সার্বভৌম শাসন ও জাতীয় স্বার্থকে গুরুত্ব দিতে হবে

মনজুরুল আলম মুকুল
সার্বভৌম শাসন ও জাতীয় স্বার্থকে গুরুত্ব দিতে হবে

বিষয়টি আমরা প্রায় অনেকেই জানি, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভূকৌশলগত স্থানে অবস্থিত। স্থলপথে এশিয়ার পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে বা পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে যেতে বাংলাদেশই হলো সহজতম পথ। বঙ্গোপসাগর অনেক প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ। অনেকের কাছে বঙ্গোপসাগরে প্রবেশাধিকারের জন্য বাংলাদেশ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এখানে কারোর অবস্থান থাকলে ভারত মহাসাগর এলাকায়ও প্রভাব রাখতে পারে। বাংলাদেশ নিয়ে বিশ্বের প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলো ছাড়াও আশপাশের অনেক রাষ্ট্রের আলাদা আলাদা স্বার্থ রয়েছে। যে কারণে বাংলাদেশের যেকোনো ব্যাপারে তারা আগ্রহী ও কোনো না কোনো ভূমিকা রাখে।

ভৌগোলিক দৃশ্যপট ও অন্যান্য বিবেচনায় এই ভূখণ্ডের সমস্যা নতুন কোনো বিষয় নয়, অনেক পূর্বের। অতি প্রাচীনকাল থেকে বাংলা সীমান্ত এলাকা হিসেবে পরিচিত। গবেষকদের মতে, যত গোলমাল, সমস্যা ও নিরাপত্তাহীনতা সীমান্তে বা বর্ডারে। সীমান্তবর্তী সমাজে সামাজিক-রাজনৈতিক বিষয়সমূহ সব সময় একটি মারাত্মক সমস্যা হিসেবে থাকে এবং বাংলা কোনো সময় বিষয়টি থেকে বের হতে পারেনি।

উত্তর ও পূর্বে পর্বতমালা ও দক্ষিণে সাগরে ঘেরা অতি প্রাচীনকাল থেকে বাংলা ছিল বিভিন্ন শাসকদের শেষ সীমান্ত। বাংলা যেমন আর্যদের শেষ গন্তব্য তেমনি আফগান-তুর্কি-মোঙ্গলসহ মুসলিম শাসকদেরও শেষ গন্তব্য। গবেষকরা সীমান্তকে বিরোধ অর্থেও বিবেচনা করেন। বাস্তব ক্ষেত্রে বাংলায় অনেক সীমান্ত ও বিরোধ বিদ্যমান ছিল এবং সাধারণভাবে সবকিছু পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ধাবিত হয়ে ছিল। ভৌগোলিক ও রাজনৈতিক বিরোধ ছাড়াও ছিল সাংস্কৃতিক বিরোধ। আর্যদের সঙ্গে স্থানীয় বা অনার্যদের সঙ্গে। তারপর আবার বৌদ্ধবাদ ও ইসলামী সংস্কৃতি। এটা একটা কৃষিজও সীমান্ত। বেশির ভাগ যেমন সমতল ও সমপ্রকৃতির ভূমি ও কৃষি, তবে পূর্ব দিকে ধীরে ধীরে আলাদা।

বাংলা শেষ সীমান্ত হওয়ায় মোঘলদের বিশেষ নজর ও নানা কর্মকাণ্ডের কারণে বাংলায় ইসলাম ও হিন্দু ধর্মের প্রসারসহ সমাজে নানা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। সীমান্তে অনেক অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটতে পারে, তার উদহারণ হতে পারে ১৯৪৩-৪৪ সালে বাংলার ভয়াভহ দুর্ভিক্ষ। যেটা ‘পঞ্চাশের আকাল’ নামে পরিচিত। ইতিহাসবিদদের ধারণা, সেই দুর্ভিক্ষে মৃত্যুর সংখ্যা বিশ লাখের বেশি, কারও কারও মতে পঞ্চাশ ছাড়িয়েছিল। এই দুর্ভিক্ষের মূল ও প্রধান কারণ ছিল ইংরেজদের অদ্ভুত নীতি। বাজারে কোথাও চাল ছিল না। সেই সময় ফসলহানি হলেও বাজার থেকে একেবারে চাল উঠে যাওয়ার কথা ছিল না। ইংরেজরা বাজার থেকে সব চাল উঠিয়ে নেয় এই উদ্দেশ্যে যে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানি সৈন্যরা বার্মা দিয়ে বাংলায় প্রবেশ করার পর তারা যেন কোনো খাবার না পায়। এমনকি, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য সে সময়ের অন্যতম মাধ্যম সবধরনের নৌকা জব্দ ও নষ্ট করে দেওয়া হয়। যে কারণে যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় বাজারে চাল সরবরাহের সুযোগও বন্ধ হয়ে যায়।

