-->
বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি

রোগ নয়, রোগের লক্ষণ

সৈকত মল্লিক
রোগ নয়, রোগের লক্ষণ

কয়েক দিন ধরে ঢাকার তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের এক ‘অদ্ভুত’ দাবিতে ‘দুর্বার আন্দোলন’ শুরু করেছে। ক্লাস-পরীক্ষা বাদ দিয়ে, রাস্তা বন্ধ করে, খাওয়া-ঘুম বাদ দিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্লোগান দিয়েছে, কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার জন্য সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়েছে। দেশব্যাপী জনমনে এ বিষয়ে ইতিবাচক ও নেতিবাচক প্রতিক্রিয়াও সৃষ্টি হয়েছে; এমনকি তিতুমীর কলেজের মতো দেশে এমন আরও বেশ কয়েকটা ঐতিহ্যবাহী কলেজ আছে, সেখানকার শিক্ষার্থীরাও কেন তাদের স্ব-স্ব কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবি থেকে পিছিয়ে থাকবে, তা নিয়েও কথাবার্তা শুরু হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনকে অনেকেই ব্যঙ্গবিদ্রূপ ও করছে, তাদের সাধারণভাবে ‘অযোগ্য’, ‘অমেধাবী’ বলতেও অনেকে পিছপা হচ্ছেন না। এর কিছু দিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরাও বিভিন্ন দাবিতে মাঠে নেমেছিল, তারাও স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি উত্থাপন করেছিল। এগুলো আসলে রোগ নয়, রোগের লক্ষণ। মূলত তাদের সংকটটা কোথায়, তারা কী চায়- সেটা হয়তো আমরা বুঝতে সক্ষম হচ্ছি না বা বুঝতে চাচ্ছি না। ওদের আসল সংকটটা গভীরভাবে বোঝা দরকার, এটা নতুন বাংলাদেশের জন্য সময়ের দাবি। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন যৌক্তিক না অযৌক্তিক, এই আন্দোলন সফল হবে, নাকি ব্যর্থ হবে- সেগুলো পরের প্রশ্ন। কিন্তু এইটা নিশ্চিত যে এই আন্দোলন নতুন করে ‘গোটা শিক্ষাব্যবস্থা, উচ্চশিক্ষা এবং তার সঙ্গে কর্মসংস্থানের যুক্ততা কতটুকু’- এসব গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সামনে এনেছে। এ প্রশ্নটা নিয়েই সোজাসাপ্টা কয়েকটা আলাপ উত্থাপন করা জরুরি মনে করছি। আসলেই কি দেশের গড়পড়তা কর্মসংস্থানের জন্য উচ্চশিক্ষার প্রয়োজন আছে?

সরকারি চাকরিসহ দেশের শ্রমবাজারে যেসব কর্মসংস্থান হয় তার মধ্যে কৃষিতে ৪০ ভাগ, সেবা খাতে প্রায় ৪০ ভাগ আর বাকি ২০ ভাগ শিল্প খাতে।

উচ্চশিক্ষিত (ডিগ্রি পাস ধরে) তরুণদের টার্গেট ওই সেবা খাতের ৪০ শতাংশের মধ্যে ঢোকার; যার মধ্যে সরকারি-আধাসরকারি-বেসরকারি সবই আছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে- ওই সব চাকরি করতে ডিগ্রি-অনার্স-মাস্টার্স জরুরি কিনা!

ধরেন, ব্যাংকে আপনি টাকা তুলতে গেলেন; চেক বইয়ের পাতা ফিলআপ করে লাইনে দাঁড়িয়ে ক্যাশ অফিসারকে দিলেন, তিনি আপনার অ্যাকাউন্ট চেক করে, আপনার সাইন চেক করে আপনাকে ক্যাশ দিয়ে দিল। তো, এই কাজ করতে কি একজন মাস্টার্স পাস করা লোক লাগে? নাকি একজন যোগ-বিয়োগ-গুণ-ভাগ জানা, শতকরা হিসাব করতে জানা, কম্পিউটারে ডাটা এন্ট্রি করতে জানা কর্মীই যথেষ্ট? কয়েক মাসের প্রশিক্ষণই এ কাজের জন্য যথেষ্ট নয়কি? কিংবা ধরেন, একটা হাসপাতালে গেলেন চেকআপ করাতে; ইনফরমেশন ডেস্কের অফিসার আপনাকে ডিটেইল ডিরেকশন দিয়ে দিলেন, মূল্য তালিকাও বলে দিলেন। তো, এই কাজটা করতে কি একজন মাস্টার্স পাস লোক লাগবে? প্রত্যেকটি সেক্টরেই এরকম অজস্র উদাহরণ দেওয়া যাবে- যেগুলোর সঙ্গে যুক্ত হতে উচ্চশিক্ষিত হওয়ার কোনো দরকার নেই। তিতুমীর কলেজ বা সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা যে বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি করছে, এটা আসলে তাদের উচ্চশিক্ষিত হওয়ার বাসনা বা আকাক্সক্ষা থেকে নয়; তারা জব-মার্কেটে ফাইট করার জন্য একটা ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট’ চায়।

