বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করতে গেলে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে আসে শাসকগোষ্ঠীর পরিবর্তনের সঙ্গে শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কারের সম্পর্ক। স্বাধীনতার পর থেকে প্রতিটি সরকারই শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং কাঠামোগত উন্নয়নের জন্য নানা পদক্ষেপ নিয়েছে, যার মধ্যে বিভিন্ন শিক্ষা কমিশন গঠন একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। তবে প্রায়শই এই কমিশনগুলোর সুপারিশগুলো সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হয়নি, মূলত রাজনৈতিক অস্থিরতা, প্রশাসনিক দুর্বলতা, এবং বাজেট সংকটের কারণে।
স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় গঠিত শিক্ষা কমিশনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো কুদরাত-এ-খুদা শিক্ষা কমিশন (১৯৭২)। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত এই কমিশন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিফলিত করে শিক্ষার সার্বিক আধুনিকায়নের লক্ষ্যে কাজ করে। বিশেষভাবে, প্রাথমিক শিক্ষাকে ৮ বছর করার প্রস্তাব এবং শিক্ষাব্যবস্থায় গ্রেডিং পদ্ধতির প্রচলনের সুপারিশ করা হয়। তবে, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে এই সুপারিশগুলো পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।
এরপর, ১৯৭৫ সালের রাজনৈতিক অস্থিরতার পর নতুন সরকার ক্ষমতায় এসে ১৯৭৭ সালে শরীফ শিক্ষা কমিশন গঠন করে। এই কমিশনের মূল লক্ষ্য ছিল শিক্ষার মান উন্নয়ন এবং প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা। যদিও শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করা হয়েছিল, অর্থনৈতিক সংকট এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে কমিশনের অনেক সুপারিশই বাস্তবায়িত হয়নি। পরবর্তীতে, সামরিক শাসনামলে ১৯৮১ সালে মফিজউদ্দিন শিক্ষা কমিশন গঠন করা হয়, যেখানে ধর্মীয় শিক্ষার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। তবুও, রাজনৈতিক প্রভাব ও প্রশাসনিক দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ায় শিক্ষার মানোন্নয়নে কাক্সিক্ষত অগ্রগতি অর্জন করা সম্ভব হয়নি।
ফলে, এই কমিশনের অনেক সুপারিশও কার্যকর হয়নি। শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদে, ১৯৯৭ সালে শামসুল হক শিক্ষা কমিশন গঠিত হয়, যার উদ্দেশ্য ছিল কুদরাত-এ-খুদা শিক্ষা কমিশনের সুপারিশগুলো পুনঃপর্যালোচনা করে শিক্ষার মান উন্নয়ন করা। কিন্তু, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতার কারণে এই সুপারিশগুলোও সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হতে পারেনি। অন্যদিকে, বিএনপি সরকারের সময়, ২০০৩ সালে মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মিঞা শিক্ষা কমিশন গঠন করা হয়, যার মাধ্যমে শিক্ষার আধুনিকায়নের লক্ষ্যে ৮৮০টি সুপারিশ করা হয়। তবে, প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা এবং পর্যাপ্ত অর্থায়নের অভাবে এই কমিশনের অনেক সুপারিশ কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। অবশেষে, শেখ হাসিনার দ্বিতীয় মেয়াদে, ২০১০ সালে জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণীত হয়, যা পূর্ববর্তী শিক্ষানীতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখার প্রচেষ্টা চালায়। প্রাথমিক শিক্ষাকে ৮ বছর এবং নিম্ন মাধ্যমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব দেওয়া হলেও, বাস্তবায়নে নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। ২০২১ সালের জাতীয় শিক্ষাক্রমে প্রযুক্তির ব্যবহার এবং ধারাবাহিক মূল্যায়নের প্রস্তাবনা ছিল, তবে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। এভাবে, প্রতিটি শিক্ষা কমিশন গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ দিলেও, রাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক সংকট, এবং প্রশাসনিক সীমাবদ্ধতা বাস্তবায়নের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে শিক্ষা কমিশন গঠনের সম্পর্ক সরাসরি রাজনৈতিক ক্ষমতা ও নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে গভীরভাবে সংযুক্ত। যখনই নতুন সরকার ক্ষমতায় আসে, তারা শিক্ষাব্যবস্থাকে তাদের রাজনৈতিক দর্শন, আদর্শ এবং নীতির প্রতিফলন ঘটানোর একটি প্রধান মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে চায়। এই প্রক্রিয়ায়, শিক্ষাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে বিবেচনা করা হয়, কারণ শিক্ষা একটি দেশের জনগণের মানসিকতা, সামাজিক মূল্যবোধ, এবং রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সুতরাং, শিক্ষাব্যবস্থার ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নতুন রাজনৈতিক শক্তি তাদের আদর্শকে পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করে।
