শেষ হলো গারো ও হাজং শিক্ষার্থীদের দু'দিনব্যাপী সংগীত ও নৃত্য বিষয়ক প্রতিভা অন্বেষণ অনুষ্ঠান।
'আমার সংস্কৃতি, আমার অহংকার' এই প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে নেত্রকোণার দুর্গাপুরে বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির আয়োজনে সংগীত ও নৃত্য বিষয়ক প্রতিভা অন্বেষণ গারো ও হাজং সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রতিভা অন্বেষণের প্রথম দিন ২জুন (শুক্রবার) ছিল গারো সংগীত ও নৃত্য প্রতিযোগিতা। এতে প্রতিযোগিতার অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ছিল ৫০ জন। দ্বিতীয় দিন ৩জুন (শনিবার) ছিল হাজং সংগীত ও নৃত্য বিষয়ক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা। এতে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীদের সংখ্যা ছিল ৩০জন।
অনুষ্ঠানে বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির পরিচালক ও গীতিকার সুজন হাজং এর সভাপতিত্বে এবং একাডেমির নৃত্য শিক্ষক মালা মার্থা আরেংয়ের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবিদ প্রিন্সিপাল মণীন্দ্রনাথ মারাক, হাজং লেখক ও গবেষক মতিলাল হাজং, সাবেক মেয়র শ ম জয়নাল, স্বপন হাজং, সংগীতশিক্ষক তোবারক হোসেন খোকন, চিত্রশিল্পী রূপক হাজং, কবি জনপদ চৌধুরী, অন্তর হাজং প্রমুখ।
গীতিকার সুজন হাজং বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এপিএভুক্ত অনুষ্ঠান ছিল গারো ও হাজং সংগীত ও নৃত্য বিষয়ক প্রতিভা অন্বেষণ। আমরা মনে করি সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে প্রকৃত প্রতিভাবান শিল্পী খুঁজে বের করা সম্ভব।
এতে করে নিজ জাতিগোষ্ঠীর মানুষেরা তাদের নিজস্ব শিল্পী নির্বাচন করতে পারে এবং তাদেরকে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরার কাজটিও সহজ হয়।
আলোচনা শেষে প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এই প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন গারো গানের প্রখ্যাত গীতিকার ও সুরকার ফরিদ জাম্বিল, যাদু রিছিল, সংগীত পরিচালক ডোনাল্ড হাউই, পাঁচ শতাধিক হাজং গানের গীতিকার ও সুরকার পীযুষ হাজং, গীতিকার লক্ষ্মী রানী দেবী, কবি দোলন হাজং।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য