সেশনজট থেকে মুক্ত হয়ে তাড়াতাড়ি তথাকথিত ‘শিক্ষা জীবন’ শেষ করে অতি দ্রুত জব মার্কেটে প্রবেশ করতে চায়! সংকটটা কর্মসংস্থানের, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হওয়ার নয়। কর্মসংস্থানের গ্যারান্টি দেন, ওরা বিশ্ববিদ্যালয় চাইবে না।

একটা আইডিয়া; ভেবে দেখুন:রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে যদি ‘দক্ষ বিসিএস ক্যাডার’ তৈরির জন্য একটা ‘ট্রেইনিং কলেজ’ হয়, যেখানে নির্দিষ্ট সময় পর যত পদ শূন্য হবে সেই সংখ্যক ইন্টারমিডিয়েট পাস করা শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হয় এবং নিশ্চয়তা দেওয়া হয় যে সেখান থেকে পড়াশোনা শেষ করেই তারা বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগ পাবেন; তাহলে বলুন তো ওই কলেজে ভর্তির জন্য পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হবে, নাকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রতিযোগিতা বেশি হবে? কিংবা আরও পরিষ্কার করে বলি, ৫০০ শিক্ষার্থী তারা ওই বিশেষায়িত কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দুটোতেই চান্স পেল; তারা কি ওই বিসিএস কলেজে ভর্তি না হয়ে উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবে? দুই একটা ব্যতিক্রম ছাড়া বাকি ৪৯৮-৪৯৯ জনই ওই কলেজেই ভর্তি হবে; জরিপ করে দেখতে পারেন।

অস্বীকার করার উপায় নেই যে বাংলাদেশের ৯৯ শতাংশ শিক্ষার্থী শিক্ষা শেষে জব চায়; ভালো আর মন্দ, এই যা! যদিও বর্তমানে এই ভালো-মন্দ নির্ভর করে বেতনের ওপর। কী দরকার শুধু শুধু দার্শনিক, ইতিহাসবিদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানী, পদার্থবিদ, রসায়নবিদ, সাহিত্যিক... ইত্যাদি বানানোর ভাব ধরে তাদের সর্বনাশ করার!

বাংলাদেশের বাস্তবতায় বেশিরভাগ শিক্ষার্থী তো ওগুলো হতেও চায় না এবং ওগুলো হওয়ার যোগ্যতাও এই শিক্ষার কাঠামোতে ওরা হতে পারবে না। তবে এই ‘যোগ্য না হওয়া’, বা ‘হতে না চাওয়া’টা শিক্ষার্থীদের দোষ নয়; তারা জানে, রাষ্ট্রও জানে; এই রাষ্ট্র ওগুলো চায় না।