শিক্ষাব্যবস্থায় প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে আধুনিক অবকাঠামো গড়ে তোলা জরুরি, যাতে শিক্ষার্থীরা যুগোপযোগী শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। শিক্ষকদের ডিজিটাল দক্ষতা বাড়ানোর লক্ষ্যে নিয়মিত প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করতে হবে, যাতে তারা প্রযুক্তি-ভিত্তিক পাঠদান কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে পারেন।
এছাড়া, প্রত্যেক নতুন সরকার মনে করে যে পূর্ববর্তী সরকারের শিক্ষানীতিতে কিছু সীমাবদ্ধতা বা অসম্পূর্ণতা ছিল, যা তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে যথাযথ বা কার্যকর নয়। উদাহরণস্বরূপ, তারা ধারণা করে যে পূর্ববর্তী সরকার শিক্ষাব্যবস্থায় যে দুর্বলতা রেখে গেছে, তা তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও দেশের ভবিষ্যতের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এজন্যই নতুন সরকারগুলো প্রায়শই নতুন শিক্ষা কমিশন গঠন করে, যার মাধ্যমে নতুন নীতির প্রবর্তন এবং শিক্ষাব্যবস্থায় কাঠামোগত পরিবর্তন আনার প্রচেষ্টা করে। এর মধ্যে পাঠ্যপুস্তক, শিক্ষাক্রম এবং মূল্যায়ন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনার চেষ্টা উল্লেখযোগ্য।
বিশেষত, পাঠ্যপুস্তক এবং শিক্ষাক্রমের ক্ষেত্রে নতুন সরকার প্রায়শই তাদের রাজনৈতিক আদর্শ প্রচার করার প্রবণতা দেখায়। তারা পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যমে দলীয় ইতিহাস, রাজনৈতিক নেতাদের অবদান, এবং তাদের আদর্শিক মতবাদ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। উদাহরণস্বরূপ, কোনো নির্দিষ্ট সরকারের রাজনৈতিক দল বা নেতার অবদানকে বিশেষভাবে তুলে ধরার মাধ্যমে তা শিক্ষার্থীদের মধ্যে গভীরভাবে প্রোথিত করার চেষ্টা করা হয়। এটি সরকারের রাজনৈতিক অবস্থানকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করার একটি কার্যকর কৌশল হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
তাছাড়া, প্রতিটি সরকার চায় যে তাদের আমলে শিক্ষাব্যবস্থা আরও আধুনিক হোক এবং আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়ে উঠুক। বর্তমান বিশ্বে সফলভাবে টিকে থাকতে হলে শিক্ষায় প্রযুক্তির ব্যবহার এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের গুরুত্ব অপরিহার্য। সেই প্রেক্ষাপটে, নতুন সরকারগুলো প্রায়শই নতুন কমিশন গঠন করে এবং শিক্ষাব্যবস্থায় প্রযুক্তি, ই-লার্নিং, এবং ডিজিটাল টুলসের ব্যবহারের সুপারিশ আনে। এভাবে তারা শিক্ষাব্যবস্থাকে আরও আধুনিক ও যুগোপযোগী করতে চায়, যা তাদের ক্ষমতায় থাকার সময়কালকে একটি সাফল্যের অংশ হিসেবে তুলে ধরে।
এছাড়াও, আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নতুন সরকারগুলো শিক্ষাক্রমে বৈশ্বিক প্রবণতাগুলোর প্রতিফলন ঘটানোর চেষ্টা করে। তারা শিক্ষাব্যবস্থার আধুনিকায়নের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতায় সক্ষম একটি জাতি গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে। তবে, অনেক ক্ষেত্রেই এই ধরনের প্রচেষ্টা প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা, বাজেট সংকট, এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অভাবে পুরোপুরি সফল হয় না।
সুতরাং, প্রতিটি নতুন সরকার শিক্ষাব্যবস্থায় সংস্কার ও পরিবর্তন আনার মাধ্যমে তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা করে, যা নিয়মিতভাবে নতুন শিক্ষা কমিশন গঠনের প্রবণতায় রূপ নিয়েছে। শিক্ষাব্যবস্থার ধারাবাহিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে এবং রাজনৈতিক চাপ কমানোর লক্ষ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে:
