অস্থির সময়ের মধ্য দিয়ে পুরো পৃথিবী পার হচ্ছে। জি২০ সম্মেলনটি এমন সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন আমাদের পৃথিবী দারিদ্র্য ও ক্ষুধা থেকে শুরু করে জলবায়ু পরিবর্তন, কোভিড-১৯ মহামারি পরবর্তী সংকট মোকাবিলা, যুদ্ধ-বিদ্রোহ এবং অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে।
বহু সমস্যার মাঝেও এ ধরনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন আসলে অনেকটা আলাদিনের চেরাগ। বিশেষ করে ছোট ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর কাছে এটি একটি আশা ভরসার প্রতীক। এসব সম্মেলনের জন্য এই দেশগুলো সারা বছর তাকিয়ে থাকে। কারণ এসব সম্মেলন তাদের ভরসার জায়গা, আস্থার প্রতীক ও অর্থনৈতিক সাহায্যের করিডোর। অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এসব সম্মেলন আদৌ কি কোনো কাজে দেয়?
বাস্তবতা হলো, মানুষ এবং ভূখণ্ড পারস্পরিক সাম্যবস্থার মধ্য দিয়ে এই ধরনীতে অবস্থান করে। তাই এই বাস্তুসংস্থান বলয়ে আমরা অনাদিকাল টিকে থাকি। শুধু ধনীদের জন্য এই পৃথিবী নয়, সবাইকে নিয়ে এই জনপদ। পৃথিবীতে মানুষ বাঁচলেই, এই বিশ্ব বাঁচবে। এই ধরিত্রীর অন্যতম একটি বড় উপাদান হলো জলবায়ু। একে এখন আর ছোট করে দেখার দিন নেই। মানুষ যে পরিমাণে পরিবেশ দূষিত করছে, একে যদি এখনই প্রতিরোধ করতে না পারা যায় তাহলে কঠিন দিন অপেক্ষা করছে আমাদের সামনে।
ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো শহরে বিশ্বের ধনী রাষ্ট্রগুলোর জোট জি২০ এর শীর্ষ সম্মেলন ১৮-১৯ নভেম্বর ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনেকটা দ্বিধা বিভক্তি ও মতানৈক্যের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে এইবারের সম্মেলন। বিশ্বনেতারা তাদের আলোচনায় জলবায়ু ইস্যুকে প্রাধান্য না দিয়ে বরং ইউক্রেন যুদ্ধ এবং হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফিরে আসা নিয়ে আলাপের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে বেশি।
স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে এসব সম্মেলনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নিয়ে। পিছিয়ে পড়া দেশগুলো যেহেতু এই সম্মেলন নিয়ে মুখিয়ে আছে, তারা কি সত্যিই কিছু পেল এই সম্মেলন থেকে? যদিও ডোনাল্ড ট্রাম্প এবারের নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় পর ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি জাতিসংঘের জলবায়ু তহবিলে চাঁদা কমিয়ে দেবেন। যা ইতোমধ্যে চিন্তায় ভাজ ফেলেছে পিছিয়ে পড়া দেশগুলোর মাঝে। জলবায়ু ইস্যুতে জাতিসংঘের আলোচনার অচলাবস্থা ভাঙতে পারলো কি এসব শিল্পোন্নত ও বিকাশমান অর্থনীতির দেশগুলোর জোট জি-২০ এর নেতারা? প্রশ্ন কিন্তু রয়েই গেল।
জলবায়ু পরিবর্তন একটি ধীর প্রক্রিয়া হলেও এর প্রভাব খুব মারাত্মক ও সুদূরপ্রসারী। চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, আকস্মিক বন্যা, নদীভাঙন, খরা, দাবানল, বনভূমি সংকোচন, মেরু অঞ্চলের বরফ গলে গিয়ে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়া, কিংবা অনাবৃষ্টি জনিত কারণে বিস্তীর্ণ অঞ্চল মরুভূমিতে পরিণত হওয়ার মতো সমস্যাগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সংগঠিত হচ্ছে।
তথ্য বলছে, শিল্পোন্নত দেশগুলো বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য দায়ী গ্যাসগুলোর ৮০ শতাংশ নিঃসরণ করে থাকে। পরিবেশ দূষণে এসব দেশ যা সরাসরি ভূমিকা পালন করে। বর্তমান বিশ্বের অর্থনীতির ৮৫ শতাংশ এবং বিশ্ববাণিজ্যের ৭৫ শতাংশ নির্ভরশীল এই জি২০ দেশগুলোর উপরে।
সুতরাং সমগ্র বিশ্বের ভাগ্য নির্ভর করছে এই দেশগুলোর সিদ্ধান্তের উপরে। এবারের সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতির শিকার দেশগুলোর কারা অর্থসহায়তা দেবে, তা নিয়ে আলোচনায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে জি২০ নেতারা। পরে এ বিষয়ে তারা কোনো প্রতিকৃতি দেননি। শুধু এটুকু বলেছে, লাখ লাখ কোটি ডলারের এ সহায়তা ‘সব উৎস থেকেই’ আসতে হবে। প্রকৃতপক্ষে ধনাঢ্য দেশগুলোর নেতাদের এমন সাংঘর্ষিক অবস্থান অনেকটা দুর্বল করে দেয় এসব মহান উদ্দেশ্যকে। জলবায়ু ইস্যুতে কোনো সমঝোতা সম্ভবত আরও কঠিন করে তুলবে এসব বিভক্তিতে।