এ দেশে ঘটনার পর ঘটনা নতুন কিছু নয়, যে কারণে হয়ত সুদূর অতীতকাল থেকে এই প্রবাদ বাক্যটি প্রচলিত ‘বাংলা হল বালঘাকখানা’ অর্থাৎ গোলযোগের আবাসভূমি। আর এই জন্য শুধু বহিরাগত বা বিদেশিরা দায়ী এমনটা নয়, বাঙালির নেতিবাচক বৈশিষ্ট্যগুলোও কোনো অংশে কম দায়ী নয়। বাংলা ও বাঙালির রাজনৈতিক চরিত্র নিয়ে অনেকে অনেক তত্ত্ব, দৃষ্টিভঙ্গি ও ধারণা দিয়েছেন মন্তব্য করেছেন। তবে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন দৃষ্টিভঙ্গি, তত্ত্ব, কাঠামোবদ্ধ বা দার্শনিক ধারণা যা-ই বলুন, সেটা প্রথমে এসেছিল ১৫৭৯ সালে মোঘল সম্রাট আকবরের প্রধান উপদেষ্টা আবুল ফজল আল্লামির নিকট থেকে। প্রায় ৫০০ বছর আগে আবুল ফজলের অবাক করা কথাগুলো ঘিরেই যেন আজও বাংলার রাজনীতি পরিচালিত হয়।

বিচক্ষণ আবুল ফজল আগে তথ্য-প্রমাণসংগ্রহ করতেন এবং সবকিছুই একজন ভালো পর্যবেক্ষকের মতো যৌক্তিক চোখে দেখতেন। জানা যায়, মোঘল সাম্রাজের ১২টি প্রদেশের অন্যতম বাংলায় না এসে বাংলার অনেক তথ্য-প্রমাণ ও ইতিহাস সংগ্রহ করেন এবং তা থেকে এ সিদ্ধান্ত ও ব্যাখ্যায় তিনি উপনীত হন। আবুল ফজল আল্লামা লিখেছিলেন, ‘বাংলা নামের দেশটি এমন একটি অঞ্চল, যেখানে আবহাওয়ার কারণে অসন্তোষের ধুলা সবসময় উড়তেই থাকে। মানুষের শয়তানিতে এখানকার পরিবার ও জনপদগুলো ধ্বংস হয়ে যায়।’

আবুল ফজলের মতে, স্নায়ু বিকলকারী আবহাওয়া মানুষকে কলুষিত করে ও কলুষিত মানুষ সার্বভৌম শাসনকে ধ্বংস করে। যে কারণে বহিরাগতদের ব-দ্বীপকে শক্তিশালী হওয়ার পথ সুগম করে। বাংলায় এমন পরিবেশ বিদ্যমান থাকে যেখানে কেউ গেলে বা যারা বসবাস করে, স্বাভাবিকভাবে সবাই সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে ভূমিকা পালনের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। স্থানীয়দের (বাঙালি) মধ্যে সহজে বিভেদ সৃষ্টি হয়। নিজেদের স্বার্থের বিষয়টি সবার কাছে প্রধান থাকে। ব্যক্তিস্বার্থের কারণে সার্বভৌম শাসন ও সবার জন্য মঙ্গলকর (জাতীয় স্বার্থ) বিষয়সমূহ ধ্বংস করা তাদের কাছে কোনো ব্যাপার নয়। এ কারণে তিনি লিখেছিলেন ‘এদের স্বার্থ দেখিয়ে বিভেদ সৃষ্টি কর আর সুবিধা নাও।’ আবুল ফজল সামাজিক ও রাজনৈতিক অভিনব তত্ত্বটি শুধু দিয়েই যাননি, মোঘলরা অক্ষরে অক্ষরে তার বাস্তবায়ন করে এবং সফলতা পায়। বিষয়টি লক্ষণীয় যে, মোঘলদের বাংলা বিজয় ও নিয়ন্ত্রণের পেছনে শুধু তরবারি, বারুদ, কামান বা সামরিক শক্তিই প্রধান ছিল না। স্থানীয় ও শত্রুদের মধ্যে বিভেদের বীজবপন, ঘুষ ও সুযোগ-সুবিধা প্রদান, কূটনীতি, ভয়ভীতি দেখানো ও মুলা ঝুলানো কৌশলের দিকে বেশি নজর ছিল।