- স্বাধীন শিক্ষা কমিশন গঠন: শিক্ষার দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের জন্য একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ শিক্ষা কমিশন গঠন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই কমিশন সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থেকে শিক্ষার মানোন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন করবে। এতে শিক্ষাবিদ, গবেষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, এবং বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করে একটি পরামর্শক দল তৈরি করা উচিত, যা সমাজের প্রতিটি অংশের মতামত প্রতিফলিত করবে। পাশাপাশি, কমিশনের কার্যক্রমে জনগণের মতামত ও অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করে নীতি গ্রহণের প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ, গণমুখী এবং গ্রহণযোগ্য করা যেতে পারে।
- ধারাবাহিক শিক্ষানীতি: নতুন সরকারগুলোর উচিত পূর্ববর্তী শিক্ষানীতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখা এবং শিক্ষার মানোন্নয়ন ও কাঠামোগত উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করা। এজন্য শিক্ষায় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও সুপারিশের ধারাবাহিক বাস্তবায়ন অত্যাবশ্যক। এক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী আইনি কাঠামো গঠন করা উচিত, যা এই নীতির বাস্তবায়ন বাধ্যতামূলক করবে, ফলে সরকার পরিবর্তন হলেও শিক্ষানীতির ধারাবাহিকতা ব্যাহত হবে না। এছাড়া, শিক্ষা খাতের উন্নয়নে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি অন্যান্য মন্ত্রণালয় (যেমন তথ্যপ্রযুক্তি, অর্থনীতি, শ্রম মন্ত্রণালয়) সমন্বয়ে একটি সমন্বিত শিক্ষানীতি গঠন করা গুরুত্বপূর্ণ।
- বাজেট ও অর্থায়ন বৃদ্ধি: শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ অত্যাবশ্যক। অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করে একটি নিরবচ্ছিন্ন বাজেট ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, যেখানে প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চশিক্ষার প্রতিটি স্তরের জন্য সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ থাকবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শিক্ষায় বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে এবং সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি) প্রকল্পের মাধ্যমে অর্থায়ন বাড়াতে হবে। এতে শিক্ষার অবকাঠামো ও মানোন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখা সম্ভব। পাশাপাশি, বিশ্বব্যাংক, ইউনিসেফ, টঘঊঝঈঙ-এর মতো আন্তর্জাতিক সংস্থা ও দাতা দেশগুলোর কাছ থেকে অর্থায়ন এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে, যা শিক্ষার উন্নয়নকে আরও ত্বরান্বিত করবে।
- প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি রোধ: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক প্রভাব ও দুর্নীতি কমাতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। শিক্ষকের নিয়োগ, প্রশিক্ষণ, এবং প্রশাসনিক কাজগুলোতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। দুর্নীতি রোধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, যাতে এই খাতে কোনো ধরনের অনিয়মের সুযোগ না থাকে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড বা শিক্ষকদের কার্যক্রমে কোনো অনিয়ম বা অন্যায় হলে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, এবং স্থানীয় কমিউনিটিকে সরাসরি অভিযোগ করার সুযোগ দিতে একটি নিরপেক্ষ ও কার্যকর অভিযোগ ব্যবস্থা চালু করা উচিত, যা সবার জন্য সহজলভ্য এবং স্বচ্ছ হবে।
- শিক্ষায় প্রযুক্তির ব্যবহার: শিক্ষাব্যবস্থায় প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে আধুনিক অবকাঠামো গড়ে তোলা জরুরি, যাতে শিক্ষার্থীরা যুগোপযোগী শিক্ষাগ্রহণ করতে পারে। শিক্ষকদের ডিজিটাল দক্ষতা বাড়ানোর লক্ষ্যে নিয়মিত প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করতে হবে, যাতে তারা প্রযুক্তিভিত্তিক পাঠদান কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে পারেন। এছাড়া, একটি কেন্দ্রীয় ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে, যেখানে শিক্ষার্থীরা সহজেই পাঠ্যবই, অনলাইন কোর্স, ভিডিও লেকচার এবং অন্যান্য শিক্ষামূলক উপকরণে প্রবেশ করতে পারে।
উল্লিখিত পদক্ষেপগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে, শিক্ষাব্যবস্থা রাজনৈতিক প্রভাব থেকে মুক্ত হয়ে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে সক্ষম হবে। শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য একটি স্থায়ী, স্বচ্ছ, এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা অপরিহার্য, যা শিক্ষাব্যবস্থায় ধারাবাহিকতা এবং স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
ভোরের আকাশ/রন
মন্তব্য