-->
শিরোনাম

রাতে জমজমাট ঈদের মার্কেট

জুনায়েদ হোসাইন
রাতে জমজমাট ঈদের মার্কেট
রাজধানীর মৌচাক মার্কেট

আজ ১৪ রমজান। ঈদের বাকি আর মাত্র ১৫ বা ১৬ দিন। এরই মধ্যে রাজধানীসহ সারা দেশে ঈদ উপলক্ষে দোকানপাট, শপিংমলগুলো জমে উঠতে শুরু করেছে। তবে রোজার মধ্যে চৈত্রের তাপদাহে দিনের বেলায় কেনাকাটায় আগ্রহ দেখাচ্ছেন না ক্রেতারা। গরম উপেক্ষা করে নিম্নমধ্যবিত্তদের ফুটপাত থেকে শুরু করে সাধারণ দোকানে কিনাকাটা শুরু হয়েছে।

-নারী ও শিশুদের পোশাকে আগ্রহ বেশি-ঈদের দীর্ঘ ছুটি, আগে কিনে বাড়ি যাবেন অনেকে

আবার অনেকে ইফতার শেরে সন্ধ্যা পর একটু ঠান্ডা আবহাওয়ায় বাসা থেকে বের হচ্ছেন। এ সময় দোকান ঘুরে পছন্দের পোশাক কিনছেন অনেকে। আবার অনেকে নিজের জন্য না কিনে, সন্তানদের জন্য বা প্রিয়জনদের জনদের জন্য কিনছেন। টাকা পরিমাণ বুঝে পরে নিজের জন্য কিনবেন। এদিকে এ বছর ঈদের আগে পরে প্রায় ১০ দিনের ছুটি থাকছে চাকরিজীবীদের। ফলে বছরের অন্য সময়ের ছুটি সমন্বয় করে অনেকে একটু বেশি সময় থাকেন আত্মীয়দের সঙ্গে গ্রামের বাড়িতে। এ হিসেবে এ বছর মহানগরবাসী ঈদের আগেই গ্রামের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবেন বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। ফলে অনেকে আগাম কেনাকাটা করে গ্রামের যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর মৌচাক, ফরচুন, আনারকলি, শান্তিনগর টুইন টাওয়াার, বেইল স্টার, ইস্টান প্লাস, পলওয়েল, চায়না সিটি, গাজী ভবন ও সিট হার্ট শপিংমল ঘুরে এই চিত্র ও তথ্য পাওয়া গেছে। ঈদের বেচা-বিক্রির বিষয়ে দোকানিরা জানান, দিনের বেলা তাপমাত্রা বেশি থাকায় ক্রেতা উপস্থিতি তুলনামূলক কম থাকে। তবে সন্ধ্যার পর থেকে জমে উঠে ঈদের বাজার।

আমদানি পোশাকের বাজার হিসেবে পরিচিত পলওয়েল সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী লিথু ভোরের আকাশকে জানান, এ বছর এখনো বলার মতো বাজার জমে উঠেনি। তার মতে, শবেবরাতের সময় পাইকারি ব্যবসায়ীরা একবার মোকাম করে থাকেন। বিক্রি ভালো হলে তারা রোজার শুরুতে আবার মোকামে আসেন। কিন্তু এবছর তা দেখা যাচ্ছে না। ফলে সারা দেশে ঈদের বাজার আশানুরূপ জমেছে বলে মনে হচ্ছে না। তবে করোনার সময়ের তুলনায় এ বছর পাইকারি ব্যবসায় ভালো হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। ইস্টার্ন প্লাস শপিং কমপ্লেক্সে গতকাল দিনের বেলায় ক্রেতা উপস্থিতি ছিল বেশি।

মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, নারীদের পোশাক, আমদানি থ্রিপিস তথা পাকিস্তানি থ্রিপিসের কারণে এই মার্কেটে ক্রেতার উপস্থিতি এই সময়ে বেশি। শুক্রবার এই মার্কেটে অন্যান্য পণ্যের মধ্যে নারীদের পোশাকের দোকানে ক্রেতার উপস্থিতিছিল দেখার মতো। দোকান ঘুরে পছন্দের পোশাক কিনতে ব্যস্ত সময় পার করছেন আগ্রহী ক্রেতারা। আর এই সময়ে ক্রেতা মন জয় করতে একের পর এক পোশাক প্রদর্শন করছেন দোকানি ও বিক্রয় প্রতিনিধিরা।

ব্যবসায়ীরা ভোরের আকাশকে জানান, গত দুই বছর করোনার কারণ স্বাভাবিকভাবে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালাতে পারেননি দোকানিরা। এ বছর করোনার প্রকোপ কমে আসায় অনেকটা সাভাবিকভাবে চলতে ব্যবসা। একটু লাভের আসায় প্রায় সবাই দোকানে তুলেছেন, নতুন পোশাক ও সামগ্রী। ঈদ ঘনিয়ে আসায় এখন শুধু অপেক্ষা ক্রেতাদের উপস্থিতি ও পণ্য বিক্রির জমে উঠার।

ঈদের বাজার সম্পের্কে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ঈদের ছুটি ও ব্যবসায়ীদের থেকে যে তথ্য আসছে, তাতে মনে হচ্ছে- বাজার পরিস্থিতি আশানুরূপ ভালো যাচ্ছে না। করোনা-পরবর্তীতে অনেকে ব্যবসার আশায় দোকানে পণ্য তুলেছেন, এখন বিক্রি কম হলে স্বাভাবিকভাবে লোকসানে পড়বেন। তবে আমি আশাবাদী। আশা করছি, ঈদে ভালো ক্রেতা সমাগম হবে। ঈদ উপলক্ষে মার্কেগুলো জমে উঠবে।

মন্তব্য

Beta version