এই মুহূর্তে দেশে যত সমস্যা আছে; সেগুলোর মধ্যে উপরের দিকে রয়েছে পরিবেশ দূষণ। এই দূষণের ফলে মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক মানুষ মারা যাচ্ছে। গড় আয়ুও কমছে। এই দূষণের অন্যতম ও স্থায়ী দুটি উপাদান হলো প্লাস্টিক ও পলিথিন। অত্যন্ত সহজলভ্য হওয়ায় এর ব্যবহারও জ্যামিতিক হারে বাড়ছে। দু’টাকার মরিচ কিনলেও দোকানি একটি পলিথিনের ব্যাগে দিচ্ছেন! এরপর সেটা বর্জ্য আকারে চলে যাচ্ছে ডাস্টবিন-রাস্তায়। সংকটের শুরু এখান থেকেই। বড় শহরগুলোর জলাবদ্ধতার জন্যও অনেকাংশে এই পলিথিন দায়ী। পলিথিন জমা হয়ে পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত করছে। পলিথিন মাটি দূষণও ঘটাচ্ছে। কমিয়ে দিচ্ছে উর্বরতা। ফলে কমছে ফসল উৎপাদন। ৪০০ থেকে ৫০০ বছরেও এই পলিথিন মাটিতে মিশে না বলে বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন। প্লাস্টিকের অবস্থাও একই। খেলনা থেকে শুরু করে ঘরের আসবাবপত্র- কোথায় নেই প্লাস্টিক। দিনদিন এর ব্যবহারও জ্যামিতিক হারেই বাড়ছে। মানব মস্তিষ্কেও প্লাস্টিক কণা পাওয়ার দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। এটা যে কত বড় বিপর্যয় তা বলে বোঝানো সম্ভব না। এরপরও আমরা সচেতন হচ্ছি না। নানাভাবে পলিথিন-প্লাস্টি ব্যবহারের মাত্রা বাড়িয়েই চলেছি। তবে বর্তমান সরকার একটা ধন্যবাদ পেতেই পারে- কারণ তারা পলিথিন বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে। এরই মধ্যে সুপার শপগুলোতে পলিথিন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আগামী ১ নভেম্বর থেকে খোলাবাজারেও পলিথিনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আশাকরি আমরা সবাই সরকারকে সহযোগিতা করব- নিজেদের স্বার্থে, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম রক্ষার জন্য। অন্যথায় এই পলিথিন-প্লাস্টিক এক সময় মহাবিপর্যয় ডেকে আনবে। এদিকে পলিথিন উৎপাদকরা কারখানা বন্ধের জন্য ৬ বছর সময় চেয়েছেন। এটাকে খোলা চোখে যৌক্তিক মনে হতে পারে। কিন্তু লম্বা সময় তাদের দেওয়া কতটা ঠিক হবে; তা নীতিনির্ধারকদের বিচার-বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। মনে রাখতে হবে- কিছু লোকের রুটি-রুজি বাঁচাতে গিয়ে সমগ্র জাতিকে বিপদে ফেলা যাবে না।
এই পলিথিন-প্লাস্টিক খাল-বিল ছাড়িয়ে নদী ও সাগরে গিয়ে পড়ছে। নর্থ প্যাসেফিক ওশানে তিন লাখ বর্গকিলোমিটার জুড়ে এই পলিথিন ও প্লাস্টিকের বর্জের স্তুপ জমা হয়েছে; ফ্রান্সের মোট আয়তনের প্রায় চার পাঁচ গুণ বড়। জাহাজগুলো ওই এলাকা এড়িয়ে চলছে। কেননা, জাহাজের প্রোপেলারে (ফ্যান) পলিথিন জড়িয়ে গেলে সেটি অচল হয়ে যেতে পারে। জীব-বৈচিত্রের ওপরও এই দূষণের প্রভাব পড়ছে। হাঙ্গুর যৌনমিলন ছাড়াই গর্ভবর্তী হচ্ছে। পরিবর্তন হচ্ছে আকার ও স্বভাবে। অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাচ্ছে। ফলে অনেক প্রাণী বিলুপ্তির পথে। আশুগঞ্জে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য মেঘনা নদী থেকে পানি তুলতে হয়। এই পানির সঙ্গে পলিথিন এসেছিল। ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হয়। এছাড়া পানিতে অক্সিজেনের মাত্রা কমে গেছে। এতে মাছ উৎপাদনও কমে গেছে। পলিথিন-প্লাস্টিক দূষণ বন্ধ করতে না পারলে এক সময় নদী থেকে মাছ ও জলজপ্রাণী হারিয়ে যাবে।
সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, বেশ কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশে পরিবেশ দূষণের মাত্রা বাড়ছে ব্যাপক হারে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর প্রভাব পড়ছে প্রকৃতিতে বসবাস করা সব প্রাণী ও জনজীবনের ওপর। মানবসৃষ্ট বিভিন্ন কারণে আমাদের পরিবেশ আজ ধ্বংসের মুখে। এর মধ্যে অন্যতম অনিয়ন্ত্রিত প্লাস্টিক ও পলিথিনের ব্যবহার। প্লাস্টিক দূষণের সবচেয়ে ভয়ের দিক হলো এর দীর্ঘস্থায়িত্ব। বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, প্লাস্টিক পণ্য মাটির সঙ্গে মিশতে সময় নেয় প্রায় এক হাজার বছর। বহু বছর পর এটি ভেঙে পরিণত হয় মাইক্রোপ্লাস্টিকে। এই মাইক্রোপ্লাস্টিকের আকার ৫ মিলিমিটারের চেয়েও কম। এসব ছোট কণা খাদ্যশৃঙ্খলের মাধ্যমে আমাদের দেহে প্রবেশ করে এবং বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকির জন্ম দেয়।
বাংলাদেশ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (বাপা) হিসাব অনুযায়ী, শুধু ঢাকায়ই প্রতিদিন প্রায় দুই কোটি পলিথিন ব্যাগ জমা হয়। পলিথিন ছাড়া অন্য প্লাস্টিক বর্জ্যও পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, দেশে প্রতিদিন ২৪ হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হচ্ছে। প্লাস্টিক দূষণ রোধে জাতীয় মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২০২৫ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত থাকলেও ২০২০ সালে প্লাস্টিক রিসাইক্লিংয়ের পরিমাণ ছিল ৩ লাখ টনের মতো; যা মোট ব্যবহারের প্রায় ২০ ভাগ। এদিকে, বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী চট্টগ্রাম। জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রতিনিয়ত মানুষ শহরে পাড়ি জমায়। ২০২০ সালের তথ্যানুযায়ী চট্টগ্রামের জনসংখ্যা ৭০ লাখের বেশি। এই বাড়তি জনসংখ্যায় শহরাঞ্চলে বৃদ্ধি পাচ্ছে মানবসৃষ্ট বর্জ্য। চট্টগ্রামে প্রতিদিন গড়ে তিন হাজার টন কঠিন বর্জ্য উৎপন্ন হয়; যার ৭৫ শতাংশ সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। সংস্থাটির ২০১৯-২০ প্রতিবেদন অনুসারে, ২৫ শতাংশ বর্জ্য অসংগৃহীতই থেকে যায়। এ ধরনের বর্জ্য নগরীতে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। যেমন পানি নিষ্কাশনে বাধার কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি, আগুনে পোড়ানোর ফলে বায়ুদূষণ, মাইক্রোপ্লাস্টিকে স্বাস্থ্যঝুঁকি ইত্যাদি। প্লাস্টিক বর্জ্যের অব্যবস্থাপনার কারণে একটি বড় অংশ জমা হয় ময়লার ভাগাড়সহ নদীনালা, খালবিলে। ফলে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। এ জলাবদ্ধতায় ডেঙ্গু রোগবাহিত এডিস মশাসহ ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া, কলেরা, টাইফয়েডের মতো নানা ধরনের রোগবালাইয়ের বাস। প্লাস্টিকদূষণ রোধে জাতীয় মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২০২৫ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত থাকলেও ২০২০ সালে প্লাস্টিক রিসাইক্লিংয়ের পরিমাণ ছিল প্রায় ৩ লাখ টন; যা মোট ব্যবহারের মাত্র ২০ শতাংশ।
