহিনী, বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) এবং পুলিশের সমন্বয়ে যৌথ অভিযান চালানো হয়। এতে বিদ্রোহী দুইজন আনসার সদস্য নিহত এবং আরো ৮০ জন আহত হয়। দৈনিক ইনকিলাবের খবরে জানা যায়, বিদ্রোহ দমনের অভিযানে তিনটি হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়। বিদ্রোহ দমনের জন্য ভোররাতে অভিযান শুরু হয়। অভিযানের সময় মর্টারশেল, রকেট লঞ্চার এবং লাইট মেশিনগান ব্যবহার করা হয়। ঢাকার খিলগাঁও এলাকায় আনসারের সদরদপ্তরে বিদ্রোহী প্রায় ৭শ আনসার সদস্যকে দমন করার জন্য তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তর থেকে বিডিআর সদস্যদের পাঠানো হয়। ভোররাত তিনটে নাগাদ বিডিআর সদস্যরা আনসার সদরদপ্তরের চারপাশে অবস্থান নেয়। এসময় বিডিআরের তরফ থেকে মাইকিং করে আনসার সদস্যদের আত্মমর্পণের আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু ভেতরে অবস্থানরত আনসার সদস্যরা পাল্টা জানিয়ে দেয় তাদের দাবি না মানলে আত্মসমর্পণ করবেন না। এরপর বিডিআরের তরফ থেকে মাইকিং করে আবারো আনসার সদস্যদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু আনসার সদস্যরা আবারো একই জবাব দেয়। এরপরই বিডিআর সর্বাত্মক অভিযানের জন্য এগিয়ে যায়। অভিযানের সময় কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করা হয় এবং গুলির শব্দ শোনা যায়। বিডিআর যখন অভিযান শুরু করে তখন আনসার সদস্যদের তরফ থেকে তেমন কোনো প্রতিরোধ আসেনি। এ সময় অপ্রত্যাশিত আরেক পরিস্থিতির তৈরি হয়। গুলির শব্দে এবং কাঁদানে গ্যাসের কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই ভীত এবং বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার এবং গুলি না করার জন্য কিছু এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল বের করে। তখন পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।

পুলিশ এলাকাবাসীকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বিডিআর সদস্যরা যখন আনসার সদর দপ্তরের প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে ঢোকার জন্য অগ্রসর হয় তখন ভেতর থেকে আনসার সদস্যরা আর্তনাদ শুরু করে। দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিবেদনে বলা হয়, এসময় আনসারগণ প্রধান ফটকের তালা খুলিয়া দেয় এবং আর্তনাদ শুরু করে। তাহারা নিজেদেরকে গরিব ও পেটের তাগিদে সংগ্রাম করিতেছে বলিয়া বিডিআরের নিকট কাকুতি-মিনতি জানাইতে থাকে। এদিকে শফিপুরে আনসার একাডেমির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে যায় সাভারে অবস্থিত সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশন। সকাল নাগাদ সেনা সদস্যরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে আনসার সদস্যদের তৈরি ব্যারিকেডের কাছে চলে আসে। এসময় মাইকিং করে আনসার সদস্যদের আত্মসমর্পণের জন্য আহ্বান জানানো হলেও তারা কর্ণপাত করেননি। তখন আত্মসমর্পণের জন্য সেনাবাহিনীর তরফ থেকে ৩০ মিনিট সময় বেঁধে দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর সেনাবাহিনীর দুটি হেলিকপ্টার আনসার একাডেমির উপরে চলে আসে। একই সঙ্গে সেনাসদস্যরা গুলিবর্ষণ করে অগ্রসর হতে থাকে। দৈনিক ইনকিলাবের প্রতিবেদনে বলা হয়, মাত্র ৪৫ মিনিটে শফিপুর আনসার একাডেমি সেনা সদস্যদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। একাডেমির ভেতর থেকে প্রায় ১২৬২ জন আনসার সদস্যকে আটক করে সেনাবাহিনী। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম, খুলনা, যশোর এবং লালমনিরহাটে বিদ্রোহী আনসার সদস্যদের আত্মসমর্পণে বাধ্য করা করা হয়। ঢাকার বাইরে বিডিআর মুখ্য ভূমিকা পালন করে। সরকারের প্রেসনোটে বলা হয়, আনসার সদস্যদের অনমনীয় মনোভাবে কারণে দফায়-দফায় আলোচনা ব্যর্থ হয়। সে কারণে জনজীবনের নিরাপত্তা এবং ব্যাটালিয়ন আনসারদের মধ্যে শৃঙ্খলা আনার জন্য সফিপুরে সেনাবাহিনী এবং অন্য কয়েকটি স্থানে বিডিআর ও পুলিশ তলব করে। সরকারি ভাষ্যে বলা হয়, বিপথগামী কিছু আনসার সদস্য বাধার সৃষ্টি করে এবং গুলি ছোড়ে। সরকারের তরফ থেকে বলা হয়, অভিযানের সময় দুইজন আনসার সদস্য নিহত এবং সাতজন আহত হয়।

