আজকের লেখাটা একটু ভিন্নভাবে শুরু করতে চাই। আমরা সবাই কমবেশি পাল ও ঋষি সম্প্রদায়ের সঙ্গে পরিচিত। অনেকেরই সুযোগ হয়েছে এই দুই শিল্পী সম্প্রদায়ের গ্রাম ঘুরে দেখার। পালপাড়ায় গেলে দেখা যায়, বড়দের সঙ্গে বাড়ির ছোট্ট শিশুরাও কাজ করছে। নিপূণ হাতে তারা তৈরি করছে মাটির নানা ধরনের জিনিসপত্র। সেখানকার নারীরাও সমানতালে জিনিসপত্র বানায়। প্রত্যেকেই একজন দক্ষ মৃৎশিল্পী। মজার ব্যাপার হলো এই লোকগুলোর কেউই এই জিনিসপত্র বানানো ঘটা করে শেখেনি। বংশপরম্পরায় তারা খেলার ছলে দেখে দেখে এটা শিখেছেন। বড়দের দেখাদেখি ছোটরা সেটা আপন-আপনি শিখে ফেলেছে। এবার আসি ঋষিদের কথায়। তাদের গ্রামে গেলে দেখা যাবে বাঁশ ও বেত দিয়ে এই সম্প্রদায়ের লোকজন নানা ধরনের পণ্য (ধামা, ডুলি, চালুনি, কুলা ইত্যাদি) তৈরি করে। পুরুষদের সঙ্গে নারী ও শিশুরা এ কাজ করে থাকে সুদক্ষভাবে। তারাও আনুষ্ঠানিকভাবে এই কাজ কোথাও শেখেনি। বংশপরম্পরায় তারা বড়দের দেখাদেখি এটা শিখে ফেলেছে। এ ক্ষেত্রে মেধার চেয়ে কারিগরি ব্যাপারটাই আসল।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে - এই গল্প দিয়ে আসলে আমি কী বোঝাতে চেয়েছি। তাহলে বিষয়টি খোলাসা করে বলি। আমি বলতে চেয়েছি, বিশ্বের সব দেশেই রেলওয়ে একটি স্বতন্ত্র বিভাগ। বাংলাদেশেও তা-ই। এটা কারিগরি নির্ভর একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। এখানে মেধার চেয়ে কারিগরি জ্ঞান বেশি প্রয়োজন। এই কারিগরি জ্ঞানে এগিয়ে রয়েছেন রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানরা। কারণ তারা জন্মের পর থেকেই তাদের বাবাকে এই কাজ করতে দেখেছেন। তারা দেখে দেখে এই কাজ শিখে ফেলেছেন। যেমনটা পাল ও ঋষি সম্প্রদায়ের শিশুরা শিখে থাকে। তাই রেলওয়েতে নিয়োগের ক্ষেত্রে অবশ্যই পোষ্যদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। আর এটা করতে হবে রেলকে এগিয়ে নিতে।
উদাহরণ হিসেবে যদি বলি - রেলওয়ের ওয়েম্যান, খালাসি, পয়েন্টসম্যান, পোটার, গেট কিপার, পরিচ্ছন্নতা কর্মী, রং পেইন্টার, কর্মকার এর কথা। ট্রেনের বগি ও ইঞ্জিনের মেরামত রেলওয়ে কারখানায় রক্ষণাবেক্ষণ কাজ, রেলের পাতে দেওয়া পাথর ঠিক করার কাজ করে থাকে এই পদের লোকজন। এখানে মেধার দরকার কতটুকু? এজন্য প্রয়োজন শক্তি-সামর্থবান মানুষ।
এটা হলো রেলের চতুর্থ শ্রেণির একটা পদ। এই পদে লোক নিয়োগের দায়িত্বও এখন পালন করছে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)। এই কমিশন সাধারণত পরীক্ষার মাধ্যমে মেধাবীদের নিয়োগ দিয়ে থাকে। কিন্তু রেলের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে কোনো ধরনের মেধাবী নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে? অনেকে পদের নামে আকর্ষিত হয়ে আবেদন করছেন। চাকরির পর কাজে গিয়ে হোঁচট খাচ্ছেন! ফলে অনেকে কাজে যোগ দিচ্ছেন না। আবার অনেকে চাকরি ছেড়ে পালাচ্ছেন। পিএসসি এই নিয়োগের দায়িত্ব পাওয়ার পর তাদের কিছু লোকের কপাল খুলে গেছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন কয়েকজন। গত ৫ জুলাই রেলওয়ে বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় পিএসসির ছয় কর্মকর্তাসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। ৮ জুলাই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন - পিএসসির উপ-পরিচালক আবু জাফর, উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক আলমগীর কবির, অডিটর প্রিয়নাথ রায়, ডেসপাস রাইডার খলিলুর রহমান, অফিস সহায়ক সাজেদুল ইসলাম ও অবসরপ্রাপ্ত