বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি বলছে, অর্ধেক নয়, ২০ রোজার মধ্যে গার্মেন্টস শ্রমিকদের এপ্রিল মাসের সমস্ত বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধ করতে হবে।
শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল থেকে এ দাবি জানানো হয়।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সদস্য বাবুল হোসেন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধন শেষে বেতন-বোনাসের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে তারা। সমাবেশে বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি সভাপ্রধান তাসলিমা আকতার বলেন, 'সরকার ও গার্মেন্টস মালিকেরা একযোগে শ্রমিকদের ওপর চড়াও হয়েছে।
এপ্রিল মাসের ১৫ দিনের বেতন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমরা এমন সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করছি।' মালিকেরা রেকর্ডসংখ্যক অর্ডার পাচ্ছেন, অথচ শ্রমিকদের পেটে ভাত নাই মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশ ছুঁয়েছে, সেই মূহুর্তে শ্রমিকরা এই আশায় আছে যে ঈদে তারা তাদের বেতন বোনাসের টাকায় পরিবারের সঙ্গে সুন্দর একটা ঈদ কাটাবে।
অথচ গার্মেন্টস মালিকরা তাদের অর্ধেক মাসের বেতন দেওয়ার পাঁয়তারা করছে। শ্রমিকদের মুজুরি কোন দান বা করুণার প্রাপ্তি নয়, এটা তাদের ন্যায্য অধিকার।'
উল্লেখ্য যে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগেই তৈরি পোশাকসহ প্রতিটি কারখানার শ্রমিকদের ঈদ বোনাস এবং এপ্রিল মাসের ১৫ দিনের বেতন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
গত ১১ এপ্রিল সরকার, মালিক ও শ্রমিক ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের (টিসিসি) ৭১তম সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এই নির্দেশনা দেন।
মন্তব্য