-->

মাজার ভাঙায় অর্জন কী?

ফকির জসীম উদ্দিন
মাজার ভাঙায় অর্জন কী?

কে মাজারে যাবে, কে মন্দিরে যাবে, কে গীর্জায় যাবে, কে মসজিদে যাবে, কে প্যাগোডায় যাবে- এটা তো একান্তই যার যার নিজস্ব বিষয়। এতে আপনি আমি বাধা দেয়ার কে? বিশ্বাস ভক্তির জায়গা থেকে শুরু হয় এবাদত। আর এই বিশ্বাস ভক্তির উদয় হয় অপরের ধর্মীয় কর্মের আচার-আচরণ দেখে। ধর্মীয় উপাসনালয় নিদিষ্ট ধর্মের অনুসারীদের জন্য তৈরি হয় আর যাদের মাজার রওজামুবারক তৈরি হয়; তারা আমার আপনার মতো সাধারণ কোনো ব্যক্তি নন। তারা একেকজন একেকটা শক্তি, উনারা প্রেম ও সাম্যের কান্ডারী, মানবতার ফেরিওয়ালা, সার্বজনীন। তারা কোনো নিদিষ্ট গণ্ডির মধ্যে নিজেকে আবদ্ধ করে রাখেননি কিংবা রাখেন না। তারা সব সময় অন্যায়, অত্যাচার, অবিচার, জালিম, জুলুমের প্রতিবাদ প্রতিরোধ করতে নিজেকে উৎসর্গ করে দেন। তারা মানুষ, স্রষ্টা এবং সর্বসৃষ্টির প্রেম ও সেবায় সর্বদা নিয়োজিত থাকে। তারা গুরু, পীর, মুর্শিদের মাধ্যমে নিজেকে স্রষ্টার কাছে আত্মসমর্পণ করে দিয়ে স্রষ্টার সাথে বিলিন হয়ে গেছে। তারা সুদ খায় না; ঘুষ খায় না; ধর্ষণ-বলাৎকার করে না; কারো ধন-সম্পদও আত্মসাৎ করে না; অন্যের জমি দখল করে না; ধন-সম্পদ এবং দুনিয়ার ক্ষমতার প্রতি কোনো ওলি-আউলিয়ার লোভ লালসা নেই। বিপরীতে এমন অনেক ইতিহাস আছে উনারা রাজ সিংহাসন ছেড়ে দিয়ে, গুরু, পীর, মুর্শিদ ও স্রষ্টার প্রেমে দেওয়ানা হয়ে সবকিছু ত্যাগ করে ধ্যান সাধনার জন্য বন-জঙ্গল পাহাড় পর্বতের নির্জন গুহায় গিয়ে যুগের পর যুগ কাটিয়ে দিয়েছেন। ওলি-আউলিয়াগণের সান্নিধ্যে গেলে আপনি শিখতে, জানতে পারবেন- কিভাবে মানব সেবা করতে হয়; কিভাবে বিপদে ধৈর্য ধারণ করে পথ চলতে হয় আর আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে নিজের মাঝে স্রষ্টাকে খুঁজে পেয়ে নিজেকে চিনতে ও জানতে হয়। মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গীর্জা, বিহারে নিদিষ্ট ধর্মের অনুসারী ও অর্থবিত্তশালী ব্যতীত অন্যান্য ধর্মাবলম্বী ও সাধারণ মানুষ যখন-তখন প্রবেশ করতে না পারে; সে জন্য সেগুলোতে তালা লাগিয়ে রাখা হয় আর ওলি-আউলিয়ার দরবার, মাজারে, ধর্ম, জাতপাত, গ্যাতি-গোত্রের ঊর্ধ্বে গিয়ে গরীব-দুঃখী, সমাজ হতে বঞ্চিত, বিতাড়িত ও নির্যাতিত মানুষের প্রশান্তির আশ্রয় ও ভরসার স্থল হয়ে উঠেছে। সেখানে ধর্মের দোহাই দিয়ে কারো বিরুদ্ধে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা জারি করে তাড়িয়ে দেয়া হয় না। একদল ‘বক ধার্মিক’ সুবিধাবাদী কাল্পনিক অজুহাত তুলে মাজার ভাঙচুর ও আহলে বায়াত পাকপাঞ্জতনের অনুসারী, শান্তিপ্রিয়, সহজ-সরল, দুনিয়াত্যাগী অর্ধাহারী-অনাহারী মানুষের উপর প্রতিনিয়ত জুলুম, অত্যাচার, হামলা চালিয়েই যাচ্ছে। সে সকল অত্যাচারীর আকস্মিক হামলায় অনেক নিরীহ মানুষের রক্ত ঝরেছে, হামলায় শতশত আহত এবং একাধিক জনের মৃত্যু হয়েছে; যা খুবই লজ্জা ও দুঃখজনক বিষয়। আমরা একটা বিষয় বুঝতে চেষ্টা করি না যে, সর্বমানবের জন্য অকল্যাণকর কথাও যেমন ধর্ম কথা নয়; তেমনি মানুষে মানুষে ভেদাভেদ তৈরিকারী, অন্যান্য মতভেদের লোকজন যাদের কাছে অনিরাপদ তারা কখনো ধার্মিক হতে পারে না। এই সহজ ও সাধারণ বিষয়গুলোও আমাদের জ্ঞানে ধরে না। যারা গাঁজা সেবনের দোহাই দিয়ে ঈমানি দ্বায়িত্ব জ্ঞানে আল্লাহু আকবার, জয় শ্রীরাম বলে মাজার দরবার ভাঙতে উঠেপড়ে লেগেছে; সেই সব লোকজনকে আপনি কখনো কি দেখেছেন মসজিদ মাদ্রাসায় শিশু ধর্ষণ, বলাৎকারের প্রতিবাদ করতে? কিংবা সুদ-ঘুষখোর কারও বিষয়ে রুখে দাঁড়াতে? কোনো মদের কারখানায় কিংবা মাদক কারবারি, সুদ-ঘুষখোরের বাসা অফিসে ভাঙচুর করতে? ওরা তা করেনি এবং করবেও না।

আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন, আগে ছবি তোলা, টিভি দেখাও হারাম বলে প্রচার করতো একটা শ্রেণী। আর এখন মসজিদের ভিতরে মোবাইল, ক্যামেরা সেট করে ভিডিও করাও ‘হালাল’ হয়ে গেছে। এর কারণ একটাই এগুলো দিয়ে সোশাল মিডিয়ায় প্রচারের মাধ্যমে বিবাদ সৃষ্টি, দাঙ্গা ফ্যাসাদ লাগানোসহ খুব সহজেই বিদেশি খ্রিস্টানদের ডলার কামানো যায়। আপনাদের কারো অজানা নয় এই সব মোবাইল ফোন, ক্যামেরা, ইউটিউব, ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, টিকটক কোন দেশ এবং কোন ধর্মের লোকের তৈরি? এগুলো যারা তৈরি করেছে তাদের সাথে চলাফেরা, সম্পর্ক করা, তাদের সাথে খাবার খাওয়া ও ইত্যাদি বিষয়কে যারা হারাম বলে এবং সেসকল জাতি ধর্মের লোকজনকে যারা নাপাক বলে আখ্যায়িত করে থাকে; তারাই এখন সেসকল নাপাকি লোকের তৈরি জিনিসের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে সেটাকে ‘হালাল ইনকাম’ বলছে। মোল্লা-মুন্সি, পাদ্রী, ভিক্ষু, পুরোহিতগণের কাছে আমার একটাই অনুরোধ- আপনারা সত্য জেনে বুঝে এবং নিজ নিজ জ্ঞানে বিচার বিবেচনা করে মিথ্যার বিরুদ্ধে এবং সত্যের পক্ষে দাঁড়াবেন। আপনার পরপারের হিসেব আপনাকেই দিতে হবে। এটার দায় অন্য কেউ নিবে না আর অন্যের ধর্ম কর্মের হিসাবও সৃষ্টিকর্তা আপনাদের কাছে চাইবে না।

