-->
শিরোনাম

ভোজ্যতেল নিয়ে কারসাজি: দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি সিপিবির

নিজস্ব প্রতিবেদক
ভোজ্যতেল নিয়ে কারসাজি: দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি সিপিবির
রাজধানীর পল্টন মোড়ে সিপিবির বিক্ষোভ সমাবেশ

ভোজ্যতেল নিয়ে কারসাজি সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ ও সরবরাহ নিশ্চিত করার দাবি জানালো কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।

গতকাল শুক্রবার তেল নিয়ে কারসাজি ও দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে দলের পক্ষ থেকে দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর পল্টন মোড়ে পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক এ এন রাশেদা এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবি’র সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাজ্জাদ জহির চন্দন, এ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন রেজা ও লাকী আক্তার ।

দেশ এবং সরকার আজ লুটেরা ব্যবসায়ীদের হাতে বন্দি মন্তব্য করে প্রিন্স বলেন, ‘সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা দেশ চালাচ্ছে। বর্তমান সরকার এদের রক্ষক, পাহারাদার।

তাইতো ঈদের সময় মানুষকে জিম্মি করে, কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে ভোজ্যতেলের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়াল। এই সরকার সিন্ডিকেট মজুতদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে বরং তাদেরই পুরস্কৃত করলো।

এই সরকারই এসব কারসাজির মূল হোতা।’

তিনি ভোজ্যতেল নিয়ে কারসাজি সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ ও সরবরাহ নিশ্চিত করার দাবি জানান। অবিলম্বে তেলের দাম কমানো ও বিশ্ব পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে দক্ষ ও দুর্নীতিমুক্তভাবে তেলসহ নিত্যপণ্যের পর্যাপ্ত মজুত গড়ে তোলার দাবিও জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, দেন দরবার করে লুটেরা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কিছু পাওয়া যাবে না। বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে। সারাদেশে রেশন ব্যবস্থা ও ন্যয্যমূল্যের দোকান চালু করতে হবে।

ব্যাবসায়ী সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। বিশেষ প্রণোদনা দিয়ে দেশে তেলসহ নিত্যপণ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে ও তেলসহ মজুত পণ্যের সুষম বন্টন নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি বাণিজ্যমন্ত্রীকে পদচ্যুত করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, অযোগ্য মন্ত্রী আমলা আর কমিশন ভোগীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থাও গ্রহণ করতে হবে।

তিনি বলেন, সরকার আজ ডবল ব্যর্থ। সাধারণ জনগণের আয় বাড়াতে পারেনি, অথচ বেশি দামে নিত্যপণ্য কিনতে বাধ্য করে লুটেরা ব্যবসায়ীদের পকেট ভারী করছে।

সাধারণ মানুষকে আজ প্রয়োজনের তুলনায় কম খেয়ে বাঁচার চেষ্টা করতে হচ্ছে। তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষ যখন দিশেহারা তখন সরকারের মন্ত্রী বলছেন,‘মূল্য বৃদ্ধির প্রশ্নে সরকারের কিছুই করার নেই।’

আমরা এই সমাবেশ থেকে বলি, ‘এই সরকারের আর দরকার নেই। সাধারণ মানুষের পকেট কাটার সরকার আর না।’ তিনি আরও বলেন, দামকমানোর উদ্যোগ না নিলে বামপন্থী অন্যান্য দলকে সঙ্গে নিয়ে হরতাল অবরোধের কর্মসূচি দেওয়া হবে।

মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, জনগণের সরকার হলে দাম বাড়ানোর আগে সাধারণ মানুষের মতামত নিত। এটা না করে ঈদের ছুটি শেষ হওয়ার প্রথম দিনে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে অস্বাভাবিক ভাবে তেলের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হলো। তিনি আন্দোলনে জনগনকে রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানান।

মন্তব্য

Beta version