বাংলার মানুষের অধঃপতনের এই অভিনব তত্ত্বটি ব্রিটিশ, ডাচ, পর্তুগিজ, ফরাসি সবাই জানত। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ও পরবর্তী সময়ে ব্রিটিশ উপনিবেশিক কর্মকর্তারা এই তত্ত্বটি জোরালোভাবে গ্রহণ করেছিল। রবার্ট ক্লাইভ জেনেশুনে বা তত্ত্বটি ভালোভাবে রপ্ত করে চক্রান্তের জাল বিস্তার করেছিল। পরিবেশ সবই বিদ্যমান ছিল, তিনি শুধু খেলাটা চালিয়ে গিয়েছিলেন। ক্লাইভ এ ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে, চক্রান্তের ফল নিশ্চিত। ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন, পলাশী যুদ্ধে রবার্ট ক্লাইভের মাত্র ৩২০০ সৈন্যের কাছে বাংলার শেষ নবাব সিরাজ-উ-দ্দৌলার ৫০ হাজারের চৌকস বাহিনীর অভাবনীয় পরাজয় ঘটে। বিজয়ের পর রবার্ট ক্লাইভ ও তার বাহিনী যেদিন রাজধানী মুর্শিদাবাদে এসেছিলেন, সেদিন রাজধানীতে যত মানুষ জড়ো হয়েছিল, তারা যদি ঢিলও ছুঁড়ত; এমনকি শোরগোল বা চিল্লাচিল্লি করত, তাহলে ইংরেজরা পরাজিত হয়ে যেত। পলাশী যুদ্ধের আগে ও পরে আরও অনেক সুযোগ এসেছিল। কিন্তু ব্যক্তি স্বার্থ আর একে অপরের প্রতি অবিশ্বাসের ফলে নিজেরাই নিজেদের ধ্বংস ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট ছিল না। আর ইংরেজরা প্রায় দুশো বছর এর সফল বাস্তবায়ন করে গেছে। এই ধারা পাকিস্তান আমলেও অব্যাহত থাকে।

আশা করা হয়েছিল, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর এদেশের মানুষ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। কিন্তু সেই চরিত্র বদলানোর পরিবর্তে আরও চরম আকারে চর্চা শুরু হয়। আমাদের এই চারিত্রিক অধঃপতনের কারণে স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও দেশে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক চর্চা ও ক্ষমতা পরিবর্তনের সুষ্ঠু কোনো নিয়মের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ এখানো দেওয়া সম্ভব হয়নি।

এরশাদ সরকারের পতনের পর ধারণা করা হয়েছিল, এদেশে সুস্থ গণতান্ত্রিক চর্চার আর কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকবে না। ১৯৯১, ১৯৯৬ (১২ জুন), ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচন মোটামুটি ভালোই হয়েছিল এবং শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হয়েছিল। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া পরপর তিনটি নির্বাচন (২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪) নিয়ে অনেক বিতর্ক ও প্রশ্ন ছিল। নির্বাচনগুলো ছিল মূলত রাজনৈতিক কৌশলে ক্ষমতায় থাকার কৌশল। স্থানীয় সরকারসহ সব নির্বাচন চলে গিয়ে ছিল পেশিশক্তি আর সিন্ডিকেটের দখলে।

এদেশের মানুষ কতটা ভোট পাগল তা গ্রাম-গঞ্জে গেলে বোঝা যায়। ভোটে তারা মেতে উঠে কিন্তু তাদেরকে খুব কমই মূল্যায়ন করা হয়। এদেশে ভোট আসে বিভিন্ন রূপে। ভোটার থাকতে বিনা ভোটে নির্বাচিত হওয়া, পাতানো নির্বাচন, রাতের ভোট, ভোট ডাকাতি, ভোট ম্যাকানিজম, বিভিন্ন বাহিনীর অত্যাচার ও জালিয়াতির ঘটনা বারবার গণতন্ত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক চর্চা ও ক্ষমতা পরিবর্তনের ধারার ভবিষ্যৎ কী এবিষয়ে এদেশের কোনো মানুষ নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারে না। এই ভাবে চলতে থাকলে, বিপ্লব-প্রতিবিপ্লব-সহিংসতা-অসন্তোষ-অরাজকতা-অস্থিতিশীলতা বারবার ঘটতে পারে। একসময় বাংলাদেশ ধীরে ধীরে একটি সংঘাতময় ও অকার্যকর রাষ্ট্রের দিকে চলে যাবে। সেক্ষেত্রে বহিরাগত বা বিদেশিরা আরও তৎপর হয়ে উঠতে পারে।