ড্রাইভার সৈয়দ আবেদ আলী। আটকদের মধ্যে আরও রয়েছেন নারায়ণগঞ্জের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী শাহাদাত হোসেন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজের মেডিকেল টেকনিশিয়ান নিয়ামুন হাসান, নোমান সিদ্দিকী, আবু সোলায়মান মো. সোহেল, জাহিদুল ইসলাম, মামুনুর রশীদ, সাখাওয়াত হোসেন, সায়েম হোসেন, লিটন সরকার ও সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম। সংশ্লিষ্টরা জানান, পিএসসির অধীনে অনুষ্ঠিত রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস করে চক্রটি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এই চক্রের সদস্যরা জানিয়েছেন, তারা ৩৩তম বিসিএস থেকে সর্বশেষ ৪৫তম বিসিএস পরীক্ষাসহ নন-ক্যাডার নিয়োগের একাধিক পরীক্ষায়ও তারা প্রশ্ন ফাঁস করেছে। এই চক্রের এক সদস্য অফিস সহকারী সাজেদুল ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি উপ-পরিচালক জাফরকে দুই কোটি টাকা দিয়ে রেলওয়ের প্রশ্ন কিনেছিলেন। পরে তিনি এই প্রশ্ন চাকরিপ্রার্থীদের কাছে বিক্রি করেন। সিআইডির একজন কর্মকর্তা জানান, পিএসসির অধীনে চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হতে পারে - এটা তারা কল্পনাও করেননি। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদে চক্রের একাধিক সদস্য নির্দিধায় সব স্বীকার করেছেন। প্রশ্ন ফাঁস করে আয়কৃত অর্থ দিয়ে তারা বিপুল সম্পদ গড়ে তুলেছেন। এ ঘটনায় ৯ জুলাই পল্টন থানায় বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন আইনে মামলা করে সিআইডি। ওই মামলায় ১০ জুলাই আদালতে সাতজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তাদের মধ্যে চারজনই পিএসসির সাবেক ও বর্তমান কর্মচারী। তারা হলেন - সৈয়দ আবেদ আলী, মোজাহিদুল ইসলাম, খলিলুর রহমান ও সাজেদুল ইসলাম।
মোজাহিদুল জবানবন্দিতে বলেন, তিনি ২০ বছর ধরে পিএসসিতে চাকরি করেন। গত ৫ জুলাই পিএসসির মেম্বার সৈয়দ গোলাম ফারুকের চেম্বারের ট্রাংক থেকে রেলওয়ের নিয়োগ পরীক্ষার চার সেট প্রশ্নপত্র চুরি করেন তিনি। সেগুলো চুক্তি অনুযায়ী ৯৮ জন ব্যক্তিকে বিভিন্নজনের মাধ্যমে দেন। চাকরিপ্রার্থীদের ঢাকার বিভিন্ন এলাকার ভাড়া বাসায় রেখে তা মুখস্থ করানো হয়। এই বাবদ খলিল তাকে ৩৫ লাখ টাকা দিয়েছিলেন।
পিএসসির আলোচিত গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীর জবানবন্দিতেও প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা উঠে এসেছে। তিনি বলেন, রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী নিয়োগ পরীক্ষায় তিনি ৪৪ জনের কাছ থেকে ১০ লাখ করে টাকা নেন। পরীক্ষার দুদিন আগে ডেসপাস রাইডার সাজেদুল ইসলামের কাছ থেকে রমনা পার্কের গেট থেকে তিনি প্রশ্নপত্র নেন। প্রশ্নপত্রের জন্য সাজিদুলকে তিনি ৭৫ লাখ টাকা দেন। পরীক্ষার্থীদের সাভারের একটি রিসোর্টে রেখে সেগুলো মুখস্থ করান। খলিলুর ও সাজেদুলের জবানবন্দিতেও প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি উঠে আসে। (সূত্র বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা ও নিউজ পোর্টাল)।
প্রশ্নফাঁসের এই ঘটনায় প্রমাণ হয় আসলে কোনো ধরনের মেধাবীদের পিএসসি রেলে নিয়োগ দিয়ে আসছে। সুতরাং এই পিএসসি-কে রেলের নিয়োগের দায়িত্ব থেকে সরে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। রেলের নিয়োগে আগেও দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। তবে পিএসসি এই দায়িত্বে আসায় সেটা বেড়েছে বলে মনে হয়। যদিও প্রশ্নফাঁসে সংস্থাটি প্রমাণ পায়নি বলে পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে।