গত ৫ আগস্ট রাজনীতির পটপরিবর্তন হলো। শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলো, এরপর অনেক কিছু পরিবর্তন হলো। কিছু পরিবর্তন ইতিবাচক। তবে কিছু পরিবর্তন ক্ষত সৃষ্টি করলো। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মন্দির-মাজারে হামলা, ভাংচুর, আগুনের মতো নাশকতা। মন্দিরে হামলার খবর ভারতেও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিষয়টি নিয়ে ডানপন্থি কট্টর রাজনৈতিক দল গুলো মন্দির পাহারা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ৩১ আগস্ট নাটোরের বাগাতিপাড়ায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজায় স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে উপজেলার সব মন্দির পাহারা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জেলা জামায়াতের আমির মীর নুরুল ইসলাম। হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল ইসলামের একটি পুরোনো ভিডিওতে দেখা যায় হুংকার দিয়ে বলছে মূর্তি ভেঙে ফেলতে আবার পরবর্তীতে জনগণের কাছে ভালো সাজার জন্য সে নিজেই গত ১২ সেপ্টেম্বর বাগেরহাট জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, ‘হিন্দু ভাইয়েরা আপনারা যত খুশি মূর্তি বানান, আমরা আপনাদের পাহারা দেব। কিন্তু রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে অর্থ নিয়ে কোনো বাবার মূর্তি করতে দেওয়া হবে না। যারা তৈরি করবে তাদের হাত ভেঙে দেওয়া হবে।’ এখানে ‘বাবার মূর্তি’ বলতে তিনি কাকে বুঝিয়েছেন, তা নিয়ে আলোচনা করতে চাই না, কারণ আমি রাজনৈতিক ব্যক্তি নই; আমি রাজনীতি বুঝি না। তবে হিন্দুদের মূর্তি পাহারা দেওয়ার ঘোষণা যে দুই নেতা দিয়েছেন; সেটাকে অবশ্যই সাধুবাদ জানাতে হবে। কারণ তারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা বলেছেন। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো- মাজার ভাঙার প্রতিবাদ কিংবা পাহারা দেওয়ার ঘোষণা কেউ দেননি। গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে যাওয়া অনেক ভিডিওতে দেখা গেছে, ‘তৌহিদী জনতা’ মনের আনন্দে মাজার ভাঙছেন। এমনকি ইভেন্ট খুলেও মাজার ভাঙার আহ্বান জানানো হয়েছে। যারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার স্বার্থে মন্দির পাহারা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন, মাজার ভাঙা এবং সেখানে আগুন দেওয়ার বিষয়ে তাদের অবস্থান কী? কারা মাজারে আগুন দিচ্ছেন? তাদের ধর্মীয় পরিচয় কী? এই প্রশ্ন সামনে চলে এসেছে।

এ পর্যন্ত সিলেটের শাহপরান মাজার; গাজীপুরের শাহ সুফি ফসিহ পাগলার মাজার; নারায়ণগঞ্জের দেওয়ানবাগ ও হজরত হোসেন আলী শাহের মাজার; নোয়াখালীর ফকির চাড়ু মিজি শাহ্ (র.) মাজার; সিরাজগঞ্জের ইসমাইল পাগলা ও আলী পাগলার মাজার; ঠাকুরগাঁওয়ের বিবি সখিনার মাজার; ঢাকার ধামরাইয়ে বাবা বুচাই চান পাগলার মাজার, ফরিদপুরে শাহ্ চন্দ্র পুরির মাজার ভাংচুর করা হয়েছে। মাজার ভাংচুর করার পেছনে ‘মাজারে অসামাজিক কাজ হয়’- এমন অভিযোগ করা হয়েছে। আবার অনেকে ফেসবুকে লিখেছেন যে মাজারে গাঁজা সেবন করা হয়। তাদের কাছে প্রশ্ন- গাঁজা কি কেবল মাজারেই সেবন করা হয়? আরও অনেক স্থানে মাদকদ্রব্য পাওয়া যায়। বিশেষ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকার অনুমোদিত মদের দোকান রয়েছে। সেসব স্থানে কি হামলা করা হয়েছে? আবার অনেকে মাজারে অনৈতিক কাজের অভিযোগ তুলেছেন। সেটা হয়ে থাকলে চিহ্নিত করে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। তা-ই বলে কী আইনের ঊর্ধ্বে গিয়ে সন্ত্রাসের মতো হামলা করে ভাঙচুর ও মানুষ হত্যা করতে হবে? মানুষ যদি না থাকে তাহলে এই পৃথিবীর কি মূল্য আছে? নিজের পছন্দের মতবাদ জোর জুলুম করে অন্যের উপর চাপিয়ে দেয়ার এই অপসংস্কৃতির দায়িত্ব কে দিলো আপনাকে? সব সমস্যা কি কেবল মাজারেই দেখেন অন্য কোথাও দেখেন না? নাকি আল্লাহর ওলিদের সাথে বিরোধিতা-ই এর পেছনে মূল কারণ? যাদের শতশত ত্যাগের বিনিময়ে এই উপমহাদেশে শান্তির ধর্ম ইসলাম পেয়েছেন, সেসকল সূফীবাদীদের মাজার ভেঙে আপনারা কোন ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে চান? কার ইসলাম ওটা? আর যা-ই হউক ওটা হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর শান্তির ধর্ম ইসলাম হতে পারে না। অনেকে মাজারে ভক্তি দেওয়া কিংবা গান-বাজনাকে শিরক বলছেন। কে গান গাইবে; কে কোথায় কাকে ভক্তি দিবে; কে কিসে শান্তি পাবে আর কোনটাতে পাপ হবে; কে বেহেশতে যাবে আর কে দোযখে যাবে- এটাতো সৃষ্টিকর্তাই ভালো বুঝেন এবং দেখেন। অন্যের ভালোলাগা নিয়ে আপনি বলার কে? আপনাকে কেউ বলেছে আপনি গান করেন? আপনি মাজারে ভক্তি করেন? আপনি তাদের কাছে এগিয়ে না গিয়ে নিজের ধর্মের কর্ম করলেইতো সবাই শান্তিতে থাকতে পারে। ধর্মের নামে মানুষ হত্যা, জোর জুলুম অত্যাচার করা কে শিখিয়েছে আপনাকে? যদি কোনও পীরের মাজারকে কেন্দ্র করে সেখানে কোনও অবৈধ কাজ চালানো হয়; সেই দায় যেমন ওই পীরের না, তেমনি তাদের বিচার করার দায়িত্বও আপনার না। যখন ধর্মের নামে অপকর্মের বিষয় আসবে সেই অপকর্মকারীর বিচার করার একমাত্র যোগ্য ও দায়িত্ব স্বয়ং স্রষ্টার নিজের।