বাংলাদেশ নিয়ে বিদেশিদের কলকাঠি নড়ানো ও মাথা ঘামানো যেন স্বাভাবিক বিষয়। একে অপরকে শায়েস্তা করার জন্য, ক্ষমতায় যাওয়া ও ক্ষমতা থেকে কাউকে সরানোর জন্য বিদেশিদের সঙ্গে হাত মেলানো যেন স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক্ষেত্রে ভুলে যাওয়া হয় জাতীয় স্বার্থ। বাংলাদেশের ক্ষমতা বদলের হাত যেন এদেশের মানুষের হাতে নেই, সবাই চেয়ে থেকে বিদেশিদের ওপর। বিদেশ থেকে একটা ফর্মুলা বা সিস্টেম আসে আর তারপর সেই মোড়কে আটকানো হয় এদেশের জনগণকে।

তাছাড়াও লক্ষণীয়, কিছু মানুষের মধ্যে এক ধরনের উন্মাদনা কাজ করছে, কীভাবে দ্রুত সময়ে অঢেল ধনসম্পদ ও টাকা-পয়সার মালিক হওয়া যায়। সবচেয়ে দুঃখজনক ঘটনা, তারা টাকা এদেশ থেকে পাচার করে বিদেশে নিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ যেন সম্পদ হারানোর একটা চক্র বা সিস্টেমে পড়ে গেছে। বিষয়টি এমন, ইংরেজরা এক সময় জাহাজ ভর্তি করে এদেশ থেকে ধনসম্পদ নিয়ে গেছে। পরবর্তী সময়ে পাকিস্তানিরাও। আর এখন আমরা নিজেরাই বহন করে বিভিন্ন দেশে দিয়ে আসছি, যাকে বলা হয় 'Self colonization' অর্থাৎ নিজেরাই দাসে পরিণত হওয়া। বিষয়টি যেন এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে খাঁচার পাখিকে মুক্ত করা হলেও পাখি খাঁচার আশপাশেই থাকে।

মতপার্থক্য ও শত্রুতা থাকতে পারে, তারপরও একই সংসার এই ভেবে নিজেদের সমস্যা নিজেরাই সমাধানের পরিবেশ করাটা বেশি জরুরি। বিদেশিদের হস্তক্ষেপ, পরামর্শে ও মধ্যস্থতায় কিছু হলে তাদের স্বার্থটাই গুরুত্ব পাবে, আমাদেরটা নয়। প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলোর নিজেদের স্বার্থ আছে বলেই আমাদের পাশে এসে কেউ রোহিঙ্গার মত বড় সমস্যার সমাধানে সাহায্য করল না, এসব বিষয়গুলো আমাদের উপলব্ধি করতে হবে।

আমাদের নেতিবাচক বৈশিষ্ট্যগুলো বদলানোর পথ যে একেবারে বন্ধ, এমনটাও নয়। প্রয়োজন শুধু সদিচ্ছার, ব্যক্তি স্বার্থের পরিবর্তে সার্বভৌম শাসন, সবার জন্য মঙ্গলকর ও জাতীয় স্বার্থকে প্রধান্য দেওয়া। ১৯৭১ সালে এদেশের মানুষ জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। নয় মাসের রক্ত ঝরানো যুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের মাধ্যমে পৃথিবীর মানচিত্রে আমরা পেয়েছি নিজের ঠিকানা, একটি স্বাধীন ভূখণ্ড ‘বাংলাদেশ’। স্বাধীনতার সুফল পাওয়ার জন্য ২০২৪ সালে আবার রক্ত ঝরল। আমাদের সব সময় মনে রাখা দরকার, আমাদের পরাধীনতা বা অন্যের দ্বারা শোষিত হওয়ার ইতিহাস অনেক দীর্ঘ। এ দেশের মানুষ আসলে কী জন্য বা উদ্দেশে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিল সেই মর্মার্থ উপলব্ধি করা এখন সময়ের দাবি।

লেখক : সংবাদকর্মী

 

ভোরের আকাশ/রন

মন্তব্য