-->

ইসকন মন্দিরে হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইসকন মন্দিরে হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
সংবাদ সম্মেলনে ইসকন ও বাংলাদেশের সনাতন ধর্মীয় নেতৃবৃন্দরা

শ্রীশ্রী রাধাকান্ত জিউ ইসকন মন্দিরে হামলা ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) ও বাংলাদেশের সনাতন ধর্মীয় অন্যান্য সংগঠন সমূহ।

বুধবার (২৩ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

ইসকন বাংলাদেশ সভাপতি সত্যরঞ্জণ বারই লিখিত বক্তব্যে বলেন, 'গত ১৭ মার্চ ঢাকাস্থ স্বামীবাগ ইসকন মন্দির থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত ওয়ারী থানাধীন ৪১নং ওয়ার্ডের ২২২ লালমোহন সাহা স্ট্রীটে অবস্থিত শ্রীশ্রী রাধাকান্ত জিউ ইসকন মন্দিরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে প্রার্থনা চলাকালে একদল দুষ্কৃতিকারী হামলা চালায়।

তিনি অভিযোগ করেন, 'এ হামলায় নেতৃত্ব দেয় হাজী মো. সফিউল্লা (৬২) ও মো. ইসরাফ সুফি (৩১)। তাদের নেতৃত্বে দুষ্কৃতকারীরা উস্কানিমূলক বে-আইনি সমাবেশের মাধ্যমে পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র (রড, শাবল, হামার, দা ও লাঠি-শোটা) নিয়ে অতর্কিতভাবে মন্দিরের দক্ষিণ-পশ্চিম পার্শ্বের দেয়াল ভাঙতে শুরু করে।'

তিনি আরো বলেন, 'দেয়াল ভাংচুরের পাশাপাশি তাদের একটি দল মন্দিরের নিরাপত্তা কর্মীদের আঘাত করে, তাদের কেউ কেউ জোর করে সেই গেট দিয়ে মন্দিরের ভেতরে প্রবেশ করে।

এমতাবস্থায় মন্দির থেকে জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করে আইনি সাহায্য চাওয়া হয়। কিছুক্ষণ পর ওয়ারী থানার পুলিশ এসে সেখানে উপস্থিত হয়। কিন্তু পুলিশ সদস্যদের সামনেই ভাংচুরকারীরা তাদের ভাংচুর চলমান রাখে।'

দুষ্কৃতকারীরা মন্দিরের সংস্কার কাজের জন্য সংরক্ষিত লোহার অ্যাঙ্গেল, এলসহ অন্যান্য মালামাল, সরস্বতীদেবীর প্রতিমা ইত্যাদি পুলিশের উপস্থিতিতেই লুট করে দুটি পিকআপে করে নিয়ে যায় বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্টমন্ত্রী ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ইসকন বাংলাদেশ সভাপতি বলেন, 'সরকার ও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্নকারী দুষ্কৃতকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক।

সেই সঙ্গে মন্দির রক্ষা ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জীবনের নিরাপত্তা বিধানসহ ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির সংস্কারের যথার্থ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। অন্যথায় এর দায় সরকারের ওপরই বর্তাবে।'

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ইস্কন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক শ্রী চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী।

মন্তব্য

Beta version