২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচন, যে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল আগের বছরের ২২ জানুয়ারি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার শপথ নেওয়ার দুদিন আগে আওয়ামী লীগ লগি-বইঠা দিয়ে পিটিয়ে মানুষ হত্যা করে। দেশের স্বার্থ বাদ দিয়ে দলীয় ক্ষমতার স্বার্থে এক গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। এই যে ‘চক্রান্ত’, তা কীভাবে স্পষ্ট হলো?
আওয়ামী লীগের তথাকথিত সেই ‘আন্দোলনের উসিলা’য় সেনাপ্রধান জেনারেল মঈন ইউ আহমেদ ‘জাতিসংঘের এক চিঠির’ কথা বলে নির্বাচন বাতিলের সুযোগ তৈরি করেন। জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন রাষ্ট্রপতি। এই জরুরি আইনে সরকার সমাজে পরিচয় পায় ‘এক-এগারো’র সরকার নামে। সেই কথিত ১-১১ সরকার তখন কী করেছে; কতটা দেশের কল্যাণে; আর নিজেদের প্রয়োজনে; এখনও জনগণের চোখের সামনে স্পষ্ট হয়ে আছে। এই ‘এক-এগারো’ সরকারের সঙ্গে শেখ হাসিনা সমঝোতা করেন। নির্বাচনে নিরস্ত্র সংখ্যাগরিষ্ঠতায় সরকার গঠন করেন তিনি।
এরপর থেকে ২০২৪ সাল ৫ আগস্ট সকাল পর্যন্ত বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম, নিপীড়ন, গণহত্যা, গুম, হামলা-মামলা, ফরমায়েশি রায়ে সাজা দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করেন শেখ হাসিনা। আর মাঝে ২০১০ সালের ১৩ নভেম্বর সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ৪০ বছরের বাসভবন থেকে এক কাপড়ে জোরপূর্বক বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বের করে আনা হয়। ব্যবহার করা হয় আদালতকে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি একতরফা ভোটারবিহীন নির্বাচনে ১৫৪ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে প্রায় কয়েক যুগের ক্ষতির মুখে ঠেলে দেওয়া হলো; যার থেকে উত্তরণের জন্য চাই নিরবচ্ছিন্ন গণমানুষের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলায় ফরমায়েশি রায়ে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। কোন কারাগার? পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের সেই পুরাতন, জংধরা, শ্যাওলাজমা বিচ্ছিন্ন এক পরিত্যক্ত কারাগার, যেখানে কয়েদি কেবল দেশনেত্রী একা। সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বেগম জিয়াকে জেলবন্দি করে ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা মঞ্চায়ন করেন ইতিহাসের সবচেয়ে প্রতারণাময় রাজনৈতিক চক্রান্ত।
এই প্রতারণায় উল্লেখযোগ্য ২০১৮ সালের ১ ও ৭ নভেম্বর গণভবনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের অনুষ্ঠিত সংলাপে সুষ্ঠু ভোটের নিশ্চয়তা দেন শেখ হাসিনা। আর সংলাপের এক মাস না যেতেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের রাতে (৩০ ডিসেম্বর) পুরো জাতি দেখলো রাতের অন্ধকারে কীভাবে মানুষের ভোটের অধিকার ডাকাতি করে নেওয়া হলো। শেখ হাসিনার এই চক্রান্তের রাজনীতি থেমে থাকলো না; পাশাপাশি চলছিল বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর ওপর অত্যাচারের নানা মাত্রিক শোষণ।
রাজধানীসহ দেশের মানুষ ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর সাক্ষী হয়ে গেলেন- কী নিখুঁত ও নির্মম পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে, মানুষ হত্যার মধ্য দিয়ে বিএনপির একটি জাতীয় মহাসমাবেশকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে বিনষ্ট করা হয়েছে। শত শত আহত, কয়েকজন শহীদ, রাতারাতি থানায়-থানায় মামলা। রাতের মধ্যে মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ গ্রেফতার। দুই দিনের মধ্যে ঢাকাসহ সারা দেশে হাজার হাজার নেতাকর্মী গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার।
ফ্যাসিজম নির্মাণের কেন্দ্রবিন্দুতে রূপান্তরিত হলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা; ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ বানচাল করার পর টার্গেট করলেন বিএনপির শীর্ষ নেতাদের; ২৪-এর ৭ জানুয়ারি নির্বাচনকে নিরঙ্কুশ করতে তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত সকল শক্তিশালী বিএনপি নেতাকে জেলে পুরে দেওয়া হলো।
আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরের অধিক সময়ে, ৫৮ লাখ নেতাকর্মীকে আসামি করে ১ লাখ ৫২ হাজার মামলা দেওয়া হয়। প্রায় ২ হাজার নেতাকর্মীকে ফরমায়েশি রায়ে মৃত্যুদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়। ‘বন্দুকযুদ্ধ’ বা ‘ক্রসফায়ারের’ নামে অন্তত ১ হাজার ৯২৬ জন বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে নিহত হওয়ার এই হিসাব বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক)-এর তথ্য থেকে নেওয়া।
