প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগে কোটা বাতিলের দাবি জানিয়েছে অধিকার বঞ্চিত বেকার সমাজ।
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে (১-১৩ তম গ্রেড) প্রবেশে সকল ধরনের কোটা বাতিলেরও দাবি জানান তারা।
শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন থেকে তারা এ দাবি জানায়। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত অধিকার বঞ্চিত বেকাররা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে অধিকার বঞ্চিত বেকার সমাজের পক্ষ হতে তারেক রহমান বলেন, 'প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ৬০% নারী কোটা, ২০% শিক্ষকদের পোষ্য তথা পরিবার কোটা এবং ২০% পুরুষ কোটা রয়েছে।
সংবিধানে স্পষ্ট বলা আছে প্রতিবন্ধী এতীম বা অনগ্রসর শ্রেণিকে বিশেষ বিবেচনায় কোটা প্রদান করা যাবে, কিন্তু এখানে সেটি মানা হয় নাই।
প্রতিবন্ধীরা কোটা না পেলেও শিক্ষকদের সন্তান ও স্ত্রীর জন্য কোটা রাখা হয়েছে ২০%। এ ছাড়া নারী কোটা ৬০% একটি অভিমাত্রার কোটা প্রয়োগ।
তিনি আরো বলেন, নিয়োগের ক্ষেত্রে এরকম বৈষম্যের কারণে বেকার যুবক শ্রেণি হতাশায় নিমজ্জিত হয়েছে, পরিবার ও সমাজের কাছে অনীহার বস্তুতে পরিণত হয়েছে।
অনেক বেকার আত্মহত্যা করেছে। আমরা এই বৈষম্যমূলক কোটা বাতিলে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন করেছি।
এ ছাড়াও এমন বৈষম্যমূলক কোটা বাতিলে উচ্চা আদালত রুল জারি করলেও এর মাঝেই প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অধিদপ্তর তাদের নিপীড়নমূলক কোটা নীতি প্রয়োগ করে নিয়োগের তৎপরতা চালাচ্ছে।
যা আদালতের স্পষ্ট অবমাননা। এমন হলে আমরা আদালত অবমাননার কারণে আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হব।
মন্তব্য