১৯৯৯ সালে জার্মানির বার্লিনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ১৯টি দেশ আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, মেক্সিকো, দক্ষিণ কোরিয়া, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর এবং অর্থমন্ত্রীদের একটি সম্মেলনের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে জি২০।
২০০৮ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের বিষয়ে আলোচনার জন্য রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানদের সম্মেলনে যোগ দিতে আহ্বান জানায়। সেই বছর ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত হওয়া সম্মেলনটি ছিল মূলত জি২০ প্রথম সম্মেলন। এরপর থেকে প্রতিবছর এই শীর্ষ সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এবারের সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতির শিকার দেশগুলোর কারা অর্থসহায়তা দেবে, তা নিয়ে আলোচনায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে জি২০ নেতারা। পরে এ বিষয়ে তারা কোনো প্রতিকৃতি দেননি।
জি২০ সম্মেলনের বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন, উন্নয়ন নীতি, শ্রমবাজার ও কর্মী নীতি, ডিজিটাল প্রযুক্তির বিস্তার, সন্ত্রাসবাদের বিরোধিতা, নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্য, অভিবাসন, শরণার্থী, দুর্নীতি প্রতিরোধ ও দমন ইত্যাদি।
২০২৩ সালে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে জি২০ সম্মেলন। বাংলাদেশকে ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’ হিসেবে উচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল তখন। জি২০ গ্রুপের সদস্য না হয়েও দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র ‘অতিথি দেশ’ হিসেবে ২০২৩ সালে মনোনীত হওয়া বাংলাদেশের জন্য সত্যিই ছিল অত্যন্ত সম্মান ও গৌরবের বিষয়।
২০২২ সালে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিল ইন্দোনেশিয়া এবং জি২০ নেতাদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল বালিতে। প্রতিবছর জি২০ ভুক্ত কোনো একটি দেশ সভাপতির দায়িত্ব নেয় এবং সম্মেলনের আলোচ্য বিষয় ঠিক করে।এবারের জি২০ সম্মেলনকে ঘিরে বাংলাদেশ আগেই অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও সামাজিক কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে রেখেছে। যদিও জি২০ একটি বহুপাক্ষিক জোট। এইখানে আলোচনাগুলো হয়ে থাকে বহুপাক্ষিকভাবে। যেহেতু বাংলাদেশের প্রতি পশ্চিমা দেশগুলো এবং চীনের আগ্রহ রয়েছে। সুতরাং বিশ্ব থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা আদায়ে আমাদের সঠিক নীতি পরিকল্পনা গ্রহণ করা দরকার।
বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে বহির্বিশ্বের যে আগ্রহ তৈরি হয়েছে তাকে বলা হয় মোমেন্টাম, তা ধরে রাখতে হলে আমাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার পাশাপাশি সঠিক কূটনৈতিক কৌশল অবলম্বন করতে হবে।
জি২০ সম্মেলন থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় বাংলাদেশ যদি তার যথার্থ প্রাপ্যতার নিশ্চয়তা পায়, তবে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিদ্যমান কর্মসূচির পাশাপাশি আরও বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণে সক্ষম হবে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য বাঁধ নির্মাণ, খরা ও লবণাক্ততা সহিষ্ণু ফসলি জাত উদ্ভাবন, নদীতে নাব্য ফিরিয়ে আনা, বনভূমির পরিমাণ বৃদ্ধি করা, উপকূলীয় অঞ্চলে বনভূমির বিস্তার করা, উপকূলীয় এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পুনর্বাসন, কার্বন নিঃসরণ হ্রাস ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করা প্রভৃতি।
আশা করা যায়, এতে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এগিয়ে থাকবে। তবে জলবায়ু পরিবর্তন সংকটটি বৈশ্বিক হওয়ায় প্রতিটি দেশের সরকারকে আন্তরিকতার সঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে। বিশ্বনেতাদের শুধু বছরে নিয়ম করে সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করলেই হবে না, এর বাস্তবায়নও করতে হবে। তবেই এই সম্মেলন ফলপ্রসূ হবে এবং নির্মল হবে এই গ্রহের প্রতিটি প্রাণীর জীবন।
আগামীর বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি কোনো একক রাষ্ট্রের বা বিশেষ কোনো অঞ্চলের সমস্যা নয়, বরং একটি বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবে দৃশ্যমান হয়েছে। তাই জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন-সংক্রান্ত কাঠামো কনভেনশনের (ইউনএফসিসিসি) আওতায় ১৯৯৫ সাল থেকে প্রতিবছর ঈড়হভবৎবহপব ড়ভ চধৎঃরবং (ঈঙচ) অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