গবেষকদের মতে, ২০৫০ সালের মধ্যে পৃথিবীতে ৩৩ বিলিয়ন টন প্লাস্টিক জমা হতে পারে। গ্লোবাল প্লাস্টিক আউটলুক অনুসারে, বিশ্বে ২০১৯ সালে ৩৫৩ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হয়েছে; যা ২০০০ সালের দ্বিগুণেরও বেশি।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, বাংলাদেশে উৎপাদিত ১৪ লাখ ৯ হাজার টন প্লাস্টিক পণ্যের অর্ধেকের বেশি ব্যবহৃত হয়েছিল পণ্যের মোড়ক ও প্যাকেজিং খাতে। বিশেষত পলিথিনের ভয়ংকর আগ্রাসন আমাদের সামগ্রিক পরিবেশ ও বাস্তু ব্যবস্থাপনাকে চরম ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। ঢাকা শহর ইতিমধ্যে বিশ্বের অন্যতম বসবাসের অযোগ্য শহরের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। পলিথিন ও প্লাস্টিক পণ্যের অপরিমিত ও অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার এর জন্য অনেকাংশে দায়ী বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আমরা যদি লক্ষ করি, তাহলে দেখতে পাব ঢাকা শহরের প্রতিটি অলিগলি, ড্রেন, নালা, খাল ও পতিত জলাশয় প্লাস্টিক বোতল ও পলিথিনে বদ্ধ হয়ে আছে। সেই বদ্ধ জলাশয়ের দূষিত পানিতে জন্ম নিচ্ছে ডেঙ্গু রোগবাহিত এডিস মশাসহ ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া, কলেরা, টাইফয়েডের মতো নানা ধরনের রোগবালাই। পরিবেশ এখন প্রায় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। আমরা যদি এখনই সচেতন না হই, তাহলে আমাদের পতিত হতে হবে মহাকালের মহাবিপর্যয়ে। আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিভিন্ন পলিথিন ও প্লাস্টিক কারখানা ভাবনাহীনভাবে উৎপাদন করে বাজারজাত করছে। যেখানে আইনের কোনো প্রয়োগ দেখতেই পাওয়া যায় না। পলিথিনের বিকল্প হয়ে উঠেছিল যে কাগজ বা পাটের ব্যাগ, তা বিলুপ্তির পথে। এ কারণে প্লাস্টিকের কারখানাগুলো রমরমা ব্যবসা করছে। আমরা যত যা কিছুই বলি না কেন, এই ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়কারী পণ্য যদি বন্ধ করতে না পারি, তাহলে যেমন আমরা নিজেদের রক্ষা করতে পারব না, তেমনি পারব না আগামী প্রজন্মের জন্য একটা সুন্দর সুশীতল সবুজ পৃথিবী রেখে যেতে।
২০২০ সালে বিশ্বব্যাংকের এক গবেষণা প্রতিবেদনে বাংলাদেশে প্লাস্টিক পণ্যের ক্রমবর্ধমান ব্যবহার ও প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় চরম ব্যর্থতার চিত্র উঠে এসেছে। পরিবেশ অধিদপ্তর ২০০২ সালে শর্ত সাপেক্ষে সব রকমের পলিথিন শপিং ব্যাগ উৎপাদন, আমদানি, বাজারজাতকরণ, বিক্রি, মজুত ও বিতরণ নিষিদ্ধ করে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় তার উল্টো চিত্র। কাগজে-কলমে আইন থাকলেও বাস্তবে তার প্রয়োগ না থাকলে যা হয়, তেমনটিই হয়েছে পলিথিন ও প্লাস্টিকের ব্যবহারবিধির আইনের ক্ষেত্রে। পলিথিন যে নিষিদ্ধ, এটা যেন সবাই ভুলে গেছে। উৎপাদক, আমদানিকারক, বিক্রেতা-ক্রেতা কেউই পলিথিনের শপিং ব্যাগ-সংক্রান্ত আইন মানছেন না।