নিয়োগ বিধিমালায় পদ, পদের যোগ্যতা, পদের শ্রেণি বিবরণ, নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ, নিয়োগ কমিটি, নবনিয়োগ ও পদোন্নতির প্রক্রিয়া, নবনিয়োগ ও পদোন্নতির যোগ্যতা, পরীক্ষার পদ্ধতিসহ প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকে। বাংলাদেশ রেলওয়ে একটি বিশেষায়িত কারিগরি প্রতিষ্ঠান। স্বাভাবিক কারণেই পিএসসির পরামর্শে সরকারের অন্যান্য সরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রেলওয়ে কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়ন এবং অনুমোদন করা হলে তা হবে কর্মচারীদের অধিকার ও বাংলাদেশ রেলওয়ে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র। নিয়োগ বিধিমালা-২০২০ রেলওয়ে পোষ্য এবং শ্রমিক-কর্মচারীরাভাবে মেনে না নিয়ে রেলওয়ের সকল ট্রেড ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটি আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তোলার ফলে ২০২১ সালের ২৭ ডিসেম্বর রেলওয়ের মহাপরিচালককে আহ্বায়ক করে ১৮ সদস্য বিশিষ্ট নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ হালনাগাদ/সংশোধন করণের জন্য কমিটি গঠিত হয়। কিন্তু গত ৩ বছরেও কমিটি নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন না করেই গায়েবী বিধিমালায় সম্পূর্ণ অবৈধভাবে জনবল নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এর মাধ্যমে রেলওয়ে পোষ্যদের অধিকার বঞ্চিত করা হচ্ছে। গত ৩ বছরে মো. শামসুজ্জামান, ডিএন মজুমদার, মো. কামরুল আহসান ৩ জন মহাপরিচালকের মেয়াদে নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন আলোর মুখ দেখেনি। সদ্য বিদায়ী রেলওয়ে মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করেও অদৃশ্য কারণে অনুমোদন করাতে পারেননি। এভাবেই ৪ জন মহাপরিচালক পরিবর্তন হলেও হয়তো প্রভাবশালী দুর্নীতিবাজ চক্রের প্রভাবে নিয়োগ বিধিমালা অনুমোদন হচ্ছে না। অন্যদিকে নিয়োগ বিধিমালা হালনাগাদ/ সংশোধন কমিটি কর্তৃক রেলওয়ে শ্রমিক-কর্মচারীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী সংশোধন হচ্ছে কি-না এবং কোন কোন বিষয়ে সংশোধন করে অনুমোদনের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠিয়েছেন সেই সম্পর্কে রেলওয়ের সকল ট্রেড ইউনিয়ন এবং রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটি অন্ধকারে রয়েছে।
নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ সংশোধন প্রক্রিয়া ঝুলিয়ে রেখে একের পর এক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করে রেলওয়েতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬ হাজার জনবল নিয়োগ করা হয়েছে। স্বৈরাচারীতা ত্রুটিপূর্ণ নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ সরকারের অন্যান্য সরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রণয়ন হয়েছিল। ত্রুটিপূর্ণ নিয়োগ বিধিমালায় জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মেধাবী তকমা দিয়ে অযোগ্য জনবল নিয়োগ করার কারণে ইতিমধ্যে প্রায় ৬০% জনবল চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন।