২০২৪ সালের ২৯তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে কাস্পিয়ান সাগর তীরবর্তী দেশ আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে। বৈশ্বিক এই সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস অংশগ্রহণ করেছেন। এ সম্মেলনের মূল লক্ষ্য হলো, জলবায়ু অর্থায়নে শত শত কোটি ডলারের তহবিল সংগ্রহে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা।
কার্যত এ অর্থ কোথায় ও কীভাবে ব্যয় হবে তা ঠিক করা। উন্নয়নশীল দেশগুলো শিল্পোন্নত দেশ, বহুজাতিক ব্যাংক ও বেসরকারি খাতগুলো থেকে কী পরিমাণ অর্থ দেওয়া উচিত, যা কপ২৯ সম্মেলন সামনে নিয়ে আসে।
এবারের জি২০ সম্মেলনকে ঘিরে বাংলাদেশ আগেই অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও সামাজিক কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে রেখেছে। যদিও জি২০ একটি বহুপাক্ষিক জোট। এইখানে আলোচনাগুলো হয়ে থাকে বহুপাক্ষিকভাবে।
কপ সম্মেলন অনেকটা না পুরোপুরি নির্ভর করে জি২০ সম্মেলনের গ্রিন সিগনালের ওপর। ধনী দেশগুলোর স্বদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে পিছিয়ে পড়া দেশগুলোর ভাগ্য। কপ সম্মেলনের প্রায় সব এজেন্ডা আগেই জি২০ সম্মেলনে পাস করিয়ে নেয়। যাই হোক, এবারের কপ২৯ সম্মেলনে বাংলাদেশ একটি ভিন্ন বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে অংশগ্রহণ করেছে।
জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশে অন্তর্বর্তীকালীন নতুন সরকার গঠিত হয়েছে। সরকার গঠনের পরপরই দেশের পূর্বাঞ্চলের ফেনী, কুমিল্লা ও লক্ষ্মীপুর জেলা এক ভয়াবহ আকস্মিক বন্যার কবলে পড়ে।
এসব ঘটনায় আমাদের এসব সম্মেলনে গুরুত্ব অনুধাবন করতে সাহায্য করে।
জি২০ সম্মেলন আরও কার্যকরী ও গতিশীল করতে কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হলো:১. উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য অনুদান বাড়ানো এবং বহুজাতিক উন্নয়ন ব্যাংকগুলোর সংস্কার এগিয়ে নেওয়া।২. জলবায়ুজনিত অভিবাসন মোকাবিলায় অতিরিক্ত অর্থায়নের ব্যবস্থা করার জন্য যত দ্রুত সম্ভব ক্ষয়ক্ষতি তহবিল চালু করা।৩. ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) কার্যপ্রক্রিয়া আরও গতিশীল ও দৃশ্যমান করা।৪. বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন নিশ্চিতের বিষয়টি না ভুলে বৈশ্বিক সম্প্রদায় কর্তৃক তাদের মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখা।৫. দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করা এবং ধরিত্রীকে রক্ষা ও সংরক্ষণের দায়িত্ব কোনো একক বিশেষ দেশের ওপর চাপিয়ে না দেওয়া।৬. বিভিন্ন প্রয়োজনের মুখোমুখি হয়ে জি২০ দেশগুলো বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তনমুখী পথ অনুসরণ করা এবং এর মধ্য দিয়ে ২০১৫ সালের প্যারিস জলবায়ু চুক্তির লক্ষ্যগুলো পূরণ করা।৭. নাজুক অর্থনীতিগুলোর সহায়তা করা এবং তাদের জনগণকে দরিদ্রতা থেকে বের করে আনতে অধিকতর আর্থিক সম্পদ নিশ্চিত করা।৮. গ্রিনহাউস গ্যাসের শূন্য মাত্রার নির্গমন অর্জন থেকে শুরু করে আর্থিক বৈষম্য কমানো।৯. জলবায়ু পরিবর্তনে আরও শক্তিশালী ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ নেওয়া।
পরিশেষে বলতে চাই, এমন একটি বৈশ্বিক ব্যবস্থা চাই, যা দারিদ্র্যবিমোচন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব প্রশমন, সংঘাত প্রতিরোধ এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য প্রযুক্তিগত স্থানান্তরকে অর্থায়নের মাধ্যমে সমাধান করতে পারে।
সাম্প্রতীক সম্মেলনগুলোয় বৈশ্বিক মেরুকরণে জি২০ ভুক্ত দেশগুলোর আলোচনার পরিসর বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদের আলোচ্য সূচির মধ্যে অর্থনীতি ছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই জ্বালানি, আন্তর্জাতিক ঋণ মওকুফ এবং বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর করদানের মতো বিষয়ও অগ্রাধিকার পাচ্ছে। যা বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর জন্য সুনিশ্চিত আশার বাণী।
লেখক: শিক্ষক ও আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক
ভোরের আকাশ/রন
মন্তব্য