-->

সময় গড়াচ্ছে, বাড়ছে ভিড়

মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ
সময় গড়াচ্ছে, বাড়ছে ভিড়

মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: সময় যতই গড়াচ্ছে, ততই ভিড় বাড়ছে বইমেলায়। মেলায় আসছে ছেলে-বুড়ো সব বয়সের মানুষ। দেখে দেখে কিনছেন নিজের পছন্দের বই। দিচ্ছেন উপহারও। মেলায় দেখা হচ্ছে বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে। জমে ওঠছে আড্ডা। ঘুরে ঘুরে তুলছেন ছবি। জমে ওঠছে লেখক-পাঠকদের রসায়ন। মেলার ১২ তম দিন। অন্যদিনের মতো গতকালও মেলায় ভিড় ছিল উচড়ে পড়া।

 

বিকেল ৩টায় গেট খোলার সঙ্গে সঙ্গে মেলায় ঢুকে পড়েন অপেক্ষমান পাঠক-দর্শনার্থীরা। গতকাল শিশুপ্রহর না হলেও জমে ওঠেছিল শিশু কর্নার। স্টল মালিকরা জানান, তুলানামূলক শিশুদের বই বেশি বিক্রি হচ্ছে। তারা আসলে লেখকের নাম দেখে বই পছন্দ করে না। বিশেষ করে যাদের বয়স কম তারা ছবি দেখে বই কেনেন। এই ক্ষেত্রে তাদের প্রথম পছন্দ ভ‚তের বই।

 

বিষয়টি নিয়ে যমুনার ঢেউয়ের প্রকাশক মো. আব্দুল মোমিন বলেন,‘ আমার স্টলে সব ধরনের বই রয়েছে। তবে বিক্রি বেশি হচ্ছে শিশুদের বই। এছাড়া নভেলও বিক্রি হচ্ছে। তবে কবিতার বই বিক্রি হচ্ছে একটু কম। যাও হচ্ছে তা সব খ্যাতিমান লেখকদের। তবে মেলার শেষের দিকে সব ধরনের বইয়ের চাহিদা বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।

 

এদিকে এবার মেলায় বিক্রিও যথেষ্ট ভালো হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলেন অন্যবার প্রথম দিকে সবাই ঘুরতে আসে। পরে এসে বই কেনেন। তবে এরার ভিন্নচিত্র দেখা যাচ্ছে। এবার প্রথম থেকেই মেলায় কেনাবেচা তুলনামূলকভাবে জমজমাট। অন্যদিকে মেলার প্রায় অর্ধেক হয়ে গেলেও জমে ওঠেনি বাংলা একাডেমি চত্বর।

 

উদ্যানে মানুষের ভিড় থাকলেও গতকালও একাডেমির মধ্যে তেমন ভিড় দেখা যায়নি। ফলে সেখানে যারা স্টল পেয়েছেন তারা হতাশ। জানতে চাইলে একাডেমি চত্বরে স্টলের বিক্রয় প্রতিনিধি মো, ফিরোজ বলেন, উদ্যানে যেমন চিত্র দেখা যায় এখানে একেবাইে এর উল্টো। আমরা পাঠক বা ক্রেতার অপেক্ষা করেও পাচ্ছি না।

 

এবারের বইমেলায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে মোট ৪৭০টি প্রতিষ্ঠানের স্টল রয়েছে। এরমধ্যে ৩৬৭টি সাধারণ প্রতিষ্ঠান। শিশু চত্বরে রয়েছে ৬৯টি প্রতিষ্ঠান এবং প্যাভেলিয়ন ৩৪টি।

 

অন্যদিকে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে সাধারণ প্রতিষ্ঠান ১০৩টি ও প্যাভেলিয়ন আছে ১৪৭টি। সবমিলিয়ে ৫৭৩টি প্রতিষ্ঠান এবং মোট ৭০৪টি (প্যাভেলিয়ন বাদে) স্টল আছে। এছাড়া ফুডকোর্ট, নামাজের জায়গা, ওয়াশরুম পর্যাপ্ত পরিমাণে রাখা হয়েছে এবার। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে বইমেলার চারপাশে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। নিয়োজিত রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

 

এদিকে মূল গেট থেকে ঢুকেই রয়েছে শিশু চত্বর। সেখানে সিসিমপুরসহ শিশুদের আনন্দ ও বিনোদনের জন্য প্রতিদিন নানা আয়োজন থাকছে। এবছর উদ্বোধনের দিন প্রধানমন্ত্রী বাংলা একাডেমি ঘোষিত সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সংস্কৃতি সচিব মো. আবুল মনসুর।

 

স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version