রেলওয়ে একটি বিশেষায়িত কারিগরি পরিবহন সংস্থা রেলওয়ের দৈনন্দিন মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ ও অপারেশন, সিগন্যাল ব্যবস্থা ও রেলপথ সচল রাখা, কোচের মেকানিক্যাল ও বৈদ্যুতিক মেরামত কাজ, ট্রেন পরিচালনা অপারেশন বিভাগসহ সকল বিভাগের কারিগরি দক্ষতাসম্পন্ন জনবল প্রয়োজন। বর্তমানে রেলওয়েতে দক্ষ জনবলের অভাবে রেলওয়ে সুষ্ঠু পরিচালনা কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ এর মাধ্যমে চাকরি পাওয়ার পূর্বেই অর্ধেক প্রশিক্ষিত রেলওয়ে শ্রমিক-কর্মচারীর সন্তানদের সুকৌশলে তাদের চাকরি পাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। নিয়োগ বিধিমালা-২০২০ই তার জন্য দায়ী। আবারও নতুন করে প্রায় ৩ হাজার জনবল নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। ত্রুটিপূর্ণ নিয়োগ বিধিমালা-২০২০ সংশোধন না করে অবৈধ জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়াকে বৈধতা দিতে প্রতিটি বিজ্ঞপ্তিতে ‘নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান বিধি-বিধান ও কোটা পদ্ধতি এবং পরবর্তীতে এ সংক্রান্ত বিধি-বিধানে কোন সংশোধন হলে তা অনুসরণযোগ্য হবে’ বলে একটি শর্ত যুক্ত করেছে। এই শর্তটি আসলে একটি শুভঙ্করের ফাঁকি। কর্তৃপক্ষের শর্ত অনুযায়ী রেলওয়ে কর্মচারীর পোষ্যদের সংজ্ঞা সংশোধন করে চাকরিতে আবেদনের ক্ষেত্রে ২০ বছরের স্থানে যদি পূর্বের ন্যায় ১৫ বছর অথবা ১০ বছর করা হয় এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করা হয়; তাহলে কি বর্তমানে যারা চাকরিতে আবেদনের সুযোগ পাচ্ছেন না বাংলাদেশ রেলওয়ে কি তখন তাদেরকে আবেদনের সুযোগ করে দিবে? বাস্তবতা হলো সেটি সম্ভব নয়। ৩ বছরে নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন না করে যে জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে এটি মূলত অসাধু কর্মকর্তাদের নিয়োগ বাণিজ্যের অংশ।
নিয়োগ বিধিমালা দীর্ঘদিনেও সংশোধন না করে জনবল নিয়োগ কার্যক্রম চলমান রাখলে বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটি গত মার্চ মাসে হাইকোর্টে রিট করে। তখন হাইকোর্ট রুল জারি করেন। রুল জারির পরে নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন কমিটি কর্তৃক হালনাগাদ/সংশোধন করে তা অনুমোদনে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রেরণ করেছে। কিন্তু এই অনুমোদন আর মিটিং কতদিন চলবে? নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন না করে জনবল নিয়োগ কার্যত্রুম কতদিন চলবে? অন্যদিকে রেলওয়ের জনবল নিয়োগে রেলওয়ে নিয়োগ ব্যুরো বাতিল পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল মহাব্যবস্থাপক কর্তৃক ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগের ক্ষমতা প্রত্যাহার করে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি), জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রনালয়কে নিয়োগ কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের নিজস্ব নিয়োগ কার্যত্রুম পদ্ধতি পিএসসির চাইতে অনেক স্বচ্ছ।
পরিশেষে রেলওয়ে কর্মচারীবান্ধব নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়ন ও প্রতিটি রেল কর্মচারীর পরিবার থেকে কমপক্ষে একজন পোষ্য’র চাকুরি নিশ্চিতকরণ এবং নিয়োগবিধি ১৯৮৫ অনুযায়ী জারিকৃত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির পরীক্ষা গ্রহণ ও নিয়োগ সম্পন্ন এবং পোষ্যদের অধিকার নিশ্চিতকরণে নিয়োগ কার্যক্রমে বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটিকে পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে অন্তভুর্ক্ত করার দাবি জানাচ্ছি।
লেখক : সভাপতি, বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটি।
ভোরের আকাশ/রন
মন্তব্য