শহিদুল ইসলাম সাহেদ: বইমেলার দ্বিতীয় শুক্রবারে ছিল ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ঢল। অমর একুশে বইমেলা সাধারণত সরকারি ছুটির দিনগুলোতে জমে বেশি। সকালে শিশুদের আগমন ও বিকেলে চাকরিজীবী পাঠকের আগমনে বিক্রিও ভালো হয়। শুক্রবার সপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় জমে উঠেছিল বইমেলা। হাজার হাজার পাঠকের আনাগোনায় ভরে ওঠে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমি।
প্রকাশক ও লেখকরা জানিয়েছেন, চাকরিজীবীরা সরকারি ছুটির দিন ছাড়া মেলায় আসতে পারেন না। তাই সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মেলা প্রাঙ্গণে তাদের আনাগোনা বাড়ে। অনেকে পুরো পরিবার নিয়ে মেলায় আসেন। ছুটির দিনের সকালটা থাকে শিশুদের দখলে। দুপুর হতে না হতেই মেলায় বড়দের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। সন্ধ্যার আগমুহূর্তে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ছিল উপচেপড়া ভিড়।
আদর্শ প্রকাশনীর প্রকাশক বলেন, মেলার শুরুর দিকে পাঠক কম থাকলেও ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। মেলার শেষদিকে সবসময় পাঠক বেশি থাকে। তবে ছুটির দিনে মেলায় পাঠকের উপস্থিতি সবসময় বেশি থাকে।
সাভারের বাসিন্দা জিয়াউল হক জুয়েল বলেন, বইমেলায় প্রতিবছর আসি। মেলায় এলে অনেক ভালো লাগে। অনেক বই কিনি। নিজেকে বদলাতে বই পড়ি। গতকাল শক্রবার মেলায় পাঠক ছিল বেশি। বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে দর্শনার্থী ও ক্রেতারা মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করছেন। টিএসসির চত্বরে ছিল মেলায় প্রবেশের লাইন। পছন্দের বই কিনতে এদিক-সেদিক দৌড়ঝাঁপ দিচ্ছেন ক্রেতারা। স্টলগুলোতে ক্রেতাসমাগম ছিল বেশি ।
এদিকে বাংলা একাডেমি কর্তৃক আপত্তি জানানো তিনটি বই বিক্রি ও প্রদর্শনী না করার শর্তে মুচলেকা দিয়ে অমর একুশে বইমেলায় স্টল দেয়ার অনুমতি পেয়েছে আদর্শ প্রকাশনী। গত বুধবার বিচারপতি খসরুজ্জামান ও বিচারপতি ইকবাল কবীর লিটনের হাইকোর্ট বেঞ্চ আদর্শ প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দের নির্দেশ দিয়েছেন।
আপত্তি জানানো বই তিনটি হলো ফাহাম আবদুস সালামের ‘বাঙালির মিডিয়োক্রিটির সন্ধানে’, জিয়া হাসানের ‘উন্নয়ন বিভ্রম’, ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের ‘অপ্রতিরোধ্য উন্নয়নের অভাবনীয় কথামালা’।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য