আইন কী বলছে: ‘সরকার নির্ধারিত পলিথিন সামগ্রী উৎপাদন, আমদানি ও বাজারজাতকরণে প্রথম অপরাধের দায়ে অনধিক ২ (দুই) বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ২ (দুই) লাখ টাকা অর্থদণ্ড (জরিমানা) বা উভয় দণ্ড এবং পরবর্তী প্রতিটি অপরাধের ক্ষেত্রে অন্যূন ২ (দুই) বছর, অনধিক ১০ (দশ) বছরের কারাদণ্ড বা অন্যূন ২ (দুই) লাখ টাকা, অনধিক ১০ (দশ) লাখ টাকা অর্থদণ্ড (জরিমানা) বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন অপরাধীরা’। বিক্রি, বিক্রির জন্য প্রদর্শন, মজুদ, বিতরণ, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পরিবহন বা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের দায়ে অনধিক ১ (এক) বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড (জরিমানা) বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। ‘পরবর্তী প্রতিটি অপরাধের দায়ে অন্যূন ২ (দুই) বছর, অনধিক ১০ (দশ) বছরের কারাদণ্ড বা অন্যূন ২ (দুই) লাখ টাকা, অনধিক ১০ (দশ) লাখ টাকা অর্থদণ্ড (জরিমানা) বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন অপরাধীরা’।
‘পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর সামগ্রী উৎপাদন, বিক্রয় ইত্যাদির উপর বাধা-নিষেধ’ শীর্ষক আইনের ৬(ক) ধারায় বলা হয়, ‘সরকার মহাপরিচালকের পরামর্শ বা অন্য কোনোভাবে যদি সন্তুষ্ট হয় যে, সকল বা যেকোনো ধরনের পলিথিন শপিং ব্যাগ বা পলিইথাইলিন বা পলিপ্রপাইলিনের তৈরি অন্য কোনো সামগ্রী বা অন্য যেকোনো সামগ্রী পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর, তাহলে সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দিয়ে সারা দেশে বা কোনো নির্দিষ্ট এলাকায় এ ধরনের সামগ্রীর উৎপাদন, আমদানি, বাজারজাতকরণ, বিক্রি, বিক্রির জন্য প্রদর্শন, মজুদ, বিতরণ, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পরিবহন বা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করার বা প্রজ্ঞাপনে নির্ধারিত শর্তাধীনে ওই সকল কার্যক্রম পরিচালনা বা ব্যবস্থাপনার বিষয়ে নির্দেশ জারি করতে পারবে। এবং ওই নির্দেশ পালনে সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তি বাধ্য থাকবেন’। ‘তবে শর্ত থাকে যে, ওই নির্দেশ নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না, (ক) ওই প্রজ্ঞাপনে বর্ণিত সামগ্রী রপ্তানি করা হলে বা রফতানি কাজে ব্যবহৃত হলে, (খ) কোনো নির্দিষ্ট পলিথিন শপিং ব্যাগের ক্ষেত্রে ওই নির্দেশ প্রযোজ্য হবে না মর্মে ওই প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হলে’। ‘পলিথিন শপিং ব্যাগ’ বলতে বোঝানো হয়েছে পলিইথাইলিন, পলিপ্রপাইলিন বা এর কোনো যৌগ বা মিশ্রণের তৈরি কোনো ব্যাগ, ঠোঙ্গা বা অন্য কোনো ধারক যা কোনো সামগ্রী কেনা-বেচা বা কোনো কিছু রাখা বা বহনের কাজে ব্যবহার করা যায়। কেবল আইনের কঠোর প্রয়োগ নয়; পলিথিন-প্লাস্টিক মুক্ত দেশ গড়তে আমাদের সচেতনাও অপরিহার্য।
লেখক: সাংবাদিক।
ভোরের আকাশ/রন
মন্তব্য