ওই ক্যাপাসিটি এখনও হয় নাই এ দেশের! এ দেশ মূলত চায় কর্মক্ষম, দক্ষ চাকর- দক্ষ শ্রমিক- রপ্তানিযোগ্য প্রবাসী শ্রমিক। এগুলো কম গুরুত্বপূর্ণ নয় মোটেও! তো ওগুলোই ঠিকঠাকভাবে বানান না কেন! ইন্টারমিডিয়েট পাস করার পরই যেন সবাই দক্ষ ‘চাকর’ হয়ে করে খেতে পারে, সেটা আগে নিশ্চিত করুন। তারপরের ধাপে উচ্চশিক্ষায় যান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য সন্দেহ নাই; কিন্তু এটা গড়পড়তা বা হরেদরের ব্যাপার না। উচ্চশিক্ষা হওয়া দরকার গবেষণাকেন্দ্রিক, উদ্ভাবনমুখী; যে কর্ম সবার নয়, এবং তা সবার জন্য দরকারও নাই। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের প্রয়োজনে যোগ্য কর্মীকে যোগ্যতর ও দক্ষ করার জন্য উচ্চশিক্ষায় পাঠাবে, রাষ্ট্র তার বিকাশের প্রয়োজনে, নাগরিক সেবা আরও উন্নত করার জন্য, মানুষের জীবন-জীবিকা সহজতর ও উন্নততর করার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক উচ্চ যোগ্যতাসম্পন্ন গবেষক, উদ্ভাবক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করবে। অপ্রিয় হলেও বলি, ’৭৩-এর অধ্যাদেশ অনুযায়ী পরিচালিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়- আপাতত এই চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে শুধু ‘গবেষণাকেন্দ্রিক, উদ্ভাবনমুখী’ বিষয়ের ওপর মাস্টার্স, এমফিল, পিএইচডি শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত ‘বিশ্ববিদ্যালয়’ হিসেবে চালু রেখে বাকি সব বিশ্ববিদ্যালয়কে কলেজে রূপান্তরিত করা দরকার। আর বিদ্যমান ইন্টারমিডিয়েট কলেজগুলোর সঙ্গে নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের যুক্ত করে সমন্বিত করা জরুরি। এই কলেজগুলোর পড়াশোনা হবে মূলত কর্মমুখী।

বলা ভালো- কলেজগুলো হবে একেকটা বিশেষায়িত ট্রেইনিং ইনস্টিটিউট। খাতওয়ারী পরিকল্পনা করে, কর্মসংস্থানের হিসাব করে সেই অনুযায়ী শিক্ষার্থী সংখ্যা নির্ধারণ করে ট্রেইনিং দেওয়া দরকার। সেখানে এমনকি ‘ট্রেইনার’ হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কর্মকর্তাদের, উদ্যোক্তাদেরও দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে, যাতে শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারে- কোন চাকরির জন্য বিশেষ কী কী জিনিস জানতে-পারতে হয়। ফলে কলেজ পাস করা যেকোনো তরুণই হবে গড়পড়তা চাকরির জন্য ফিট। এমনকি চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোও তাদের ভবিষ্যৎ কর্মী বাছাইয়ের সুযোগ পাবে সরাসরি।

কৃষি আর শিল্প, এই দুই খাতেই প্রায় ৬০ শতাংশ শ্রমশক্তি লাগে। ফলে এই দুই খাতের বিকাশের জন্য ব্যাপক পরিমাণে ট্রেইনিং ইনস্টিটিউট স্থাপন করা দরকার। আমরা যেমন- প্রায়ই গার্মেন্টস মালিকদের কাছে থেকে শুনতে পাই- ‘আমাদের শ্রমিকরা দক্ষ না’, ‘অত্যাধুনিক মেশিন তারা অপারেট করতে পারে না’।

ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম লাইফ লাইন এই গার্মেন্টস খাতও তার আশানুরূপ বিকাশ ঘটাতে পারছে না অন্য দেশের তুলনায়। এই সংকটের সমাধানও এই কর্মমুখী শিক্ষার মধ্যেই আছে। কৃষির ক্ষেত্রেও তাই। কৃষি এখন আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় প্রযুক্তিনির্ভর, যা প্রশিক্ষিত জনবল ছাড়া বিকশিত হবে না। এবং এই কৃষিতে বিকাশ ঘটানোর সব পরিবেশগত সুবিধা আমরা ভৌগোলিকভাবেই পাই।

ফলে কর্মসংস্থানের এত বড় একটা খাতকে শিক্ষার সঙ্গে আর ব্যাপকভাবে যুক্ত করাটা শুধু জরুরিই নয়; এটা আমাদের দেশের নিরাপত্তার স্বার্থেও আবশ্যিক কাজ। দেশের কলেজগুলোতে এই খাতগুলোকে প্রাধান্যে রেখে পাঠ্যক্রম ঠিক করা দরকার।