আনসার বিদ্রোহের কারণ : প্রথমে সাত দফা দাবি তুললেও পরবর্তীতে আনসার সদস্যরা এক দফা দাবি তোলেন। সেটি হচ্ছে চাকরি স্থায়ী করা। তারা হুঁশিয়ারি দেয় যে, ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের দাবি মানতে হবে, নইলে আন্দোলন কঠোর আকার ধারণ করবে। তাদের অন্যতম দাবিগুলো হলোÑ ১. ব্যাটালিয়ন আনসারদের স্থায়ী করা হোক। ২. ব্যাটালিয়ন আনসারদের প্রশাসনিক ব্যবস্থা আলাদা করা। ৩. আন্দোলনরত আনসারদের চাকরিচ্যুত করা যাবে না। ৪. চাকরি শেষে পেনশন। ৫. অন্যান্য বাহিনীর মতো ব্যাটালিয়ন আনসারদের সমমর্যাদা।

আনসার সদস্যদের মধ্যে অসন্তোষ দীর্ঘদিন ধরেই পুঞ্জিভূত হচ্ছিল। বেতন-ভাতা এবং চাকরি স্থায়ী করার দাবি জানিয়ে আনসাররা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলে জানা যায়। এ বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছিল। এছাড়া আনসার বাহিনীর মধ্যে কিছু দুর্নীতি সাধারণ আনসার সদস্যদের ক্ষুব্ধ করে তোলে বলে জানা যায়। এই বিদ্রোহের পর তৎকালীন আনসার বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সৈয়দ বদরুজ্জামান এবং উপ-মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার ইমতিয়াজ আহমেদকে সরকার বাধ্যতামূলক অবসর দেয়।

আদালতের নির্দেশে চাকরি ফেরত : ১৯৯৪ সালে আনসার বিদ্রোহের ঘটনায় শাস্তি হিসেবে প্রায় ২৫০০ আনসার সদস্যকে গ্রেপ্তার ও চাকরিচ্যুত করা হয়। এদের মধ্যে অনেকে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে পরবর্তীতে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন। আদালতের মাধ্যমে ২০১৮ সালে ওই বিদ্রোহের অভিযোগ থেকে খালাস পান ১ হাজার ৪৪৭ জন। তবে তাদের মধ্যে যাদের বয়স ও শারীরিক সক্ষমতা রয়েছে, তাদেরকে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আর যাদের চাকরির বয়স শেষ, তারা চাকরিতে যতদিন ছিলেন তাদেরকে ততদিনের পেনশন সুবিধা দেওয়ার জন্যও সরকারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

আনসাররা নিজেদের অবহেলিত বলে দাবি করে থাকেন। তাদের দাবি যৌক্তিক কি না; কিংবা তাদের সমস্যা সমাধান করা যায় সেটা নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। ভুলে গেলে চলবে না; আলোচনার মাধ্যমেই সংকট সমাধান করতে হবে।

 

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক।

 

ভোরের আকাশ/মি

 

 

মন্তব্য

Beta version