-->
শিরোনাম

কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনাজনিত আঘাত এবং মৃত্যুর জন্য ক্ষতিপূরণ নিয়ে আলোচনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনাজনিত আঘাত এবং মৃত্যুর
জন্য ক্ষতিপূরণ নিয়ে আলোচনা
প্রতীকী ছবি

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬- এর অধীনে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনাজনিত আঘাত এবং মৃত্যুর জন্য ক্ষতিপূরণ নিয়ে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের মিলনায়তনে তথ্যচিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা অনুষ্ঠান হয়েছে।আজ শনিবার (২৮ মে) লাউডেস ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) ‘কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ-একটি ক্লান্তিকর পথ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে দুর্ঘটনায় ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের মো. জুয়েল হোসেন ছয় বছর আগে বাড্ডায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন।

তারপর কিছুদিন বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নেন, কিন্তু সুস্থ হতে পারেননি। এখন তার দুই পা অচল হওয়ার পথে।

কর্মস্থলে এরকম দুর্ঘটনার শিকার হয়ে ব্লাস্টের সহযোগিতায় মামলা করেন মালিকের বিরুদ্ধে। এখন প্রায়ই পটুয়াখালী থেকে ঢাকা আসতে হয় মামলার হাজিরা দিতে।

সবমিলিয়ে নিঃস্ব হওয়ার পথে।

তিনি পাঁচ বছর ধরে ঘুরছেন মামলার চূড়ান্ত রায়ের জন্য। জানেন না কবে হবে এ মামলার রায়। আবার রায় হলেও তারা পাবেন সর্বোচ্চ আড়াই লাখ টাকা।

যার বড় একটা অংশ আদালতে ঘুরতে ঘুরতেই চলে যায়।

অনুষ্ঠানে ব্লাস্টের তত্ত্বাবধায়ক ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেন, জুমে সাক্ষ্য নেওয়ার ব্যপারে আদালতের রায় রয়েছে।

তাহলে কেন দুর্ঘটনার শিকার প্রত্যন্ত অঞ্চলের কোনো শ্রমিক জুমে অংশগ্রহণ করে সাক্ষ্য দিতে পারবে না?

অনুষ্ঠানে আলোচকরা শ্রমিকদের জন্য আলাদা ইন্সুরেন্স করার ওপর জোর দেন। যাতে তাৎক্ষণিক তারা কিছু ক্ষতিপূরণ পায়।

কারণ চূড়ান্ত ক্ষতিপূরণ পেতে দীর্ঘ সময় পাড়ি দিতে হয় তাদের।

এ সময় আইএলও প্রতিনিধি মোসরাত জাহান জানান, তারা শ্রমিকদের ইন্সুরেন্সে অর্ন্তুভুক্ত করার ব্যাপারে কাজ শুরু করেছেন।

অনুষ্ঠানে শ্রম মন্ত্রণালয় ও বিচার বিভাগীয় প্রতিনিধির পাশাপাশি আরো উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন এনজিও’র প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

Beta version