জাতি-দেশ গঠনের মূল জায়গা স্কুল: শিশুরা যদি হয় দুনিয়ার সেরা সম্পদ, তাহলে শিশুশিক্ষাকেই দেওয়া দরকার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব। দেশের সর্বোচ্চ বাজেট বরাদ্দ দেওয়া দরকার প্রাইমারি শিক্ষায়। স্কুলের শিক্ষকদের বেতন-সুবিধা দিতে হবে সর্বোচ্চ, যাতে তুলনামূলক সবচেয়ে মেধাবীরা স্কুলের শিক্ষক হতে আগ্রহী হয়! তাদের জন্য স্কুল প্রাঙ্গণে উন্নতমানের ও সব নাগরিক সুবিধাসম্পন্ন আধুনিক কোয়ার্টার নির্মাণ প্রয়োজন, যাতে দেশের যেকোনো প্রান্তে মেধাবীরা স্কুলশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করতে আগ্রহী হয়। সংবেদনশীল ও দায়িত্বশীল নাগরিক তৈরির শিক্ষা দেওয়াই হবে স্কুলের প্রাথমিক কাজ, তার জন্য শিক্ষকদেরও সে সব গুণাবলি থাকাটা আবশ্যক। সে জন্য শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে যাচাই করা দরকার তার সামাজিক দায়বদ্ধতা আছে কিনা, তিনি সৎ ও চরিত্রবান কিনা, তিনি মানবিক ও সংবেদনশীল কিনা। যাতে শিশুরা তাদের শিক্ষককে মডেল ভাবতে পারে। যোগ্য নাগরিক হওয়ার প্রাথমিক শিক্ষাটা প্রাথমিক বিদ্যালয়েই দেওয়া দরকার। যেমন ধরেন- ‘যত্র-তত্র থুতু ফেলতে হয় না কেন? অন্যের পার্সোনাল স্পেসে নাক গলাতে হয় না কেন? অন্যের লাইফ-বিশ্বাস-আচার-আচরণ-রুচিকে সম্মান করা প্রয়োজন কেন? টয়লেট কীভাবে ইউজ করতে হয়? রাস্তা পার হতে হয় কীভাবে? প্রাণ-প্রকৃতি-পরিবেশের সুরক্ষা কেন জরুরি? অন্যের প্রতি বিবেচনা থাকাটা কেন জরুরি... ইত্যাদি বেসিক শিক্ষাটা স্কুলেই পোক্তভাবে দেওয়া দরকার, যাতে সমাজের সাধারণ গ্রামার-প্রগতি-সিভিক সেন্স... এগুলো অনুধাবন করতে তাদের আর অসুবিধা না হয়।

পরবর্তী কাজটা হলো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ভিত নির্মাণ করে দেওয়া। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের অঙ্কভীতি-বিজ্ঞানভীতি-ইংরেজিভীতি- এগুলোর জন্ম হয় প্রাথমিক শিক্ষার সময়ই। যে ভীতিটা অবচেতনভাবে শিক্ষকরাই সৃষ্টি করেন, আবার তাদের যোগ্যতারও ঘাটতি আছে সন্দেহ নাই। ফলে আনন্দ নিয়ে, সঠিক পদ্ধতিতে বেসিক শিক্ষাটা শিশুদের দিতে পারলে ওদের ভিত হবে শক্ত, এবং ওই শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে আমাদের শিশুরা জ্ঞান-বিজ্ঞান-প্রগতির সৌধ নির্মাণ করতে পারে।

দেশ-জাতির জন্য সুদূরপ্রসারী কোনো উপকার যদি করতে হয়, তাহলে এখনই সময় এসব নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা। রাষ্ট্রের ‘উচ্চশিক্ষা দেওয়ার ভান করারও দরকার নাই, আবার নাগরিকদের ‘উচ্চশিক্ষিত’ হওয়ার ভেক ধরারও দরকার নাই। সারা দেশে প্রতিবছর হাজার হাজার দার্শনিক, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, পদার্থবিদ, ইতিহাসবিদ, সাহিত্যিক পয়দা করারও দরকার নাই। বাংলাদেশ এখন যে স্টেজে আছে, তাতে প্রয়োজন বিপুল পরিমাণ ‘কর্মসংস্থান’। সেদিকে নজর দেওয়া এখন আসল কাজ। ভবিষ্যৎ ‘স্বনির্ভর, সমুজ্জ্বল, আত্মমর্যাদাসম্পন্ন বাংলাদেশ’ গঠনে এ কাজ করা ছাড়া আগানো যাবে না।

লেখক: কেন্দ্রীয় সদস্য, গণসংহতি আন্দোলন।

 

ভোরের আকাশ/রন

মন্তব্য

Beta version