আর যদি রাষ্ট্রের নিরাপত্তা পরিবেশ দূষণের হুমকির বিষয় আসে; সেক্ষেত্রে কেবল রাষ্ট্রের সংবিধান ও আইন অনুযায়ী রাষ্ট্র পক্ষ তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার রাখে। এভাবে মাজার ভাঙা ও আগুন দেওয়ার মধ্য দিয়ে কেবল শান্তির ধর্মকেই অসম্মান-অগ্রহণযোগ্য করা হচ্ছে বিশ্ববাসীর কাছে।

মাজার ভাঙার প্রতিবাদ জানিয়ে শুধুমাত্র অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম ৭ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে লিখেছেন, ‘মাজার ও ইসলামের বিভিন্ন তরিকা এবং মাসলকের প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা বন্ধ করতে হবে। আজ মাজার ভাঙবে, কাল সত্যপন্থী পীরদের দরগা দরবার ভাঙ্গা হবে, পরশু ভিন্ন তরিকার মসজিদ ভাঙ্গা হবে- এসকল নৈরাজ্য যারা করে বেড়াচ্ছেন, তারা ইসলাম ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছেন। বাংলাদেশের জনগণকে এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। ইসলামের বৈচিত্র্য রক্ষা করতেই হবে।’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘প্রথমে শিয়াদের হত্যা করবেন, তারপর কাদিয়ানী, তারপর পীর ও পীরের মুরিদদের, তারপর গণতন্ত্রপন্থী আলেমদের, তারপর পাবলিক প্লেসে হাজির মুসলিম নারীদের, তারপর কোনোভাবে তাদের ইসলামের বিরুদ্ধে যায়- সবাইকে হত্যা করে দেশটা হিন্দুত্ববাদীদের বিচরণ ক্ষেত্র বানিয়ে ফেলবেন। এ দেশের না ইনারা, উনারা ভিনদেশের এজেন্ট।

খুবই স্পষ্ট ইনাদের মিশন।’ কিন্তু এরপরও মাজারে হামলা থামছে না। পুলিশের ভূমিকাও রহস্যজনক। তারা মাজারের নিরাপত্তায় কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। একটু বলেই কি সরকারের দায়িত্ব শেষ বলে মনে করেন আপনারা? পরিশেষে সকলেই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, মাতৃভূমি, মানুষ ও সৃষ্টিকে ভালবাসুন আর স্রষ্টাকে অনুসন্ধান করুন সৃষ্টির মাঝে। জয় হউক মানুষের, জয় হউক মানবতার, জয় হউক সকল সৃষ্টির।

লেখক: কবি ও গীতিকার।

 

ভোরের আকাশ/মি

মন্তব্য

Beta version