-->

শিল্পকলা মানুষকে পরস্পরের কাছে নিয়ে আসে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
শিল্পকলা মানুষকে পরস্পরের কাছে নিয়ে আসে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
শনিবার রাজধানীর গ্যালারি চিত্রকে আন্তর্জাতিক মিনিয়েচার পেইন্টিং প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ কে আবদুল মোমেন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, শিল্পকলা মানুষকে পরস্পরের কাছে নিয়ে আসে। শিল্পকলা প্রকৃতপক্ষে শান্তির বার্তা দেয়, মানবতার কথা বলে। শিল্পের ভাষা সর্বজনীন।

শনিবার (১৯ মার্চ) ধানমন্ডির গ্যালারি চিত্রকে আন্তর্জাতিক মিনিয়েচার আর্ট উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

গ্যালারি চিত্রক ও চট্টগ্রাম আর্ট ক্লাবের যৌথ উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মিনিয়েচার আর্ট উৎসবের আয়োজন করা হয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আজকের আর্ট উৎসবের আয়োজন-আমাদের হৃদয়ে সেই মানবিকবোধকে জাগাতে ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশা করি।

শিল্পকলাও মানুষের কল্যাণে প্রকারান্তে শান্তির কথা বলে। এই ধরনের আর্ট উৎসব আয়োজনের মাধ্যমে মানুষে মানুষে, দেশে দেশে, শান্তি ও বন্ধুত্বময় পরিবেশ সৃষ্টি এবং মানবিকবোধ জাগ্রত করা সম্ভব।

তিনি বলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বন্ধুত্ব স্থাপন এবং মানুষে মানুষে যোগাযোগের কোন বিকল্প নাই। বিশ্বব্যাপী মানুষের নানারকম মুখের ভাষা রয়েছে, নানা রকম ধর্ম-বিশ্বাস থাকতে পারে, ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শ রয়েছে । কিন্তু শিল্পকলার যে অনন্য ভাষা, সে ভাষা মানুষে মানুষে যোগাযোগের সকল বাধা অতিক্রম করে সব ধরনের দর্শকের হৃদয়ে পৌঁছাতে সক্ষম।

তিনি আরো বলেন, মানুষে মানুষে বন্ধুত্ব সৃষ্টি, বিশ্বব্যাপী শান্তির সংস্কৃতি লালন, শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, মানবতার জয়গান- এসব কিছু ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের কাছে তুলে ধরার এক বিশেষ মাধ্যম শিল্পকলা।

ভারতবর্ষে মুঘলদের হাত ধরে মিনিয়েচার পেইন্টিং এর প্রবেশ ঘটেছিল উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, ধীরে ধীরে তা ভারতবর্ষে একসময় জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। আমি মনে করি, আপনাদের চেষ্টায় বাংলাদেশেও মিনিয়েচার আর্ট জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। আমি আপনাদের এ প্রচেষ্টার সাফল্য কামনা করি।

এখানে দেশ-বিদেশের অনেক গুণী শিল্পীর মিনিয়েচার শিল্পকর্মের সমারোহ দেখে ভালো লাগছে।

বাংলাদেশ ছাড়াও ২০টি দেশের ৪৫ জন শিল্পীর আঁকা ছবি এই প্রদর্শনীতে রয়েছে।

দেশ-বিদেশের মোট ২৫০টি শিল্পকর্ম এখানে এক ছাদের নীচে আমরা পেয়েছি। শিল্পকর্মের এক অপূর্ব সমাবেশ ঘটেছে এই আর্ট উৎসবে।

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী মানুষের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সহনশীলতার সম্পর্ক ও হৃদ্যতা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এই ধরনের আর্ট উৎসবের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের এখানে মিনিয়েচার ছবির এই উৎসব ঢাকার সমঝদার দর্শকদের জন্যে নিঃসন্দেহে এক অসামান্য সুযোগ। দেশ-বিদেশের যেসব শিল্পী এই উৎসবে অংশগ্রহণ করেছেন তাদের প্রতি অভিনন্দন জানান তিনি।

মন্তব্য

Beta version