অর্থ পাচার একটি রোগ বলেই মনে হয়। এ রোগে শুধু আমাদের দেশের মানুষ নয়, বিশ্বের আরও অনেক দেশের মানুষ ভোগেন। তবে আমাদের দেশের নব্য ধনীদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি। যদিও এর নানাবিধ কারণ রয়েছে। কারণ তাদের আয়ের পথ স্বচ্ছ নয়। আবার কর ফাঁকিসহ নানা ধরনের ঘটনা রয়েছে এর পেছনে। কিন্তু যা-ই হোক, আপনার অর্থ আপনার দেশেই রাখুন। অর্থ পাচার করে অন্য দেশকে সমৃদ্ধ না করে নিজের দেশকে সমৃদ্ধ করুন। এতে আপনি, আপনার দেশ ও দেশের মানুষ উপকৃত হবেন।
ইদানীং অর্থ পাচারকারীদের অন্যতম গন্তব্য হলো সংযুক্ত আরব আমিরাত। সুইস ব্যাংক জানিয়েছে, আমিরাত, সুইজারল্যান্ড, সিঙ্গাপুর এবং যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে সেই শীর্ষ গন্তব্য যেখানে বিলিয়নিয়াররা, বিশেষ করে কোভিড-১৯ মহামারির সময়, বেশি বাসস্থান গড়ে তুলেছিলেন। ব্যাংকটি তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে জানায়, বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারি অনেকের জন্য একটি সতর্কবার্তা হয়ে এসেছিল এবং তাদের জীবন নিয়ে নতুনভাবে চিন্তা করতে বাধ্য করেছিল। কোটিপতিরাও এর ব্যতিক্রম ছিলেন না।
তাদের ঘরবাড়ি, পরিবার এবং ব্যবসা বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকার কারণে তারা সবসময়ই স্থান পরিবর্তন করে থাকেন। কিন্তু ২০২০ সাল থেকে তাদের স্থানান্তরের হার বেড়ে যায়। ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত মোট ২,৬৮২ কোটিপতির মধ্যে ১৭৬ জন স্থান পরিবর্তন করেছেন; যা প্রতি ১৫ জনে একজন। তারা সুইজারল্যান্ড, আমিরাত, সিঙ্গাপুর এবং যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে নতুন নিবাস গড়ে তোলেন। গত চার বছরে যেসব কোটিপতি (যাদের মোট সম্পদের পরিমাণ ৪০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি) স্থানান্তরিত হয়েছেন, তাদেরকে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করেছে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা অঞ্চল।
ভোরের আকাশ/রন
মন্তব্য