-->
শিরোনাম

চট্টগ্রামে তরুণীদের পছন্দের শীর্ষে থ্রি-পিস, তরুণদের পাঞ্জাবি

রুবেল খান, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে তরুণীদের পছন্দের শীর্ষে থ্রি-পিস, তরুণদের পাঞ্জাবি
বন্দর নগরীর মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। ছবি- ভোরের আকাশ

বন্দর নগরী চট্টগ্রামের ঈদ মার্কেটে এখন ব্যবসায়ীদের দম ফেলার ফুসরত নেই। নগরীর মার্কেটগুলোতে এখন রাতদিন ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। পছন্দের পোশাক কিনতে নগরীর এক মার্কেট থেকে অন্য মার্কেটে ছুটছেন ক্রেতারা। এবার ঈদ যেহেতু গ্রীষ্মকালে হচ্ছে, তাই সুতির কাপড়ের ওপর বিভিন্ন কারুকাজ করা পোশাকই বেশি বেচাকেনা হচ্ছে। এবার চট্টগ্রামে তরুণীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে থ্রি-পিস আর তরুণদের পাঞ্জাবি।

চট্টগ্রাম নগরীর নিউমার্কেট বিপণী বিতান, রেয়াজুদ্দিন বাজার, তামাকুমণ্ডি লেইন, জহুর হকার্স মার্কেট, টেরীবাজার, চকবাজারের গুলজার টাওয়ার, মতি টাওয়ার, কেয়ারি, বালি অর্কিড, ষোল শহর শপিং কমপ্লেক্স, মিমি সুপার মার্কেট, আফমি প্লাজা, ফিনলে স্কয়ার, সেন্ট্রাল প্লাজা, ইউনেস্কো সিটি সেন্টার, আমিন সেন্টার, ভিআইপি টাওয়ার, স্যানমার ওশান সিটি, আখতারুজ্জামান সেন্টার, লাকি প্লাজা, সিঙ্গাপুর ব্যাংকক মার্কেট ও অলংকার শপিং সেন্টারসহ বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, এসব মার্কেটের বিক্রেতাদের দাম ফেলার ফুরসত নেই এখন। ঈদে পছন্দের নতুন পোশাক কিনতে নগরীর এই মার্কেটগুলোতে এখন ক্রেতাদেরও রয়েছে উপচেপড়া ভিড়।

নগরীর রেয়াজুদ্দিন বাজারে আসা তরুণী আফরোজা সুলতানা বলেন, ঈদের সময় আর বেশিদিন নেই। তাই প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করতে এসেছি। আব্বু-আম্মুর জন্য শাড়ি ও পাঞ্জাবি কিনেছি। নিজের জন্য কিনেছি থ্রি-পিস। এখন জুতা ও কসমেটিকস কেনা বাকি রয়েছে।’ নগরীর জহুর হকার্স মার্কেটে আসা চট্টগ্রাম বন্দর কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র মিশকাত উদ্দিন চৌধুরী বলেন, গত দুই বছর করোনার জন্য আমরা ঈদের কেনাকাটা করতে পারিনি। এবার যেহেতু করোনা সংক্রমণ এখন তেমন নেই, তাই বন্ধুদের সাথে ঈদের পোশাক কিনতে এসেছি। আমি পাঞ্জাবি ও টি-শার্ট নিয়েছি।’

নগরীর ভিআইপি টাওয়ার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রবীর কুমার বলেন, ‘এবারের ঈদে চট্টগ্রামে তরুণীদের পছন্দের শীর্ষে থ্রি-পিস ও তরুণদের পাঞ্জাবি। গ্রীষ্মকালে এবারের ঈদ হওয়ায় সুতির পোশাকের বেশি চাহিদা রয়েছে। ঈদের সময় যত ঘনিয়ে আসছে, ততই ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। সেইসঙ্গে বাড়ছে বেচাকেনা। তবে এই রমজান মাসের প্রথম দিকে বেচাকেনা একেবারেই কম ছিল। আগের ২০ দিনে যা বিক্রি হয়েছে, এখন পাঁচ দিনেই তারচেয়ে অনেক বেশি বিক্রি হচ্ছে।’

নগরীর আফমি প্লাজায় অঞ্জন, সৃষ্টি, বাংলা মেলা, দেশী দশ, দেশাল, রঙ, সাদা কালো এবং শৈল্পিকের শো-রুমে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এসব শো রুমের বিক্রেতারা জানান, ঈদের সময় ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে ক্রেতাদের ভিড় যেমন বেড়েছে তেমনি বেড়েছে বেচাকেনাও।

মধ্যবিত্তের মার্কেট হিসেবে পরিচিত নগরীর জহুর হকার্স মার্কেটেও চলছে জমজমাট বিকিকিনি। জহুর হকার্স মার্কেটের অলিদ ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী এম এম ইলিয়াছ উদ্দিন বলেন, ‘ঈদের বাজার এখন পুরোদমে জমে উঠেছে। মনে হচ্ছে আমরা আবার করোনাকালের আগের অবস্থায় ফিরে গেছি। এই ঈদ মৌসুমের বেচাবিক্রিতে আমরা সন্তুষ্ট।’

এই জহুর হকার্স মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল আমিন বলেন, ‘জহুর হকার্স মার্কেট মধ্যবিত্ত শ্রেণির মার্কেট। তবে এখানে উচ্চবিত্ত শ্রেণির ক্রেতারাও ভিড় করেন। কোয়ালিটি পণ্যের কারণে সব ধরনের ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করতে পেরেছি আমরা। এবারের ঈদ উপলক্ষে আমরা যে পরিমাণ বেচাবিক্রি আশা করেছিলাম, সেই রকম বিক্রি হচ্ছে। বিশেষ করে ইফতারের পর থেকে ক্রেতাদের প্রচুর ভিড় রয়েছে।’

নগরীর তামাকুমণ্ডি লেইন বণিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক বলেন, ‘যে আশা নিয়ে ব্যবসায়ীরা ঈদের প্রস্তুতি নিয়েছিল, সেটি সফল হয়েছে বলা যায়। মার্কেটে এখন দেদারছে বেচাবিক্রি চলছে। সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে থ্রি-পিস ও পাঞ্জাবি।’

মন্তব্য

Beta version