-->
শিরোনাম

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর দখল, গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের উচ্ছেদ অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর দখল, গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের উচ্ছেদ অভিযান

রাজধানীর মিরপুরের বাউনিয়ার বাঁধ এলাকায় বস্তিবাসীকে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর বহুতল ভবনের ফ্ল্যাটে অবৈধভাবে দখলবাজদের উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছে গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ। এ সময় কাগজপত্রে গরমিল পাওয়ায় তিনটা ফ্ল্যাটে তালা ঝুলিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে দেখা যায় একজনের নামের বরাদ্দ দেয়া ফ্ল্যাটে অন্যজন বাস করছেন। এমনকি বরাদ্দ পাওয়া ফ্ল্যাটে সাবলেট ভাড়া দেয়ার প্রমাণ পাওয়ায় বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাট বরাদ্দ বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে।

 

বুধবার সকাল থেকে চালানো এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের ঢাকা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জোয়ারদার তাবেদুন নবী। তিনি বলেন, ‘কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা অভিযানে এসেছি। বেশ কিছু ফ্ল্যাটের বিষয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে। এখন থেকে ফ্ল্যাটগুলোতে কারা থাকছে, সেগুলো নিয়মিত তদারকি করা হবে।’ বস্তিবাসী হওয়া সত্ত্বেও যারা ফ্ল্যাট পাননি, তাদের বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। বাতিল করা ফ্ল্যাটগুলো বরাদ্দে আবেদনকারীদের বিবেচনা করা হবে বলে জানান গৃহায়ণের এই কর্মকর্তা।

 

ভাড়া কমানোর দাবি জানিয়ে ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা বলেন, ‘সরকার আমাদের যে ফ্ল্যাট দিয়েছে, তা পেয়ে খুশি। কিন্তু ফ্ল্যাট ভাড়া সাড়ে চার হাজার টাকা। আনুষঙ্গিক আরো খরচ দেড় হাজার টাকা। এ খরচ দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। পরিবারের প্রধান সদস্য যে কয় টাকা আয় করে, তাতে আমাদের সংসার চালাতেই খুব কষ্ট করতে হয়। অনেক সময় দেখা যায়, ফ্ল্যাট ভাড়া দিতে আমাদের ধার-দেনা করতে হয়। বিভিন্ন ধরনের সমিতি থেকে সুদে টাকা এনে ভাড়া দিতে হয়। প্রধানমন্ত্রী যদি আমাদের দিকে একটু সহৃদয় হয়ে ভাড়াসহ আনুষঙ্গিক খরচ কমিয়ে দেয়, তাহলে অনেক ভালো হয়।’

 

বাসিন্দাদের ভাড়া কমানোর দাবির বিষয়ে তাবেদুন নবী বলেন, ‘আগে এসব ফ্ল্যাটের ভাড়া ছিল সাত হাজার টাকা। প্রধানমন্ত্রী এটাকে কমিয়ে সাড়ে চার হাজার টাকা করেছেন। যদি কেউ ভাড়া না দিতে পারেন এবং গ্রামে ফিরে যেতে চান তাহলে আলাদা প্রকল্প রয়েছে। তাকে গ্রামের বাড়িতে ঘর করে দেয়া হবে। কর্মসংস্থান ও ছয় মাসের খাবারের ব্যবস্থা করে দেয়া হবে।’

 

বাউনিয়া বাঁধ এলাকায় বস্তিবাসীর জন্য নির্মিত ৫টি ভবনে ফ্ল্যাটের সংখ্যা ৫৩৩টি। এর মধ্যে ৩০০টি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বাকি ২৩৩টি ফ্ল্যাট বরাদ্দের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। বরাদ্দ করা ফ্ল্যাটের নিয়মের কোনো ব্যত্যয় হলে বরাদ্দ বাতিল করা হবে জানিয়েছেন গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা।

 

ভোরের আকাশ/আসা

মন্তব্য

Beta version