দেশের এমন কোনো জেলা নেই যেখানে বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা ঘটেনি। এর মধ্যে অনেকেই রাজনৈতিক নেতাকর্মী। স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম ক্রসফায়ারের শিকার হয়েছেন সিরাজ শিকদার। ১৯৭৫ সালের জানুয়ারির ওই ঘটনার বর্ণনা তখনকার একজন পুলিশ সদস্য দিয়েছিলেন।
এরপর পরবর্তী সময়ে ‘একই গল্প’ বলে গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ২০০৪ সালে দেশে ক্রসফায়ারের বিষয়টিকে অসৎ উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে আলোচনায় আনে ‘একটি গোষ্ঠী’।
রাজনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, ক্রসফায়ারের ক্ষেত্রে শুরুতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লক্ষ্যবস্তু ছিল আলোচিত অপরাধী বা দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীরা। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও ব্যক্তিগত বিরোধ, প্রভাবশালীদের নির্দেশনা এবং প্রতিপক্ষকে দমনে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
‘ক্রসফায়ারের’ মাধ্যমে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে শায়েস্তা করার প্রবণতা শুরু হয় মূলত ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে। এসব ঘটনায় জড়িত কর্মকর্তাদের কেউ কেউ অর্থের বিনিময়ে বা অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হয়েও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলেও গণমাধ্যমে এসেছে। যার একটা বড় নজির ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনা। র্যাব-১১-এর তৎকালীন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদসহ ১১ জন র্যাব সদস্য স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেনের কাছ থেকে অর্থের বিনিময়ে এসব খুনে জড়ান। ক্রসফায়ার হত্যাকাণ্ড নিয়ে সংবাদমাধ্যমে পর্যালোচনা এসেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে যারা ক্রসফায়ারের শিকার হয়েছেন, তাদের ২৩ ধরনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। খোদ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিবেদনে তা উঠে এসেছে বলে গণমাধ্যমে প্রচারিত।
নিহতদের নামের পাশে পরিচয় হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপিসহ আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের নাম এসেছে। তবে বেশির ভাগ নামের পাশে রয়েছে ‘সন্ত্রাসী’, ‘দুষ্কৃতকারী’, ‘বন্দুকধারী’ বা ‘অস্ত্রধারী’, ‘মাদক কারবারি’, ‘জলদস্যু’, ‘বনদস্যু’, ‘ডাকাত’, ‘ছিনতাইকারী’, ‘মামলার আসামি’, ‘চরমপন্থি’ ইত্যাদি। অনেক রাজনৈতিক কর্মীকেও এসব পরিচয়ে ক্রসফায়ারে হত্যা হয় বলে অভিযোগ পারিবারিক ও রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে উত্থাপিত হয়েছে।
ক্রসফায়ারের একটি ঘটনা সারা দেশে আলোড়ন তৈরি করেছিল ২০১৮ সালে। ওই বছরের ২৬ মে রাতে কক্সবাজারের টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সড়কে মাদকবিরোধী অভিযানের নামে র্যাবের ‘ক্রসফায়ারে’ নিহত হন টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর একরামুল হক। তিনি টেকনাফ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। কিন্তু ক্রসফায়ারে নিহত ব্যক্তিদের নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর করা তালিকায় তার পরিচয় লেখা হয় ‘মাদক ব্যবসায়ী’। হত্যা করতে নেওয়ার সময় একরাম তার মেয়েকে ফোন করেছিলেন। সেই কল কাটার আগেই একরামকে গাড়ি থেকে নামিয়ে ক্রসফায়ারের নামে গুলি করে হত্যা করা হয় পুরো সময়টায় ফোন কল চালু ছিল। পরে সেই কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তাতে একরাম ও তার মেয়ের শেষ কথা, কান্না, গাড়ি থেকে নামানোর শব্দ, তারপর গুলির শব্দ মানুষকে নাড়া দিয়েছিল।
২০১৫ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ৪৫৯ জন বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগে, যা আট বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্রসফায়ার দেওয়া হয়েছে ঢাকা বিভাগে, এখানে নিহত হন ২৯১ জন। খুলনা, সেখানে নিহত হয় ২৬০ জন। রাজশাহী বিভাগে ১১৬ জন, বরিশাল বিভাগে ২৯ জন, সিলেট বিভাগে ৩৩ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৫৮ জন ও রংপুর বিভাগে ৪৭ জনকে বিচার ছাড়াই গুলি করে হত্যা করা হয়। এই সময়ে ৬৪ জেলার প্রতিটিতেই কোনো না কোনো সময়ে ‘ক্রসফায়রে’ হত্যার ঘটনা ঘটেছে। জেলা হিসেবে সবচেয়ে বেশি ক্রসফায়ারের ঘটনা কক্সবাজারে।
রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বা আলোচিত কাউকে ক্রসফায়রে দেওয়ার আগে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে অনুমোদন নেওয়া হতো। নির্বাচনের আগে-পরে ক্রসফায়ার বেশি হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ২০১৮ সালের বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা অতীতের সব ঘটনাকে ছাড়িয়ে যায়। শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে সর্বোচ্চ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে ২০১৮ সালে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ঘটনা ঘটে ২০১৯ সালে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্রসফায়ারের ২৪১টি ঘটনায় ৩০৭ জন নিহত হন।
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের টানা দেড় দশকের শাসনামলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে-পরে ক্রসফায়ার বেড়ে যায়।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বছর ১২৮ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কথিত ক্রসফায়রে নিহত হয়। যা আগের পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক মৃত্যু, এর আগে নবম জাতীয় নির্বাচনের পর ২০০৯ সালে ক্রসফায়ারে নিহত হন ১২৫ জন। মাঝের বছরগুলোতে ২০১০ সালে ৯৩ জন, ২০১১ সালে ৬২ জন, ২০১২ সালে ৫৮ জন ও ২০১৩ সালে ৪২ জন নিহত হন।
ক্রসফায়ার ছিল আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতিপক্ষকে দমন ও ভয়ের সংস্কৃতি তৈরির অন্যতম হাতিয়ার। এ জন্য নির্বাচনের আগে-পরে এ ধরনের ঘটনা বেশি ঘটেছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বক্তব্যে বলেছেন- ‘গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে ক্রসফায়ারসহ নানা উপায়ে বিচারবহির্ভূতভাবে মানুষ হত্যা করেছে। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূল ও ক্ষমতা কুক্ষিগত করা এবং নির্বাচনকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে একদলীয় বাকশাল শাসন ব্যবস্থা চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করা।’
২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্র র্যাবের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে নিষেধাজ্ঞা দিলে ক্রসফায়ার বন্ধ হয়। যদিও ২০২২ সালের ১৮ এপ্রিল জার্মান রেডিও ডয়চেভেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার চার মাস পর ১৮ এপ্রিল কুমিল্লায় ক্রসফায়রে নিহত হন রাজু নামে একজন; যিনি সাংবাদিক মহিউদ্দিন সরকার নাঈম হত্যার আসামি ছিলেন।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ফ্যাসিস্ট সরকারের ক্রমাগত নিপীড়নের মধ্যেও জীবন আর জীবিকার সংগ্রাম করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। কেবল শান্তিপূর্ণ সমাবেশে অংশ নেওয়ার আকাঙ্ক্ষায় পাড়ি দিয়েছে নদী, খাল; পুলিশের তাড়ায় কেউ হয়েছে হত। তবু লক্ষ্য ছিল অবিচল। কারাগার ও নিত্যনিয়ন্ত্রিত রাজনৈতিক জীবনের মধ্যে গণতন্ত্রের জন্য অটুট অবস্থানে দেখিয়েছেন মা, মাটি ও মানুষের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আর তাই ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী সরকারের পলায়নপর পতনের মধ্য দিয়ে তৈরি হলো বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের স্বপ্ন আর সম্ভাবনা। যে স্বপ্ন আর সম্ভাবনাকে সামনে রেখেই আট হাজার মাইল দূর থেকে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একনিষ্ঠ লক্ষ্য স্থির রেখে গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারের আন্দোলন সংগ্রামের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং দিয়েছেন। রাজপথে সরাসরি সক্রিয় থেকেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ৮৪ মামলার আসামি হয়ে চারশ দিনের বেশি সময় কারাগার ভোগ করেন। ৮ বারের বেশি গ্রেফতার হয়েছেন বিএনপি মহাসচিব। রাজনৈতিক শীর্ষ নেতাদের এসব ত্যাগ ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে সৃষ্ট আস্থার মধ্য দিয়েই ‘১-দফা’ যুগপৎ আন্দোলনে রূপলাভ করে। যা ছাত্র গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এবার ‘৩১-দফা’ রাষ্ট্র সংস্কার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বিএনপি। নাগরিকরা বিশ্বাস করেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী নির্বাচনে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে এই রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করবেন।
লেখক: রাজনৈতিক বিশ্লেষক, সদস্য- বিএনপি মিডিয়া সেল ও বিএনপি চেয়ারপারসন প্রেস উইং
ভোরের আকাশ/রন
মন্তব্য