-->
শিরোনাম

খাদ্যে ভেজালকারীদের জাতীয় শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
খাদ্যে ভেজালকারীদের জাতীয় শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করার দাবি
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সোমবার ‘পবিত্র রমজান মাসে ভেজালমুক্ত খাদ্য চাই’ শীর্ষক মানববন্ধন। ছবি- ভোরের আকাশ

খাদ্যে ভেজালকারীদের জাতীয় শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করার দাবি জানিয়েছে সামাজিক সংগঠন ন্যাশনাল ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি (এনএফএস)। সোমবার ( ২৮ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘পবিত্র রমজান মাসে ভেজালমুক্ত খাদ্য চাই’ শীর্ষক মানববন্ধনে এ দাবি জানান সংগঠনটির নেতারা ।

এনএফএস সভাপতি রাহাত হুসাইনের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসাইনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সংগঠনের সহসভাপতি পাভেল হাসান চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদিক ভিস্তী, ইসমাইল হোসেন টিটু, কোষাধ্যক্ষ সাইফ আহমেদ সানি, দপ্তর সম্পাদক মাহাবুব আলম, বন ও পরিবেশ সম্পাদক কাজী সাকিল, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক খ.ম আল আমিন প্রমুখ।

তারা বলেন, খাদ্যে ভেজাল জাতীয় সমস্য হিসেবে দেখতে হবে। যারা খাদ্যে ভেজাল দেয় তারা দেশ-জাতির শত্রু। নিরাপদ খাদ্য মানুষের মৌলিক অধিকার। যারা খাদ্যে ভেজাল করে তারা মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করছে। দিন-দিন খাদ্যে ভেজাল মিশিয়ে বীরের জাতিকে রুগ্ন জাতিতে পরিণত করছে। ভেজাল খেয়ে নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে দেশের মানুষ। পবিত্র রমজান মাস, সিয়াম সাধনার মাস। আমরা আশা করব, রমজান মাসে ব্যবসায়ীরা খাদ্যে ভেজাল দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

সংগঠনের সভাপতি রাহাত হুসাইন বলেন, ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত হোটেল-রেস্টুরেন্ট বা নামিদামি ব্রান্ডের পণ্যও এখন ভেজালমুক্ত নয়। ভেজাল খাদ্য খাওয়ার ফলে দেশে নানা ধরনের রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ভেজাল প্রতিরোধে প্রতিনিয়ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে হবে। খাদ্যে ভেজালকারী ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় শুত্রু হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। খাদ্যে ভেজালকারীদের কোনো প্রকার ছাড় না দিতে আমরা প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ করছি। ভেজালকারীদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে হবে।

তিনি বলেন, ভেজালকারীদের মূলোৎপাটনে সরকারের পাশাপাশি সাধারণ জনগণকেও সচেতন হতে হবে। জনগণ যদি সচেতন হয় তাহলে আমাদের সমাজে কেউ খাদ্যে ভেজাল দিতে পারবে না। পবিত্র রমজান মাসে শিক্ষা নিয়ে ব্যবসায়ীরা খাদ্যে ভেজাল দেওয়া থেকে বিরত থাকুক, এটাই আমাদের কাম্য।

উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের শক্তিকে ভেজালবিরোধী আন্দোলনে নামতে হবে। জনস্বাস্থ্য নিয়ে অবহেলা প্রদর্শনের কোনো অবকাশ নেই। খাদ্যে ভেজালকারী প্রতিষ্ঠানের শুধু জরিমানা করলে হবে না, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে খাদ্যে ভেজাল দেওয়া এবং ভেজাল খাদ্য বিক্রির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ১৪ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তা প্রয়োগ করার কোনো নজির নেই। খাদ্যে ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে এই আইনের প্রয়োগ করতে হবে। ভেজাল রোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

মন্তব্য

Beta version