-->

পানিখাতে বিনিয়োগের ২৬ শতাংশ অর্থ অপচয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
পানিখাতে বিনিয়োগের ২৬ শতাংশ অর্থ অপচয়

দুর্নীতির কারণে বিশ্বব্যাপী পানিখাতে বিনিয়োগকৃত অর্থের ৪ থেকে ২৬ শতাংশ খাতভেদে অপচয় হচ্ছে বলে বার্লিনভিত্তিক ওয়াটার ইন্টিগ্রিটি নেটওয়ার্ক (উইন) এর বৈশ্বিক এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

বাংলাদেশ ওয়াটার ইন্টিগ্রিটি নেটওয়ার্ক (বাউইন), ওয়াটার ইন্টিগ্রিটি নেটওয়ার্ক (উইন) ও এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথ এর যৌথ আয়োজনে ওয়াটার ইন্টিগ্রিটি গ্লোবাল আউটলুক ২০২১ লাউঞ্চিং অনুষ্ঠানে এই প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে আসছে।

বুধবার (১১ মে) দুপুরে এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথ লালমাটিয়া কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মূল প্রতিবেদনে সার্বিক দিক তুলে ধরেন উইন এর প্রকল্প সমন্বয়ক বিনায়ক দাস।এসময়ে পানিখাতে বিনিয়োগ ও কোনো প্রকল্প নেয়ার আগে দুর্নীতি প্রতিরোধে কার্যকারী ব্যবস্থা গ্রহণ সুপারিশ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ওয়াটার ইন্টিগ্রিটি নেটওয়ার্ক (বাউইন) এবং সাবেক প্রধান প্রকৌশলী শহীদুল হাসান। স্বাগত বক্তব্য ও এজেন্ডা উপস্থাপনা করেন এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথের প্রজেক্ট ফোকাল ও বাউইনের কো-অর্ডিনেটর কাজী মনির মোশাররফ।

বিনায়ক দাস বলেন, সুশাসন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত, প্রকল্প গ্রহণ আগে দুর্নীতিবিরোধী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে সমপরিমাণ অর্থের অপচয় রোধ সম্ভব। উইন এর প্রতিবেদনে আর্থিক বিষয়ের পাশাপাশি জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ ও দুর্নীতি প্রতিরোধে হুইসলব্লোয়ারদের সুরক্ষার বিষয়টির ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। একইসঙ্গে স্বনির্ভর প্রতিষ্ঠান দিয়ে প্রকল্পের কাজ করার সুপারিশ করা হয়।

তিনি আরো বলেন, একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের আগে অবশ্যই সরকারি, বেসরকারি সংস্থা ও অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে অর্থ ছাড়ের ব্যবস্থা করতে হবে। বিভাগীয় শহরে পানি সমস্যা সমাধানে করণীয় দিক তুলে ধরে বিনায়ক দাশ বলেন, দুর্নীতির কারণে শহরে অঞ্চলে সুস্থ স্বাস্থ্য স্যানিটেশন ও পানির সমস্যা নিরসন করা সম্ভব হচ্ছে না। বিভাগী শহরে পানির সমস্যা সমাধনে রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধি এবং অংশীজনের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

দেশে সম্প্রতি সময়ে পানির দাম বাড়ানো হলেও পানি অপচয় রোধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। পানি অপচয় রোধে গাড়ি পরিষ্কার ও বাগান পরিচর্যার ব্যবহৃত পানি অন্য উৎস থেকে নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়।

সভাপতির বক্তব্যে শহীদুল হাসান বলেন, পানি খাতে সুশাসনের অভাবে বিশুদ্ধ পানি বঞ্চিত হচ্ছে অধিকাংশই নারী, শিশু ও ভূমিহীন জনগোষ্ঠী। তবে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা গেলে অবশ্যই এ ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব পরিলতি হবে এবং সুশাসনের অভাবজনিত তির মাত্রা কমিয়ে আনা যাবে।

প্রতিবেদনে বাংলাদেশে জলবায়ু তহবিল ট্র্যাকিংয়ের ব্যবস্থাটিকে শুদ্ধাচার নিশ্চিতের একটি সফল উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। পানিখাতে শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠায় সকল অংশীজনের সম্পূর্ণ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, এ খাতের দুর্নীতি নিয়ে বিস্তারিত ও নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রবাহ বজায় রাখা, নীতিসমূহকে বাস্তবায়ন ও চর্চায় পরিণত করা এবং এক্ষেত্রে শুদ্ধাচার চর্চা গড়ে তোলাতে হবে।

মন্তব্য

Beta version