রাজধানীর উত্তরার সুপার শপ আগোরায় ও খিলক্ষেতের ঢাকা রিজেন্সি হোটেলে মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্য ও অনুমোদনহীন ভেজাল পণ্য পাওয়ায় জরিমানা করেছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার (৬ এপ্রিল) বেলা ১১টা থেকে খিলক্ষেতের রিজেন্সি হোটেলে শুরু হয়ে উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের জমজম টাওয়ারের আগোরায় দুপুর ২ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন বিএসটিআই এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাফিসা নাজনিন নীরা। এ ছাড়া বিএসটিআই এর সহকারী পরিচালক খালিদ রেজা চৌধুরীসহ অন্যান্য কর্মকর্তাও ছিলেন। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সহযোগিতা করে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন-১১) টহল টিম।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে বিএসটিআই এর সহকারী পরিচালক খালিদ রেজা চৌধুরী বলেন, রিজেন্সি হোটেলে মেয়াদোত্তীর্ণ পন্ডস কেক, বিস্কুট ও পাউরুটি পাওয়া গেছে। এ ছাড়া সেখানে মেয়াদোত্তীর্ণ খাবারের রং ছিল। এই রং খাবারে দিয়ে রঙিন করা হতো যা স্বাস্থ্য-ঝুঁকিপূর্ণ। এসব অভিযোগে ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের প্রতিনিধি টিপু সুলতানকে ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে টিপু সুলতান জরিমানাকৃত টাকা পরিশোধ করেন।
অপরদিকে, উত্তরার জমজম টাওয়ারের সুপার শপ আগোরায় অভিযান চালিয়ে বিএসটিআই এর অনুমোদনহীন ভেজাল পণ্য ফুড জুস, শ্যাম্পু, পেনসিল, গ্ল্যাস টেবিল ওয়ার, সিরামিক টেবিল ওয়ার ও স্ক্রিন ক্রিম পাওয়া যায়। বিএসটিআই এর ছাড়পত্র ছাড়া বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি এবং বিএসটিআই এর লাইসেন্স ব্যতীত পণ্য বিক্রি ও মজুত করার অপরাধে দুজনকে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-সুপার শপ আগোরার স্টাফ মাহফুজ ও রিয়াজ। পরবর্তীতে তারা জরিমানাকৃত অর্থ নগদ পরিশোধ করেন।
খালিদ রেজা চৌধুরী বলেন, যেসব পণ্যের বিএসটিআই অনুমোদনই নেই এবং যেসব পণ্যের অনুমোদন থাকতে পারে না-ও থাকতে পারে, সেসব পণ্য খুঁজে বের করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এসব পণ্য বৈধ উপায়ে এবং বিএসটিআই এর পরীক্ষণ ছাড়াই বিদেশ থেকে এনে বিক্রি করা হচ্ছিল। যার কারণে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছিল। এতে আগোরাও কোনোভাবে তাদের দায় এড়াতে পারে না।
মন্তব্য