‘চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি নিয়ে সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই’ বলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জাতীয় সংসদে যে বক্তব্য দিয়েছেন তার প্রতিবাদ জানিয়েছে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য পরিষদ। সোমবার (১১ এপ্রিল) ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ প্রতিবাদ জানায় সংগঠনটি। সব চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে ন্যূনতম ৩৫ বছর করাসহ চার দফা দাবিও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
প্রেসক্লাবের আকরাম খা হলে সংসদ অধিবেশনে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের ‘চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি নিয়ে সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই’ শীর্ষক বক্তব্যের প্রতিবাদে ও বিক্ষোভ বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল্লাহ-আল-মামুন, তাসলিমা লিমা, মানিক হোসেন রিপন, ওমর ফারুক, ইমতিয়াজ হোসেন, সাদেকুল মিলন, নিতাই সরকারসহ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য পরিষদের অন্যান্য দাবি হলো- নিয়োগ দুর্নীতি ও প্রশ্ন ফাঁস বন্ধ করতে হবে, নিয়োগ পরীক্ষার (প্রিলি ও রিটেন) মার্কসহ ফল প্রকাশ করতে হবে, চাকুরিতে আবেদনের ফি সর্বোচ্চ ১০০ টাকা করতে হবে এবং একই সময়ে একাধিক নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ করে সমন্বিত নিয়োগ পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, বিশেষ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনজটের কারণে সব শিক্ষার্থীকে শিক্ষাজীবন শেষ করতে কমপক্ষে ২-৩ বছর সময় বেশি অতিবাহিত করতে হয়। এরপর করোনা আবার ২ বছর কেড়ে নিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষতিগ্রস্ত বেকার যুবকদের জন্য বয়সসীমা স্থায়ীভাবে বৃদ্ধির ও ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য পরিষদ।
বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই দাবিটি বাস্তবায়নের জন্য জাতীয় সংসদ অধিবেশনে জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে বারবার প্রস্তাবনা এসেছে। মহামান্য রাষ্ট্রপতিও বয়সবৃদ্ধির পক্ষে মতামত দিয়েছেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকেও দুই বার প্রস্তাব করা হয়েছে। এরপরও সংসদ অধিবেশনে মাননীয় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর বলেন ‘চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি নিয়ে সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই’। তার এমন বক্তব্য অসৌজন্যমূলক।
মন্তব্য